নিজের লেখা নিয়ে বাড়ির বড়দের থেকে কাছ থেকে বা নতুন বউঠানের কাছ থেকে তো লাইক আশা করতেনই কিন্তু তাঁর ফ্রেন্ডলিস্টে আরও এমন কয়েকজন আছেন অন্তত একজন তো আছেনই, যাঁর কাছে থেকে লাইক কমেন্ট শেয়ারের আশায় থাকতেন কবি।
সুরেন্দ্রমোহন প্রয়াত হয়েছেন ৭৭ বছর আগে। তবু আজও বাঙালির বর্ষার সঙ্গে জড়িয়ে আছে দেশের প্রথম বর্ষাতি-ব্র্যান্ড ‘ডাকব্যাক’। বিদেশি বহুমূল্য ম্যাকিনটশের একচ্ছত্র আধিপত্যের যুগে সুরেন্দ্রমোহন বসুর গবেষণাই নিয়ে এসেছিল প্রথম স্বদেশি বর্ষাতি। বাঙালি শিল্পোদ্যোগের তালিকায় প্রথম সারিতে নাম উঠেছিল ‘বেঙ্গল ওয়াটারপ্রুফ ওয়ার্কস’-এর।
আমরা, ভারতীয়রা, যাকে অতি সাধারণ, ‘দৈনন্দিন’ জিনিস ভাবি, তা নিয়ে সাহেবসুবোদের মধ্যে বেশ একটা উত্তেজনা রয়েছে; যেমন ধরুন– গামছা, রান্নার মশলা বা মশারি। ভারতের বাইরেও মশারি ব্যবহারের নজির মেলে, বিশেষ করে প্রাচীন মিশর এবং মেসোপটেমিয়া সভ্যতায়।
মূলত শিশুদের জন্য গ্রামের মহিলা শিল্পীরা এই পুতুল তৈরি করতেন। অন্যান্য মৃৎসামগ্রী তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকতেন পুরুষ শিল্পীরা। যেহেতু রমণীদের হাতে গড়ে উঠত কাঁঠালিয়ার পুতুল, তাই নারী জীবনের উপাখ্যান এই পুতুলের প্রধান চরিত্র হয়ে উঠেছে।
সবাই জানেন, হিন্দু ধর্মে ছাতা দান মহাপুণ্যের কাজ। মহেন্দ্র দত্তরা সে কাজ করে আসছেন পাঁচ জেনারেশন ধরে। তিনি নাকি বর্ধমানে রাজার দরবারে পাখোয়াজবাজ ছিলেন? একবার রাজার বিলিতি ছাতা সারিয়ে চমকে দেন, এবং উল্লসিত রাজার বকশিসের টাকাতেই ব্যবসা খুলে ফেলেন?
একটি আন্দোলিত পদ্ম। খসে পড়ছে তার পাপড়ি। চামড়ার মলাটে সোনার রঙে ‘এমবস’ করা এক অনিন্দ্যসুন্দর রেখাচিত্র।
ছাতা নিয়ে যে যাচ্ছে নিজেকে কোনও রকমে বাঁচাতে, তার দিকে তাকাও হাসিমুখে, ইশারায় অন্তত জানাও তার কাঁধ ভিজে গেছে, পিঠের ব্যাগ ভিজছে, জলের স্রোতে পা রাখাই দায়। ইশারা না-বুঝলে চিৎকার করেই বলো। জলে পা রাখো, চুল ভিজে যাক, বৃষ্টির তোড়ে দৃষ্টি ঝাপসা হোক, জামার সঙ্গে শরীর জুড়ে যাক।
যেখানে আমাদের স্টকে এত ভালো ভালো মিষ্টি আছে, সঙ্গে হিস্ট্রি আছে– সেখানে চকলেট নিয়ে লাফালাফি মেনে নেওয়া যায় না। আচ্ছা ভেবে দেখুন তো, ফরাসি বা জাপানিদের যদি এত মিষ্টির সম্ভার থাকত, তাঁরা কি সেসব ছেড়ে চকলেট চকলেট করে লাফাত, মিষ্টিতে চকলেট গুঁজে সেটাকে প্রোমোট করত?
কিন্তু আমার রেনকোট খোলা মনে শুধু খোঁচা দিতে থাকে একটাই সোনালি-রুপোলি কাঠি, এই অবাঞ্ছিত বিছানা গোছানোর আগে ওরা দু’জন কী করছিল তাহলে? মাঝের ভেসে যাওয়া এক সমুদ্রকাল সময়ে, ভাগলপুরের বনলতা কি তাকে দু’-দণ্ড শান্তি দেয়নি?
সুপারহিরোর না, আমআদমির বাদলবর্ম রেনকোট। ফুড ডেলিভারির এজেন্ট হোক, কিংবা ভোরবেলার কাগজের হকার, রেনকোট ছাড়া তাঁদের চলে না। ঝড়বৃষ্টি যতই বাহাদুরি দেখাক, ছাতা যতই উড়ে-উল্টে যাক, রেনকোট বড় কাজের। তবে লোকে দাম দিল না, এই যা।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved