Robbar

শুধু বিদেশে থাকার জন্য উচ্চশিক্ষা লাভ করেও ছোটখাটো কাজ করে কাটিয়ে দিয়েছেন বহু ভারতীয়

Published by: Robbar Digital
  • Posted:November 5, 2024 8:04 pm
  • Updated:November 5, 2024 9:15 pm  

বিগত শতাব্দীর ছয়ের দশকে মস্কোয় দক্ষিণ ভারত থেকে আগত এক পদার্থবিজ্ঞানীর সঙ্গে আমার আলাপ হয়। এসেছিলেন পোস্ট ডক্টরেট করতে। আর দেশে ফিরে যাননি। থাকতেন ইউনিভার্সিটি মেট্রোর কাছে একটা বাড়ির একতলায় এক কামরার একটা ছোট ফ্ল‌্যাটে। রুশি স্ত্রী, পিঠোপিঠি তিন ছেলেমেয়ে। শীতের সকালে ঘরের মেঝেতে ঢালাও শয‌্যা পাতা। আরও দু’-দশক পরে একটি দলিলের রুশভাষায় অনুবাদের পাঠ অনুমোদনের জন‌্য একটি সরকারি অনুবাদ সংস্থার দফতরের শরণাপন্ন আমাকে হতে হয়েছিল। ডেস্কে আমার হাত থেকে যিনি কাগজটা নিলেন, তাকিয়ে দেখি তিনি সেই পদার্থবিজ্ঞানী। আমাকে দেখে চিনতে পেরে জড়িয়ে ধরলেন। মনে হল ভালোই আছেন। আমার কিন্তু ভালো লাগল না শক্তির এই অপচয় দেখে।

গ্রাফিক্স: দীপঙ্কর ভৌমিক

অরুণ সোম

৩৮.

অনেকেই দেশে ফেরেনি

আমাদের দেশ থেকে যে সমস্ত শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে গিয়েছিল, তাদের অনেকে শিক্ষা সমাপনান্তে আর দেশে ফিরে যায়নি– ও দেশেই থেকে গেছে। অথচ শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ কোনও বিদেশির পক্ষে সে দেশে পাওয়া সম্ভব ছিল না– তারাও পায়নি। ভূতত্ত্ববিদ, মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার কাজ নিয়েছে মস্কো রেডিয়োতে, কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে ‘মির’ বা ’প্রগতি’তে অনুবাদক হয়েছে, কেউ বা সাংবাদিকতায় পি.এইচ. ডি. ডিগ্রি অর্জন করে সংবাদপত্রের দফতর খুলে তার অন্তরালে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে দিয়েছে। আমি নিজেও এক সময় এমন একজনকে কাজ জোগাড় করে দিয়েছিলাম যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ সিকেয় তুলে দিয়ে ওই কাজ নিয়ে ওখানেই থিতু হয়ে বসে গেছে।

বিগত শতাব্দীর ছয়ের দশকে মস্কোয় দক্ষিণ ভারত থেকে আগত এক পদার্থবিজ্ঞানীর সঙ্গে আমার আলাপ হয়। এসেছিলেন পোস্ট ডক্টরেট করতে। আর দেশে ফিরে যাননি। আমি তাঁর একটি উপকার করেছিলাম, অবশ‌্য তাতে আমি নিজেও উপকৃত হয়েছিলাম। থাকতেন ইউনিভার্সিটি মেট্রোর কাছে একটা বাড়ির একতলায় এক কামরার একটা ছোট ফ্ল‌্যাটে। রুশি স্ত্রী, পিঠোপিঠি তিন ছেলেমেয়ে। শীতের সকালে ঘরের মেঝেতে ঢালাও শয‌্যা পাতা। আরও দু’-দশক পরে একটি দলিলের রুশভাষায় অনুবাদের পাঠ অনুমোদনের জন‌্য একটি সরকারি অনুবাদ সংস্থার দফতরের শরণাপন্ন আমাকে হতে হয়েছিল। ডেস্কে আমার হাত থেকে যিনি কাগজটা নিলেন, তাকিয়ে দেখি তিনি সেই পদার্থবিজ্ঞানী। আমাকে দেখে চিনতে পেরে জড়িয়ে ধরলেন। মনে হল ভালোই আছেন। আমার কিন্তু ভালো লাগল না শক্তির এই অপচয় দেখে।

সোভিয়েত ইউনিয়নে শিক্ষা সমাপন করতে-না-করতে নানা টানাপোড়েনের মধ‌্য দিয়ে যে শিক্ষার্থীটি শেষ পর্যন্ত মস্কোয় নিজের অবস্থান দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিল সে ছিল আমাদেরই এক বন্ধু। বহুকাল হল মস্কোর বাসিন্দা। আমি যখন প্রথম মস্কোয় আসি, অর্থাৎ মস্কো বিশ্ববিদ‌্যালয়ে পড়তে আসি, তখনই সে ওই বিশ্ববিদ‌্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র, সম্ভবত সবে ভর্তি হয়েছে।

এর আগে সে বছর দেড়েক কিয়েভে কাটিয়ে এসেছে। উচ্চশিক্ষা বিভাগের আমলাদের ভ্রান্তিবশত তাকে সেখানে টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে পড়াশুনা করতে হয়েছিল। অনেক পরে সে ভুল ধরা পড়তে সে নতুন করে মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হয়।

……………………………………………..

কিয়েভে যখন রুশ ভাষার সঙ্গে সঙ্গে কারিগরি বিদ্যার পাঠ তাকে নিতে হচ্ছিল, তখন সে তো অবাক! সে যত বলে সে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়তে এসেছে– কে কার কথা শোনে। বছর দেড়েকের বেশিই হবে এমন সময় আবিষ্কার করা গেল, যে ওই একই নামধারী যাঁর এই টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে পড়ার কথা সে এ নয়– বাপের নামের সঙ্গে নাম মিলছে না। দেখা গেল ঠিকই, আসলে তার পড়ার কথা মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে। কিন্তু তখন নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে আরও মাস তিনেক বাকি– এই অবস্থায় তিন মাসের স্টাইপেন্ডের টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাকে মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হল।

………………………………………………

তাঁর দাদা পাঁচ-ছয়ের দশকে আমাদের দেশের ডাকসাইটে বামপন্থী ছাত্রনেতা ছিলেন, পরবর্তীকালে ট্রেড ইউনিয়ন নেতা হিসেবেও তাঁর নামডাক হয়েছিল। পরিবার পূর্ববঙ্গ থেকে আগত উদ্বাস্তু। কলোনিতে মানুষ। লেখাপড়ায় তেমন মন ছিল না, ফুটবল খেলার দিকেই বেশি ঝোঁক, সেই সুবাদে একের পর এক স্কুল পাল্টে‌ এক সময় কোনও রকমে স্কুলের গণ্ডি ডিঙিয়ে কলেজে ঢুকতে না ঢুকতেই পড়াশোনায় ইতি। বলাই বাহুল্য এসব গল্প ওর নিজের মুখে শোনা।

দাদার সংস্পর্শে হোক বা যে কোনওভাবেই হোক কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিল। সেই সময়কার হাওড়া জেলার জনৈক নেতা যখন পার্লামেন্টের সাংসদ হয়ে দিল্লিতে যান, সেই সময় তাকে তিনি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। সে তখন একাধারে তাঁর পাচক, ড্রাইভার, এমনকী ফোটোগ্রাফারও। তার সুপারিশেই সোভিয়েত ইউনিয়নে তার উচ্চশিক্ষা লাভের বৃত্তি জুটে যায়।

This may contain: black and white photograph of two people sitting in a bedroom with a tv on the wall

পরবর্তীকালে পার্টি ভাগ হওয়ার পর দাদা মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন, শ্রমিক নেতাটি কিন্তু ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতেই থেকে যান, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে এবং তাঁর সুবাদে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির যে সমস্ত নেতৃস্থানীয় ব‌্যক্তির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছিল, তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুর সৌহার্দের এতটুকু ঘাটতি দেখিনি। তাঁরা কেউ মস্কোয় এলে সে তাঁদের সঙ্গে দেখা করত, নানাভাবে তাঁদের সাহায‌্যও করত; আবার ছুটিছাটায় দেশে গেলে মার্কসবাদী কমিউনিস্টদের মহলেও তার স্বচ্ছন্দ যাতায়াত ছিল।

কিয়েভে যখন রুশ ভাষার সঙ্গে সঙ্গে কারিগরি বিদ্যার পাঠ তাকে নিতে হচ্ছিল, তখন সে তো অবাক! সে যত বলে সে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়তে এসেছে– কে কার কথা শোনে। বছর দেড়েকের বেশিই হবে এমন সময় আবিষ্কার করা গেল, যে ওই একই নামধারী যাঁর এই টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে পড়ার কথা সে এ নয়– বাপের নামের সঙ্গে নাম মিলছে না। দেখা গেল ঠিকই, আসলে তার পড়ার কথা মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে। কিন্তু তখন নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে আরও মাস তিনেক বাকি– এই অবস্থায় তিন মাসের স্টাইপেন্ডের টাকা ধরিয়ে দিয়ে তাকে মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হল। এখানে তিন মাস বাদে ক্লাস শুরু হবে। মধ্যবর্তী সময়টা সে দিব্যি ঘোরাঘুরি করে কাটিয়ে দিল।
সাতের দশকের মাঝামাঝি সময়ে সে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে।

This may contain: an old photo of a man sitting at a desk in front of a laptop computer

মস্কোয় সে বিয়ে করেছে। মস্কো ইউনিভার্সিটির হস্টেল ছেড়ে দিয়ে উঠেছে মস্কোর গোর্কি স্ট্রিটে স্ত্রীর এক কামরার ফ্ল‌্যাটে। কিন্তু এখন তার পি.এইচ.ডি.-র জন্য স্কলারশিপ জোগাড় না করলেই নয়। নইলে ওদেশ ছাড়তে হবে। মাঝখানে দু’-এক জায়গায় ছোটখাটো কাজকর্মের চেষ্টাও করেছে। কিন্তু বিশেষ সুবিধে করতে পারেনি– ওদেশে এমনিতেই বিদেশিদের কাজের সুযোগ সীমিত। বোধহয় ওখানকার ‘এয়ার ইন্ডিয়া’-তেও কয়েকদিন কাজ করেছিল, পোষায়নি। পার্টি থেকে কোনও সুযোগ এবারে আর পাওয়া গেল না– ভারত সরকারের মাধ্যমে পাওয়ার তো কোন প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু বন্ধুর জনসংযোগটা বরাবরই ভালো। এই সময় স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় হল। সে গোড়া থেকেই মস্কোয় উভয় বাংলার স্থানীয় বাঙালি ছাত্রছাত্রী ও পাকিস্তান দূতাবাসের বাঙালি কর্মচারীদের সঙ্গে মিলে সংগঠন ও প্রচারের কাজে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে পড়েছিল। মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাসের সূচনাকাল থেকে সে তার সঙ্গে যুক্ত, বেসরকারিভাবে সে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাসের ব্যবস্থাপক পদে ছিল– বলতে গেলে রাষ্ট্রদূত আর তার স্ত্রীর বাজার সরকারও ছিল। এদেশ থেকে রেড ক্রসের সাহায্য নিয়ে সে দু’-একবার বাংলাদেশ ঘুরেও এসেছে। শেখ মুজিবর রহমানের মতো নেতাদের সঙ্গেও একই বিমানে ঢাকা-মস্কো মস্কো-ঢাকা যাতায়াত করেছে। তাই শেষকালে বাংলাদেশ দূতাবাসের তদ্বিরেই মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপ্রচারমাধ্যম নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ পেয়ে গেল– আরও বছর পাঁচ-ছয়ের জন্য নিশ্চিন্ত।

অনেক ঘাটতি কিন্তু সে আশ্চর্যজনক ভাবে পুষিয়ে নিতে পারত, যদিও তার সেই পদ্ধতিগুলির সবগুলিই যে প্রশংসনীয় এমন বলা যায় না। রুশ বা ইংরেজি ভাষাতে, এমনকী বাংলাতেও– মানে, বাংলা লেখালেখিতেও তার তেমন একটা দখল ছিল না, কিন্তু ওইটুকু ভাষাজ্ঞান সম্বল করেই সে দিব্যি জনসংযোগ রক্ষা করতে পারত। এই জনসংযোগ রক্ষা করাটা বোধহয় তার সবচেয়ে বড় গুণ ছিল। অনেকেই তার কাছে উপকৃত হয়েছে। আবার তারাই আড়ালে তার সম্পর্কে তাচ্ছিল্য প্রকাশ করতেও ছাড়ত না। পড়াশুনার তেমন বালাই তার ছিল না, বেশিক্ষণ কোনও বই বা লেখায় সে মনঃসংযোগ করতে পারত না। কিন্তু স্মৃতিশক্তি তার প্রখর ছিল– অর্থাৎ লোকের মুখে শুনে শুনে যতটুকু মনে রাখার ঠিক মনে রেখে দিত, যার গুণে কেমন করে যেন সে পরীক্ষায় উতরেও যেত।

যে কোনও ক্ষেত্রেই উতরে যাওয়া বা ম্যানেজ করার ব্যাপারে তার আশ্চর্য রকমের দক্ষতা ছিল: পি.এইচ.ডি.-র থিসিসের জন্য মালমশলা সংগ্রহ, তাও আবার রুশ ভাষায় লেখা– এমনকী থিসিস ডিফেন্ড করার সময় তার সেই দক্ষতার পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে পি.এইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ তার বন্ধুমহলেও এক পরম বিস্ময়।

রাজনীতি সম্পর্কেও তার জ্ঞানের খুব একটা অভাব ছিল না। তাবড় তাবড় নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা, তাঁদের ফাইফরমাস খাটা বা তাঁদের সান্নিধ্যে আসার ফলে সে বিষয়ে সে যে একটা সহজ জ্ঞানের অধিকারী হয়েছিল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আরও পরে, আশির দশকের মাঝামাঝি সময় ওদেশের বড় বড় আমলার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগেরও পরিচয় পেয়েছি, যদিও ভারতীয় দূতাবাসের লোকজনের সঙ্গে তার খুব একটা ভালো সংযোগ বা তেমন একটা খাতির ছিল না। তাঁরা তাকে খুব একটা সুনজরে দেখতেন না, এমনকী অনেকে সন্দেহের চোখে দেখতেন।

…পড়ুন রুশকথা-র অন্যান্য পর্ব…

পর্ব ৩৭। একটা বিদেশি সাবানের বিনিময়েও নাকি মস্কোয় নারীসঙ্গ উপভোগ করা যায়– এমনটা প্রচার করেছে ভারতীয়রা

পর্ব ৩৬। মস্কোর ঠান্ডায় লঙ্কা গাছ দেখে পি.সি. সরকার বলেছিলেন, ‘এর চেয়ে বড় ম্যাজিক হয় নাকি?’

পর্ব ৩৫। রুশদের কাছে ভারত ছিল রবীন্দ্রনাথের দেশ, হিমালয়ের দেশ

পর্ব ৩৪। সোভিয়েত শিক্ষায় নতুন মানুষ গড়ে তোলার ব্যাপারে একটা খামতি থেকে গিয়েছিল

পর্ব ৩৩। দিব্যি ছিলাম হাসপাতালে

পর্ব ৩২। মস্কোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সাধারণ ডাক্তাররা অধিকাংশই মহিলা ছিলেন

পর্ব ৩১। আমার স্ত্রী ও দুই কন্যা নিজভূমে পরবাসী হয়ে গিয়েছিল শুধু আমার জন্য

পর্ব ৩০। শান্তিদা কান্ত রায়ের প্রিয় কাজ ছিল মস্কোয় ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের কমিউনিজম পড়ানো

পর্ব ২৯। পেরেস্ত্রৈকার শুরু থেকেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন গোপেনদা

পর্ব ২৮। দেশে ফেরার সময় সুরার ছবি সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাননি গোপেনদা

পর্ব ২৭। বিপ্লবের ভাঙা হাট ও একজন ভগ্নহৃদয় বিপ্লবী

পর্ব ২৬। ননী ভৌমিকের মস্কোর জীবনযাত্রা যেন দস্তইয়েভস্কির কোনও উপন্যাস

পর্ব ২৫। ননীদা বলেছিলেন, ডাল চচ্চড়ি না খেলে ‘ধুলোমাটি’র মতো উপন্যাস লেখা যায় না

পর্ব ২৪। মস্কোয় শেষের বছর দশেক ননীদা ছিলেন একেবারে নিঃসঙ্গ

পর্ব ২৩। শেষমেশ মস্কো রওনা দিলাম একটি মাত্র সুটকেস সম্বল করে

পর্ব ২২। ‘প্রগতি’-তে বইপুথি নির্বাচনের ব্যাপারে আমার সঙ্গে প্রায়ই খিটিমিটি বেধে যেত

পর্ব ২১। সোভিয়েতে অনুবাদকরা যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করত, সে দেশের কম মানুষই তা পারত

পর্ব ২০। প্রগতি-র বাংলা বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে ননীদাই শেষ কথা ছিলেন

পর্ব ১৯। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় নাকি খুব ভালো রুশভাষা জানতেন, প্রমথনাথ বিশী সাক্ষী

পর্ব ১৮। লেডি রাণু মুখার্জিকে বাড়ি গিয়ে রুশ ভাষা শেখানোর দায়িত্ব পড়েছিল আমার ওপর

পর্ব ১৭। একদিন হঠাৎ সুভাষদা আমাদের বাড়ি এসে উপস্থিত ফয়েজ আহমেদ ফয়েজকে নিয়ে

পর্ব ১৬। মুখের সেই পরিচিত হাসিটা না থাকলে কীসের সুভাষ মুখোপাধ্যায়!

পর্ব ১৫। রুশ ভাষা থেকেই সকলে অনুবাদ করতেন, এটা মিথ

পর্ব ১৪। মস্কোয় ননীদাকে দেখে মনে হয়েছিল কোনও বিদেশি, ভারতীয় নয়

পর্ব ১৩। যিনি কিংবদন্তি লেখক হতে পারতেন, তিনি হয়ে গেলেন কিংবদন্তি অনুবাদক

পর্ব ১২। ‘প্রগতি’ ও ‘রাদুগা’র অধঃপতনের বীজ কি গঠনপ্রকৃতির মধ্যেই নিহিত ছিল?

পর্ব ১১। সমর সেনকে দিয়ে কি রুশ কাব্যসংকলন অনুবাদ করানো যেত না?

পর্ব ১০। সমর সেনের মহুয়ার দেশ থেকে সোভিয়েত দেশে যাত্রা

পর্ব ৯। মস্কোয় অনুবাদচর্চার যখন রমরমা, ঠিক তখনই ঘটে গেল আকস্মিক অঘটন

পর্ব ৮: একজন কথা রেখেছিলেন, কিন্তু অনেকেই রাখেননি

পর্ব ৭: লেনিনকে তাঁর নিজের দেশের অনেকে ‘জার্মান চর’ বলেও অভিহিত করত

পর্ব ৬: যে-পতাকা বিজয়গর্বে রাইখস্টাগের মাথায় উড়েছিল, তা আজ ক্রেমলিনের মাথা থেকে নামানো হবে

পর্ব ৫: কোনটা বিপ্লব, কোনটা অভ্যুত্থান– দেশের মানুষ আজও তা স্থির করতে পারছে না

পর্ব ৪: আমার সাদা-কালোর স্বপ্নের মধ্যে ছিল সোভিয়েত দেশ

পর্ব ৩: ক্রেমলিনে যে বছর লেনিনের মূর্তি স্থাপিত হয়, সে বছরই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার সূচনাকাল

পর্ব ২: যে দেশে সূর্য অস্ত যায় না– আজও যায় না

পর্ব ১: এক প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে রাশিয়ার খণ্ডচিত্র ও অতীতে উঁকিঝুঁকি