প্রদর্শনীর পরেই মুকুল কিছু ছবি কিনতে চেয়েছিলেন বলে অনুমান করি। কারণ, রথীঠাকুর একটি চিঠিতে মুকুলকে লিখছেন, ‘ছবি সম্বন্ধে বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলুম। তাঁর মত দেখলুম যে কম হলেও একলাখ টাকায় তুমি যদি নিয়ে নাও ত তিনি খুসী হবেন। অন্তত ৫০০ খানা ছবি নিতে পার। যা হোক এ বিষয় কলকাতায় গিয়ে ঠিক করা যাবে’। যদিও এদিকে কথা আর এগোয়নি বলেই মনে হয়। ১০০ বছর আগে রবিঠাকুরের ৫০০টা ছবির দাম একলক্ষ টাকা হলে প্রতি ছবির মূল্য গড়ে দাঁড়ায় দুশো টাকা। আর আজ ‘বিশ্ববাজারে’ রবীন্দ্রনাথের ছবি হয়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া।
৩২.
রবিঠাকুরের সেক্রেটারি-বিভ্রাট ঘটেছে মাঝে মাঝেই, বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে। যেমন, ১৯৩০ সালে ছবির বান্ডিল নিয়ে যখন সারা পৃথিবী চষে বেড়াচ্ছেন, এই সমস্যা তখন যেন পিছু ছাড়তে চাইছে না। তাঁর যথাযোগ্য সচিব পাওয়াও বড় সহজ ছিল না। স্মার্ট চটপটে সমঝদার সেক্রেটারির অভাব বারবার তাঁকে বিড়ম্বনায় ফেলেছে। ১৯৩০-এর সফরে প্রধানত তাঁর কাজের দেখভাল করেছেন উইলিয়াম আরিয়াম, তা ছাড়া ছিলেন কবি অমিয় চক্রবর্তী ও হ্যারি টিম্বারস। অমিয় আর হ্যারি– দু’জনে যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য, তবে তাঁদের সামাল দিতে হয়েছে কবির অন্য কাজ। অমিয় না থাকলে সেই সফরের বহু জরুরি জিনিস আমাদের নাগালে এসে পৌঁছত না। যেমন, অমিয় না থাকলে আইনস্টাইনের সঙ্গে কবির মূল্যবান আলোচনা অধরাই রয়ে যেত।
রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং স্বীকার করেছেন, ‘অমিয় আছে বলেই রক্ষা’। কারণ আরিয়ামের অন্যমনস্কতায় প্রদর্শনীর শেষে ছবি ফেলে আসা, ছবি হারিয়ে ফেলা ইত্যাদি নানা ঘটনা ঘটেছে। সখেদে মীরাকে জানিয়েছেন কবি, ‘আইনস্টাইনের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছিল। অমিয় সব টুকে নিয়েচে। আজ সকালে একদলের সঙ্গে বেশ ভালোরকমের আলোচনা হয়েছিল– আরিয়ম অমিয়কে জোর করে ঠেকিয়ে রেখেছিল বলে এটা মারা গেল। খুবই অন্যায় হয়েচে।’ কেবল তাই নয়– ‘‘পাঁচ ছ’খানা ছবি আজ ভবনে ফেলে এসেছিল। অমিয় নিয়ে এসেচে। একখানা খুব ভাল landscape যেটা দেখে Rivieree চমকে উঠেছিল, হারিয়েচে। বোধ হচ্চে যেন ঘাটে ঘাটে ছবি খোওয়াতে খোওয়াতে যেতে হবে।’
তা সত্ত্বেও আমেরিকার এগজিবিশনে নিরুপায় রবীন্দ্রনাথ ভরসা করেছেন আরিয়ামের ওপরেই। রথীকে লিখেছেন, ‘আরিয়ামের উপর ছবির ভার দিতে হয়েচে। কেননা হ্যারি টিম্বারস অর্থসংগ্রহের চেষ্টায় নিযুক্ত– এন্দ্রুজ যে দলের কাছে সুপরিচিত তারা ছবির ধার ধারে না। সেদিন আরিয়াম এসে জোর করে বললে, ছবি বিক্রি আরম্ভ হয়েচে– বস্টনে নিউ ইয়র্কে মিলে একটা ছবিও বাকি থাকবেনা ইত্যাদি ইত্যাদি আরো অনেক কথা। আজ হ্যারি এসে বললে, ছবি সম্বন্ধে একটা ইন্টারেস্ট হয়েছে বটে কিন্তু একটা ছবিও বিক্রি হয় নি– কুমারস্বামী বলেচে বস্টনে কেবল দুজন মাত্র আর্টিস্ট আছে যারা রবীন্দ্রনাথের ছবির মর্যাদা ঠিকমতো বুঝতে পারে। হ্যারির ভাবখানা এই যে, ছবি যে বিশেষ বিক্রি হবে সে আশা কম। তার প্রধান কারণ, আরিয়াম কেবল বস্টনে নিউ ইয়র্কে ঘুরে বেড়িয়েছে, অরগানাইজ করবার চেষ্টাও করে নি।… ও যখন এসে বলেছিল ছবি সমস্তই বিক্রি হয়ে গেল বলে, তখন আমি ওর কথা বিশ্বাস করেছিলুম– বিশ্বাস করা আমার রোগ– তোরা হলে নিশ্চয় বিশ্বাস করতিস নে। যাই হোক ছবি বিশেষ কিছু বিক্রি হবে না বলেই ধরে রাখিস।’
শেষে লিখেছেন, ‘আমার সেক্রেটারিকে নিয়ে ভারি বিপদে পড়েছি। কিছুই করতে পারে না অথচ করতে ছাড়েও না, তার পরে এত বেশি বাড়িয়ে কথা বলে যে পনেরো আনা বাদ দিয়েও দুধে পৌঁছয় না।’ সেবারে আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথের ছবি বিক্রি না হওয়ার আরেকটা কারণ বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা। সেই চিঠিতেই রথীকে জানিয়েছেন সে কথা, ‘…এ কথা বার বার শুনচি যে আর্থিক দুঃসময় এমনতর ব্যাপকভাবে বহুকাল এ দেশে ঘটে নি। অর্থাৎ মাঝারিদের হাতে টাকা নেই– অথচ মাঝারি ধনীরাই সাধারণত দেনেওয়ালা। কিছুই আশা করবনা– তার পরে যদি কিছু জোটে সেটাকে আশ্চর্য ব্যাপার বলে ধরে নেব’।
আমরা জানি, আমেরিকায় তাঁর ছবি বিক্রির বিষয়টা আশাব্যঞ্জক ছিল না। ফলে রবীন্দ্রনাথের ছবি থেকে বিশ্বভারতীর তহবিল পূর্ণ হয়ে ওঠার আশা ক্রমশ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়েছে। কিন্তু দেশের মাটিতে? সেখানেও কি রবিঠাকুরের ছবি কেনার আগ্রহ দেখা গিয়েছে? আজকের ভাষায় প্রশ্নটা এইরকম শোনায়, তাঁর ছবির ‘বাজার’ কেমন ছিল? একটু ফিরে দেখা যাক। কবির ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে ১৯৩১-এর শেষে কলকাতার টাউনহলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে দেখানো হয়েছিল তাঁর কিছু ছবি। তবে সে ছিল কেবল প্রদর্শনী। তারপর ১৯৩২-এর গোড়ায় রবীন্দ্রনাথের ছবি নিয়ে মুকুল দে বেশ জমকালো প্রদর্শনীর আয়োজন করলেন সরকারি আর্ট স্কুলে। কিছুকাল আগে মুকুল সেখানকার অধ্যক্ষ হয়ে এসেছেন। প্রথমে মুকুল তাঁর পরিকল্পনার কথা জানালে কিঞ্চিৎ দ্বিধান্বিত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
অবন ঠাকুরকে এ ব্যাপারে লিখেছেন, ‘মুকুল আমাকে এগজিবিশনের পাকে টানবার চেষ্টায় আছে। মন স্থির করতে পারচি নে। শেষকালে জাতও যাবে পেটও ভরবে না। একটি মাত্র লোভের কারণ আছে। সব ছবিগুলো ও মাউন্ট করিয়ে দিতে রাজি। বাঁধাতে না পারলে আমাদের জোলো হাওয়ায় ছবিগুলো বিবর্ণ হবে আশঙ্কা হয়। বাঁধাবার খরচ নিজের থেকে জোগাবার সাধ্য নেই– একশো ছবি মাউন্ট ও বাঁধাই করা সোজা ব্যাপার নয়– এই একটা মস্ত লোভে পড়া গেছে।’ শেষ পর্যন্ত মুকুলকে সম্মতি দিয়ে লিখেছেন, ‘আচ্ছা, শীতের সময় আমার পর্দানশীন ছবির পর্দা খুলে দেব, তার পরে লোকে যা বলে বলুক।’ সে প্রদর্শনী হয়েছে একশোটার অনেক বেশি ছবি দিয়ে।
হিসেবমতো ২৬৫টি শিল্পকাজ দেখানো হয়েছে এবং তার মধ্যে ক্যাটালগে ২৬২টি কাজের শিরোনাম চিহ্নিত। কিন্তু রবিঠাকুরের কতগুলি কাজ বিক্রি হয়েছিল তার পরিষ্কার হিসেব মেলে না, যদিও কিছু টাকা যে উঠে এসেছিল, তার আন্দাজ চিঠিপত্রে মেলে। যেমন অসিত হালদারকে তিনি লিখেছেন, ‘এখানে ( আর্টস্কুলের প্রদর্শনী) Exhibition খুব জমেচে– বিক্রিও খুব ভালই হচ্চে।… সাতদিন প্রদর্শনী বাড়ানো হয়েচে লোকের তাগিদে। রবীন্দ্রনাথ খুব খুসিতে আছেন এবং এক মনে নূতন ছবি আঁকচেন’ ইত্যাদি। আরেকটা চিঠিতে ছবি বিক্রির হিসেব, ‘এখানে ছবি ৬/৭ হাজার টাকার মতো বিক্রি হয়েছে, লখনৌ-এর ছবিগুলো এখানে থাকলে দুর্দিনে কাজে লাগতো’ ইত্যাদি। অন্যদিকে মুকুল দে’র একটি চিঠিতে ছবি বিক্রির সঠিক পরিমাণ জানতে পারি। প্রদর্শনীর পরে মুকুল লিখেছেন, ‘আপনার ছবি ইত্যাদি ৬৭৮১ টাকা(য়) বিক্রি হয়েছে।’
যদিও রবীন্দ্রনাথ আশা করেছিলেন আরও বেশি। প্রদর্শনীর আগে খোলাখুলি মুকুলকে বলেছেন, ‘একটা কথা বলি– বিক্রির আশা যদি না থাকে তাহলে আমি একজিবিট করতে চাই নে। অবন বলছিলেন, পৃথিবীর বর্তমান দুর্দশার দিনে বিক্রির আশা নেই বললেই হয়। হাজার পনেরো টাকাও যদি পাওয়া সম্ভব হয় তাহলে আমার এখনকার মতো প্রয়োজন সিদ্ধ হতে পারে – তা যদি না হয় তাহলে মিছিমিছি ক্রিটিকের খোঁচা খেয়ে মরবার দরকার দেখিনে’। অর্থাৎ সারা বিশ্বে আর্থিক ‘দুর্দশা’র নিরিখেও এদেশে রবীন্দ্রনাথের ছবির ‘মার্কেট’ নেহাত মন্দ ছিল না। সেই অর্থমূল্য কতগুলো ছবির জন্যে, সেই সংখ্যা অবশ্য স্পষ্ট নয়। রবীন্দ্রভবন সংগ্রহে রক্ষিত বেশ কিছু ছবির পিছনে অনেক সময় পেনসিলে লেখা ছবির দাম নজরে পড়ে। সেখানে মাঝারি মাপের ছবির দাম লেখা আছে ১২৫, ১৫০ টাকা ইত্যাদি। সেই হিসেবে মনে হয় ৬/৭ হাজার টাকায় বেশ কয়েকটি ছবি বিক্রি হয়ে থাকবে। এখানে স্মরণীয়, ছবি বিক্রির এই টাকাকে কেন্দ্র করে রথীঠাকুরের সঙ্গে মুকুলের মন কষাকষি হয়েছিল, নেপথ্যে বুঝি রবিঠাকুরও ছিলেন। কবিকে লেখা মুকুল দে’র চিঠিতে এই খবর প্রকাশিত। প্রদর্শনীর প্রায় বছর দেড়েক বাদে লেখা সেই চিঠিতে মুকুল একটু উষ্মার সঙ্গে জানাচ্ছেন,
‘বহুদিন ধরে একটি বিষয় আপনার গোচরে আনব বলে বিবেচনা করেছিলাম। আপনার ছবির প্রদর্শনী Govt. School of Art-এ যা হয়েছিল তার Catalogue ইত্যাদি ছাপাতে আর অন্য খরচ বাবদ সব শুদ্ধ আমার ৫২৫০ টাকা খরচ হয়ে গিয়েচে। এই টাকার জন্য আমার উপর শক্ত তাগাদা রোজ আসছে। আপনার ছবি ইত্যাদি ৬৭৮১ টাকা(য়) বিক্রি হয়েছিল। তার মধ্যে রথীদাকে ৪১২৫ টাকা দিয়ে দিয়েছি। এখন রথীদা আমার কাছ থেকে ২৩২৫ টাকা পাওনা আছে বলে চাচ্ছেন। সমস্ত খরচ আমি একা কোথা থেকে দেব? Catalogue-এর কথা আপনিও জানেন এবং রথীদাও জানেন। আর এ ধরণের Catalouge-এ কত খরচ হয় তা আপনারা অবিদিত নাই। আমি এ বিষয়ে আপনার কাছে সুবিচার প্রার্থনা করি। অধিক আর কি লিখব? এদিকে Exhibition-এর খরচ বাবদ তাগাদার জ্বালায় আমার প্রাণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। আশাকরি আপনি সব বুঝতে পারবেন’…। চিঠির জবাব দিয়ে রবীন্দ্রনাথ লেখেন, ‘তোমার লিখিত ছবির প্রদর্শনী সম্পর্কীয় খরচাদির বিষয় আমি অবগত নহি। শ্রীমান রথীন্দ্রনাথ ঐ বিষয়ে আলোচনা করেন ও তিনি ঐ বিষয়ে অভিজ্ঞ। সুতরাং ঐ বিষয় আমার নিকট কোনো সদুত্তর প্রাপ্তির আশা নিরর্থক বলিয়া বোধ হয়। তবে এ কথা তোমাকে জানানো অসঙ্গত হইবে না অথবা উচিতই হইবে যে উক্ত প্রদর্শনী সম্বন্ধে কোনো ব্যয়ভার গ্রহণ করিতে হইবে এরূপ ধারণা করিবার কোনো প্রকার ইঙ্গিত কখনো প্রকাশ পায় নাই। বরং তোমার পূর্বপত্রে প্রকাশ তোমারও সেরূপ ধারণা ছিল না। তুমি যদি ঘটনাচক্রে সত্যই বিপন্ন হইয়া থাক তজ্জন্য আমি দুঃখিত। আশা করি শ্রীমান রথীন্দ্রের সহিত পত্র পরিচালনা করিলে সদুত্তর পাইবে’। তবে এর আগে মুকুলের দিক থেকেই রবীন্দ্রনাথের ছবি কেনার প্রস্তার এসে থাকবে। প্রদর্শনীর পরেই মুকুল কিছু ছবি কিনতে চেয়েছিলেন বলে অনুমান করি। কারণ, রথীঠাকুর একটি চিঠিতে মুকুলকে লিখছেন, ‘ছবি সম্বন্ধে বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলুম। তাঁর মত দেখলুম যে কম হলেও একলাখ টাকায় তুমি যদি নিয়ে নাও ত তিনি খুসী হবেন। অন্তত ৫০০ খানা ছবি নিতে পার। যা হোক এ বিষয় কলকাতায় গিয়ে ঠিক করা যাবে’। যদিও এদিকে কথা আর এগোয়নি বলেই মনে হয়। ১০০ বছর আগে রবিঠাকুরের ৫০০টা ছবির দাম একলক্ষ টাকা হলে প্রতি ছবির মূল্য গড়ে দাঁড়ায় দুশো টাকা। আর আজ ‘বিশ্ববাজারে’ রবীন্দ্রনাথের ছবি হয়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া।
(কয়েকটি চিঠি সত্যশ্রী উকিল সংগৃহীত)
…পড়ুন ছবিঠাকুর-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৩১: অন্ধের সূর্যবন্দনায় বহুকাল আবিষ্ট ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
পর্ব ৩০: সেরামিক পাত্রের গায়ে রবীন্দ্রনাথের আশ্চর্য সব নকশা
পর্ব ২৯: ছিমছাম গ্রন্থসজ্জাই কি বেশি পছন্দ ছিল রবিঠাকুরের?
