‘দ্য ডেলিভারেন্স’ ছবিটি, যা নেটফ্লিক্সে হাজির হয়েছে সদ্য, তাতে যেন মনে হচ্ছে লি নতুন পথের সন্ধান শুরু করেছেন। এবারে ‘সত্য ঘটনা অবলম্বন’ করে তিনি একেবারে একটা ভূতের গল্প ফেঁদেছেন। কী সেই কাহিনি?
ফিল্মটার একমাত্র সমস্যা হলো, যেটা অধিকাংশ ভারতীয় পুরুষ মানুষ দ্বারা লেখা এবং পরিচালনা করা ফিল্মের দোষ: মেয়ে এবং মহিলারা ধর্ষিতা হন আমাদের প্রধান পুরুষ চরিত্রদের গল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণে।
সেই বছর সেই বিখ্যাত ও বিতর্কিত 'হরেকৃষ্ণ হরেরাম' অথবা 'কাটি পতঙ্গ', 'আনন্দ', 'হাতি মেরে সাথী' দেখতে স্কুল পালিয়ে এসেছে এমনই কত ক্লাস নাইনের ছেলেমেয়ে, যাদের কানে হয়তো তখনই আসতে শুরু করেছে পার্টি ক্লাসের মন্ত্রণা।
ছাদ, যা বাড়ির না আকাশের অংশ– এই তর্ক মানুষের পৃথিবীতে কোনও দিন মিটবে না। তবু, মানিকবাবুর এই শহরের বুকে একটা ছাদ চাই-ই চাই।
স্পেশালদের যৌনতা, যৌন ইচ্ছে নিয়ে তো কেউ কথাই বলতে চায় না। যেন এই স্পেশাল মানুষদের কোনও যৌন ইচ্ছা, আনন্দ বা অবসাদ থাকতেই পারে না। আর স্বীকার করতে লজ্জা নেই, মূলত অটিস্টিক কিশোরদের সেই যৌন আনন্দের দিশাই দিতে চেয়েছে আমাদের এই ছোট্ট প্রচেষ্টা– ‘বাটন হোল’।
কলকাতার বিদগ্ধজনরাও তাই গম্ভীর ছবির চর্চার সঙ্গে সঙ্গেই সেইসব জনতার সিনেমাহলে ঢুঁ মারতে দ্বিধা করেননি।
তথ্যচিত্রটি দেখতে দেখতে এই প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খায়। ভালো-মন্দের যে ভেদাভেদ আমরা সযত্নে পুষে রাখি, তার হিসেব কে রাখবে? এই মানসিক ব্যাধিকে আমাদের মন থেকে সরাবে কে?
এখানে ‘অথৈ’ বাংলা সিনেমা বানানোর একটা নতুন ভাষা দেখিয়েছে, যেটা সিরিয়াল সিরিয়াল সিনেমাও নয়, আবার সস্তা দক্ষিণী ছবির কপিও না, বরং একটা একশো ভাগ নিও-বাঙালি উদ্ভাবন।
আমরা সেইসব সারেগামা পেরিয়ে যদি ভাবি, স্মৃতিকে পেরিয়ে গিয়েও সময়কে চেনা যায়, হয়তো সেখানে চিহ্ন হিসেবে আমরা পেয়ে যাব গানকেই।
সুরই আদতে মিত্রা, দর্পণা, মিনার, প্রাচী-র অন্ধকারের সীমা ছাড়িয়ে সিনেমাহল-কে করে তুলেছিল, সততই জনতার।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved