রবীন্দ্রনাথ নিজেই যখন তাঁর ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসে রবি ঠাকুরের কবিতা নিয়ে রঙ্গ করেছেন তখন রবি ঠাকুরের জন্মদিনের সাংস্কৃতিক ‘ফ্যাশন’ নিয়ে ফুট কাটা যাবে না কেন! শম্ভু মিত্র ও উৎপল দত্ত– দু’জনেই ‘রাবীন্দ্রিক ফ্যাশনবাদী’দের মস্ত বিরোধী ছিলেন– রাবীন্দ্রিক ফ্যাশনের নানা দস্তুর। শাড়ি, ফুল, চন্দন, নরম-নরম বুলি ইত্যাদি ইত্যাদি। তার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পুঁজি ও প্রতিপত্তির যোগ হলে তো কথাই নেই।
৩৮.
যে কোনও জন্মদিন নয়, রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন বাঙালির সাংস্কৃতিক উৎসবের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। জোড়াসাঁকো সাজে, শান্তিনিকেতন জাগে– কবিপক্ষ, রবীন্দ্র-সপ্তাহ নানাবিধ আয়োজন। শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কবির স্মৃতিমাখা বাংলাদেশেও নানা ব্যবস্থা। রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে জনতাকে শীলিত সংস্কৃতির অঙ্গনে নিয়ে আসার জন্য সরকারের সাংস্কৃতিক দপ্তর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এইসব নানা মাপের নানা ঢঙের রবীন্দ্রজয়ন্তী নিয়ে কেউ ফুট কাটতেই পারেন– ফুটকাটা খুব অন্যায় নয়। রবীন্দ্রনাথ নিজেই যখন তাঁর ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসে রবি ঠাকুরের কবিতা নিয়ে রঙ্গ করেছেন তখন রবি ঠাকুরের জন্মদিনের সাংস্কৃতিক ‘ফ্যাশন’ নিয়ে ফুট কাটা যাবে না কেন! শম্ভু মিত্র ও উৎপল দত্ত– দু’জনেই ‘রাবীন্দ্রিক ফ্যাশনবাদী’দের মস্ত বিরোধী ছিলেন– রাবীন্দ্রিক ফ্যাশনের নানা দস্তুর। শাড়ি, ফুল, চন্দন, নরম-নরম বুলি ইত্যাদি ইত্যাদি। তার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পুঁজি ও প্রতিপত্তির যোগ হলে তো কথাই নেই।
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
রবীন্দ্রনাথ বুঝতে পারছেন তাঁর সময় ঘনিয়ে আসছে– ১ বৈশাখের থেকে ২২ শ্রাবণের দূরত্ব তো খুব বেশি নয়। নিজের জন্মদিনকে ঘিরে বৈশাখের শুরুর দিনটিতে শান্তিনিকেতনে শেষবারের মতো যে উৎসবের আয়োজন তাকে নিজের দিক থেকে সভ্যতার সংকটের দিকে নিয়ে গেলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর জন্মদিনে তিনি নিমিত্ত মাত্র, গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ-উত্তপ্ত পারিপার্শ্বিক বিশ্বব্যবস্থা সম্বন্ধে তাঁর সংশয়– সেই সংশয়ের কথা প্রকাশ না করলে মানবতার প্রতি অন্যায় হবে।
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
রবীন্দ্রনাথের জীবৎকালেই তাঁকে ঘিরে জন্মদিন পালনের আয়োজন শুরু হয়েছিল। তিনি এশিয়ার মধ্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত কবি, শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকদের প্রাণের গুরুদেব আর সর্বোপরি নিজের জন্মদিনকে ঘিরে নানা রকম ভাবনায় আচ্ছন্ন। সুতরাং জন্মদিনের সমারোহ শুরু হওয়া অনিবার্যই ছিল। রবীন্দ্রনাথের জীবৎকালে শান্তিনিকেতনে তাঁর শেষ জন্মদিন পালিত হয়েছিল ১ বৈশাখ, ২৫ বৈশাখ নয়। তখনকার শান্তিনিকেতনে গ্রীষ্মযাপনের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় রবীন্দ্রজন্মোৎসব পালন করেই আশ্রম বিদ্যালয়ে ও অপরাপর বিভাগে ছুটি দিয়ে দেওয়া হত। সেবার শেষ জন্মোৎসবে নন্দিতা সাজিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর দাদামশাইকে। রোগক্লিষ্ট কবি– কথা বলতে অসুবিধে। তাই ক্ষিতিমোহন সেন পড়লেন কবির লেখা ‘সভ্যতার সঙ্কট’। রবীন্দ্রনাথ বুঝতে পারছেন তাঁর সময় ঘনিয়ে আসছে– ১ বৈশাখের থেকে ২২ শ্রাবণের দূরত্ব তো খুব বেশি নয়। নিজের জন্মদিনকে ঘিরে বৈশাখের শুরুর দিনটিতে শান্তিনিকেতনে শেষবারের মতো যে উৎসবের আয়োজন তাকে নিজের দিক থেকে সভ্যতার সংকটের দিকে নিয়ে গেলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর জন্মদিনে তিনি নিমিত্ত মাত্র, গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ-উত্তপ্ত পারিপার্শ্বিক বিশ্বব্যবস্থা সম্বন্ধে তাঁর সংশয়– সেই সংশয়ের কথা প্রকাশ না করলে মানবতার প্রতি অন্যায় হবে। নিজের মধ্যে আটকে থাকার আত্মরতি নয়, নিজের ভাবনাকে সম্প্রসারিত করার মানবরতিই তাঁর শেষ জন্মদিনের শান্তিনিকেতনী আয়োজনে প্রকাশ পেল। অবশ্য ২৫ বৈশাখ, যেদিন তাঁর জন্মদিন, সেদিন লিখলেন–
আমার এ জন্মদিন-মাঝে আমি হারা
আমি চাহি বন্ধুজন যারা
তাহাদের হাতের পরশে
মর্তের অন্তিম প্রীতিরসে
নিয়ে যাব জীবনের চরম প্রসাদ,
নিয়ে যাব মানুষের শেষ আশীর্বাদ।
শূন্য ঝুলি আজিকে আমার;
দিয়েছি উজাড় করি
যাহা-কিছু আছিল দিবার,
প্রতিদানে যদি কিছু পাই—
কিছু স্নেহ, কিছু ক্ষমা—
তবে তাহা সঙ্গে নিয়ে যাই
পারের খেয়ায় যাব যবে
ভাষাহীন শেষের উৎসবে।
এই কবিতাটি পড়লে বোঝা যায় জন্মদিনের শেষ লেখায় প্রস্তুত হচ্ছিলেন আসন্ন বিদায়ের জন্য।
১৯৪১-এর, জীবনের শেষ বছরের, জন্মদিন পালনের চেহারা একরকম। তাঁর পঞ্চাশ ও সত্তর বছরের জন্মদিন পালনের চেহারা বেশ অন্যরকম। পঞ্চাশ ও সত্তর– দু’ক্ষেত্রেই প্রবাসী সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। পঞ্চাশ বছরের জন্মদিন পালনে রামানন্দ ছিলেন নেপথ্যে, কবির সত্তর বছরে তিনি প্রকাশ্যে সক্রিয়। রামানন্দের সম্পাদনায় প্রকাশিত হল ‘The Goloden Book of Tagore’, রবীন্দ্রপরিচয়-সভা থেকে প্রকাশিত ‘জয়ন্তী-উৎসর্গ’ গ্রন্থে প্রিয়ম্বদা দেবী ‘রবীন্দ্র-জয়ন্তী’ কবিতায় লিখেছিলেন ‘তব জন্ম কথা, / অপূর্ব্ব বারতা/ আমাদের জ্ঞান অগোচর’। রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনকে ঘিরে এই যে উৎসব পালন তা নিয়ে নিন্দুকেরা অবশ্য কথা বলতে ছাড়েননি। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জয়ন্তী উৎসবের অন্যতম হোতা অমল হোমকে চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘জয়ন্তীর গোড়ায় এও শুনেছি স্বয়ং কবি তোমাকে খাড়া করেছেন, তাঁর শিখণ্ডী মাত্র তুমি– পিছন থেকে তিনিই তোমাকে দিয়ে সব করাচ্ছেন!’ অমল হোমকে পরক্ষণেই আশ্বস্ত করেছিলেন শরৎচন্দ্র। লিখেছিলেন, ‘এ যে বাংলা দেশ, অমল। মনে ক্ষোভ রেখো না– যে যা বলে বলুক।’ রবীন্দ্রজীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় লিখেছিলেন ‘বাংলাদেশে কবিমনীষীকে সংবর্ধনা জানাইবার এই প্রথম আয়োজন– ইহার অনুকূলে কোনো রাষ্ট্রশক্তি নাই, সাধারণ শিক্ষিত লোকের এই সমারোহ।’ সাধারণ শিক্ষিত লোকের এই সমারোহকে বাঁকা চোখে দেখার মতো নিন্দুকও ছিল যথেষ্ট।
রবীন্দ্রনাথের কাছের প্রিয়জনেরা তাঁর জন্মদিনকে অবশ্য নানাভাবে তাৎপর্যবাহী করে তুলতে চাইতেন। জন্মদিন তো সাহেবি প্রথা, এদেশে ছিল জন্মতিথি। বিধুশেখর শাস্ত্রীর লেখা থেকে জানা যাচ্ছে গুরুদেবের ‘জন্মতিথির এক উৎসব উপলক্ষ্যে’ তিনি উত্তরায়ণের উত্তর পশ্চিম সীমানায় পঞ্চবটী (অশ্বত্থ, বিল্ব, বট, আমলকী ও অশোক) রোপণ করিয়েছিলেন। আরেক বছর জন্মতিথি উৎসবে তুলাদান করিয়েছিলেন। দাঁড়িপাল্লার একদিকে রবীন্দ্রনাথ অন্যদিকে ‘তাঁর স্বরচিত গ্রন্থাবলী’। সেই সব বিশেষ ব্যক্তিকে বা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়েছিল। এই তুলাদানের অনুষ্ঠান হয়েছিল জোড়াসাঁকো বাড়ির বিচিত্রা গৃহের বারান্দায়।
জীবনে জন্মদিনের নানা আয়োজন রবীন্দ্রনাথের মনে একরকম আত্মকৌতুকের জন্ম দিত। একদিকে তিনি যেন নিজেকেই এই জন্মদিনে যাচাই করছেন। যে আয়োজনের কেন্দ্রে তিনি সেই আয়োজনে নিজেকে অপরের হাতে সমর্পণ করে নিজের থেকে নিজে দূরে চলে যাচ্ছেন। দূরে চলে যেতে পারছেন বলেই তাঁর জন্মদিন সম্বন্ধীয় কবিতায় ফিরে ফিরে আসে পৃথিবী থেকে বিদায়ের কথা। যদি নিজের জন্মদিন পালনের অহমিকায় নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন তাহলে কি এভাবে বিদায় অনুভবের কথা প্রকাশ করা সম্ভব হত!
এ জন্মের গোধূলির ধূসর প্রহরে
বিশ্বরসসরোবরে
শেষবার ভরিব হৃদয় মন দেহ
দূর করি সব কর্ম, সব তর্ক, সকল সন্দেহ,
সব খ্যাতি, সকল দুরাশা,
বলে যাব, ‘আমি যাই, রেখে যাই, মোর ভালোবাসা।’
রবীন্দ্রনাথ নেই। রবীন্দ্র জন্মোৎসব আছে। সাংস্কৃতিক ফ্যাশন আছে, রবীন্দ্র-পুরোহিত আছে, রাষ্ট্রভুক্ত উৎসবের রবীন্দ্রমূর্তি আছে। তাদের দিকে তাকিয়ে তর্ক-সন্দেহ-খ্যাতির প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে শুধু ‘ভালোবাসা’র বোধে অবগাহন করা যাচ্ছে না। যদি করা যেত তাহলে বেশ হত। চাইলে কী সব করা যায়!
…ছাতিমতলা-র অন্যান্য পর্ব…
ছাতিমতলা পর্ব ৩৭: রবীন্দ্রনাথের মতে, ভোট সামাজিক মঙ্গলের নিঃশর্ত উপায় নয়
ছাতিমতলা পর্ব ৩৬: টক্সিক রিলেশনশিপ কি রবীন্দ্রনাথের লেখায় আসেনি?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৫: রবীন্দ্রনাথ কি আড্ডা মারতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৪: চিনের দৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথের সভ্যতা-ভাবনা ছিল কল্পনা বিলাস
ছাতিমতলা পর্ব ৩৩: পুরস্কার মূল্যকে হেলায় ফেরাতে জানে কবিই, জানতেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩২: তরুণ রবির তীক্ষ্ণ সমালোচক পরিণত রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩১: ভোটের মঞ্চে উড়ছে টাকা, এসব দেখে কী বলতে পারতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৩০: শিক্ষিত ভদ্রলোকের ‘নাগরিকত্ব’ বিষয়ক ভাবনার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের যোগ তৈরি হচ্ছে না, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ২৯: কলকাতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অপ্রেম রয়েছে যেমন, তেমনই রয়েছে আবছায়া ভালোবাসা
ছাতিমতলা পর্ব ২৮: মনের ভাঙাগড়া আর ফিরে-চাওয়া নিয়েই মধুসূদনের ভাষা-জগৎ– রবীন্দ্রনাথেরও
ছাতিমতলা পর্ব ২৭: বাংলা ভাষা কীভাবে শেখাতে চাইতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ২৬: ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ প্রৌঢ়ের কথায় রবীন্দ্রনাথের প্রেম চেনা যাবে না
ছাতিমতলা পর্ব ২৫: সুকুমার রায় যে অর্থে শিশু-কিশোরদের মনোরঞ্জন করতে পারতেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২৪: বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে বই প্রকাশের কারখানা শুধু নয়, রবীন্দ্রনাথ দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি