কলকাতা বা ভারতে কুস্তির মূল জায়গা ছিল ধনী পৃষ্ঠপোষকদের আখড়ায় বাঁধা-মাইনের কুস্তিগিরদের লড়াই। গোবর নিজে সেরকম এক ধনী পরিবারের ছেলে, ফলে তাঁকে অন্যান্য নামজাদা কুস্তিগিরের মতো লোকে আদৌ সম্মান করবে কি না, এই নিয়ে সন্দেহ ছিল।
ব্যঙ্গ করে গানের দল বলে, ‘আমরা পাঞ্জাবীদের প্যাঁইয়া বলি, মাড়োয়ারি মাউরা/তবু নন-কমিউনাল দেয়াল লিখি ক্যালকাটা টু হাওড়া!’
মেটিয়াবুরুজের এই আওয়াধি-সংস্কৃতি শুধু ওই অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ ছিল না। কলকাতা শহরের অন্যত্রও এই নিয়ে আলাপ-আলোচনা, আসর-মেহফিল হতে শুরু করে ধীরে ধীরে।
এই ছবিমালা কলকাতা বিশেষ দেখেনি। পত্র-পত্রিকায় বা বৌদ্ধিক আলাপ-আলোচনায় খুব বেশি উল্লেখ পাওয়া যায় না এই বিশাল অ্যালবামের। বলা বাহুল্য, শহরের অতীতচর্চায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এইসব ছবি। নাগরিক জীবনের এক বিশেষ রূপ পাওয়া যায় এগুলিতে।
রাজনীতির ক্ষেত্রে যেমন ছিল ‘বন্দেমাতরম’ তেমনি খেলার ক্ষেত্রে ‘মোহনবাগান’। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত একথা লিখেছিলেন ‘কল্লোল যুগ’-এ।
‘নাগরিক ইতিহাস’-এর জনজীবনে সাধারণ মানুষের প্রবল উপস্থিতি অগ্রাহ্য করা সম্ভব নয়। তাই পেশাদার সমাজ বিজ্ঞানী বা ইতিহাসবিদও গুরুত্ব দিয়ে পড়েন এই আলাপ-আলোচনা, স্মৃতিচারণা, বা সামাজিক-সাংস্কৃতিক বয়ানগুলিকে।
যাবতীয় আলাপ-আলোচনা সত্ত্বেও আমরা এখনও কলকাতার ‘অভাব’ নিয়ে গবেষণা থামাতে পারিনি। সবসময়েই কলকাতা ধাওয়া করে চলেছে ‘উন্নয়ন’-এর। তাই বিশ্বের তো বটেই, ভারতের অন্যান্য বড় শহরের সঙ্গে প্রতিযোগিতাতেও কলকাতার হার নিশ্চিত।
১৮৮২ সালে কোচবিহারের মহারাজের পৃষ্ঠপোষকতায় কলকাতায় চালু হয় ‘ইন্ডিয়া ক্লাব’। প্রথম বছরেই ক্লাবের সদস্য সংখ্যা ছিল ২০০; ১৮৯০ সালে তা গিয়ে দাঁড়ায় ৪৩৫-এ। বেঙ্গল ক্লাবের সদস্য সংখ্যা সেই সময়ে ছিল ৮০০-র কাছাকাছি।
অভিভাবক-হীন বড় শহরে যুবদের মেসবাড়িতে বসবাস করার এক অন্য দিকও ছিল, যা অনেকের কাছেই আদর্শ ছাত্র-জীবন হিসেবে গণ্য হত না।
এই আইনের ফলে যে তাঁদের বিশেষ ক্ষতি হবে তা খুব বুঝতে পেরেছিলেন পালকি বাহকরা। আইন চালু হওয়ার দু’দিন আগে, ১৮৬৪-র ২৬ ফেব্রুয়ারি, কলকাতার বেহারারা ধর্মঘটের ডাক দেন।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved