প্রেমের এই হিংস্র-বিকার থেকে রবীন্দ্রনাথ কখনও কখনও তাঁর রাজাদের মুক্তও করেন। যে নব্য-রবীন্দ্র-পাঠক সরল-তরলতায় বিক্রমদেবকে ‘toxic’ বলবেন, তাতে এক অর্থে ভুল নেই। তবে তাঁকে সেই নব্যপড়ুয়াকে শোনানো যেতে পারে রবি ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’। ‘রক্তকরবী’র খুনে রাজা তাঁর স্বভাবের বিকার থেকে শেষ অবধি মুক্তি পেয়েছিল।
৩৬.
রবীন্দ্রনাথের সময় ‘toxic relationship’ এই শব্দবন্ধ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। হওয়ার কথাও নয়। দু’জনের মধ্যবর্তী সম্পর্কে মতবিরোধ ও সংঘর্ষ স্বাভাবিক। তাই বলে প্রতিনিয়ত যদি একজন অপরজনকে সর্বস্ব দিয়ে দখল করতে চায়, যদি কৌশলে অপরের ওপর আবেগের আতিশয্য প্রকাশ করে চাপিয়ে দিতে চায় নিজের সিদ্ধান্ত, তাকে ছাড়া অপরজন যদি সামাজিক কাজে কিংবা অন্য বিবিধ সহজ সম্পর্কে ভালো থাকে তাহলে যদি সেই ভালো থাকাকে আঘাত করতে চায় দুর্দান্ত-বিকারবিলাসী/ বিলাসিনী, বাক্-অসম্মানে যদি বিদ্ধ করে প্রতিনিয়ত তাহলে একালের মনোবিদেরা বলেন দু’জনের মধ্যে এ-সম্পর্ক মানসিক স্বাস্থ্য-সম্মত নয়। বলেন, ‘toxic relationship’ – পরামর্শ দেন সযত্নে পরস্পরের থেকে দূরে যেতে। নতুন করে জীবনকে ইতিবাচক ভাবে গড়ে তোলার কথাও বলেন।
রবীন্দ্রনাথের সময় মনোবিজ্ঞানের দিগন্ত একালের মতো বিচিত্র পথগামী না-হলেও উন্মোচিত হতে শুরু করেছিল। ফ্রয়েডের চিন্তার ঢেউ ভারতবর্ষে এসে লেগেছিল। বিশ শতকে গিরীন্দ্রশেখর বসুর সঙ্গে ফ্রয়েডের পত্রবিনিময় ঘটল। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত মনোবিজ্ঞানের চর্চার সূত্রপাত হল। রবীন্দ্রনাথ ও ফ্রয়েডের ভাবনার তুলনা নিয়ে ইতি-উতি গবেষণা পত্রও চোখে পড়ে ( শান্তনু বিশ্বাস: ‘রবীন্দ্রনাথ টেগোর অ্যান্ড ফ্রয়েডিয়ান থট’, শীতাংশু রায়: টেগোর, ‘ফ্রয়েড অ্যান্ড ইয়ুং অন আর্টিস্টিক ক্রিয়েটিভিটি: অ্যা সাইকোফেনোমেনোলজিকাল স্টাডি’)। রবীন্দ্রনাথের লেখাপত্রের বিচিত্র মনোবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও কেউ কেউ তাঁর জীবৎকালে করেছিলেন। ‘ল্যাবরেটরি’ গল্পে কৌতুক ভরে পরম তির্যকতায় রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘মনোবিজ্ঞান বলে, বাংলাদেশে মেট্রিয়ার্কি বাইরে নেই, আছে নাড়িতে। মা মা শব্দে হাম্বাধ্বনি আর-কোনো দেশের পুরুষমহলে শুনেছ কি।’
তবে মনোবিজ্ঞানের পদ্ধতিতন্ত্র নিয়ে তাঁর আগাগোড়াই সংশয় ছিল। বিশেষ করে মনোবিজ্ঞান যখন তথ্যের ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র বিন্দুকে যোগ করে ব্যক্তিমানুষের মনকে বিশেষ একটি প্রকারের বলে দাগিয়ে দিতে চায় তখন রবীন্দ্রনাথ বিরক্ত বোধ করেন। লেখেন, ‘বর্তমান সভ্যতার প্রাণপণ চেষ্টা এই যে, কিছুই ফেলা না যায়, সকলই কাজে লাগে। মনোবিজ্ঞান একটা ক্ষুদ্র বালকের, একটা বদ্ধ পাগলের, প্রত্যেক ক্ষুদ্রতম চিন্তা খেয়াল মনোভাব সঞ্চয় করিয়া রাখিয়া দেয়– কাজে লাগিবে।’
মানুষের মন তো কেবল যুক্তির ও বিশ্লেষণের বিষয় নয় তা অযুক্তির ও অবিশ্লেষণেরও। রবীন্দ্রনাথের সময় মনোবিজ্ঞান নামক শাখা একালের বিস্তৃতি লাভ করেনি বলেই একালে মনোবিজ্ঞানীরা তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা প্রশ্নের যে জবাব দেন সেকালে দেওয়ার উপায় ছিল না।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘রাজা ও রানী’ সাধারণ রঙ্গালয়ে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। পরে এই নাটকটিকে ভেঙে নতুন করে গড়ে তুলেছিলেন ‘তপতী’। এ নাটকে প্রেম ও সুখ এই দুয়ের যে পার্থক্য করেছিলেন তা ফিরে এসেছিল ‘মায়ার খেলা’য়। বোঝা যায়, এ-নাটক রবীন্দ্রনাথের ‘রক্তকরবী’র মতো প্রতিনিধি স্থানীয় রচনা না হলেও এই নাট্যবিষয়টি তাঁকে ভাবিয়েছে। কী এর বিষয়? বিষয় প্রেম।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
মনোবিশ্লেষণের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নিয়ে রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রবিশেষে আপত্তি থাকলেও এবং মনোবিশ্লেষণের পদ্ধতিতে সাহিত্যের চুলচেরা গোয়েন্দা-সুলভ বিচারে বিরক্ত হলেও সৃষ্ট চরিত্রগুলির মনের নানা তল-উপতলকেই প্রকাশ করাই যে আধুনিক সাহিত্যের উদ্দেশ্য, তা মানতেন। আধুনিক উপন্যাস প্রণেতাকে চরিত্রের আঁতের কথা বিশ্লেষণ করতে যে মনের কারখানা-ঘরে নামতে হয় তা জানিয়েছিলেন। নিজের জীবনে গোড়ার দিকে যা সৃষ্টি করেছিলেন তা যখন নিজে পরবর্তীকালে পাঠক হিসেবে পড়েছেন তখন তার মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন মনের চোরাটান।
রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘রাজা ও রানী’ সাধারণ রঙ্গালয়ে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। পরে এই নাটকটিকে ভেঙে নতুন করে গড়ে তুলেছিলেন ‘তপতী’। এ নাটকে প্রেম ও সুখ এই দুয়ের যে পার্থক্য করেছিলেন তা ফিরে এসেছিল ‘মায়ার খেলা’য়। বোঝা যায়, এ-নাটক রবীন্দ্রনাথের ‘রক্তকরবী’র মতো প্রতিনিধি স্থানীয় রচনা না হলেও এই নাট্যবিষয়টি তাঁকে ভাবিয়েছে। কী এর বিষয়? বিষয় প্রেম। যেমন-তেমন প্রেম নয় রাজা বিক্রমদেবের রানি সুমিত্রার প্রতি লাগামছাড়া প্রেম। এ নাটকের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পরিণত রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘বিক্রমের দুর্দান্ত প্রেম প্রতিহত হয়ে পরিণত হয়েছে দুর্দান্ত হিংস্রতায়, আত্মঘাতী প্রেম হয়ে উঠেছে বিশ্বঘাতী।’
একালের কোনও রসিক পড়ুয়া বলে উঠতে পারেন রাজা বিক্রমদেব অত্যন্ত ‘toxic’। কেন? সারাক্ষণ রানি সুমিত্রাকে সমস্ত কাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে মিলন-বিলাসের দমবন্ধ পরিবেশে আটকে রাখতে চায়। রানি তাকে বুঝিয়ে প্রতিহত করতে চাইলেই তীব্র ভাষায় রাজা জানায়,
‘এত প্রেম, হায়, তার এত অনাদর!
চাহ না এ প্রেম? না চাহিয়া দস্যুসম
নিতেছ কাড়িয়া। উপেক্ষার ছুরি দিয়া
কাটিয়া তুলিছ – রক্তসিক্ত তপ্ত প্রেম
মর্ম বিদ্ধ করি। ধূলিতে দিতেছ ফেলি
নির্মম নিষ্ঠুর! পাষাণ-প্রতিমা তুমি,
যত বক্ষে চেপে ধরি অনুরাগভরে,
তত বাজে বুকে।’
‘উপেক্ষার ছুরি’– এই উপমা মনে রাখার মতো। না-বলার উপায় নেই, না-বললেই রাজা বলবে রানি তাকে উপেক্ষার ছুরি মারছে। মনে করিয়ে দেবে কম-বয়সে বালক-বালিকা হিসেবে সারাক্ষণ কত গভীর প্রেমে ডুবে ছিল তারা। অর্থাৎ কিছুতেই অবস্থার বদল পরিবর্তন চলবে না, সম্পর্ক যেভাবে যে-ক্রিয়ার মধ্যে ছিল সেখানেই আটকে থাকতে হবে। কী দমবন্ধ কাণ্ডকারখানা। অসুস্থতা ছাড়া আর কী? শাহরুখ খানের আদ্যিকালের সেই সব নেগেটিভ হিরোর রোল যেন! রবীন্দ্র নাটকে রাজার জিজ্ঞাসা,
‘এ রাজ্যেতে
যত সৈন্য, যত দুর্গ, যত কারাগার,
যত লোহার শৃঙ্খল আছে, সব দিয়ে
পারে না কি বাঁধিয়া রাখিতে দৃঢ়বলে
ক্ষুদ্র এক নারীর হৃদয়?’
‘toxic’ প্রেমিক-রাজা সৈন্য, কারাগার, লোহার শেকল দিয়ে তার রানিকে বন্দি করে রাখতে চায়। শেষ অবধি তা সম্ভব হল না। রানি সুমিত্রা কৌশলে পালিয়ে গেল। আর তখন রাজা বলে, ‘হিংসা জাগরণ। হিংসা স্বাধীনতা।’ নাটকের গল্প খোলসা করে লেখার মানা হয় না। রবীন্দ্রনাথের পাঠক জানেন বিক্রমদেব সুমিত্রাকে না-পেয়ে সৈন্য-সহায়ে সুমিত্রার পিতৃরাজ্য তছনছ করে দেয়। রবীন্দ্রনাথ সেই পরিণতিকেই বলেছেন দুর্দান্ত হিংস্রতায় বিশ্বঘাতী হয়ে ওঠা।
প্রেমের এই হিংস্র-বিকার থেকে রবীন্দ্রনাথ কখনও কখনও তাঁর রাজাদের মুক্তও করেন। যে নব্য-রবীন্দ্র-পাঠক সরল-তরলতায় বিক্রমদেবকে ‘toxic’ বলবেন, তাতে এক অর্থে ভুল নেই। তবে তাঁকে সেই নব্যপড়ুয়াকে শোনানো যেতে পারে রবি ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’। ‘রক্তকরবী’র খুনে রাজা তাঁর স্বভাবের বিকার থেকে শেষ অবধি মুক্তি পেয়েছিল। নন্দিনী রাজার সঙ্গে কথা বলে বলে তার বিকার থেকে তাকে বাইরে আনে। মাঝে মাঝে রাজা নন্দিনীকে বলত সে দু’হাত দিয়ে দলে দেবে তাকে, দলবে তাকে বোঝার জন্য। এই ধর্ষকামী রাজা নন্দিনীর প্রেমিক রঞ্জনকে খুন করে। তারপর তার মনের বদল হয়। রাজার হাতে হাত রেখে রাজারই বিরুদ্ধে নন্দিনী আর রাজার লড়াই। রাজা তার ধ্বজা ভেঙে ফেলে।
সবই তো হল। তবু নব্য-পড়ুয়ার প্রশ্ন যায় না। কতটা ক্ষতির পর একজন প্রেম-বিকারগ্রস্ত রাজপুরুষের মন বদল হয়? এতটা ক্ষতি মেনে নিতে হবে? রবিবাবু আপনি কী বলেন?
(চলবে)
…ছাতিমতলা-র অন্যান্য পর্ব…
ছাতিমতলা পর্ব ৩৫: রবীন্দ্রনাথ কি আড্ডা মারতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৪: চিনের দৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথের সভ্যতা-ভাবনা ছিল কল্পনা বিলাস
ছাতিমতলা পর্ব ৩৩: পুরস্কার মূল্যকে হেলায় ফেরাতে জানে কবিই, জানতেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩২: তরুণ রবির তীক্ষ্ণ সমালোচক পরিণত রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩১: ভোটের মঞ্চে উড়ছে টাকা, এসব দেখে কী বলতে পারতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৩০: শিক্ষিত ভদ্রলোকের ‘নাগরিকত্ব’ বিষয়ক ভাবনার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের যোগ তৈরি হচ্ছে না, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ২৯: কলকাতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অপ্রেম রয়েছে যেমন, তেমনই রয়েছে আবছায়া ভালোবাসা
ছাতিমতলা পর্ব ২৮: মনের ভাঙাগড়া আর ফিরে-চাওয়া নিয়েই মধুসূদনের ভাষা-জগৎ– রবীন্দ্রনাথেরও
ছাতিমতলা পর্ব ২৭: বাংলা ভাষা কীভাবে শেখাতে চাইতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ২৬: ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ প্রৌঢ়ের কথায় রবীন্দ্রনাথের প্রেম চেনা যাবে না
ছাতিমতলা পর্ব ২৫: সুকুমার রায় যে অর্থে শিশু-কিশোরদের মনোরঞ্জন করতে পারতেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২৪: বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে বই প্রকাশের কারখানা শুধু নয়, রবীন্দ্রনাথ দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি
অভিনেতা হিসেবে অভিনয়ের যে জায়গাগুলো তিনি আবিষ্কার করেছিলেন, যা আমি আগেও বলেছি, সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা, ভালো থাকার আকাঙ্ক্ষা, জয়ী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা, সাধারণ মানুষ যা প্রকাশ করতে পারে না চট করে। মনোজ মিত্র তাঁর সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে তাকে বড় করে দেখিয়েছেন।