শুনশান রাত্তির। সারা বাড়িতে এখন একটি মাত্র শব্দ। লেখার টেবিলে টেবিল ল্যাম্পের আলো। আলো নয় শব্দ। কথা। ম্যাজিক ও মায়া। মনে হল শচীনের। তিনি লেখক নন। তবু লেখার টেবিলের মায়াবী আলোয় বসে তিনি তাঁর আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’ লিখতে বসলেই মনটা চলতে শুরু করে অজানা পথে। কিন্তু আজ রাত্রে স্ত্রী অঞ্জলির কথা লিখতে বসে ভেবে পাচ্ছেন না কীভাবে প্রথম লাইনটা লিখবেন। অন্যদিন টেবিলের আলো কথা বলে। আজ আলো চুপকথায়!
৩৫.
তিনি রাইটার নন। তিনি ব্যাটার। অন্তত আজকের ভাষায়। ছিলেন ব্যাটসম্যান। হলেন ব্যাটার। ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান– ক্রিকেটের চিরকালীন ডন– আজীবন থেকে গেলেন ব্যাটসম্যান। তাঁরও পছন্দের শব্দ ‘ব্যাটসম্যান’। কিন্তু ওই ‘ম্যান’ শব্দটা নিয়ে ক্রমশ দানা বাঁধল গন্ডগোল। মেয়েরা যখন ব্যাট হাতে ক্রমশ হয়ে উঠলেন ২২ গজের নায়িকা, ম্যান গোলে গেল ম্যানহোলে! ব্যাটার মাঠে নামল ব্যাট ঘুরিয়ে, নারী-পুরুষের বিভেদ ঘুচিয়ে। নস্টালজিয়ায় স্থান পেল ভেরি ব্রিটিশ ব্যাটসম্যান।
শচীন তেণ্ডুলকরের মনে মনকেমন থেকেই গেছে ব্যাটসম্যান শব্দটার জন্য।
শুনশান রাত্তির। সারা বাড়িতে এখন একটি মাত্র শব্দ। লেখার টেবিলে টেবিল ল্যাম্পের আলো। আলো নয় শব্দ। কথা। ম্যাজিক ও মায়া। মনে হল শচীনের। তিনি লেখক নন। তবু লেখার টেবিলের মায়াবি আলোয় বসে তিনি তাঁর আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’ লিখতে বসলেই মনটা চলতে শুরু করে অজানা পথে। কিন্তু আজ রাত্রে স্ত্রী অঞ্জলির কথা লিখতে বসে ভেবে পাচ্ছেন না কীভাবে প্রথম লাইনটা লিখবেন। অন্যদিন টেবিলের আলো কথা বলে। আজ আলো চুপকথায়!
হঠাৎ মায়াবি আলোয় ধরে কাঁপন। আলোর রেখা কাঁপতে কাঁপতে হয়ে ওঠে একটি সংখ্যা: ১৯৯০! এই তো! সাতরাজার ধন মানিক। ইউরেকা! পেয়ে গেছি, পেয়ে গেছি!
এবার টেবিলের ওপর মায়াবি আলো ফুটিয়ে তোলে একটা ছবি: মুম্বই এয়ারপোর্টের ভিউয়িং গ্যালারি। এক পরমা সুন্দরী সেখানে দাঁড়িয়ে। আর নিচে শচীন লাগেজের অপেক্ষায়। সুন্দরী সরাসরি তাকিয়ে শচীনের দিকে। এবার আলোর অক্ষরে টেবিলের বুকে লেখা হয় একটি লাইন: the best partnership of your life!
শচীন বিহ্বল বিস্ময়ে তাকান এই ক’টি শব্দের দিকে। মায়াবি আলো পথ দেখায় কীভাবে শুরু করবেন তিনি। তারপর লেখেন: As I was trying to establish myself as an international cricketer, my personal life changed dramatically in August 1990 when I met Anjali, my future wife. It was the beginning of by far the best partnership of my life.
একটা ছবি ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে রাত্রে লেখার টেবিলটার ওপর টেবিল ল্যাম্পের ম্যাজিক আলোয়। শচীন, যে ছবি দেখছ, সেটাই লেখ। হুবহু। সত্যি কথাটা সহজে লেখ। কোনও লজ্জা, দ্বিধা, কুণ্ঠা কোরো না। যে নারী হয়ে উঠবেন তোমার প্রেরণা, তোমার শক্তি, তোমার সৌভাগ্য, তোমার পরম প্রাপ্তি ও তৃপ্তি, তাঁকে দান করো তোমার হৃদয় ও কথার অঞ্জলি। শচীন লেখেন:
I had just landed in Mumbai on our return from the 1990 tour of England and was waiting to pick up my bags when I first saw an extremely attractive woman looking down from the viewing gallery in the airport. Little did I know then that I had just seen my life partner.
তখনও কোনও পরিচয় নেই সেই সুন্দরীর। না জানি নাম। না জানি ধাম। শুধু এক ঝলকের দেখা। এবং চকিত মুগ্ধতা। কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও একবার দেখা হল তার সঙ্গে। আমি তখন এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি। দেখতে পেলাম তাকে। পরনে কমলা টি-শার্ট। আর ব্লু জিন্স। গেট দিয়ে ছুটে বেরিয়ে যাচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে, আমাকে তাড়া করে এই দৌড়। তবে এটাই সব নয়। আরও আছে।
সেই মেয়ে দৌড়তে দৌড়তে চিৎকার করছে, ‘He is sooooo cute!’ আমার ভারি অস্বস্তি হল। লজ্জায় রাঙা হলাম। আমার ছেলেবেলার বন্ধু সুনীল হর্ষ, যে আমাকে কানে কানে বলল, ‘এক সুন্দরী তোর নাম ধরে ডাকতে ডাকতে ছুটছে! তোর সঙ্গে বোধহয় দেখা করতে চায়।’ এই কথা শুনে আমি বললাম, ডাকুকগে, এত লোকের সামনে আমি দেখা করব না। ‘I had of course seen her and found her particularly attractive, but I told him there was no way I could speak to her at the time.’
অঞ্জলি আর আমি এর পর খুব তাড়াতাড়ি শুরু করলাম আমাদের পাঁচ বছরের একটানা প্রেম পর্ব: ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫। এরপরেই এনগেজমেন্ট। কিছুদিনের মধ্যেই বিয়ে।
আমাদের প্রেম এবং বিয়ে কী করে হল কে জানে। কার ভাগ্যে যে কি লেখা থাকে! আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ডের কোনও মিল নেই। তবু প্রেমে পড়লাম পরস্পরের। কী কাণ্ড! অঞ্জলি অর্ধেক গুজরাতি। অর্ধেক ইংলিশ। এবং দক্ষিণ মুম্বইয়ের কন্যা। এবং খুব সম্পন্ন পরিবারের মেয়ে। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে লেখাপড়া। তারপর জে জে হাসপাতালে ডাক্তারি পড়েছে। ভালো কথা বলতে পারে এবং আমার থেকে একেবারে ভিন্ন ঘরানায় ওর বড় হয়ে ওঠা। বলা যেতে পারে, ওর আর আমার সামাজিক পশ্চাদ্পট একেবারে আলাদা।
এবার বলি আমার আর অঞ্জলির বড় হয়ে ওঠার তফাতটা কোথায়। আমি তো আমার কলোনির মধ্যেই মানুষ হলাম। আর ক্রিকেট বন্ধুদের সঙ্গে মিশে সময় কাটালাম। কখনও কোনও মেয়ের সঙ্গে মিশিনি। ঘুরিনি। কোনও অচেনা মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসার প্রশ্নই ওঠে না। আমার বয়সী অনেক ছেলেই কলেজে যায়। সেখানে মেয়েদের সঙ্গে মেশার সুযোগ পায়। আমি তো সেই ১৬ বছর বয়স থেকে ভারতের জন্য ক্রিকেট খেলছি, প্লেয়িং ফর ইন্ডিয়া, সুতরাং তার বাইরে কিছু করার তো সুযোগই আসেনি।
এবার যে কথাটা কেউ জানে না, বলি।
অঞ্জলিকে যেদিন আমি প্রথম দেখলাম, তার আগে ও আমাকে দেখেছে। কবে জানেন? আমি ওকে দেখার ঠিক কয়েক সপ্তাহ আগে ১৪ অগাস্ট ও আমাকে প্রথম দেখে। দিনটি ভেরি স্পেশাল। সেদিন আই গট মাই ফার্স্ট টেস্ট হান্ড্রেড অ্যাট ওল্ড ট্র্যাফোর্ড। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আমার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি! সেদিন অঞ্জলি বাবা-মায়ের সঙ্গে ইংল্যান্ডে।
অঞ্জলির বাবা আনন্দ মেহেতা, প্রাক্তন জাতীয় ব্রিজ চ্যাম্পিয়ন এবং ক্রিকেটের সিরিয়াস ভক্ত, অঞ্জলিকে বলেন, এখুনি টিভি খুলে দেখ ভারতের একটা ছেলে কী কাণ্ড ঘটাচ্ছে ক্রিকেটে। অঞ্জলির কোনও ইন্টারেস্ট ছিল না ক্রিকেটে। সে মনে হয় এক ঝলক আমাকে দেখেই বন্ধ করে দিয়েছিল। দেখার মতো কিছু পায়নি। তারপর সে ভারতে ফিরল। তারপর একদিন সে এয়ারপোর্টে মাকে আনতে গেল। তার মা ইংরেজ। নাম অ্যানাবেল। তিনি ভারতে ৩০ বছর ধরে সামাজিক কাজ করেছেন। সেই দিন আমিও ফিরছি ইংল্যান্ড থেকে। আর সেইদিন এয়ারপোর্টে অঞ্জলির সঙ্গে আমার প্রথম শুভদৃষ্টি।
এবার আপনাদের শোনাই এই গল্পের অঞ্জলি-সংস্করণ: যেদিন অঞ্জলি আমাকে বিমানবন্দরে দেখল, তার পরের দিন ও এক বন্ধু, মুফাজাল, মুফি লকদাবালাকে বলল, (মুফি এখন খুব নাম করা এক সার্জন) ‘তুমি তো ক্লাব ক্রিকেট খেলে অনেক ক্রিকেটারকে বন্ধু করেছ, আমাকে ওদের কারও কাছ থেকে শচীনের টেলিফোন নম্বর জোগাড় করে দাও।’
এয়ারপোর্ট থেকে বাড়ি ফিরে অঞ্জলি নাকি বাবা-মায়ের কাছে সেই দিনই আপাতভাবে মজা করে ঘোষণা করল, সে আজ এয়ারপোর্টে এমন এক মানুষকে দেখতে পেয়েছে যাকে সে বিয়ে করতে চায়!
মুফি আমার নম্বর জোগাড় করে অঞ্জলিকে দিয়েছিল। এবং ভাগ্যের কী খেলা, ফোনটা বাজতে আমিই ধরলাম। তখনও আমরা মোবাইল ফোনের দেখা পাইনি। আর আমি তো বাড়িতেই থাকতাম না বেশির ভাগ সময়। সারাদিন তো খেলছি। সেই দিন বাই চান্স বাড়ি ছিলাম আর হ্যালো বললাম। বলতে পারা যায়, আমাদের ভাগ্যের গ্রহনক্ষত্র আমাদের মিলিয়ে দিল।
আমি ফোন ধরতেই ও হয়তো বুঝতে পেরেছিল আমিই ফোন ধরেছি। বলল, ‘আমি সেই এয়ারপোর্টের মেয়ে। দেখা করতে চাই।’ কিন্তু দেখা করা কি অত সহজ? ইংল্যান্ডের সেই সেঞ্চুরির পরে আমি একটু একটু বিখ্যাত হয়েছি। লোকে রাস্তায় আমাকে চিনতে পারে। তবে আমি সেই অসুবিধের কথা অঞ্জলিকে মুখফুটে বলতে পারি না। পাছে ও ভেবে বসে, আমি চাল মারছি। একদিন বললাম, অঞ্জলি, তুমি রিপোর্টার সেজে আমাদের বাড়িতে এসো। আমার ইন্টারভিউ নিতে। ও তাই করল। এই প্রথম আমাদের বাড়িতে মহিলা সাংবাদিকের আবির্ভাব। আমার এক বৌদি সন্দেহ করল, এই সেই মেয়ে যে, আমার সঙ্গে টেলিফোনে রোজ গল্প করে। এর পর এই দেখা না দেখার খেলা হাজার অসুবিধের মধ্য দিয়ে আরও অনেকদিন চলল। যা এ যুগের ছেলেমেয়েরা বুঝবে না। সে যুগে যদি মোবাইল থাকত, আমাদেরও অতটা কষ্ট হত না। যাই হোক, এবার অনেক দীর্ঘ গল্প ছোট করি।
……………………………….
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
……………………………….
২৪ এপ্রিল, ১৯৯৪। আমার ২১তম জন্মদিন। অঞ্জলির আর আমার এনগেজমেন্ট হল। দক্ষিণ মুম্বইতে অঞ্জলির বাড়িতে আত্মীয় আর কিছু বন্ধু মিলে ছোট্ট পারিবারিক আয়োজন।
২৫ মে ১৯৯৫। অঞ্জলি মেহেতার সঙ্গে আমার বিয়ে হল। অঞ্জলি বলল, ‘সংসারের ভার আমি নিলাম। তুমি ভারতের জন্য ক্রিকেট খেল, এটাই আমি চাই।’ আমার মা অঞ্জলিকে পরিয়ে দিলেন মঙ্গলসূত্র। সে হল অঞ্জলি তেণ্ডুলকর।
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা
পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই
পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না
পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা
পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ
পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?
পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!
পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল
পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো
পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়
পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!
পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে
পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে
পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি
পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল
পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল
পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল
পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
পর্ব ২: লেখার টেবিল ভয় দেখিয়েছিল টি এস এলিয়টকে
পর্ব ১: একটি দুর্গ ও অনেক দিনের পুরনো নির্জন এক টেবিল