ঈশ্বর আর প্রকৃতির এই পার্থক্যের রূপটি স্পষ্ট করতে রবীন্দ্রনাথ দাবাখেলার উল্লেখ করেছেন।
মনে হচ্ছে, কোথাও একটা পৌঁছনোর আছে কিন্তু কোনওকালেই পৌঁছতে পারছি না। রবীন্দ্রনাথের মনে তাই প্রশ্ন জাগছে, ‘আমাদের অস্তিত্বই কি এইরকম অবিশ্রাম চলা, এইরকম অনন্ত সন্ধান?’
১৩১৭ পঁচিশে বৈশাখ উপাসনাগৃহে নিজের জন্মদিনের উৎসবে রবীন্দ্রনাথের উচ্চারণ, ‘এই যেখানে তোমাদের সকলের সঙ্গে আমি আপন হয়ে বসেছি, এ আমার সংসারলোক নয়, এ মঙ্গললোক।
রবীন্দ্রনাথ অনুভব করেছেন, পরিপূর্ণতা আমাদের ছোট ছোট সংকীর্ণ চেষ্টার ওপর নির্ভর করে না।
এই-যে নববর্ষ আজ জগতের মধ্যে এসে দাঁড়িয়েছে, এ কি আমাদের হৃদয়ের মধ্যে প্রবেশ করতে পেরেছে? এই প্রশ্ন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
একদিকে অনেককে হারিয়েও আর একদিকে এককে পাওয়া যায়– এই কথাটি জানার সুযোগ আমাদের জীবনেই ঘটে।
তপোবনে ভারতবর্ষের ঋষি যে কথা বলেছেন, পল্লিগ্রামের বৈরাগী বাউলের মুখেও সেই একই কথার সুর শুনলেন রবীন্দ্রনাথ।
দান আর ব্যয়ের পার্থক্যের কথা মনে করেছেন রবীন্দ্রনাথ।
আমাদের নবীন চিত্ত সকলকে একবার অমৃতের পুত্র বলে বোধ করুক, এই প্রার্থনা।
আমাদের প্রত্যেকের অন্তর-প্রকৃতির মধ্যে পুরুষ নারী এক হয়ে আছে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved