E-Robbar
শরীর ও মনকে আধ্যাত্মিকতার সূত্রে বাঁধতে পারে, এমন অনেক যোগ-ব্যায়াম মাথায় হাত না-দিয়ে হয় না। এবং সেই বিজ্ঞানের বয়সও হাজার বছরের ভয় ও কুসংস্কারের থেকে কিঞ্চিৎ বেশি। কিন্তু কলোনিয়াল হ্যাংওভারে ভুগতে ভুগতে আমরা সে সব যুক্তি মাথায় রাখিনি। রেখেছি মাথায় হাত না রাখার কুসংস্কার।
সৌকর্য ঘোষাল ও
মৃত্যু সম্পর্কে শ্রীরামকৃষ্ণ কী ভাবতেন, সে কথা নানা সময় বলে গিয়েছে নানা জনের সঙ্গে আলাপে-সংলাপে। আজ শ্রীরামকৃষ্ণর মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশেষ নিবন্ধ শ্রীরামকৃষ্ণর মৃত্যুভাবনা নিয়েই।
দেবাঞ্জন সেনগুপ্ত ও
যে মানুষগুলো সারাটা জীবন সড়কের পাশের রাস্তাটাকে নিজেদের বাসস্থান ভেবেছে, তাঁদের কাছে পথকুকুররা তো পোষ্য। সেই পোষ্যকে যদি আইন করে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়, তাহলে কি ফুটপাথবাসীদের পোষ্যের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না?
আদিত্য ঘোষ ও
বাঙালির মতো মিশেলবাজ আর কে আছে? যেখান থেকে যা পাচ্ছে নিজের মিশেলে দিশি করে নিচ্ছে। বাঙালি দিশির চাদরে বিদেশিকে ঢুকিয়ে সংকর করে তোলে, বিদ্যাসাগরও তাই করেছিলেন।
বিশ্বজিৎ রায় ও
টাইপিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের একচেটিয়া ছিল টেলিফোন অপারেটরের কাজ। শুধু কলকাতা শহরে নয়, বিশ্ব জুড়েই এই কাজের জন্য মেয়েদের বিশেষ ভাবে উপযোগী মনে করা হত। এর নেপথ্যেও ওই একই যুক্তি– মেয়েদের গলার স্বর, কথা বলার ভঙ্গি ইত্যাদি।
অন্বেষা সেনগুপ্ত ও সীমন্তিনী মুখোপাধ্যায় ও সুপূর্ণা ব্যানার্জি ও
হামাগুড়ি দিলেও বাঙালি সমাজে গোপাল কিন্তু নিতান্ত ‘শিশু’ নয়। এপার বাংলা আর ওপার বাংলা এক হয়ে গিয়েছে গোপালের কাছে। শহরে গোপাল তাঁর ঈশ্বরত্ব সরিয়ে রেখে ঘরের এক মানুষ হয়ে গিয়েছেন সময়ের সঙ্গে।
পিনাকী ভট্টাচার্য ও
তান্ত্রিক থ্রিলারের ‘ফর্মুলা’ খুব সোজাসাপ্টা– অকাল্ট এমন এক প্র্যাক্টিসের ইতিহাসের অতল হতে উত্থান হবে যা পেগান, আধিভৌতিক, তামসিক, ভীতিপ্রদ আসলে ‘অনাধুনিক’। তার সাথে সংঘাত হবে এমন কিছু বাঙালির যারা উচ্চবর্ণ হিন্দু, যাদের কাছে আধুনিকতা ‘আছে’। অর্থাৎ একধরনের সাবর্ণ ‘ভদ্রলোক’ আধুনিকতা ও অবদমিত মধ্যযুগীয় প্রাগাধুনিকের বিভীষিকার কনফ্রন্টেশনের গল্প।
অনিন্দ্য সেনগুপ্ত ও