মৃত্যুর কিছুদিন আগে কেয়ার মরদেহের সামনে অজিতেশ বলে উঠেছিলেন, ‘কমরেড কেয়া আমরা তোমায় ভুলছি না, ভুলব না।’ আর এদিনের মহাযাত্রায় সেই কমরেড, যিনি একদিন কোলিয়ারি থেকে ‘মহৎ উদ্দেশে পাড়ি দিয়াছিল’!
‘এই সইগুলো আমরা করাব, খবরের কাগজ সংবাদ তৈরি করবে, কিন্তু আর কী হবে? কিচ্ছু হবে না। হলে সিনেমার লোকজনরাই প্রতিবাদ করত, এগিয়ে আসত। আমার কথা মিলিয়ে নিও।’ অজিতদার দৃঢ় কথাগুলো আজ মনে হয় একদম ঠিক।
একমাত্র তিনিই পারেন এইভাবে আমাদের তাঁর গদ্যের অক্টপাস আকর্ষণে অতল সমুদ্রে নিয়ে যেতে। সেই অতলে স্মৃতি-বিস্মৃতি মিলে মিশে তৈরি করেছে অস্পষ্ট আতঙ্কের এক অমোঘ তারল্য।
এই বাড়িটি পাঁচের দশকের মধ্যভাগ থেকে ‘মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালা’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাঠভবন পূর্ববর্তী ছাত্রদের মন্টেসারি স্কুল। দু’-বছর খেলা পড়া আর গানের এক আনন্দময় দিনযাপনের পর শিশুরা পাঠভবনে যায়।
ছবির ইতিহাস ফিরিয়ে আনা, সেই রেস্টোরেশন বা পুনরুদ্ধার কীভাবে হয়? এদেশে এখনও সে কাজের পরিসর রয়েছে?
দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়তো নম নম করে এই ঘটনার নিন্দে করেছেন, দেশের প্রায় সমস্ত বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এই ঘটনা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করা হয়েছে, কিন্তু পিছন থেকে বহু মানুষ অভিযুক্ত রাকেশ কিশোরের ওই আচরণকে সমর্থন করছে, যার ফলেই তিনি এখনও বহাল তবিয়তে ঘুরছেন।
সিরাজদা তখনও ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকায় আসেননি। তাঁকে সেই সময় সবাই ‘অমৃত’ গোষ্ঠীর লেখক বলেই জানত। প্রফুল্লদা আমাকে বলেছিলেন, সিরাজদার রাঢ় বাংলার– বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গার পশ্চিমপারের গ্রামাঞ্চল সম্পর্কে বিপুল অভিজ্ঞতা। গ্রামের মানুষ, জীবনকে দেখেছেন দু’-হাত ভরে।
এখন আমার কোনও মাস্ক নেই। সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় বেঁচে থাকলে, হয়তো-বা এমনটা লিখতেই পারতেন। কিন্তু যখন মাস্ক ছিল, পরা ছিল বাধ্যতামূলক, তখনও কি আমবাঙালি মাস্ককে সিরিয়াসলি নিয়েছিল? অতিমারীর সঙ্গে যুদ্ধ একদিকে, একদিকে বাঙালির স্টাইল স্টেটমেন্ট, মাস্ক নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি, বাঙালির মজারু মাস্কের হাজারো কাণ্ড স্বপ্নময় চক্রবর্তীর এক কোভিড পরবর্তীকালের লেখায়।
হিমালয় ভ্রমণকাহিনি বলতেই জলধর সেন আর উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথাই মনে আসে সবার আগে। ৯৫ বছরের দীর্ঘ জীবনকালে (১৯০২-১৯৯৭) ৮৬ বছর বয়স পর্যন্ত ঘুরে বেড়িয়েছেন উমাপ্রসাদ। সুবিস্তৃত ভ্রমণজীবনে হিমালয় থেকে কন্যাকুমারিকা অবধি ভ্রমণকাহিনি লিখেছেন। বাঙালিকে পাহাড়ের সৌন্দর্য চিনিয়েছেন। বাংলার বাঘ স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের তৃতীয় পুত্র উমাপ্রসাদের জন্ম ও মৃত্যু উভয়ই ১২ অক্টোবর। সেই উপলক্ষে বিশেষ এই নিবন্ধ।
কেন ভালো করে কথা ভাবা যায় না? আটকায় কীসে? সেই ১৯৪৬-৪৭-এর আপতকাল আর ২০২৫-এর শুভক্ষণ কি এক হল?
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved