এ কথা বললে বাড়িয়ে বলা হবে না যে মোহনবাগানের খেলার মাঠেই বাংলা দেশের জাতীয়তাবোধ পরিপুষ্ট হয়েছিল। যে ইংরেজ-বিদ্বেষ মনে-মনে ধূমায়িত ছিল মোহনবাগান তাতে বাতাস দিয়ে বিশুদ্ধ আগুনের সুস্পষ্টতা এনে দিয়েছে। অত্যাচারিতের যে অসহায়তা থেকে ‘টেররিজম’ জন্ম নেয় হয়তো তার প্রথম অঙ্কুর মাথা তুলেছিল এই খেলার মাঠে। তখনও খেলার মাঠে সাম্প্রদায়িকতা ঢোকেনি, মোহনবাগান তখন হিন্দু-মুসলমানের সমান মোহনবাগান– তার মধ্যে নেবুবাগান কলাবাগান ছিল না। তবে স্বাধীনতা-উত্তর কলকাতা আর শুধু ফুটবল-কেন্দ্রিক শহর ছিল না। ইডেন গার্ডেন্সে ক্রিকেট খেলা ধীরে ধীরে নাগরিক জীবনের এক বিশেষ অংশ হয়ে উঠেছিল। পশ্চিম ভারতে বিশ শতকের গোড়ায় বম্বে শহরে ক্রিকেট অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল।
৩৩.
ধনতান্ত্রিক আধুনিকতার হাত ধরে বিশ্বজুড়ে যে বিপুল পরিবর্তন ঘটে যায় আঠারো-উনিশ শতক থেকে তার বিশেষ রেশ পড়েছিল মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায়। কলকারখানা-কেন্দ্রিক, সময়ের নিগড়ে বাঁধা, নির্দিষ্ট নিয়মমাফিক শহুরে জীবনে অভ্যস্ত হতে কিছুদিন সময় লেগেছিল সাধারণ খেটে-খাওয়া আমজনতার। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের সামাজিক-সাংস্কৃতিক জগতেও নানা বদল এসেছিল এই সময়ে। তবে একদিকে যেমন ছিল আধুনিক যন্ত্র-সভ্যতার নিষ্পেষণ, অন্যদিকে তেমনই তৈরি হয়েছিল আমোদ-প্রমোদের নতুন নানা পরিসর। শিল্পায়নের প্রথম যুগে ইংল্যান্ডে ফুটবল, হকির মতো খেলাধুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল শ্রমিক শ্রেণির কাছে। ধীরে ধীরে ইংল্যান্ডের জাতীয় জীবনে খেলাধুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত ধরে আধুনিক ক্রিকেট বা ফুটবল খেলাগুলি ভারতে এসেছিল। গোড়াতে ইংরেজ সেনারা নিজেদের মধ্যেই এই খেলাগুলির চর্চা করতেন। কিন্তু আস্তে আস্তে ভারতীয়রাও এতে অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন। আধুনিক ভারতে খেলার ইতিহাসের সঙ্গে কিন্তু নিবিড়ভাবে জড়িয়ে রয়েছে কলকাতা বা বম্বের মতো বন্দর-শহরগুলির মাঠ-ময়দান। দলগত খেলার জন্য নির্দিষ্ট পরিসর– তা সে চারদিক খোলা কোনও বড় মাঠই হোক বা গ্যালারি-ঘেরা স্টেডিয়াম– ঔপনিবেশিক ভারতের শহরগুলির এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল। আর তারই সঙ্গে গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন দল।
কলকাতা শহরে উনিশ শতকের গোড়া থেকেই ক্রিকেট, ফুটবল, ঘোড়দৌড়ের মতো খেলাগুলি রমরমিয়ে চালু হয়ে গিয়েছিল। তবে প্রথম দিকে ইউরোপীয়দের মধ্যেই এই খেলাধুলো হত। শতকের দ্বিতীয় অর্ধ থেকে ভারতীয়রাও দলগত খেলায় নাম লেখাতে শুরু করেন। কলকাতায় ফুটবল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নগেন্দ্র প্রসাদ সর্বাধিকারীর হাত ধরে ওয়েলিংটন ক্লাব, শোভাবাজার ক্লাব, ইয়ং বয়েজ ক্লাবের মতো একাধিক ফুটবল ক্লাব কলকাতায় আত্মপ্রকাশ করে। মোহনবাগান তৈরি হয় ১৮৮৯ সালে। এই ক্লাবগুলি ইউরোপীয় দলের সঙ্গে খেলতে শুরু করে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে। ১৯০৫ সালে মোহনবাগান হারিয়ে দিয়েছিল ইউরোপীয় দল ডালহৌসি অ্যাথলেটিককে। আর তারপর এসেছিল ১৯১১-র শিল্ড জয়, ব্রিটিশ সেনাদল ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে হারিয়ে! বঙ্গভঙ্গের আবহে মোহন বাগানের এই জয় আর নিছক খেলাধুলোর মাঠে সীমাবদ্ধ ছিল না; সাধারণ মানুষের কাছে তা যেন জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এক বিশিষ্ট রূপ হিসেবে ধরা দিয়েছিল। মোহন বাগান, এবং পরবর্তীকালে ইস্ট বেঙ্গল আর মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবগুলির হাত ধরে ফুটবলের শহর হিসেবে কলকাতা এক নিজস্ব পরিচিতি তৈরি করে নেয়। কলকাতার নাগরিক জীবনে ময়দানের ফুটবল পরাধীন ভারতে এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পরিসর হয়ে উঠেছিল। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত কল্লোল যুগ– এ লিখেছেন,
বলা বাহুল্য হবে না, রাজনীতির ক্ষেত্রে যেমন ছিল ‘বন্দেমাতরম’ তেমনি খেলার ক্ষেত্রে ‘মোহনবাগান’। পলাশীর মাঠে যে কলঙ্ক অর্জন হয়েছিল তার স্খালন হবে এই খেলার মাঠে। আসলে, মোহনবাগান একটা ক্লাব নয়, দল নয়, সে সমগ্র দেশ–পরাভূত, পদানত দেশ, সেই দেশের সে উদ্ধত বিজয়-নিশান।
এ কথা বললে বাড়িয়ে বলা হবে না যে মোহনবাগানের খেলার মাঠেই বাংলা দেশের জাতীয়তাবোধ পরিপুষ্ট হয়েছিল। যে ইংরেজ-বিদ্বেষ মনে-মনে ধূমায়িত ছিল মোহনবাগান তাতে বাতাস দিয়ে বিশুদ্ধ আগুনের সুস্পষ্টতা এনে দিয়েছে। অত্যাচারিতের যে অসহায়তা থেকে ‘টেররিজম’ জন্ম নেয় হয়তো তার প্রথম অঙ্কুর মাথা তুলেছিল এই খেলার মাঠে। তখনও খেলার মাঠে সাম্প্রদায়িকতা ঢোকেনি, মোহনবাগান তখন হিন্দু-মুসলমানের সমান মোহনবাগান– তার মধ্যে নেবুবাগান কলাবাগান ছিল না।
ফুটবলের সঙ্গে বাঙালির এবং কলকাতা শহরের এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্বাধীনতার পরেও বজায় ছিল। ষাট-সত্তর-আশির দশকে ময়দানের ফুটবল মাঠ, ম্যাচ, দলবদল, দর্শক, সমর্থক নিয়ে নাগরিক জীবনের এক জমজমাট আখ্যান ছিল। সাংবাদিক, সাহিত্যিক, ধারাভাষ্যকারদের হাত ধরে খেলাধুলোর এই জগত খেলার মাঠের বাইরে এক বৃহত্তর পরিসর তৈরি করে নিতে পেরেছিল।
তবে স্বাধীনতা-উত্তর কলকাতা আর শুধু ফুটবল-কেন্দ্রিক শহর ছিল না। ইডেন গার্ডেন্সে ক্রিকেট খেলা ধীরে ধীরে নাগরিক জীবনের এক বিশেষ অংশ হয়ে উঠেছিল। পশ্চিম ভারতে বিশ শতকের গোড়ায় বম্বে শহরে ক্রিকেট অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। সম্প্রদায়-ভিত্তিক দল নিয়ে বম্বের পেন্ট্যাঙ্গুলার টুর্নামেন্ট সেই সময়ে সাধারণ মানুষের কাছে অন্যতম আকর্ষণ ছিল। কলকাতায় সেই তুলনায় ক্রিকেট ছিল মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের আগ্রহের বিষয়। স্বাধীনতার পর অবশ্য ছবিটা দ্রুত বদলাতে শুরু করে। ফুটবলের মতো ক্লাবের রেষারেষি নয়, জাতীয় দলের খেলা এখানে; সারা ভারতের খেলোয়াড়, বাঙালি প্রায় নেই বললেই চলে। তবুও শহরের জনপ্রিয় সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে উঠেছিল শীতের দুপুরে ইডেনের ম্যাচ। টেস্ট ম্যাচের টিকিট জোগাড় করা বিশেষ পারদর্শিতার নজির হিসেবে দেখা হতে শুরু করে। খেলা চলাকালীন সরকারি দপ্তরে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার কথা পত্র-পত্রিকায় বেরোতে থাকে ছয়-সাতের দশকে।
……………………………………….
১৯৬৪ সালে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচের সময়ে এক মজার প্রতিবেদন ছাপা হয় আনন্দবাজার পত্রিকা-য়। লেখা হয় যে দর্শকদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ বেকার। খেলার পাঁচ দিনে মোট ১,৮৫,৫০০ জন অফিস ফাঁকি দিয়ে ১৩,১২,০০০ ঘণ্টা কাজের সময় বরবাদ করেছেন ইডেনে গিয়ে। বাড়ি থেকে ডিম, কলা, রুটি, কমলালেবু, চপ কাটলেট নিয়ে যাওয়া ছাড়াও প্রায় ৫০,০০০ দর্শক স্টেডিয়ামে খাবার কিনে খেয়েছেন। নব্বই শতাংশ দর্শক ৪,৫০,০০০ কাপ চা পান করেছেন, যার মোট মূল্য ৬৭,৫০০ টাকা।
……………………………………….
১৯৬৪ সালে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচের সময়ে এক মজার প্রতিবেদন ছাপা হয় আনন্দবাজার পত্রিকা-য়। লেখা হয় যে দর্শকদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ বেকার। খেলার পাঁচ দিনে মোট ১,৮৫,৫০০ জন অফিস ফাঁকি দিয়ে ১৩,১২,০০০ ঘণ্টা কাজের সময় বরবাদ করেছেন ইডেনে গিয়ে। বাড়ি থেকে ডিম, কলা, রুটি, কমলালেবু, চপ কাটলেট নিয়ে যাওয়া ছাড়াও প্রায় ৫০,০০০ দর্শক স্টেডিয়ামে খাবার কিনে খেয়েছেন। নব্বই শতাংশ দর্শক ৪,৫০,০০০ কাপ চা পান করেছেন, যার মোট মূল্য ৬৭,৫০০ টাকা। ১,২৫,০০০ টাকার ভাজাভুজি বিক্রি হয়েছে। ষাট শতাংশ দর্শক প্রতিদিন গড়ে এক প্যাকেট করে ধূমপান করেছেন ধরে নিলে ১৫,০০,০০০ সিগারেটে ৯৩,০০০ টাকা ধোঁয়ায় মিলিয়ে গেছে বলে আন্দাজ করা যেতে পারে বলে প্রতিবেদক বলেন। এই বিচিত্র হিসেবনিকেশের লিস্টে এর পর আসে গাড়ি ভাড়া, পান খাওয়া, টেলিগ্রামের খরচ, ফোন বিল, টিকিট বিক্রির টাকা, ইত্যাদি। খেলা দেখার উন্মাদনা আর ভোগ-ব্যয় নিয়ে ঈষৎ কড়ামিঠে এই লেখা থেকে বোঝা যায় কীভাবে ক্রিকেট কলকাতার জনজীবনে বিশেষ ছাপ ফেলেছিল এই সময়ে।
ফুটবলের ক্ষেত্রে ময়দান বা ক্লাব তাঁবুর সঙ্গে দর্শক-সমর্থকদের যেরকম সম্পর্ক তৈরি হয়, জাতীয় দলের ক্রিকেট খেলার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই সম্পর্কের রূপ অন্য হয়। বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে কলকাতার নাগরিক জীবনে ইডেন গার্ডেন্স দৈনন্দিনতার অংশ ছিল না; তা ছিল এক ঘটনা, বছরের বিশেষ উৎসব, যেখানে অচেনা অজানা দর্শকদের মধ্যে অচিরেই আত্মীয়তা গড়ে ওঠে; একসঙ্গে হাততালি, ঘণ্টা বাজানো, বা গালাগালি দেওয়া শুরু হয়ে যায় খেলা শুরু হওয়ার খানিক পর থেকেই। তবে স্টেডিয়ামের ভিতরে ঢোকার টিকিট জুটত না অনেকেরই। টেস্ট ম্যাচের একটা টিকিটেই বন্ধুরা পালা করে এক একটা সেশনে মাঠে গিয়ে তারকাদের চাক্ষুষ করে নিতেন। দর্শকের চিৎকারের ধরন শুনে বাইরে বসা চানাচুর-বিক্রেতা বলে দিতে পারতেন চার হল না আউট! রেডিয়োর ধারাভাষ্যে ফুটে উঠত ইডেনের রোদ-ঝলমলে রোম্যান্স।
তবে কিছু কিছু মানুষ এমনও ছিলেন যাঁদের কাছে এই মাঠই ছিল সব কিছু। অমর চট্টোপাধ্যায় ছয়ের দশকে কিছু বছর ফুটবল খেলেছিলেন বালি দক্ষিণপাড়া সম্মিলনী, হাওড়া প্রগতি সংঘ, আর খিদিরপুর ক্লাবে। এর পর তিনি সরকারি চাকরি পেয়ে ইডেনের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে যোগ দেন। গ্যালারির নিচের স্টাফ কোয়ার্টারে স্ত্রী ও তিন কন্যা নিয়ে তিনি থাকতে শুরু করেন। ইডেন ধীরে ধীরে তাঁকে মোহমুগ্ধ করে দেয়। এই মাঠ ছেড়ে বিশেষ কোথাও যেতে চাইতেন না আর। ছুটি নেওয়া বন্ধ করে দেন। গভীর রাত পর্যন্ত মাঠের পাশের রাস্তায় টহল দিতেন। অন্য চাকরির প্রস্তাব পেয়েও তিনি যাননি।
খেলার মাঠের সঙ্গে এই গভীর সম্পর্ক অনেকেরই গড়ে ওঠে বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন উপায়ে। খেলোয়াড়, মাঠের কর্মী, ক্লাবকর্তা ছাড়াও দর্শক, সমর্থক, খুচরো বিক্রেতা সবাই নিজের নিজের মতো করে ময়দান-স্টেডিয়ামের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে নেন। টিভি, মোবাইলের যুগে এই সম্পর্কের বিন্যাস আগের থেকে অনেক বদলে গিয়েছে নিঃসন্দেহে, কিন্তু কলকাতার নাগরিক সংস্কৃতির এক বিশেষ রূপ ধরা পড়ে ফুটবল, ক্রিকেটের ইতিহাস ঘাঁটলে।
ঋণস্বীকার: Souvik Naha, Cricket, Public Culture and the Making of Postcolonial Calcutta (2022)
…কলিকথা–র অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৩২: যে কোনও শহরের কথা বলার সময় আমরা কি নিজেদের শহরের কথাই বলি?
পর্ব ৩১: বিদেশি ট্যুরিস্টদের কাছে কলকাতা কি এখনও ‘অভাবের শহর’?
পর্ব ৩০: উপনিবেশে দেশীয় সংস্কৃতির রেশ: কলকাতার ‘জেন্টেলম্যান’দের নানা ক্লাব
পর্ব ২৯: মেসের বাঙালি ছাত্ররা ঝাঁপ দিয়েছিল সরকার-বিরোধী কর্মকাণ্ডে
পর্ব ২৮: কলকাতার রাস্তা নিয়ন্ত্রণ সহজ নয়, দেখিয়ে দিয়েছিল পালকি-বেহারাদের ধর্মঘট
পর্ব ২৭: কোনটা কলকাতা, কোনটা নয়!
পর্ব ২৬: দ্বীপের মতো করেই যেন গড়ে তোলা হয়েছিল কলকাতাকে
পর্ব ২৫: কালো ভিক্টোরিয়া ও থমথমে কলকাতা
পর্ব ২৪: ঘোড়ার কলকাতা: ট্রাম থেকে রেসের মাঠ
পর্ব ২৩: গোলদীঘি গণ আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে জেগে উঠেছিল স্বদেশি সময়ে
পর্ব ২২: স্মৃতিদের এক বিশাল সমাধিক্ষেত্র
পর্ব ২১: কলকাতার কেল্লা এবং ময়দানি মতবিরোধ
পর্ব ২০: সঙের গানে শতবর্ষের পুরনো কলকাতা
পর্ব ১৯: দেশভাগ ও উদ্বাস্তু মানুষদের শিয়ালদা স্টেশন
পর্ব ১৮: কলের গাড়ি ও কলকাতার নিত্যযাত্রীরা
পর্ব ১৭: বাবুদের শহর যেভাবে বদলে গেল আবেগের শহরে
পর্ব ১৬: ঘর-বন্দি হয়েও নাগরিক কলকাতার স্বাদ
পর্ব ১৫: গৃহভৃত্যর বেশিরভাগই ছিলেন পুরুষ, দু’দশকে বদলে যায় পরিস্থিতি
পর্ব ১৪: স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলা সিনেমায় চাকরির ইন্টারভিউয়ের দৃশ্য সেই সময়ের আয়না
পর্ব ১৩: দাঙ্গা ও দেশভাগ বদলে দিয়েছে কলকাতার পাড়া-বেপাড়ার ধারণা
পর্ব ১২: প্রাচীন কলকাতার বোর্ডিং হাউস
পর্ব ১১: সারা বিশ্বে শ্রমিক পাঠানোর ডিপো ছিল এই কলকাতায়
পর্ব ১০: কলকাতার যানবাহনের ভোলবদল ও অবুঝ পথচারী
পর্ব ৯: বৃষ্টি নিয়ে জুয়া খেলা আইন করে বন্ধ করতে হয়েছিল উনিশ শতকের কলকাতায়
পর্ব ৮: ধর্মতলা নয়, ময়দানই ছিল নিউ মার্কেট গড়ে তোলার প্রথম পছন্দ
পর্ব ৭: সেকালের কলকাতায় বাঙালি বড়মানুষের ঠাঁটবাটের নিদর্শন ছিল নিজের নামে বাজার প্রতিষ্ঠা করা
পর্ব ৬: কলকাতার বহিরঙ্গ একুশ শতকের, কিন্তু উনিশ-বিশ শতকের অসহিষ্ণুতা আমরা কি এড়াতে পেরেছি?
পর্ব ৫: কলকাতা শহর পরিকল্পনাহীনভাবে বেড়ে উঠেছে, একথার কোনও বিশেষ ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই
পর্ব ৪: ঔপনিবেশিক নগর পরিকল্পনার বিরুদ্ধ মত প্রকাশ পেয়েছিল যখন প্লেগ ছড়াচ্ছিল কলকাতায়
পর্ব ৩: ঔপনিবেশিক কলকাতায় হোয়াইট টাউন-ব্ল্যাক টাউনের মধ্যে কোনও অলঙ্ঘনীয় সীমানা
পর্ব ২: ‘জল’ যেভাবে ‘জমি’ হল এ কলকাতায়
পর্ব ১: চেনা কলকাতাকে না পাল্টেই বদল সম্ভব, পথ দেখাতে পারে একটি বাতিল রিপোর্ট