Robbar

মিনি সিরিজ

মৃণাল সেন বেঁচে থাকতে আমাকে কেন নন্দনের চেয়ারম্যান করা হচ্ছে, আপত্তি করেছিলেন বাবা

বসন্তপঞ্চমীর এই পর্বে, বসন্ত চৌধুরীর আলাপ-পরিচয়ের সিনেমার লোক। রাতে নেমন্তন্ন খেতে আসা উত্তমকুমার হোক, কিংবা একই পাড়ায় থাকা কানন দেবীর আশ্চর্য বাড়ির কথা।

→

ভোরবেলার ঘোড়সওয়ার এবং বসন্ত চৌধুরীর পোষ্যকুল

বসন্তপঞ্চমীর প্রথম পর্ব ছিল বসন্ত চৌধুরীর পোশাকআশাক নিয়ে। দ্বিতীয় পর্বে, তাঁর বাড়ির পোষ্য জীবজন্তু। কখনও পপি নামের আহ্লাদী কুকুর, কখনও-বা রোজি নামের কচ্ছপ। দুম করে অন্দরমহলে ঢুকে পড়া বিদেশি একটি বিড়াল, অথচ যার ততটা বিড়ালপ্রেম নেই– এহেন বসন্ত চৌধুরীরও একটা বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল।

→

নায়ক ছবিতে উত্তমকুমারের কস্টিউমের মাপ নিয়েছিলেন মনসুর, তাঁর থেকেই আজীবন পাঞ্জাবি বানাতেন বসন্ত চৌধুরী

মনসুরের তৈরি করে দেওয়া এক ধরনের পাঞ্জাবিই রীতি মেনে বাবাকে পরতে দেখেছি। পাঞ্জাবি অবশ্যই অনেকগুলো, নানা সময়ে তৈরি করতে দেওয়া। কিন্তু প্রতিটা পাঞ্জাবিই এক্কেবারে একইরকম দেখতে। ছয়ের দশকের পাঞ্জাবির নকশা বা কাপড় যা, নয়ের দশকেও তাই।

→

শোষক যাতে আমাদের স্বপ্নগুলো কেড়ে নিতে না পারে, জেলে এটাই হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্তব্য

জীবনের ১০টা বছর কারাগারে থাকার পর কেউ যখন বাইরে আসে তখন এই ১০ বছরে পালটে যাওয়া পৃথিবীর সঙ্গে সমঝোতা কীভাবে করে? এর দায় রাষ্ট্র নেয় না। যেমন কোনও দায় নেয় না জেলে থাকা রাজবন্দিদের জীবন-জীবিকার। চলতে থাকে ফেলে আসা সময়, হারিয়ে যাওয়া সময় ও বর্তমান সময়ের সঙ্গে জোর লড়াই।

→

বিচ্ছিন্ন কারাজীবনে খানিক শ্বাসবায়ু ‘মুলাকাত’

রাষ্ট্রের চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই জেল এবং বাইরের প্রিয়জনদের সেতু গড়তে থাকে। জামিনপ্রাপ্ত বন্দিরা জান কবুল করেন ভিতরে থাকা বন্ধুদের বার্তা তাঁর প্রিয়জনদের পৌঁছে দিতে। নজরদারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলতে থাকে চিঠি চালাচালি। প্রিয়জনদের কাছে যাওয়ার জন্য, ক্ষণিকের মুলাকাতের জন্য।

→

ব্রাহ্মণ মেয়ের হাতে অনশন ভাঙবেন– দুকড়িবালাকে জেলের অত্যাচার থেকে বাঁচাতে শর্ত দিয়েছিলেন ননীবালা

কখনও ইশারায়, চিরকুটে অন্য বন্দিদের সঙ্গে কথা বলে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে, কখনও পুলিশি নির্যাতনের আহত কমরেডকে নজরদারি এড়িয়ে গার্ডদের ফাঁকি দিয়ে কোনও কমরেডের মন ভালো করতে রুটিতে কিছুটা চিনি মাখিয়ে চমকে দেওয়ার মাধ্যমে, তো কখনও একসঙ্গে বসে সুখ দুঃখ বৃষ্টি বজ্রপাত ভাগ করে এই নিরন্তর অপেক্ষা কাটানোর মাধ্যমে, প্রতিদিন নানাভাবে সংগঠিত হতে থাকে প্রতিরোধ, প্রতিবাদ।

→

জেলখানার পাঁচিল টপকে কারাবন্দি মেয়েদের ছবি-গান-কবিতা পৌঁছেছে গরাদের ওপারেও

আত্মীয়তা, সংহতি, বন্ধুত্বের রাজনীতিকেই ভয় করে শাসক। তাই জনমানসে কারাগার, কারাজীবনকে বরাবর এক অপরাধ সম্পৃক্ত বিপজ্জনক পরিসর হিসেবে চিহ্নিত করতে লাগে। বন্দিদের অপরাধ প্রমাণের আগেই তাঁদের অপরাধী করে তুলতে লাগে, বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই সাজা চলতে থাকে। মেয়েদের রাজনৈতিক সত্তাকে অস্বীকার করলেও, মেয়েদের রাজদ্রোহিতা তাই শাস্তিযোগ্য।

→

‘বেচাল’ তিনি হননি, কণ্ঠের পাশাপাশি সেই কারণেও কি সমাজে তাঁর যোগ্য জায়গা মিলল মাত্রায় কম ঝামেলায়?

যে ঠুমরি গাইতে গাইতে রসুলন শেষটায় হারিয়েই গিয়েছিলেন, সিদ্বেশ্বরী সেই ঠুমরি গেয়েই কেন তুলনায় কম অপমান, লাঞ্ছনার ভাগী হলেন? গিরিজা দেবী কেমন করে সেই ঠুমরিকেই সমাজের সামনে মেলে ধরলেন এমন করে, যেন ঠুমরি মূল শাস্ত্রীয় সংগীতেরই অঙ্গ?

→

বেগম আখতার কণ্ঠ নয়, দিমাগ দিয়ে গাইতেন, জানতেন কখন কোন স্বর বাজিমাত করে

শেষের দিকে তাঁর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেন তাঁর মেয়ে শিষ্যরা—শান্তি হিরানন্দ, অঞ্জলি বন্দ্যোপাধ্যায়, রীতা গাঙ্গুলি। সকলেই মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করেন, বেগম আখতার তাঁদের মাতৃসম স্নেহে মুড়ে রেখেছিলেন। এ মাতৃত্ব তাঁর ওপর কেউ চাপিয়ে দেয়নি। এ মাতৃত্ব তিনিই বেছে নিয়ে হতে পেরেছিলেন শিষ্যদের প্রিয় ‘আম্মি’।

→

শান্তিনিকেতনের পুরাতন আশ্রমিকদের রবীন্দ্রসংগীত শুনে মেহফিলে মেহফিলে গেয়েছেন সিদ্ধেশ্বরী দেবী

১৯৭৬ সালে স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে গাইতে পারতেন না আর। এহেন শিল্পী, যে এত সংগ্রাম করলেন দু’কলি গাইতেই, গান না থাকলে তার জীবনে কী থাকে? ১৯৭৭ সালে পাড়ি দিলেন না-ফেরার দেশে। অন্য বাহিরে। সে বাহিরের গায়ে কান পেতে দাঁড়ালে হয়তো আজও খামাজে ঠুমরি শোনা যাবে।

→