নব্বইয়ের গোড়া থেকে খেলা বদলাল। মূলধারার এই নায়ক-প্রতিনায়কের অন্ধকার কেটে আসতে শুরু করল তরুণ নায়ক-নায়িকাদের রোমান্সের রামধনুচ্ছটা। বিশ্বায়ন সেখানে নতুন মাত্রা জুড়ল। অন্যদিকে, অন্যধারাতেও আর নবতরঙ্গের নিয়মকানুন খাটছে না। স্বপনবাবুর লেখাতে উল্লেখ ছিল ‘ইয়ে ওহ মঞ্জিল তো নেহি’ বলে একটি ছবির, যার পরিচালকের নাম, সুধীর মিশ্র। সুধীররা বলিউডের সমান্তরাল তৈরি করলেন অন্য মার্গে। আন্ডারওয়ার্ল্ড রইল আন্ডারওয়ার্ল্ডেই।
৩২.
সেই যে সেসব অ্যাংরি ইয়ংম্যান, তারা বিদায় নিচ্ছিল যেমন পর্দা থেকেও, আবার গলিগলতা থেকেও। মারপিট করে, পাড়ার জেঠুদের টোনটিটকিরি কাটে আবার মড়ায় কাঁধ দেয়, যখনতখন বাজার ছোটে হেঁপো রুগীর হয়ে– সেই তারাই ছিল এলাকার বচ্চন। সেই ‘পুকর’ দেখে ফেরার পথে সদলবলে ‘সমুন্দর পে নাহাকে’ গাওয়ার লোচ্চামিই হোক, বা ‘কাটি পতঙ্গ’ দেখতে গিয়ে ‘পেয়ার দিওয়ানা হোতা হ্যায়’ শুনে মনে বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল ফোটা, ফুটবল পিটিয়ে একা ফেরার পথে ‘রুক যানা নেহি কহি হার কে’ গুনগুন করা, ‘বই’ দেখতে হলে গিয়ে ব্ল্যাকারদের সঙ্গে বোঝাপড়া করা সেসব উদ্দেশ্যহীন, বেকার ও পরোপকারীদের দিন ফুরচ্ছিল। এক লক্কা পায়রা ঘরে মন্দাকিনীর ছবি সেঁটে রাখত, প্রণাম করে ধূপ দিত লতা মঙ্গেশকরের ছবিতে। সোনাগাছির বাইরে মাথা গুঁজে বসে কাঁদতে কাঁদতে এক মাতাল যুবককে ‘ইয়ে কেয়া হুয়া’ গাইতে দেখে মলিন বা মালিন্য ঢেকে নকল ঝলমলে হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলারা এগিয়ে এসে সান্ত্বনা দিয়েছিল। এরা বন্যাত্রাণ থেকে বেপাড়ার লুম্পেন ঠেকানো– সবেতেই সিদ্ধহস্ত ছিল। সময় এদের ডাইনোসর বানাল, বিধ্বংসী উল্কাপাতটা হয়ে গিয়েছিল নীরবে। পটলডাঙার রোয়াক পর্দায় উঠে এসেছিল সেই ‘চারমূর্তি’-তে। টেনিদার মতো ফেলু, গুলবাজিতে তুখড় অথচ চুপচাপ সমাজসেবক, সেইসব পাড়াকাঁপানো হুক্কাহুয়ার শেয়ালরা বিলীন হল ধীরেসুস্থে।
আটের শেষ থেকে ‘সাহেব’ বা ‘গুরুদক্ষিণা’-র তাপস পালরাও সরে যাচ্ছিল বাজার থেকে। ‘এ আমার গুরুদক্ষিণা’ যতই মাচা থেকে মন্দির– সর্বত্রগামী হোক, ‘অমর সঙ্গী’-র প্রসেনজিৎ বা ‘মর্যাদা’, ‘পাপী’-র চিরঞ্জিৎ তখন রংচঙে কার্নিভালের গ্রাম দিয়ে ঘিরছে সুললিত, মাপজোখ করা শহর। ‘গণশত্রু’, ‘শাখাপ্রশাখা’-র মতো ছবি বানিয়ে সত্যজিৎ তখন অনেকের চোখেই নিভু নিভু, মৃণাল সেনের অন্তর্গত বিদ্রোহ অনেকেই বুঝছে না। অন্যদিকে, ১৯৮৭ সালে, এক জনপ্রিয় বাংলা পত্রিকার একটি নিবন্ধে স্বপনকুমার ঘোষ বলছেন, শ্যাম বেনেগালরা ভূমি হারাচ্ছেন, সৈয়দ আখতার মির্জা ‘অ্যালবার্ট পিন্টো কি গুসসা কিঁউ আতা হ্যায়’-তে যে রাগ দেখিয়েছেন, তা ‘মোহন জোশি হাজির হো’ থেকে অনুপস্থিত, ইত্যাদি প্রভৃতি। প্রসঙ্গত, এই ‘অ্যালবার্ট পিন্টো’ এক হতাশ নকশালকে আবার জীবনে ফিরিয়েছিল। এমন কতশত গল্প থাকবেই! গোবিন্দ নিহালনিকে নিয়েও স্বপনবাবু অনুযোগ করেছেন, যদিও তাঁর ‘পার্টি’-র মতো ছবি রাগী না হলেও, রাজনৈতিক শিল্পীর দায়বদ্ধতা নিয়ে সময়ানুগ এবং চির-প্রাসঙ্গিক প্রশ্নগুলো তুলেছিল ইনডোর ড্রামার আদলে। ‘গণশত্রু’-ও সদ্য অঙ্কুরিত সাম্প্রদায়িকতার বীজকে চিনতে পেরেছিল। কিন্তু বোঝা যাচ্ছিল, পুরনো চাল আর ভাতে বাড়ছে না।
মূলধারা বদলাচ্ছে। ভোটে দাঁড়ানো হোক বা ব্যক্তিগত কেচ্ছা, দেশজুড়ে অমিতাভ বচ্চনের শাহেনশাহ-সুলভ ম্যাজিক ঘুড়ির মতো লাট খাচ্ছিল অল্প হলেও। ‘৮৬-তে ‘আখরি রাস্তা’ রিলিজের পর এক লায়েক গম্ভীরভাবে ইয়ারবক্সিদের বলেছিল, ‘অমিতাভ বচ্চনের লাস্ট বই। দেখে আসি চ।’ আখরি শব্দের এই ব্যাখ্যা কে টের পাবে? নতুন নায়ক-নায়িকারা আস্তে আস্তে আসছেন। প্রচুর ফ্লপ পেরিয়ে ‘খতরোঁ কা খিলাড়ি’ থেকে আস্তে আস্তে চেনা মুখ হয়ে উঠলেন সুনীল দত্তর পুত্র, সঞ্জয় দত্ত। বলিউডের ‘নেপো কিড’ ধারণার পূর্বসূরি তিনি হতেই পারেন, কিন্তু মহেশ ভাটের দমচাপা থ্রিলার ‘নাম’-এ তার অদ্ভুত চাপা অভিনয় দেখলে বোঝা যায়, স্বজনপোষণের কোনও অযোগ্য ফল তিনি ছিলেন না। আর থ্রিলারের প্রসঙ্গ উঠলই যখন, তখন এই দশকের অন্যতম মোড়ঘোরানো ছবির প্রসঙ্গও উল্লেখ্য। ১৯৮৯ সালের হালকা হেমন্তে এসেছিল ‘পারিন্দা’। সেই ‘খামোশ’-এর বিধুবিনোদ চোপড়ার ছবি। দাউদ-হাজি দ্বন্দ্বের সেই রক্তছাপ মুম্বইয়ে, দক্ষিণ থেকে আগত ভরদারাজন মুদালিয়র ছিলেন অন্যতম ত্রাস। তার আদলেই গড়ে উঠেছিল এই ছবির আন্না শেঠ। অভিনয়ে, নানা পটেকর। আগের দশকের ‘গমন’ থেকে যাত্রা শুরু করার পর, তাঁর অভিনয় একটু একটু করে চোখে-মনে ধরছিল অনেকেরই। সেই নানা-র দাঁতকপাটি লাগানো থম মারা অভিনয়ের পাশে এই ছবির পৌরাণিক নামের নায়কযুগল, করণ আর কিষাণের ভূমিকায় জ্যাকি শ্রফ আর অনিল কাপুর হাওয়া হয়ে যায় তো বটেই, মায় মাধুরী দীক্ষিত, যে পর্দায় আসা মানে আগুনের কেন্দ্রবিন্দু স্থির হয়ে যাওয়া, বিশেষ করে একবছর আগেই ‘দয়াবান’-এ বিনোদ খন্নার মতো পোড়খাওয়া নায়কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে পারদ চড়ানোর পর যাঁকে নিয়ে দৃষ্টিসুখকামী দর্শককুল আকুল ছিল, তাঁকেও খানিক ম্লান লাগছিল। শিবাজী মন্দিরে জয়ন্ত দলভির ‘পুরুষ’ নাটকে তাঁকে দেখে ‘পারিন্দা’-র রোলটা অফার করতে আর এক মুহূর্তও দ্বিধা করেননি বিধুবিনোদ। মজার বিষয়, এই মুদালিয়রের আদলে তৈরি নানা চরিত্রে কখনও গোবিন্দ নিহালনির ‘অর্ধসত্য’-তে সদাশিব অম্রপুরকর, কখনও বা ‘মশাল’-এ অমরিশ পুরি অভিনয় করেছেন। কিন্তু এমন হিমশীতল ভিলেনিতে এই চরিত্র ধরা দেয়নি। অন্যদিকে কমল হাসান এই চরিত্রেই নায়ক রূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন মণিরত্নমের ‘নায়কন’-এ, বাণিজ্যনগরীতে ডন হয়ে ওঠা মুদালিয়র আদতে দক্ষিণের কাছে কখনওই ভিলেন হননি। এক পরিচিত বলেছিলেন, মৌমাছি বা বোলতা দেখে যত না ভয় করে, ভীমরুল দেখে একটু বেশি। সেটা ওর ব্যক্তিত্বের কারণে। প্রাণ বা প্রেম চোপড়া যদি বোলতা বা মৌমাছি হয়, তবে ভীমরুল হল গিয়ে নানা পাটেকর। এহেন নানা-কে আর কয়েক বছর পর ‘স্টার অ্যান্ড স্টাইল’-এর একটি সংখ্যায় উল্লেখ করা হবে ‘দ্য অডবল সুপারস্টার’ বলে। ততদিনে তাঁর নিজের লেখা ও পরিচালনা করা ‘প্রহার’-ও মুক্তি পেয়ে গেছে। কে জানত, এমন সমান্তরাল নায়ক হয়ে ওঠা নানা-ই বলিউডে ‘মি টু’ আন্দোলনের লাভামুখের প্রথম নাম হবেন, এবং তারপর একে একে খুলবে টিনসেল টাউনের পুরুষনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার অন্দরে লুকনো প্যান্ডোরার বাক্স? যাক সে কথা।
কিন্তু ‘আখরি রাস্তা’-তে যে অমিতাভের রাস্তা ফুরোয়নি, তা প্রমাণ করল এই দশকের একেবারে শেষ বছরে মুক্তি পাওয়া আইকনিক হয়ে ওঠা ছবি– ‘অগ্নিপথ’। এই ছবিতে সেই পয়া বা মার্কামারা ‘বিজয়’ নামে আবার তাঁর অব্যর্থ প্রত্যাবর্তন। বিজয় দীননাথ চৌহান ছিল হাজি-দাউদ গ্যাংযুদ্ধের একেবারে গোড়ার দিকে বোম্বাইয়ের ত্রাস হয়ে ওঠা খুনে গ্যাংস্টার মানিয়া সুরভে-র জীবনের আদলে তৈরি চরিত্র। সেই মানিয়া সুরভে, যাকে হত্য করা দিয়েই মুম্বই পুলিশের কুখ্যাত ‘এনকাউন্টার’ প্রথার সূত্রপাত। তখনও পর্যন্ত সমাজবিরোধী ও আইনকে কাঁচকলা দেখানো ডনের চরিত্রে আসতে দ্বিধা করেননি তিনি, এবং ‘অগ্নিপথ’ অচিরেই বিপুল সাড়া ফেলে। মিঠুন চক্রবর্তী আর বচ্চনের ত্র্যহস্পর্শ এই ছবিতে বৃথা যায়নি। সঙ্গে ড্যানি ডেনজংপা-র কাঞ্চা চিনা। মূলত এই ছবিতে ড্যানির সন্ত্রাস এতটাই তীব্র ছিল, তা তার বাদবাকি সব খলনায়কামি, বা ‘লালকুঠি’-র মতো ছবিতে তাঁর ভালোমানুষির রেশ কাটিয়ে দিয়েছিল। পরবর্তীতে, এই অধমের ছোটবেলাতেও, যখন পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে একটি হোটেলে উঠে জানতে পারা গিয়েছিল তা ‘ড্যানির হোটেল’, বড়রাও খানিকটা কেঁপে উঠেছিল যেন। বলা যায় না, কোন গুপ্তকক্ষ বা ভয়াবহ চেম্বার সে হোটেলে সুপ্ত আছে।
নব্বইয়ের গোড়া থেকে খেলা বদলাল। মূলধারার এই নায়ক-প্রতিনায়কের অন্ধকার কেটে আসতে শুরু করল তরুণ নায়ক-নায়িকাদের রোমান্সের রামধনুচ্ছটা। বিশ্বায়ন সেখানে নতুন মাত্রা জুড়ল। অন্যদিকে, অন্যধারাতেও আর নবতরঙ্গের নিয়মকানুন খাটছে না। স্বপনবাবুর উপরিউক্ত লেখাটিতেই উল্লেখ ছিল ‘ইয়ে ওহ মঞ্জিল তো নেহি’ বলে একটি ছবির, যার পরিচালকের নাম, সুধীর মিশ্র। সুধীররা বলিউডের সমান্তরাল তৈরি করলেন অন্য মার্গে। আন্ডারওয়ার্ল্ড রইল আন্ডারওয়ার্ল্ডেই। মূলধারার প্রেমের তাজমহল তা ঢেকে রাখল সযত্নে, কিন্তু ওই অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো ছেড়ে, ওই সুড়ঙ্গেই ঢুকল অন্যধারার ছবিরা।
…পড়ুন জনতা সিনেমাহল-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৩০। ফুলন দেবীর বন্দুক ও ‘মির্চ মসালা’-র প্রতিরোধ
পর্ব ৩০। স্কুল থেকে শ্মশান, সর্বত্র শোনা গেছে ‘মোগাম্বো খুশ হুয়া’
পর্ব ২৯। ‘ক্যায়ামত’ না আসুক, বিচ্ছেদের যন্ত্রণা ঠিক বুঝেছে এসটিডি বুথ, একা অ্যান্টেনা
পর্ব ২৮। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের দিন জনশূন্য কলকাতায় পকেটমারি
পর্ব ২৭। মাস্টারমশাইরা কি আজও কিচ্ছু না দেখেই থাকবে?
