E-Robbar
মজার বিষয়, শ্যাম বেনেগাল যখন হঠাৎই 'বোস: দ্য ফরগটেন হিরো' বানাচ্ছেন, এনডিএ আমলের শেষ ও ইউপিএ আমলের শুরুর আবহে, তার আশপাশে ভগৎ সিংয়ের গোটা দুই বায়োপিক মুক্তি পেয়ে গেছে, একটিতে নায়ক অজয় দেবগণ, অন্যটিতে সানি দেওল। অজয় দেবগণ অভিনীত বায়োপিকটিই বেশি স্মর্তব্য হয়ে রইল, সানি দেওলের 'ঢাই কিলো কা হাত' এক্ষেত্রে অকেজো হয়ে গেল।
প্রিয়ক মিত্র ও
'আজ কি রাত, হোনা হ্যায় কেয়া'-র সুরে রুপোলি পোশাকে ঝকমকে গোলকের ওপর বসে নেমে আসছেন যখন প্রিয়াঙ্কা, অস্থির হয়ে উঠছি একটু একটু করে। বড়ও হচ্ছি।
মাঝে, গোধরায় একটা ট্রেন দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে হঠাৎ আগুন জ্বলে উঠল গুজরাতে। পুড়ে খাক হয়ে গেল মহল্লার পর মহল্লা, নির্বিচারে চলল খুন-ধর্ষণ। তার মাঝেই বিশ্বকাপ জিতে গেল স্বপ্নের ব্রাজিল টিম, সেই রোনাল্ডো, রবার্তো কার্লোস, রোনাল্ডিনহোর ব্রাজিল।
বিয়েবাড়ির নহবতে সানাইয়ের সিডি বেজে উঠছে, বদলাচ্ছে মেনু, লুচির জায়গা নিচ্ছে লাচ্চা পরোটা, ভিয়েন বসছে না আর, ক্যাটারার এসে জেঁকে বসছে।
নব্বই জুড়ে পণ্যর বিজ্ঞাপন যেমন খুড়োর কল ঝোলাচ্ছিল উপভোক্তার সামনে, তেমন স্বপ্নের নায়কও দর্শকদের থেকে দূরে চলে যাচ্ছিল একটু একটু করে।
এক মুসলিম নায়কের প্রেমে আকুল সেসব দর্শক মুহূর্তে চিহ্নিত হয়ে যায়নি তখনও ‘লাভ জিহাদি’ হিসেবে। প্রেমের সঙ্গে লাভলোকসান না থাকুক, জিহাদ যে জুড়ে থাকেই, সেকথা তো সেই লোকটাই শেখাবে এরপর।
তরুণ ইরফান খান অর্থাভাবে জুরাসিক পার্কের টিকিট কাটতে পারেননি। পরে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির পুনর্জন্ম যখন ঘটল 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড'-এ, তখন ইরফান রইলেন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। একে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’ ছাড়া আর কী বলা চলে?