Robbar

ইতি কলেজ স্ট্রিট

সমরেশ বসু যখন ‘বিশ্বাসঘাতক’!

সমরেশদা ‘স্বীকারোক্তি’ নামে ছোটগল্পটি লেখেন– সেই সময় থেকেই তাঁকে নিয়ে বিপুল বিতর্ক তৈরি হয়। ‘স্বীকারোক্তি’ গল্পটি কলকাতার কোনও পত্রিকায় ছাপা হয়নি। কী ঘটেছিল ‘স্বীকারোক্তি’ নিয়ে?

→

সারাজীবন নিজেকে জানার জন্যেই লিখে গিয়েছেন সমরেশ বসু

‘উত্তরঙ্গ’ পড়ে উচ্ছ্বসিত ডি কে বলেছিলেন, এই উপন্যাসের লেখককে সোনার কলম দেওয়া উচিত। এবং সত্যিই তিনি সমরেশ বসুকে বাড়িতে ডেকে একটি দামি কলম উপহার দেন। সমরেশদার জীবনের প্রথম পুরস্কার⎯ একটা ফাউন্টেন পেন পাওয়া তখন তাঁর কাছে প্রায় স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতোই ছিল।

→

নবারুণ চেয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ কবিতার সিরিজে তিনিও থাকুন, কিন্তু হল না

‘উপন্যাসসমগ্র’ প্রকাশের বছর দুয়েক পর একদিন বিকেলে নবারুণদা অপুকে ফোনে মজার সুরে বলেন, দে’জের ক্যাটালগে এত কবির ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ আছে অথচ তাঁর নেই কেন? অপু পালটা জানায় তিনি পাণ্ডুলিপি দিলেই তাঁর ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ ছাপা হবে।

→

সত্যজিৎ-মৃণাল-ঋত্বিক ত্রয়ীর মধ্যে ঋত্বিকের লেখাই আমরা প্রথম ছেপেছিলাম

‘চলচ্চিত্র মানুষ এবং আরো কিছু’ বইটি প্রকাশের পরে পাঠকমহলে যথেষ্ট সাড়া পড়ে যায়। দু’-মলাটের মধ্যে ঋত্বিকের এতগুলো লেখা এর আগে কখনও আসেনি। তবে এ-কাজটিও সুরমা বউদি এবং ঋতবান ঘটকের সাগ্রহ অনুমোদন ছাড়া করা সম্ভব হত না।

→

অজয় গুপ্তর নিরন্তর শ্রম আর খুঁতখুঁতে সম্পাদনা ছাড়া মহাশ্বেতা দেবীর রচনাসমগ্র হত না

মহাশ্বেতাদির নিজের সংগ্রহ, প্রকাশকের ঘরে থাকা বই নিয়ে কাজ শুরু হল। কিন্তু যেসব পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে সেই সব কাগজ কোথা থেকে পাওয়া যাবে! আবার মহাশ্বেতাদি যেসব পত্রিকার পাতা ছিঁড়ে রেখেছিলেন সেখানেও দেখা গেল নানা অসঙ্গতি। কোথাও দেখা গেল লেখার শেষাংশ নেই। বোঝাই যাচ্ছে, কতটা ‘সহজ’ দায়িত্ব অজয়দার কাঁধে এসে পড়েছিল!

→

দলকল্যাণের জন্য রাজনীতি সমাজকে নরকে পরিণত করবে, বিশ্বাস করতেন মহাশ্বেতা দেবী

‘তিন কন্যা’ ও ‘অধবা’ নামে দু’টি নভেলেট একত্রে গ্রথিত হয়েছিল দে’জ থেকে। বইটির পরিচিতিতে লেখা হয়েছিল– ‘রাজনীতি যখন জনকল্যাণের পথ ছেড়ে দলকল্যাণের হাতিয়ার হয়ে ওঠে, তখন তা সমাজকে অবক্ষয়ের কোন নরকে পৌঁছে দেয়– তারই এক নিরাবরণ চিত্র… ‘তিনকন্যা’ ও ‘অধবা’…।’

→

যা লিখেছেন, না লিখে পারেননি বলেই লিখেছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

শীর্ষেন্দুদার আজ ৯০ তম জন্মদিন। আমার সঙ্গে তাঁর পরিচয় বিমল করের মাধ্যমে ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র দপ্তরে। ততদিনে শীর্ষেন্দুদা রীতিমতো বিখ্যাত লেখক। দে’জ থেকে তাঁর প্রথম বই ‘আক্রান্ত’ ছাপা হয় ১৯৮৫ সালের বইমেলার সময়। সেই হিসেবে তাঁর সঙ্গে দে’জ পাবলিশিং-এর সম্পর্কের এটা ৪০ বছর পূর্ণ হল।

→

‘অলীক মানুষ’ তাঁকে দিয়ে কেউ লিখিয়ে নিয়েছে, মনে করতেন সিরাজদা

‘অলীক মানুষ’কে অনেকেই সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে মনে করেন। বাংলা ভাষায় ‘অলীক মানুষ’ ক্লাসিকের মর্যাদা পেয়েছে। কোনও একটি উপন্যাসকে আমি এতগুলো পুরস্কার পেতেও দেখিনি। এই উপন্যাস যখন তিনি লিখছেন তখনই আমার সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছিল– লেখা শেষ হলে দে’জ পাবলিশিং থেকেই বইটি প্রকাশিত হবে।

→

নিজের লেখা শহরের গল্পকে লেখা বলে মনে করতেন না সিরাজদা

বহুলপ্রচারিত একটি পাক্ষিক পত্রিকায় অনেক বিজ্ঞ সমালোচক লিখেছিলেন, অভিজ্ঞতা থেকে উপাদান কুড়িয়ে আমি গল্প লিখি বলে আমি নাকি ‘তারাশঙ্কর সমগোত্রীয়’। তারাশঙ্কর হিমালয়। আমি নিতান্ত উইঢিপি। লিখেছিলেন সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ।

→

কর্নেল পড়ে সিরাজদাকে চিঠি লিখেছিলেন অভিভূত সত্যজিৎ রায়

সিরাজদা তখনও ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকায় আসেননি। তাঁকে সেই সময় সবাই ‘অমৃত’ গোষ্ঠীর লেখক বলেই জানত। প্রফুল্লদা আমাকে বলেছিলেন, সিরাজদার রাঢ় বাংলার– বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গার পশ্চিমপারের গ্রামাঞ্চল সম্পর্কে বিপুল অভিজ্ঞতা। গ্রামের মানুষ, জীবনকে দেখেছেন দু’-হাত ভরে।

→