পর্ব ২৮: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম প্রচ্ছদ
পর্ব ২৭: রবীন্দ্রনাথের চিত্রপটে রং-তুলিতে সাজিয়ে তোলা ফুলেরা কেমন? কী নাম তাদের?
পর্ব ২৬: রবীন্দ্রনাথের আঁকা শেষ ছবি
পর্ব ২৫: রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি সংরক্ষণ করা সহজ নয়
পর্ব ২৪: জাল ছবি ও রবীন্দ্র-ব্যবসা
পর্ব ২৩: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথের বিদ্রোহের ছবি
পর্ব ২২: চিত্রকলার বোধ যত গাঢ়তর হচ্ছে, ততই রবীন্দ্রনাথ চোখের দেখার ওপরে ভরসা করছেন
পর্ব ২১: কলাভবনে নন্দলালের শিল্পচিন্তার প্রতি কি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছিলেন না রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ২০: ছবি বুঝতে হলে ‘দেখবার চোখ’-এর সঙ্গে তাকে বোঝার ‘অনেক দিনের অভ্যেস’
পর্ব ১৯: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথ কোন রংকে প্রাধান্য দিয়েছেন?
পর্ব ১৮: ছবি আঁকিয়ে রবিঠাকুরও সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন
পর্ব ১৭: রবীন্দ্রনাথের নারী মুখমণ্ডলের সিরিজ কি কাদম্বরী দেবীর স্মৃতিজাত?
পর্ব ১৬: ট্যাক্স না দেওয়ায় রবীন্দ্রনাথের ছবি আটক করেছিল কাস্টমস হাউস
পর্ব ১৫: বাইরে সংযত রবীন্দ্রনাথ, ক্যানভাসে যন্ত্রণাদগ্ধ ছবিঠাকুর
পর্ব ১৪: অমৃতা শেরগিলের আঁকা মেয়েদের বিষণ্ণ অভিব্যক্তি কি ছবিঠাকুরের প্রভাব?
পর্ব ১৩: আত্মপ্রতিকৃতির মধ্য দিয়ে নতুন করে জন্ম নিচ্ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
পর্ব ১২: আমেরিকায় কে এগিয়ে ছিলেন? ছবিঠাকুর না কবিঠাকুর?
পর্ব ১১: নন্দলাল ভেবেছিলেন, হাত-পায়ের দুয়েকটা ড্রয়িং এঁকে দিলে গুরুদেবের হয়তো সুবিধে হবে
পর্ব ১০: ১০টি নগ্ন পুরুষ স্থান পেয়েছিল রবীন্দ্র-ক্যানভাসে
পর্ব ৯: নিরাবরণ নারী অবয়ব আঁকায় রবিঠাকুরের সংকোচ ছিল না
পর্ব ৮: ওকাম্পোর উদ্যোগে প্যারিসে আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে যাচাই করেছিলেন রবি ঠাকুর
পর্ব ৭: শেষ পর্যন্ত কি মনের মতো স্টুডিও গড়ে তুলতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ৬: রবীন্দ্র চিত্রকলার নেপথ্য কারিগর কি রানী চন্দ?
পর্ব ৫: ছবি আঁকার প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ পরলোকগত প্রিয়জনদের মতামত চেয়েছেন
পর্ব ৪: প্রথম ছবি পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ামাত্র শুরু হয়েছিল বিদ্রুপ
পর্ব ৩: ঠাকুরবাড়ির ‘হেঁয়ালি খাতা’য় রয়েছে রবিঠাকুরের প্রথম দিকের ছবির সম্ভাব্য হদিশ
পর্ব ২: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম ছবিটি আমরা কি পেয়েছি?
পর্ব ১: অতি সাধারণ কাগজ আর লেখার কলমের ধাক্কাধাক্কিতে গড়ে উঠতে লাগল রবিঠাকুরের ছবি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপে সুপার হিরোদের ‘realistic action figure’ বা বাস্তবধর্মী ছোট সংস্করণ সংগ্রহের ঐতিহ্য রয়েছে। এমনকী, চিনে হলিউড সুপার হিরোদের ব্যাটারিচালিত খেলনা তৈরির একটা বিশাল শিল্প রয়েছে। এত প্রতিকূলতার মাঝেও সমানে লড়ে গিয়েছে বাংলার মৃৎশিল্পীদের তৈরি শক্তিমান পুতুল।