শেষ দৃশ্যে গুলাবের হাত ধরে বিজয় যে বাইরে বেরিয়ে যায়, পরিবার, রাষ্ট্র, সমাজ সব কিছুর শৃঙ্খল ছিঁড়ে, সেও কি প্লাতোর চেন ছিঁড়ে বাস্তবতার সত্যে বেরিয়ে আসা মানুষ নয়? আবরার আলভির এই শেষ না-পসন্দ ছিল। কিন্তু গুরুদত্ত তৃপ্ত ছিলেন। বলেছিলেন, না, এটাই শেষ। এই চলে যাওয়াটাই শেষ।
বাংলায় শুধু আমন ধানের সঙ্গে নবান্ন উৎসব জড়িয়ে নেই। একসময় অঘ্রান ছিল বছরের প্রথম মাস। ‘অগ্র’ শব্দের অর্থ আগে। ‘হায়ণ’ মানে বছর। এই হিসাবে বাংলার নববর্ষ ছিল ১ অঘ্রান। তখন বলা হত মার্গশীর্ষ মাস। নবান্ন– প্রকৃতপক্ষে নববর্ষের উৎসব।
একটি মানুষ যাকে দেখলে মনে হয়, সে মৃত্যুর জন্যে অপেক্ষা করছে। কী দুঃখের সেই দৃশ্য। কী করুণ সেই মানুষ! কিন্তু তার থেকেও বেদনাদায়ক সেই মানুষটি যে জীবন্ত থেকেও অপেক্ষা করছে বেঁচে থাকার জন্যে।
কুইন্সল্যান্ড মিউজিয়ামের বিরাট একটা অংশ জুড়ে আছে সাউন্ড আর্ট গ্যালারি। তার ভেতরে জাপানি শিল্পী ইউকো মোহরি-র নতুন শিল্পশৈলী, এক অভিনব প্রদর্শনী: ‘ব্রেদ অর ইকো’। দৃশ্যের সঙ্গে শব্দের আত্মীয়তা আর বিরোধ, সম্পর্ক এবং শত্রুতা নিয়ে সে এক চমৎকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
মহাশ্বেতাদির নিজের সংগ্রহ, প্রকাশকের ঘরে থাকা বই নিয়ে কাজ শুরু হল। কিন্তু যেসব পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে সেই সব কাগজ কোথা থেকে পাওয়া যাবে! আবার মহাশ্বেতাদি যেসব পত্রিকার পাতা ছিঁড়ে রেখেছিলেন সেখানেও দেখা গেল নানা অসঙ্গতি। কোথাও দেখা গেল লেখার শেষাংশ নেই। বোঝাই যাচ্ছে, কতটা ‘সহজ’ দায়িত্ব অজয়দার কাঁধে এসে পড়েছিল!
জীবনের শেষ পর্বে রবীন্দ্রনাথ কখনও কখনও যেন এক অভিমান নিয়েই সুরুলে চলে গিয়েছেন। বাস করেছেন তেতলার ঘরে, যেটিকে এখন ‘কবিকক্ষ’ বলা হয়। রবীন্দ্রনাথের প্রধান অভিভাবিকা প্রতিমা দেবী এতে খুবই বিপন্ন বোধ করেছেন।
ইন দ্য রেইন, ইন দ্য কোল্ড, ইন দ্য ডার্ক। ট্রাজিক ২০১৪ এবং পরবর্তী সময়ে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার সেই স্বপ্নময় লেখা। কনফেশন। বন্ধু-বন্দনা নয়, যেন সলিলোকি করছেন, লেখাটা উঠে এসেছিল এমনভাবেই।
‘পিয়াসা’ ছবির সূত্রপাতের দৃশ্যটি যদি আমরা দেখি তবে শাগালের বিখ্যাত ‘কবির বিশ্রাম’ ছবিটির কথা মনে পড়ে যাবে। টাইটেল কার্ড একটা শালুক-পদ্মে ঢাকা পুকুরে পড়লেও, ছবির চলমানতা শুরু হয় অদ্ভুত এক ফ্রেমে। যেখানে বিজয়, আমাদের কবি, শুয়ে আছেন প্রকৃতির নিচে।
‘ফ্লেশ’ আগাগোড়া মাংসের বই। আপনি কি নিরামিষ? তাহলে এত আঁশটে গন্ধ সহ্য করতে পারবেন কি?
যোগাযোগ ব্যাপারটা বাদুড়দের ক্ষেত্রে অন্য রকম। বাদুড় যখন প্রতিধ্বনি পাওয়ার জন্য হাই ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ ছুড়ে দেয় সামনে, সেটাকে প্রাণীবিজ্ঞানীরা বলছেন ‘ক্লিক’। সেই ক্লিকের প্রতিধ্বনি ফিরে এসে তথ্য দেবে সামনে কী আছে। কিন্তু এক বাদুড়ের ক্লিক কি অন্য বাদুড়ের সঙ্গে মিলে যায় না?
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved