বিসমিল্লা পাঁচ ওয়াক্ত নমাজ পড়তেন, তাঁরই সারাদিনের সাধনায় অসংখ্য রাধাকৃষ্ণর বিরহের সুর। আমি দেখেছি, রাধার বিরহের বাজনা বাজাতে বাজাতে খাঁ সাহেবের চোখ দিয়ে টপটপ করে জল পড়ছে। উস্তাদ বিসমিল্লা খাঁ-র মৃত্যুদিনে, তাঁকে দিয়েই শুরু হল নতুন কলাম ‘ঘোষবর্ণ’।
১৯২০-র দশক থেকে গান্ধিবাদী রাজনীতি ও বিশ্বযুদ্ধ-দুর্ভিক্ষ-দাঙ্গা বিদ্ধস্ত সময়ে বামপন্থী রাজনীতিতে মেয়েদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। তবে চাকরিজীবী মেয়েদের রাজনীতিতে তাঁদের ‘মহিলা’ ও ‘চাকুরিরতা’ এই দুই সত্তার কতটা মেলবন্ধন হয়েছিল সে প্রশ্ন রয়ে যায়।
আমি জুলিয়া রবার্টস ‘ইট প্রে লাভ’-এর নায়িকা লিজ হয়ে উঠলাম। এবং লিজ আমার মধ্যে থেকে গেল। আমি যে হিন্দু হয়েছি, সেটা লিজের প্রভাবে।
দুটো সত্তা যখন একে-অপরের ওপর চেপে বসে, তখন কখনও কখনও সেটা ক্লিনিকাল অসুখে পরিণত হয়। যাঁর দুটো সত্তার মাঝের সুস্পষ্ট ভেদটা মুছে যায়, তখন অসুখের সূত্রপাত হয়। আর এটা কিন্তু ব্যক্তি নিজে বুঝতে পারেন না। পারেন তাঁর আশপাশের মানুষ
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর যে বিশেষ সাক্ষাৎকার আমরা গ্রহণ করি, সেখানে সুনীলের একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তিনি ‘হো হো’ করে হেসে প্রসঙ্গান্তরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সুনীল বলেছিলেন, ‘এরকম শোনা যায়, আপনি নাকি একসময় রাস্তায় বাসে-ট্রামে কোনও সুন্দরী রমণীর দেখা পেলে কাউকে বুঝতে না দিয়ে তাঁকে নীরবে অনুসরণ করতেন?’
মাথা পাকা না হলে জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর মনস্তাত্ত্বিক লেখা বোঝা বেশ কঠিন। মনে হয়, এই কঠিনের জন্যই প্রচারের আলো থেকে অনেক দূরে। যে-প্রচার আশাপূর্ণা দেবী বা বিমল মিত্ররা পেয়েছেন।
বিগত তিন বছরে দিল্লিতে কুকুরজনিত রোগ রেবিসে মৃতের সংখ্যা শূন্য, বাকি অপরাধের সংখ্যার পরিসংখ্যান বাদ দিয়ে যদি শুধু ধর্ষণের সংখ্যা গোনা হয়– হয়তো একই নিয়মে দিল্লির সমস্ত পুরুষদের শেলটারে বন্দি করে রাখা উচিত। এবং কোনও অবস্থাতেই ছাড়া সম্ভব নয়।
আমরা বহুদিন ধরে বুঝি এবং মানি, ঈশ্বরের থাকা-না-থাকা নিয়ে যে দু’টি তরফ আছে দেশে, তারাই যথাক্রমে ‘আস্তিক’ ও ‘নাস্তিক’। তাঁর অস্তিত্ব মানে যে সে আস্তিক, যে তাঁর না-থাকায় ভরসা রাখে সে নাস্তিক। তিনি ছাড়া কিছুই আর নেই, এই যা কিছু দেখছি কিংবা দেখছি না– এই সবই তিনি কিংবা তাঁরই বিচ্ছুরণ, এমনকী, আমিও তাই, তাঁরই অন্তর্গত, তাঁরই ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, বাসনা। এই অর্থে সবচেয়ে বেশি আস্তিক আসলে চরম না-পন্থী।
আসলে জেগে, ঘুমিয়ে একটা যৌথ স্বপ্ন আমরা দেখছিলাম। দারুণ একটা পত্রিকা করার। কাউকে টক্কর দেওয়ার মতো করে না। নিজের মতো করে। পাঠকের কথা আগেভাগেই ভেবে নয়, পাঠকের কাছে ভালো লেখা পৌঁছে দিয়ে দেখা, পাঠক কী করছেন, পড়ছেন? সেটাই আমাদের পথ।
শিষ্য যখন গুরুর কাছে আসে, সে আসে অজ্ঞানতা নিয়ে– হয়তো আঘাতে জর্জরিত হয়ে আশ্রয়ের জন্য আসে। কিন্তু একে প্রকৃত গুরুসান্নিধ্য বলা যেতে পারে না। এই সান্নিধ্য মূলত আশ্বাসের জন্য, মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শের জন্য। সেই সান্নিধ্য ক্ষণস্থায়ী।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved