‘চলচ্চিত্র মানুষ এবং আরো কিছু’ বইটি প্রকাশের পরে পাঠকমহলে যথেষ্ট সাড়া পড়ে যায়। দু’-মলাটের মধ্যে ঋত্বিকের এতগুলো লেখা এর আগে কখনও আসেনি। তবে এ-কাজটিও সুরমা বউদি এবং ঋতবান ঘটকের সাগ্রহ অনুমোদন ছাড়া করা সম্ভব হত না।
মহাশ্বেতাদির নিজের সংগ্রহ, প্রকাশকের ঘরে থাকা বই নিয়ে কাজ শুরু হল। কিন্তু যেসব পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে সেই সব কাগজ কোথা থেকে পাওয়া যাবে! আবার মহাশ্বেতাদি যেসব পত্রিকার পাতা ছিঁড়ে রেখেছিলেন সেখানেও দেখা গেল নানা অসঙ্গতি। কোথাও দেখা গেল লেখার শেষাংশ নেই। বোঝাই যাচ্ছে, কতটা ‘সহজ’ দায়িত্ব অজয়দার কাঁধে এসে পড়েছিল!
‘তিন কন্যা’ ও ‘অধবা’ নামে দু’টি নভেলেট একত্রে গ্রথিত হয়েছিল দে’জ থেকে। বইটির পরিচিতিতে লেখা হয়েছিল– ‘রাজনীতি যখন জনকল্যাণের পথ ছেড়ে দলকল্যাণের হাতিয়ার হয়ে ওঠে, তখন তা সমাজকে অবক্ষয়ের কোন নরকে পৌঁছে দেয়– তারই এক নিরাবরণ চিত্র… ‘তিনকন্যা’ ও ‘অধবা’…।’
শীর্ষেন্দুদার আজ ৯০ তম জন্মদিন। আমার সঙ্গে তাঁর পরিচয় বিমল করের মাধ্যমে ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র দপ্তরে। ততদিনে শীর্ষেন্দুদা রীতিমতো বিখ্যাত লেখক। দে’জ থেকে তাঁর প্রথম বই ‘আক্রান্ত’ ছাপা হয় ১৯৮৫ সালের বইমেলার সময়। সেই হিসেবে তাঁর সঙ্গে দে’জ পাবলিশিং-এর সম্পর্কের এটা ৪০ বছর পূর্ণ হল।
‘অলীক মানুষ’কে অনেকেই সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে মনে করেন। বাংলা ভাষায় ‘অলীক মানুষ’ ক্লাসিকের মর্যাদা পেয়েছে। কোনও একটি উপন্যাসকে আমি এতগুলো পুরস্কার পেতেও দেখিনি। এই উপন্যাস যখন তিনি লিখছেন তখনই আমার সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছিল– লেখা শেষ হলে দে’জ পাবলিশিং থেকেই বইটি প্রকাশিত হবে।
বহুলপ্রচারিত একটি পাক্ষিক পত্রিকায় অনেক বিজ্ঞ সমালোচক লিখেছিলেন, অভিজ্ঞতা থেকে উপাদান কুড়িয়ে আমি গল্প লিখি বলে আমি নাকি ‘তারাশঙ্কর সমগোত্রীয়’। তারাশঙ্কর হিমালয়। আমি নিতান্ত উইঢিপি। লিখেছিলেন সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ।
সিরাজদা তখনও ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকায় আসেননি। তাঁকে সেই সময় সবাই ‘অমৃত’ গোষ্ঠীর লেখক বলেই জানত। প্রফুল্লদা আমাকে বলেছিলেন, সিরাজদার রাঢ় বাংলার– বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গার পশ্চিমপারের গ্রামাঞ্চল সম্পর্কে বিপুল অভিজ্ঞতা। গ্রামের মানুষ, জীবনকে দেখেছেন দু’-হাত ভরে।
পুলিসের এক কর্তা বেহুঁশ হয়ে পড়ে আছে নেশায়, নেশার ঝোঁকেই পচাগলা একটা মৃতদেহকে পুড়িয়ে দিতে হুকুম করছে কনস্টেবলদের। গল্পের এই পর্যন্ত যা আছে, ঠিকই আছে। তার পরেই বিপদ। কী সেই বিপদ?
‘দোজখ্নামা’ পত্রিকায় প্রকাশের সময় থেকেই পাঠকরা সেটি মুগ্ধতার সঙ্গে পড়েছেন। সুনীলদা ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’য় এই বইটিকে ২০১০ সালে বাংলা ভাষায় লেখা সেরা বই বলেছিলেন। বই হওয়ার পর সেই ভালোলাগা আরও বেড়ে যায়। একটি উপন্যাসকে নিয়ে অনেকদিন পরে এতটা উচ্ছ্বসিত হয় বাংলার পাঠক। আমি দেখছিলাম ২০২৩ পর্যন্ত বইটি ছ’ বার ছাপা হয়েছে।
বাংলা উপন্যাসে দেবেশদার ‘বৃত্তান্ত’র মতোই আমার মনে হয় আফসারদার ‘কিস্সা’ একটি অভিনব সংযোজন। আরবিতে ‘কিস্বহ’ মানে গল্প-কাহিনি। উর্দু উচ্চারণে সেটি হয়েছে ‘কিস্সা’। বাংলা প্রয়োগে সেটাই দাঁড়িয়েছে ‘কেচ্ছা’য়। আফসারদা মূল অর্থেই শব্দটা প্রয়োগ করেছিলেন।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved