গোপন অঙ্গে তিল মানে আবার রোমান্টিক চ্যালেঞ্জ! এটি কার কার রয়েছে, এখানে বলা মুশকিল কিন্তু যার যারই রয়েছে তারা বিবেককে (অগ্নিহোত্রী নয়) প্রশ্ন করে দেখতে পারেন!
সেকালের ডাকাতদের অত্যাচার ছিল ভয়ংকর। মেয়েদের গায়ে হাত দিত না। কিন্তু সব রাগ পুষিয়ে নিত বাড়ির পুরুষকে বাগে পেলে। উনুনে আগুন জ্বেলে তামার টাটে ন্যাংটো বসিয়ে চেপে ধরত। কিংবা ঢেঁকির গড়ে উপুড় করে শুইয়ে দুটো দশাসই ডাকাত পার দিত মাজার ওপরে। মাঝার হাড় ছাতু হয়ে যেত।
অঘোরকামিনী সময়ের রীতি মেনে দেবী হননি, হয়েছিলেন, ‘রায়’, ‘মিসেস রায়’। এই কারণে যদি বলি, অঘোরকামিনী রায়, ডক্টর বিধানচন্দ্র রায়ের মা, তাহলে বোধহয় নিজেকে আবদ্ধ করলাম প্রথাগত চিন্তার আবদ্ধতায়। অপমান করে বসলাম, প্রবল আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, ব্যতিক্রমী সেই নারীকে। বরং মনের মুক্তি সঙ্গে কলমের শান্তি লেগে থাকে, যদি বলি, অঘোরকামিনী রায়ের কনিষ্ঠ সন্তান পশ্চিমবঙ্গের রূপকার তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর বিধানচন্দ্র রায়।
বিসমিল্লা পাঁচ ওয়াক্ত নমাজ পড়তেন, তাঁরই সারাদিনের সাধনায় অসংখ্য রাধাকৃষ্ণর বিরহের সুর। আমি দেখেছি, রাধার বিরহের বাজনা বাজাতে বাজাতে খাঁ সাহেবের চোখ দিয়ে টপটপ করে জল পড়ছে। উস্তাদ বিসমিল্লা খাঁ-র মৃত্যুদিনে, তাঁকে দিয়েই শুরু হল নতুন কলাম ‘ঘোষবর্ণ’।
১৯২০-র দশক থেকে গান্ধিবাদী রাজনীতি ও বিশ্বযুদ্ধ-দুর্ভিক্ষ-দাঙ্গা বিদ্ধস্ত সময়ে বামপন্থী রাজনীতিতে মেয়েদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। তবে চাকরিজীবী মেয়েদের রাজনীতিতে তাঁদের ‘মহিলা’ ও ‘চাকুরিরতা’ এই দুই সত্তার কতটা মেলবন্ধন হয়েছিল সে প্রশ্ন রয়ে যায়।
আমি জুলিয়া রবার্টস ‘ইট প্রে লাভ’-এর নায়িকা লিজ হয়ে উঠলাম। এবং লিজ আমার মধ্যে থেকে গেল। আমি যে হিন্দু হয়েছি, সেটা লিজের প্রভাবে।
দুটো সত্তা যখন একে-অপরের ওপর চেপে বসে, তখন কখনও কখনও সেটা ক্লিনিকাল অসুখে পরিণত হয়। যাঁর দুটো সত্তার মাঝের সুস্পষ্ট ভেদটা মুছে যায়, তখন অসুখের সূত্রপাত হয়। আর এটা কিন্তু ব্যক্তি নিজে বুঝতে পারেন না। পারেন তাঁর আশপাশের মানুষ
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর যে বিশেষ সাক্ষাৎকার আমরা গ্রহণ করি, সেখানে সুনীলের একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তিনি ‘হো হো’ করে হেসে প্রসঙ্গান্তরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সুনীল বলেছিলেন, ‘এরকম শোনা যায়, আপনি নাকি একসময় রাস্তায় বাসে-ট্রামে কোনও সুন্দরী রমণীর দেখা পেলে কাউকে বুঝতে না দিয়ে তাঁকে নীরবে অনুসরণ করতেন?’
মাথা পাকা না হলে জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর মনস্তাত্ত্বিক লেখা বোঝা বেশ কঠিন। মনে হয়, এই কঠিনের জন্যই প্রচারের আলো থেকে অনেক দূরে। যে-প্রচার আশাপূর্ণা দেবী বা বিমল মিত্ররা পেয়েছেন।
বিগত তিন বছরে দিল্লিতে কুকুরজনিত রোগ রেবিসে মৃতের সংখ্যা শূন্য, বাকি অপরাধের সংখ্যার পরিসংখ্যান বাদ দিয়ে যদি শুধু ধর্ষণের সংখ্যা গোনা হয়– হয়তো একই নিয়মে দিল্লির সমস্ত পুরুষদের শেলটারে বন্দি করে রাখা উচিত। এবং কোনও অবস্থাতেই ছাড়া সম্ভব নয়।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved