Robbar

সেলসগার্লের চাকরিতে মেয়েরা কীভাবে সাজবে, কতটা সাজবে, তা বহু ক্ষেত্রেই ঠিক করত মালিকপক্ষ

Published by: Robbar Digital
  • Posted:June 4, 2025 8:53 pm
  • Updated:June 5, 2025 2:34 pm  
choukath periye episode 10 about salesgirl। Robbar

মায়া গুপ্ত ১৯৫০ সালে পাঞ্জাব থেকে বহু দিন পর কলকাতায় ফিরে লিখছেন, ‘ভালো লাগল বর্ধিত সংখ্যায় কিশোরী যুবতী ও প্রৌঢ়াদের অফিস যাওয়া আসার ছবি।’ ‘নিম্নপদমর্যাদাসম্পন্ন’ এই মেয়েদের প্রধান বৈশিষ্ট্য তাদের ‘মুখে, সাজে, চলনে ও কথায়, চটুলতার অনস্তিত্ব।’ তাদের পদক্ষেপে আছে ‘জীবনসংগ্রামের প্রকৃত স্বরূপ উপলব্ধির এক mature গাম্ভীর্য– আছে আত্মসচেতন বলিষ্ঠ bearing’ (‘কলিকাতার আধুনিকা’, যুগান্তর, ১ জুলাই, ১৯৫১)।

অন্বেষা সেনগুপ্ত

সীমন্তিনী মুখোপাধ্যায়

সুপূর্ণা ব্যানার্জি

বাঁ হাতে ভ্যানিটি ব্যাগ, ডান হাতে একটা গ্লুকোজের টিন, আরও কী একটা ঠোঙা। রাত আটটার সময়ে বাড়ি ফিরে আরতি স্বামী সুব্রতকে ডেকে বলে হাতের জিনিসগুলো একটু ধরতে। সুব্রত কারণ জানতে চাইলে ঘোমটাহীন আরতি বলে, মাথার কাপড়টা ঠিক করে নিতে চায়, ঘরে শ্বশুরশাশুড়ি রয়েছেন। দেরি করে ফেরায় সুব্রত বিরক্ত, অভিমানী। বলে, ‘সারা রাস্তাটাই যখন বেঠিক হয়ে আসতে পারলে, ঘরে ওটুকু লজ্জা না দেখালেও চলবে।’ একটু বাদে আরতি যখন ঘরে ঢোকে, তখন দেখা যায় সুব্রতর সাহায্য ছাড়াই সে মাথায় কাপড় তুলে নিয়েছে।  বিবরণ নরেন্দ্রনাথ মিত্রেরঅবতরণিকা’ গল্পের। এই কাহিনি নিয়েই ১৯৬৩ সালেমহানগর’ ছবিটি নির্মাণ করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। এর বছর পাঁচেক আগে শ্রীকমলাকান্ত শর্মা আনন্দবাজার পত্রিকায়কমলাকান্তের আসরকলামে আক্ষেপ করেছেন, ‘দেশে যখন ঘোমটা ছিল, তখনই ছিল প্রেমের কবিতার দিন।আজকের রাধাও সুন্দরী কিন্তু ঘোমটা না থাকায় তাহাকে আর সুন্দর মনে হয় না’। (আনন্দবাজার পত্রিকা, জুন, ১৯৫৮) 

The Big City ratings & reviews on MUBI
‘মহানগর’ ছবির একটি দৃশ্য

মূলত সুব্রতের উৎসাহেই সেলসের চাকরিতে যোগ দিয়েছিল আরতি। কাজটা মাস্টারি, কেরানিগিরির মতো সম্মানজনক নয়, তাই মনটা শুরুতে একটু খুঁতখুঁত করেছিল তার। কিন্তু শুধু ম্যাট্রিক পাশ ডিগ্রিতে সে সব চাকরি বহু চেষ্টাতেও জোটেনি অবশেষে ক্যানিং স্ট্রিটেরমুখার্জী অ্যান্ড মুখার্জী’ ফার্মেভদ্র ঘরের তরুণী ডিমনস্ট্রেটর‘-এর কাজ পায় সে। মাইনে শুরুতে ১০০ টাকা, ভবিষ্যতে আরও উন্নতির আশা আছে। মুখার্জী অ্যান্ড মুখার্জী তৈরি করেছে সোয়েটার ইত্যাদি বোনার এক নতুন মেশিন, দাম আড়াইশো টাকা। অভিজাত ঘরের মেয়েদের বাড়িতে গিয়ে গিয়ে সে মেশিন বিক্রি করে ডেমো দিয়ে আসতে হবে আরতিকে। মুখার্জী অ্যান্ড মুখার্জী এমন মেয়ে চাইছিল, যে নিম্নমধ্যবিত্ত ঘর থেকে এলেও অবস্থাপন্ন পরিবারের কেতাদুরস্ত মেয়েদের মন বুঝে কথা বলতে পারবে। যারচেহারা চোখকে পীড়িত করে না, আচারআচরণ, কথাবার্তা মনকে প্রসন্ন করে।দুজন গ্র্যাজুয়েটসহ ২৩ জন মেয়ের মধ্যে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় আরতি মজুমদার। প্রথম দিন অফিস যাওয়ার সময়ে হাল্কা সাজগোজ করে আরতি, পান খায় না। খেলেঠোঁট দুটো লাল হয় ঠিকই, কিন্তু দাঁতের কুন্দশুভ্রতা অক্ষুণ্ণ থাকে না সে জানে, অফিসগামিনীর পক্ষে তা অশোভন।

গত শতাব্দীর পাঁচের দশকের খবরের কাগজের শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপনের পাতায় প্রায়ই চাওয়া হয় সেলসগার্ল বামহিলা সেলসম্যানবা মহিলা ক্যানভাসার। সিঁদুর, মাজন, সর্ষের তেল, চাপাতা, মাথার তেল, মহিলা ক্যানভাসার চাওয়া হত বিচিত্র সব পণ্য বিক্রয়ের জন্য। শুধু বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাজ নয়, দোকানে বসে কাজের জন্যও সেলসগার্ল চাওয়া হত নিয়মিত। 

নন্দ ঘোষের দোকানে সেলসগার্লের (Salesgirl) চাকরিই চেয়েছিল কাজললতা, আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের ‘‘দুজনার ঘর’’ গল্পে। ডাগর চোখ তুলে বলেছিল, ‘খুব দরকার। দেবেন?’ সেকথা শুনে নন্দ ঘোষ বিস্মিত হয়নি, কারণ চাকরি চাইতে এর আগেও অনেক মেয়ে এসেছে তার কাছে। নন্দ ভাবে, যে মেয়েগুলো কাজ করে দোকানে, তারা অতি আধুনিকা।ওই যেমন হাওয়া আজকালনইলে তাকালে তো গা রিরি করে নন্দ ঘোষের।কাজললতার মুখশ্রী কমনীয়, মিষ্টি, তার ওপর ওই জ্বলজ্বলে সিঁদুরের টিপ চোখ টানেই। তার যখন টেনেছে, কত খদ্দেরের টানবে ঠিক কী! গেরস্থঘরের মেয়েপুরুষদের ভালো যে লাগবে তাতে সন্দেহ নেই। আসল কথা, অতি আধুনিকা আর সিঁদুরপরা গেরস্থঘরের বউ– দু’ রকমই কাজ করছে দোকানে– এই বৈচিত্র্যটাই বড় বলে মনে হতে লাগল নন্দ ঘোষের।

অতি আধুনিকাসেলসগার্লদের চেহারার বিবরণ আরও বিশদে বাখ্যা করেছেন আশুতোষ।আঠেরো থেকে বাইশচব্বিশের মধ্যে বয়স। সুন্দর দূরে থাক তেমন সুশ্রীও নয় একটা মেয়েও। তবে সাজগোজে শ্রী বাড়াবার চটক আছে। যে চটকে শ্রী আসলে নিষ্প্রভ হয়, কিন্তু চোখ টানে। পরনে উগ্র রঙের শাড়ি, গায়ে গলা ঘেঁষা টেপ ব্লাউজ, হাতে এক বোঝা রঙবেরঙের কাচের চুড়ি, গালে ঠোঁটে রং।

সেলসগার্লের (Salesgirl) চাকরিতে মেয়েরা কী ভাবে সাজবে, কতখানি সাজবে, তা বহু ক্ষেত্রেই ঠিক করে দিত মালিকপক্ষ।অবতরণিকা আরতি যেমন তিনদিন অন্তর অন্তর শাড়ি বদলাত। আর একখানা ধুতিকে পাঁচ দিন চালাতে হত সুব্রতকে। কথা উল্লেখ করায় আরতি বলেছিল, ‘মিস্টার মুখার্জী শ্যাবিনেস বড় অপছন্দ করেন।’

মায়া গুপ্ত নামের এক মহিলা অবশ্য ১৯৫০ সালে পাঞ্জাব থেকে বহু দিন পর কলকাতায় ফিরে লিখছেন, ‘ভালো লাগল বর্ধিত সংখ্যায় কিশোরী যুবতী প্রৌঢ়াদের অফিস যাওয়া আসার ছবি।‘ ‘নিম্নপদমর্যাদাসম্পন্নএই মেয়েদের প্রধান বৈশিষ্ট্য তাদেরমুখে, সাজে, চলনে কথায়, চটুলতার অনস্তিত্ব।তাদের পদক্ষেপে আছেজীবনসংগ্রামের প্রকৃত স্বরূপ উপলব্ধির এক mature গাম্ভীর্য– আছে আত্মসচেতন বলিষ্ঠ bearing’ (‘কলিকাতার আধুনিকা‘, যুগান্তর, জুলাই, ১৯৫১) এর এক বছর আগে যুগান্তর পত্রিকাতেইরূপান্তরনামে একটি গল্প লিখেছেন অঞ্জলি বসু। সেখানে একটা ফার্মের রিজিওনাল এজেন্টের চাকরি পেয়ে বদলে যায় বাঙালি মেয়ে শান্তির সাজ– ‘শ্যাম্পু করা চুল বাতাসে উড়ছে, ভুরুতে বিলিতি কাজল, ঠোঁট রক্তাক্ত, বাঁ হাতের কব্জীতে সময় নিয়ামক‘ (যুগান্তর, ২৯ জুলাই ১৯৫০)

কাজের জন্য আরতি ঘুরে বেড়ায় ভবানীপুর, বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ। অভিজাত পরিবারের মেয়েদের সঙ্গে মিশে যায় বেশ। কেউ কেউ কিনেও ফেলে তার মেশিন। অফিসে তার অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সহকর্মী এডিথ সিমন্স। আরতির সঙ্গে তার বেজায় ভাব। অবাঙালি মহলে মেশিন বিক্রি করতে যায় এডিথ। চটপটে আরতি তার সঙ্গে মিশে বেশ রপ্ত করে নিয়েছে সাধারণ কথোপথন চালানোর মতো ইংরেজি ভাষা। আমরা দেখেছি, সে সময়ে বাঙালি মেয়েদের চাকরি না দেওয়ার পক্ষে একটি যুক্তি প্রায়ই উঠে আসত– তারা সাবলীল ভাবে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে না। সে সময় থেকেই ইতিউতি গজিয়ে উঠতে শুরু করে স্পোকেন ইংলিশের ক্লাস। সেসব কথা আমরা পরের একটি কিস্তিতে আলোচনা করব। সন্দিগ্ধ ভাবে আরতিকে একদিন জিজ্ঞাসা করে সুব্রত, সে সত্যি সত্যি ইংরেজি বলতে পারে কিনা। এডিথের সঙ্গে ভাব হয়ে আরতির আরও একটা লাভ হয়। মেশিন বিক্রি করে এজেন্টদের কমিশন পাওয়ার কথা সাড়ে ১২ থেকে ১৫ পার্সেন্ট। কিন্তু মালিক হিমাংশুবাবুর সে টাকা দেওয়ার ইচ্ছে ছিল না। তিনি বলেছিলেন আরতিরা অফিসে কাজ করে, তাই আলাদা কমিশন পাবে না। এডিথের পরামর্শে আরতিই তাঁকে বলে-কয়ে পাঁচ পার্সেন্ট কমিশন আদায় করেছিল। 

সে সময়ের কোনও কোনও বিজ্ঞাপনে দেখছি সেলসের কাজে ঢুকতে গেলে সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসেবে কিছু টাকা গচ্ছিত রাখতে হত। ১৯৭২ সালে আদুর গোপালকৃষ্ণণ তৈরি করেনস্বয়ম্বরম’ সিনেমা। গল্পের নায়িকা সীতা বাড়ির অমতে বিয়ে করে আর্থিক বিপর্যয়ে পড়ে। সেলস গার্লের কাজ মিললেও সিকিউরিটি ডিপোজিটের হাজার টাকা জোগাড় করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত সুযোগ পায় না।

Swayamvaram - Upperstall.com
‘স্বয়ম্বরম’ ছবির একটি দৃশ্য

দীর্ঘ সময়ের কাজ, রাস্তায় অনেকক্ষণ কাটানো, শৌচালয়ের অভাব, পথের নানা বিপদ, চাকরি টেকার অনিশ্চয়তাপুরুষ সহকর্মীদের শ্লেষ, বসের হাতে হেনস্থার ভয়, কাজটা সহজ ছিল নামহিলা সেলসম্যানদের। বড়লোক কাস্টমারদের মেজাজের ওঠানামাও সামলাতে হত তাঁদের। লোহার ব্যবসায়ী রসময় প্রামাণিকের পুত্রবধূ কমলা একটি মেশিন কিনেছিল আরতির থেকে। তার সঙ্গে বন্ধুর মতোই ব্যবহার করেছে এত দিন কমলা। মেশিনের ডেমো দিতে গিয়ে আরতি দেখে কমলা বুঝতে পারছে না কিছুতেই। ধৈর্য হারিয়ে সে বলে, ‘হয় আপনার মন নেই এদিকে, নয় বুদ্ধি সুদ্ধির অভাব আছে।’ কমলা সে কথায় হাসেনি। তার শাশুড়ি বলেছিলেন, ‘আমাদের ঘরের মেয়েছেলেদের বুদ্ধি সুদ্ধি একটু কম থাকলে ক্ষতি নেই মা। যেটুকু আছে তাতেই আমাদের চলে যায়। আমাদের ঘরের বউঝিদের তো আর বেটাছেলের মতো বাইরে বেরুতে হয় না, জিনিস ফিরি করে বেড়াতে হয় না লোকের বাড়ি বাড়ি। গেরস্ত ঘরের মেয়েছেলের বুদ্ধি একটু কম থাকাই ভাল।’ এই ঘটনা নিয়ে খোদ মালিকের কাছে তার নামে অভিযোগ জানান কমলার স্বামী।

চৌরঙ্গী পাড়ায় ইস্টার্ন ইন্ডিয়া সাপ্লাই স্টোর্সে সেলসগার্লের চাকরি পেয়েছিল রিফিউজি মেয়ে সন্ধ্যা চক্রবর্তী। বড়লোকের মেয়ে মিস সেন জুন মাসে সিমলা যাবে বলে সেই ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে আসে একটি বাহারি উলেন কোট কিনবে বলে। কোটটি পরে দেখতে গিয়ে সে দেখে সন্ধ্যা তার দিকে তাকিয়ে আছে স্মিত মুখে। মিস সেনের মনে হয় কোটটি তাকে মানাচ্ছে না বলে উপহাসের হাসি হাসছে সুন্দরী সন্ধ্যা। কতৃপক্ষের কাছে নালিশ যেতে সেই মুহূর্তেই চাকরিটি খোয়ায় উদ্বাস্তু মেয়ে সন্ধ্যা চক্রবর্তী। গল্পটি ১৯৬৫ সালেরথানা থেকে আসছি’ ছবির। 

চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার চিঠি। সূত্র: থানা থেকে আসছি

তো গেল বাইরের অপমানের কথা, পরিবারের অন্দরে কী হত বাড়ির বউ সেলসের কাজে বেরলে? আরতিকে ইন্টারভিউতে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তার সন্তানের দেখভাল করার মতো বাড়িতে কেউ আছে কি না। বাড়িতে ছিল অনেকেই, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ। বৃদ্ধ বয়সে সংসার ঠেলতে হচ্ছে, ছেলের বিয়ে দিয়ে কোনও সুখ হয়নি, উঠতে বসতে এমন কথা শোনাতেন শাশুড়ি। যে স্বামীর উৎসাহে তার চাকরি, তারও মেজাজ বিগড়ে যেতে থাকে বাইরের কাজে আরতির উৎসাহ দেখে। রোজগারের হাল একটু ফিরতেই সে বলে, রাত আটটা অবধি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হয়, দরকার নেই বাড়ির বউয়ের এমন চাকরি। সে সময়ের মহিলা প্রাবন্ধিকেরা অনেকেই লিখেছেন, চাকরি করা মেয়েদের স্বাধীনতা আসলে ছিল সোনার পাথরবাটি। ঘরে বাইরে কাজের বোঝা মাথায় নিয়ে মাথাটি নত করে থাকবেন তাঁরা, বাড়িতে, কর্মক্ষেত্রে, এমনই আশা ছিল সমাজের। 

তবে সে আশার সঙ্গে যুঝে উঠতে মেয়েরাও একটু একটু করে শিখছিলেন নিজেদের শর্ত আরোপের উপায়। ১৯৫০ সালের ২ জুলাইয়ের যুগান্তরের শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপনের পাতায় দেখছি, বংশী অয়েল মিলসরিষার তৈল বিক্রয়ার্থপুরুষ মহিলা ক্যানভাসার চাইছে। বিজ্ঞাপনের সিনেমা স্লাইড জোগাড় করার জন্য বেতনে কমিশনে কর্মঠ পুরুষ মহিলা চাইছে আর একটি সংস্থা। বহুবাজার স্ট্রিটের একটি বড়সড় চায়ের দোকান ৫০ টাকা বেতন আর ১৫ টাকা কমিশন দিয়ে রাখতে চাইছে স্থানীয় মহিলা কর্মী। সিমলা রোডের সোমরাজ অফিস কয়েকজন মহিলা কর্মী চাইছে সোমরাজ কেশ তৈলের প্রচারকার্যের জন্য। মনশ্চক্ষে দেখি, কত মেয়ে অফিসটাইমের আগে নাকে মুখে দুটো গুঁজে বাসে ট্রামের ভিড়ে জায়গা করে নিয়ে চলেছেন এই সব চাকরির টানে। নিম্ন পদমর্যাদাসম্পন্ন এই সব মেয়ের ঠোঁটে রং থাক না থাক, সকলেরই পদক্ষেপেজীবনসংগ্রামের প্রকৃত স্বরূপ উপলব্ধির ম্যাচিওর গাম্ভীর্য

… পড়ুন চৌকাঠ পেরিয়ে কলামের অন্যান্য পর্ব …

পর্ব ৯: স্বল্পখ্যাত কিংবা পারিবারিক পত্রিকা ছাড়া মহিলা সাংবাদিকরা ব্রাত্য ছিলেন দীর্ঘকাল

পর্ব ৮: অভিভাবকহীন উদ্বাস্তু মেয়েদের ‘চিরকালীন বোঝা’র তকমা দিয়েছিল সরকার

পর্ব ৭: মেয়েদের স্কুলের চাকরি প্রতিযোগিতা বেড়েছিল উদ্বাস্তুরা এদেশে আসার পর

 পর্ব ৬: স্বাধীনতার পর মহিলা পুলিশকে কেরানি হিসাবেই দেখা হত, সেই পরিস্থিতি কি আজ বদলেছে?

পর্ব ৫: প্রেম-বিবাহের গড়পড়তা কল্পকাহিনি নয়, বাস্তবের লেডি ডাক্তাররা স্বাধীনতার নিজস্ব ছন্দ পেয়েছিলেন

পর্ব ৪ : নার্সের ছদ্মবেশে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও যৌন হেনস্তার কবলে পড়তে হয়েছিল

পর্ব ৩ : উদ্বাস্তু মেয়েদের রোজগারের সুযোগ মিলেছিল টাইপ-শর্টহ্যান্ডের কাজে

পর্ব ২ : পিতৃতন্ত্রের কাঠামোয় কিছু ফাটল নিশ্চয়ই ধরিয়েছিলেন সে যুগের মহিলা টেলিফোন অপারেটররা

পর্ব ১ : দেশভাগের পর ‘চঞ্চল চক্ষুময়’ অফিসে চাকুরিরত মেয়েরা কীভাবে মানিয়ে নিলেন?