পর্ব ২৬। ‘হাওয়া হাওয়াই’য়ের আপত্তি জোটেনি কিন্তু ‘উরি উরি বাবা’ নাকি অপসংস্কৃতি
পর্ব ২৫। চুল কাটলেই মাথার পিছনে জ্যোতির মতো বাজবে ‘শান’-এর গান!
পর্ব ২৪। মরণোত্তর উত্তমকুমার হয়ে উঠলেন সিরিয়াল কিলার
পর্ব ২৩। স্কুল পালানো ছেলেটা শহিদ হলে টিকিট কাউন্টার, ব্ল্যাকাররা তা টের পেত
পর্ব ২২। ক্যাবলা অমল পালেকরের চোস্ত প্রেমিক হয়ে ওঠাও দর্শকেরই জয়
পর্ব ২১। বন্দুকধারী জিনাতকে ছাপিয়ে প্রতিরোধের মুখ হয়ে উঠলেন স্মিতা পাতিল
পর্ব ২০। হকার, হোটেল, হল! যে কলকাতার মন ছিল অনেকটা বড়
পর্ব ১৯। দেওয়ালে সাঁটা পোস্টারে আঁকা মধুবালাকে দেখে মুগ্ধ হত স্কুলপড়ুয়া মেয়েরাও
পর্ব ১৮। পানশালায় তখন ‘কহি দূর যব’ বেজে উঠলে কান্নায় ভেঙে পড়ত পেঁচো মাতাল
পর্ব ১৭। গানই ভেঙেছিল দেশজোড়া সিনেমাহলের সীমান্ত
পর্ব ১৬। পুলিশের কাছেও ‘আইকনিক’ ছিল গব্বরের ডায়লগ
পর্ব ১৫। ‘শোলে’-র চোরডাকাতরা এল কোথা থেকে?
পর্ব ১৪। ‘শোলে’-তে কি ভারত আরও আদিম হয়ে উঠল না?
পর্ব ১৩। ‘জঞ্জির’ দেখে ছেলেটা ঠিক করেছিল, প্রতিশোধ নেবে
পর্ব ১২। ‘মেরে পাস মা হ্যায়?’-এর রহস্যটা কী?
পর্ব ১১। ইন্দ্রজাল কমিকস-এর গ্রামীণ নায়ক বাহাদুর পাল্পে এসে রংচঙে হল
পর্ব ১০। দু’টাকা পঁচিশের টিকিটে জমে হিরোইনের অজানা ফ্যানের স্মৃতি
পর্ব ৯। খান্না সিনেমায় নাকি পৌরাণিক সিনেমা চলছে
পর্ব ৮। পাড়াতুতো ট্র্যাজেডিতে মিলে গেলেন উত্তমকুমার আর রাজেশ খান্না
পর্ব ৭। পাড়ার রবিদা কেঁদেছিল ‘কাটি পতঙ্গ’ আর ‘দিওয়ার’ দেখে, সাক্ষী ছিল পাড়ার মেয়েরা
পর্ব ৬। যে কলকাতায় পুলিশ-পকেটমার মিলেমিশে গেছে, সেখানে দেব আনন্দ আর নতুন করে কী শিরশিরানি দেবেন?
পর্ব ৫। হিন্দি ছবির পাপ ও একটি অ্যাডাল্ট বাড়ির গল্প
পর্ব ৪। দেব আনন্দ, একটি বোমা ও অন্ধকারে হাত ধরতে চাওয়ারা
পর্ব ৩। অন্ধকারে ঢাকা পড়ল কান্না থেকে নিষিদ্ধ স্বপ্ন!
পর্ব ২। ‘জিনা ইঁয়াহা মরনা ইঁয়াহা’ উত্তর কলকাতার কবিতা হল না কেন?
পর্ব ১। সিনেমা হলে সন্ত্রাস ও জনগণমন-র দলিল