Robbar

নাটকের মহলা পছন্দ হলে তবেই তিস্তাপারের বৃত্তান্তর অনুমতি দেবেন, বলেছিলেন দেবেশ রায়

এক বছর ধরে ওয়ার্কশপ, মাস পাঁচেকের রিহার্সালের পর একদিন দেবেশদা যান চেতনা নাট্যদলের মহলাকক্ষে। নাটকের অভিনয় দেখে তিনি না কি হাততালি দিয়ে উঠেছিলেন এবং সেদিনই মন্তব্য করেছিলেন যে এটা বাংলা নাটকের ইতিহাসে একটা অভিনব ঘটনা হতে চলেছে।

→

নিজের বইপত্র বিক্রির বিবরণ দেখে হতাশ হয়েছিলেন দেবেশ রায়

উত্তরবাংলায় কৃষক আন্দোলন করেছেন। সেই জীবন-অভিজ্ঞতার নানা দিক কাজে লেগেছে ‘তিস্তাপারের বৃত্তান্ত’ উপন্যাসে। ‘তিস্তাপারের বৃত্তান্ত’ যখন টুকরো-টুকরো অংশ হিসাবে বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে, তখন থেকেই তা বিদগ্ধজনের নজরে আসে।

→

থ্রিলার, রহস্য-রোমাঞ্চ কিংবা ক্রাইম স্টোরি অনেক দিন ধরেই বইপাড়ায় ‘সুপারহিট’

আমি প্রকাশনার কাজ শুরু করার পরেই এই ধরনের বেশ কিছু বই করেছিলাম। তখনও দেখতাম এই সব বইয়ের নির্দিষ্ট একটা পাঠক আছে।

→

অলংকরণ বা প্রচ্ছদশিল্পীদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা নেই, সখেদে চিঠি লিখেছিলেন নারায়ণ সান্যাল

নারায়ণ সান্যাল শুধু বড়ো লেখক ছিলেন না, তিনি কত বড়ো মনের মানুষ ছিলেন তা এই চিঠিতে ধরা পড়ে। একটা বই যে অনেক মানুষের সমবায়ী শ্রম ও শিল্পবোধে গড়ে ওঠে তা তিনি বুঝতেন।

→

রাস্কেল, পাষণ্ড পণ্ডিত, প্রবঞ্চক, বিশ্বাসঘাতক– নারায়ণ সান্যালের বইয়ের নাম নিয়ে প্রবল আপত্তি ছিল আমার!

নারায়ণ সান্যালের বইয়ের সব অদ্ভুততর নাম। বিশ্বাসঘাতক, প্রবঞ্চক, না-মানুষ, রাস্কেল– আরও কত সব। দে’জ-এর কাউন্টারে এসে পাঠকদের বলতে শুনেছি, ‘একটা বিশ্বাসঘাতক নারায়ণ সান্যাল দিন’ বা ‘প্রবঞ্চক নারায়ণ সান্যাল দিন’।

→

সিগারেট ঠোঁটে রথীন্দ্রনাথের ছবি প্রচ্ছদে যাওয়া নিয়ে উঠেছিল প্রবল আপত্তি!

এই ছবিটা পাওয়ার পর অপু স্থির করে এ-ছবি দিয়েই বইয়ের মলাট হবে। বিভিন্ন মহলের আপত্তির কথা অপুকে বলায় সে আমাকে বলেছিল– রথীন্দ্রনাথ নিজে যদি সচেতনভাবে এই ছবি তুলতে পারেন, তাহলে আমাদের আপত্তির কী কারণ থাকতে পারে!

→

শান্তিনিকেতন থেকে কলেজ স্ট্রিট, প্রুফ আদান-প্রদানে সহায়ক ছিলেন বই ব্যবসায়ীরাই

শান্তিনিকেতন থেকে সুবর্ণরেখা-র ইন্দ্রদাও (ইন্দ্রনাথ মজুমদার) কখনও স্নেহপরবশ হয়ে আমাকে প্রুফ এনে দিয়েছেন। তবে ‘বোলপুর বুক হাউস’, ‘পুঁথিঘর’, ‘বর্ণপরিচয়’– এইসব বইয়ের দোকানের কাছে আমার অনেক ঋণ।

→

পাণ্ডুলিপি জমা দিয়ে সোমেনদা বলেছিলেন, রামকিঙ্করকে নিয়ে এ জাতীয় বই আগে লেখা হয়নি

‘রবীন্দ্র-চিত্রকলা: রবীন্দ্রসাহিত্যের পটভূমিকা’ বইটির একটি জাপানি অনুবাদও প্রকাশিত হয়েছিল। একটি চিঠিতে সোমেন্দ্রনাথ আমাকে জানিয়েছিলেন সেই কথা, যে, Sea Mail-এ নাকি সেই বই আসছে। এলে আমার জন্যও একটি কপি থাকবে। সে-বই নিশ্চয়ই ট্যাংরা এলাকার পাগলাডাঙায় আমাদের লাইব্রেরিতে খুঁজলে পাওয়া যাবে।

→

‘কীর্তির্যস্য’র নাম বদলাতে চেয়েছিলেন ভবতোষ দত্ত

কলকাতার ট্রামলাইনের পথ ছেড়ে শান্তিনিকেতনের ছায়া সুনিবিড় পথের হাঁটা ও মাঝে মাঝে খরতর দিবাকর স্পর্শ পাঠক উপভোগ করুন। এই পর্বে দেখা হয়েছে দুই নিবিড় প্রাবন্ধিক, ভবতোষ দত্ত ও নেপাল মজুমদারের সঙ্গে।

→

কবি-দার্শনিকের বাইরে আরেক রবীন্দ্রনাথকে খুঁড়ে বের করেছিলেন অমিতাভ চৌধুরী

অমিতাভ চৌধুরী তখনকার দিনে খুবই নামকরা সাংবাদিক ছিলেন। প্রথমজীবনে কিছুদিন শান্তিনিকেতনে পড়িয়েছেন, তারপর ১০ বছর ছিলেন ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র বার্তা সম্পাদক। লেখক এবং ছড়াকার হিসেবেও তিনি সেসময় রীতিমতো খ্যাতিমান। রবীন্দ্রনাথ আর শান্তিনিকেতন ছিল তাঁর প্রাণ।

→