অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এ দলগত এবং একক প্রদর্শনী করেছি অনেকবার। আপনার উপস্থিতি প্রায় প্রতিবারই। গ্যালারিতে কোনও কোনও বিষয়ে আপনার সঙ্গে অনেক সময় ধরে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। সহজ সরল ব্যবহার আমাদের মুগ্ধ করত। নাটক বা অন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের টিকিট ইত্যাদি পাওয়ার জন্য আবদার করা চলত। আমাদের দল কন্ট্রিভান্স-এর প্রদর্শনীতে আপনি নিয়মিত আসতেন এবং আমাকে একটু বেশি ভালোবাসতেন। একবার আমাকে পাশে নিয়ে দলের সদস্যদের বলেছিলেন– ‘এ তোমাদের মাউথপিস, দলের মুখপাত্র।’ আপনার ওই ফরাসি সরকারের সম্মান, লিজিয়ঁ দ’নরে ভূষিত হওয়া অথবা শ্বশুরমশাই, স্বামীর বিশাল কর্মকাণ্ডের জন্য ‘নাইট’ উপাধি পাওয়া যেমন, ঠিক তেমনই আপনার মুখ থেকে ওই ‘মাউথপিস’ শব্দটাকে আমি একটা উপাধি ভেবে মনে মনে মেডেল করে গলায় ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি।
৩০.
ডিয়ার লেডি রাণু মুখার্জি,
আমি আপনার শ্বশুরবাড়ির পাশের গ্রামের মানুষ। স্যর রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, মানে আপনার শ্বশুরমশাই জন্মগ্রহণ করেছিলেন বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার ‘ভ্যাবলা’ গ্রামে। একজন মস্ত বড়লোক। ভ্যাবলা গ্রামে তাঁর রাজত্ব। আমরা ছোটবেলা থেকে আজ অবধি তাঁর নাম জপি। মান্য করি আপনার স্বামী, ভারতের খ্যাতনামা শিল্পপতি, স্যর বীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে। শান্তিনিকেতনের আঙিনায়, আবহে, রবীন্দ্র-সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠা আপনি, শান্তিনিকেতন থেকে পাওয়া শিল্পবোধকে কাজে লাগিয়ে উচ্চবিত্ত শিল্পপতি পরিবারের প্রকৃতই ‘লেডি রাণু মুখোপাধ্যায়’ হয়ে উঠেছিলেন। আমাদের মনের মণিকোঠার, লেডি রাণু মুখার্জি। সামান্য ছবি আঁকতে পারার ক্ষমতার জন্যই আপনার কাছে আসা, সান্নিধ্যে ধন্য হওয়া আমার কপালে।
আপনার বাপের বাড়ির শিল্পকলা সংগ্রহ এবং মা সুগায়িকা সরযূবালার সঙ্গীতচর্চা যেমন একদিকে, অন্যদিকে শ্বশুরমশাই স্যর রাজেন্দ্রনাথ ও স্বামী, স্যর বীরেন্দ্রনাথের শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতার গল্প অনেক শুনেছি। আমরা পেয়েছি, আপনার আগ্রহ আর উদ্যোগে কলকাতার শিল্পচর্চার প্রাণকেন্দ্র ‘অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’। আমাদের পূণ্যভূমি। জানেন, ১৯৫২ সালে, মানে যে বছরে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ড. বিধানচন্দ্র রায়-এর সহযোগিতায় এবং স্যর বীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের অর্থানুকূল্যে এই অ্যাকাডেমির নিজস্ব বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়, সে বছরে আমার জন্ম। জন্ম থেকেই তাই আপনাদের সঙ্গে আমার কোন এক অদৃশ্য যোগাযোগ!
কত গল্পই না ভিড় করে আসছে! কী না ছিল আপনার শ্বশুরমশাইদের। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, রাস্তাঘাট। জনপ্রিয় স্যর আর. এন. মুখার্জি রোড। এমনকী রেল। ব্রিটিশ-বাঙালি যৌথ মালিকানায় গড়ে উঠেছিল মার্টিন রেলওয়ে। ইংরেজ ব্যবসায়ী টমাস অ্যাকুইনাস মার্টিনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই রেল-পরিষেবা গড়ে তুলেছিলেন বাঙালি উদ্যোগপতি, আপনার শ্বশুরমশাই স্যর রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। গোটা উত্তর এবং পূর্ব কলকাতাকে ছুঁয়ে চলত বাষ্প-ইঞ্জিনচালিত পাঁচ কামরাবিশিষ্ট এই ধীরগতির মার্টিন বার্ন কোম্পানির রেল। শ্যামবাজার থেকে বসিরহাট পর্যন্ত পৌঁছতে সময় লাগত সাড়ে চার ঘণ্টা।
মার্টিন রেল আমি দেখিনি ম্যাডাম রাণু, তবে দেখেছি পায়ে চলার রাস্তা সোজা চলে গেছে ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে। যেটা দেখে পরিষ্কার বোঝা যায়, এটা কিছুদিন আগে একটা রেললাইন ছিল। ছোটদের বেড়াতে যাওয়ার স্বপ্নরাজ্য। লম্বা সোজা রাস্তা দিয়ে কতদূর যেন চলে যাওয়া যেত সবুজের মাঝে। ধানক্ষেত, জলাজমি, কচুরিপানার জঙ্গল। সাদা বেগুনি ফুল। গুলতি দিয়ে পাখি-শিকার খেলা। ছিপ দিয়ে ছোট ছোট মাছ ধরার চমৎকার জায়গা। রাস্তার ধারে ধারে অব্যবহারের ঝোপঝাড়। সেখান থেকে প্রশান্তদা একবার একটা সুন্দর কুকুরের বাচ্চা বাড়িতে নিয়ে এসে কি বকুনিটাই না খেয়েছিল! কারণ, বাচ্চাটা কুকুরের না, ছিল শিয়ালের। মার্টিন কোম্পানির সেই গোটা রেলপথটাই এখন সুন্দর সড়ক। মার্টিন রোড।
ঘটনাচক্রে বসিরহাট হাই স্কুলের পড়া শেষ করে আর্ট কলেজে এসেছিলাম কলকাতায়। সরকারি চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়। সেখান থেকেই খোঁজ পাই ‘অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’-এর। দু’টি সৌধ একে অপরের পরিপূরক। একটা যদি রাজপ্রাসাদ, অন্যটা মন্দির। যার একটাতে অনুশীলন আর একটাতে প্রয়োগ। রথীন মৈত্র তখন আমাদের কলেজের শিক্ষক, আবার ‘অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’-এও শেখাতেন। তাছাড়া ওখানকার সম্পাদকমণ্ডলীতে ছিলেন রথীনবাবু। তখন এসব আমাদের কাছে খুব পরিষ্কার ছিল না। আর জড়িত ছিলেন মাস্টারমশাই সুনীলবাবু, ভাস্কর সুনীল পাল, যাঁর টেরাকোটা ম্যুরাল অ্যাকাডেমির দর্শনীয় শিল্পকর্ম।
ম্যাডাম মুখার্জি, এরপর যাঁর কথা বলব, তাঁকে আপনি খুউব ভালো করে চেনেন। তিনি অতুল বসু। জানেন, এই অতুলবাবু ছিলেন আমার কলেজের বাইরের আর এক মাস্টারমশাই। রোববার-রোববার ওঁর কাছে আঁকা শিখতে যেতাম। উনি তখনকার দিনে ওঁর সমসাময়িক শিল্পী এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে অদ্ভুত সব টক-মিষ্টি গল্প শোনাতেন, যার সবকিছু ঠিক বুঝে উঠতে পারতাম না। ওঁর মুখে আপনার গল্প অনেক শুনেছি। উনি আপনার সবচেয়ে সুন্দর প্রতিকৃতিটা করেছিলেন, যেটা অ্যাকাডেমিতে রাখা আছে আপনার সৌন্দর্য কিংবা উৎকৃষ্ট শিল্পকর্মের উদাহরণ হিসেবে।
অ্যাকাডেমির গৌরবময় ইতিহাস দীর্ঘ । কিন্তু যা না বললে আপনার জীবনকথা অসম্পূর্ণ থেকে যায় তা হল, স্বাধীন ভারতে এই অ্যাকাডেমি নতুন এক ভারতীয় সাংস্কৃতিক আন্দোলনের জন্ম দিয়েছিল। চিত্রকলা, নাট্যকলা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মিলন মঞ্চ, অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস, বাঙালির জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে আজও জীবন্ত।
অ্যানুয়াল অল ইন্ডিয়া এগজিবিশন। সকালবেলা অনুষ্ঠান হত। রাজ্যপাল আসতেন প্রধান অতিথি হিসেবে। প্রভাতী অনুষ্ঠানের মধ্যমণি, মঞ্চ আলো করে আপনি বসতেন, লেডি মুখার্জি। তখনকার দিনেও আর কোথাও না, এখানেই ছবি বিক্রি হত এবং দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে হুড়মুড়িয়ে গিয়ে সংগ্রাহকের লোকজন ছবি ছুঁয়ে রাখত। মানে, ‘এটা আমার’। সাতের দশকেও কত ভিড়। সে সময় ছবি বিক্রি হত না কলকাতায় কিন্তু আপনাদের বন্ধুবান্ধব, আপনাদের পরিজন এবং কলারসিকদের সঙ্গে যে সম্পর্ক, সঙ্গত সে কারণেই অনেক ছবি বিক্রি হত।
অ্যানুয়াল অল ইন্ডিয়া এগজিবিশনে দু’-দু’বার পুরস্কার পেয়েছি। সার্টিফিকেটে রাণু মুখার্জির স্বাক্ষর। কাগজে কারও হাতের লেখা হাতে করে দেখার অনুভূতিকে নতুন করে কী বলব, ম্যাডাম মুখার্জি। আপনার ছিল ‘ভানুদাদা’। হাতের লেখা, হাতের আঙুলের ছোঁয়ার জন্য আমাদের একজন ‘রাণুদিদি’ তো থাকতেই পারত, লেডি মুখার্জি? আপনাকে বলতে লজ্জা করছে, ওই পুরস্কারের সার্টিফিকেটে যে স্বাক্ষর আছে, তা আপনার আঙুলের ছোঁয়া। শুধু সেকারণেই ওটা রেখে দিয়েছি যত্ন করে।
অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এ দলগত এবং একক প্রদর্শনী করেছি অনেকবার। আপনার উপস্থিতি প্রায় প্রতিবারই। গ্যালারিতে কোনও কোনও বিষয়ে আপনার সঙ্গে অনেক সময় ধরে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। সহজ সরল ব্যবহার আমাদের মুগ্ধ করত। নাটক বা অন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের টিকিট ইত্যাদি পাওয়ার জন্য আবদার করা চলত। আমাদের দল কন্ট্রিভান্স-এর প্রদর্শনীতে আপনি নিয়মিত আসতেন এবং আমাকে একটু বেশি ভালোবাসতেন। একবার আমাকে পাশে নিয়ে দলের সদস্যদের বলেছিলেন– ‘এ তোমাদের মাউথপিস, দলের মুখপাত্র।’ আপনার ওই ফরাসি সরকারের সম্মান, লিজিয়ঁ দ’নরে ভূষিত হওয়া অথবা শ্বশুরমশাই, স্বামীর বিশাল কর্মকাণ্ডের জন্য ‘নাইট’ উপাধি পাওয়া যেমন, ঠিক তেমনই আপনার মুখ থেকে ওই ‘মাউথপিস’ শব্দটাকে আমি একটা উপাধি ভেবে মনে মনে মেডেল করে গলায় ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি।
পুরোনো রেল ছাড়া মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানির সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। যদিও জানার বা বোঝার বিষয় ছিল না আমাদের। স্বাধীন ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোগী বাঙালি হিসেবে আপনার শ্বশুরবাড়ির কর্মকাণ্ডে আমরা গর্বিত হই। শুরুতে যে ব্রিটিশ ঠিকাদার কোম্পানির ওভারসিয়ার রূপে কাজে নেমেছিলেন সেই মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানিরই অংশীদার ও পরবর্তীতে সর্বময় মালিক হয়ে যান স্যর রাজেন্দ্রনাথ। এখন জেনে শিহরিত হই, বর্তমান হাওড়া ব্রিজ, মানে রবীন্দ্র সেতু নির্মাণে ইঞ্জিনিয়ারদের যে বিশেষজ্ঞ কমিটি তার সভাপতি এবং তাঁর তত্ত্বাবধানেই ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে বেলুড়মঠে রামকৃষ্ণ মন্দিরও স্থাপিত হয়। কে জানত আজকের আধুনিক কলকাতা মহানগরীর অন্যতম গর্ব ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সৌধ, রাজভবনের বিপরীতে এসপ্লানেড ম্যানসন, মহীশূর প্যালেস ইত্যাদি নির্মিত হয়েছিল স্যর রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানেই!
সম্প্রতি বার্নপুরের একটি অনুষ্ঠানে ‘ভারতী ভবন’-এর মঞ্চে পা রেখেছি। কত গুণীজনের পদধূলিতে ধন্য এই মঞ্চে দাঁড়ানো এক বিশেষ অনুভূতি। রাত কাটালাম সেই পুরনো গেস্ট হাউসের কোনও একটায়। বাড়ি-ঘর একইরকম এখনও। গাছগুলোর চেহারা এখন বিশাল। জানেন, রাস্তার দু’পাশে বেশ কয়েকটা বড় গাছের গা ভর্তি নাগকেশরের ফুল দেখলাম। ভারতী ভবনে তৈলচিত্রের প্রতিকৃতি এবং উদ্যানে দেখে এলাম বীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি। ভারতের খ্যাতনামা শিল্পপতি এবং দেশে ভারী শিল্পস্থাপনের সূচনাকারী, যিনি বার্নপুরে ‘ইস্কো’ ইস্পাত কারখানা-সহ অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। কুলটি ও বার্নপুর অঞ্চলের শ্রমিক-কর্মীদের জন্য গড়ে তুলেছিলেন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাঠাগার। জেনে গেছি, আপনারই প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছিল এগুলো, ম্যাডাম মুখার্জি।
গত বছর আমাদের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান হয় কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে, ‘গ্যালেরিয়া ১৯১০’-এ, যা কি না আপনাদের প্রাক্তন বাসভবন। আমাদের পুত্রবধূ, নর্মদা, ওই ঐতিহাসিক বাড়িটি বিবাহবাসর হিসেবে স্থির করে। স্থাপত্য ও শিল্পের নিদর্শন এই বাড়িটি ১৯১০ সালে স্যর রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের হাতে তৈরি। দেশ-বিদেশের বিশেষ সুধীজনদের উপস্থিতিতে ধনী। আপনাদের সেই বসতবাড়িতে আমাদের সাম্প্রতিককালের একটি অনুষ্ঠান করাও যেন কপালে ছিল।
ভারতের শিল্পজগতের শেষ ‘লেডি’ আপনি, আমাদের প্রিয়, লেডি রাণু মুখার্জি। আপনি ধন্য, আপনার বর্ণময় জীবন ধন্য। যেন পরিকল্পনা করেই আমাদের শিল্পকলার উজ্জ্বল শতক, গোটা বিংশ শতাব্দীটাই যাপন করে গেলেন আপনি। সত্যিকারের হিসেব করে, নাকি আপনার কপাল?
আমি আপনার স্নেহধন্য।
… পড়ুন ‘মুখ ও মণ্ডল’-এর অন্যান্য পর্ব …
পর্ব ২৯। পুবের কেউ এসে পশ্চিমের কাউকে আবিষ্কার করবে– এটা ঢাক পিটিয়ে বলা দরকার
পর্ব ২৮। অন্ধকার নয়, আলো আঁকতেন গণেশ পাইন
পর্ব ২৭। প্রীতীশ নন্দীর চেয়েও কলকাতা ঢের বেশি চেনা অমিতাভের!
পর্ব ২৬। রুদ্রদা, আপনার সমগ্র জীবনযাত্রাটাই একটা নাটক, না কি নাটকই জীবন?
পর্ব ২৫। ক্ষুদ্রকে বিশাল করে তোলাই যে আসলে শিল্প, শিখিয়েছিলেন তাপস সেন
পর্ব ২৪: নিজের মুখের ছবি ভালোবাসেন বলে জলরঙে প্রতিলিপি করিয়েছিলেন মেনকা গান্ধী
পর্ব ২৩: ড. সরোজ ঘোষ আমাকে শাস্তি দিতে চাইলেও আমাকে ছাড়তে চাইতেন না কখনও
পর্ব ২২: মধ্যবিত্ত সমাজে ঈশ্বরকে মানুষ রূপে দেখেছেন রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়
পর্ব ২১: ‘তারে জমিন পর’-এর সময় আমির খান শিল্পীর আচার-আচরণ বুঝতেই আমাকে ওঁর বাড়িতে রেখেছিলেন
পর্ব ২০: আমার জলরঙের গুরু শ্যামল দত্ত রায়ের থেকে শিখেছি ছবির আবহ নির্মাণ
পর্ব ১৯: দু’হাতে দুটো ঘড়ি পরতেন জয়াদি, না, কোনও স্টাইলের জন্য নয়
পর্ব ১৮: সিদ্ধার্থ যত না বিজ্ঞানী তার চেয়ে অনেক বেশি কল্পনা-জগতের কবি
পর্ব ১৭: ডানহাত দিয়ে প্রতিমার বাঁ-চোখ, বাঁ-হাত দিয়ে ডানচোখ আঁকতেন ফণীজ্যাঠা
পর্ব ১৬: আমার কাছে আঁকা শেখার প্রথম দিন নার্ভাস হয়ে গেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ভি. পি. সিং
পর্ব ১৫: শঙ্করলাল ভট্টাচার্য শিল্পীদের মনের গভীরে প্রবেশপথ বাতলেছিলেন, তৈরি করেছিলেন ‘বারোয়ারি ডায়রি’
পর্ব ১৪: নাটককে পৃথ্বী থিয়েটারের বাইরে নিয়ে এসে খোলা মাঠে আয়োজন করেছিল সঞ্জনা কাপুর
পর্ব ১৩: চেষ্টা করবি গুরুকে টপকে যাওয়ার, বলেছিলেন আমার মাইম-গুরু যোগেশ দত্ত
পর্ব ১২: আমার শিল্প ও বিজ্ঞানের তর্কাতর্কি সামলাতেন সমরদাই
পর্ব ১১: ছবি না আঁকলে আমি ম্যাজিশিয়ান হতাম, মন পড়ে বলে দিয়েছিলেন পি. সি. সরকার জুনিয়র
পর্ব ১০: তাঁর গান নিয়ে ছবি আঁকা যায় কি না, দেখার ইচ্ছা ছিল ভূপেনদার
পর্ব ৯: পত্র-পত্রিকার মাস্টহেড নিয়ে ম্যাজিক দেখিয়েছিলেন বিপুলদা
পর্ব ৮: সৌমিত্রদার হাতে কাজ নেই, তাই পরিকল্পনাহীন পাড়া বেড়ানো হল আমাদের
পর্ব ৭: ঘোড়াদৌড়ের মাঠে ফ্যাশন প্যারেড চালু করেছিলেন মরিন ওয়াড়িয়া, হেঁটেছিলেন ঐশ্বর্য রাইও
পর্ব ৬: একাগ্রতাকে কীভাবে কাজে লাগাতে হয় শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, ধরিয়ে দিয়েছিলেন গুরু গোবিন্দন কুট্টি
পর্ব ৫: কলকাতা সহজে জয় করা যায় না, হুসেন অনেকটা পেরেছিলেন
পর্ব ৪: যে পারে সে এমনি পারে শুকনো ডালে ফুল ফোটাতে, বলতেন চণ্ডী লাহিড়ী
পর্ব ৩: সহজ আর সত্যই শিল্পীর আশ্রয়, বলতেন পরিতোষ সেন
পর্ব ২: সব ছবি একদিন বের করে উঠোনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলাম, বলেছিলেন অতুল বসু
পর্ব ১: শুধু ছবি আঁকা নয়, একই রিকশায় বসে পেশাদারি দর-দস্তুরও আমাকে শিখিয়েছিলেন সুনীল পাল
ভবিষ্য-পুরাণের শ্লোক থেকে বোঝা যায়, আধুনিক কুম্ভমেলার জন-সমাগমের ভিত্তি তৈরি হয়েছে এইসব সময় থেকেই। তবে এখানে মনে রাখতে হবে– ভবিষ্য-পুরাণের অনেক অংশই এই সেদিন লেখা হয়েছে, এতটাই সেদিন যে, এখানে ওয়ারেন হেস্টিংস থেকে ইলায়জা ইম্পে এমনকী কুইন ভিক্টোরিয়ারও বর্ণনা আছে!