Robbar

পাঁচমিশালি

ছোটদের পূজাবার্ষিকী কোমল চিত্তকে কলুষিত না করার অভিপ্রায়ে ‘অ-মানুষিক’ হয়ে উঠছে?

কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে এই ধরনের ‘বিশেষ’ সংখ্যাগুলিতে মোট প্রকাশিত লেখার আট আনা থেকে বারো আনাই হয় ভূতের গল্প অথবা রহস্য-রোমাঞ্চমূলক গল্প-উপন্যাস। বাকি যেটুকু পড়ে থাকে, তা ‘ছবিতে গল্প’ বা ‘হাসির গল্প’ দিয়ে ভরে নেওয়া হয়। পাঠকের সবুজ হৃদয়ে যাকে বলে ‘অবুঝ ব্যথা’ যাতে কোনওভাবেই না লাগে তার জন্য কর্তৃপক্ষ যারপরনাই সচেষ্ট!

→

অপ্রকাশিত কে. জি. সুব্রহ্মণ্যনের দুর্গা

সুব্রহ্মণ্যনের দুর্গায় ত্রিশূল ব্যতীত দেবী ও মানবীর মধ্যে ফারাক খুঁজে পাওয়া ভার। তিনি মনে করেন, মানুষের অন্তরে দেবত্ব আর পশুত্বের যে সহাবস্থান, সেখানেই অসুরদলনীর সারসত্যটি উদ্ঘাটিত। বাইরে থেকে আরোপিত নয়, শ্রেয় আর প্রেয়র দ্বন্দ্বে সত্য এবং সুন্দরের প্রতিষ্ঠার মধ্যেই দেবীর সত্যিকার আবির্ভাব।

→

বাংলার পটেশ্বরী দুর্গা

মূর্তিপূজোয় বাধা-নিষেধ এড়ানোর জন্য সহজভাবে বহন করা যায় হাতে আঁকা দুর্গাপটই হয়ে উঠেছিল হয়ে উঠেছিল সেই সময় মানুষদের প্রথম পছন্দ। সেই ধারা ও ঐতিহ্য এবং পরম্পরা বাংলা ও বাঙালির বুকে এখনও বহমান।

→

ভাদু পরব মানে দুঃখের সঙ্গে লড়াই

সব মিলিয়ে, ভাদু গান, ভাদুর কিংবদন্তিকে বড় ভালোবেসে জড়িয়ে রাখে রহস্য। যে গান, যে উৎসবের গড়ন, রীতি রাজপরিবারের দরবার ছাড়িয়ে নেমে এসেছে মাটিতে। ঔপনিবেশিক সময়ের এক রাজকন্যার গল্প কীভাবে এমন একটি লোকউৎসবের জন্ম দেয়– তা নিয়ে বিশদে তর্ক চলতে পারে। কেউ কেউ বলেন, ভাদুর গল্প আসলে আরও সুপ্রাচীন।

→

ইলিশের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে দুগ্গা ছাতু!

ইলিশের দামে ছাতু? ১২০০ টাকা কিলো! কী এমন ছাতু? যার নামে জুড়ে রয়েছে দেবী দুর্গার সংকেত। কিন্তু কেন? জঙ্গলমহলের এই ছাতু কেমনই বা খেতে? এত দামে বিক্রিই বা হয় কেন?

→

সত্যজিৎ রায়ের আঁকা তিনটি প্রচ্ছদ ঠাঁই পেলেও যে প্রদর্শনী বিস্মৃত!

‘পথের পাঁচালী’-রও আগে ১৯৪৯ সালের সেই প্রদর্শনী। পরে ‘গ্রাফিস’ পত্রিকায় ছাপা হয় সেই প্রদর্শনীতে জায়গা পাওয়া সত্যজিৎ রায়ের প্রচ্ছদগুলি। সত্যজিৎ তাঁর মাকে চিঠিতে লিখেছেন, ‘গ্রাফিসে বেরোনোর চেয়ে আর বড় সম্মান commercial artist এর কিছু থাকতে পারেনা।’ এ লেখায় রইল সেই চিঠিও!

→

পোকামাকড়ের থেকে আমরা কী কী শিখি?

প্রজাপতির ডানা থেকে শিখে নাও সোলার প্যানেলের নকশা; ব্যবহার করো বারুদগর্ভ ট্যাঙ্কারের ছাদে। পাহাড়ি বিটলের থেকে শিখে নাও কীভাবে সাজাতে হবে করাতের শ্বদন্ত; যাতে আরও সুনিপুণ দক্ষতায় কাটা যায় গাছ। টাইগার মথের থেকে শিখে নাও কীভাবে এড়ানো যাবে সাউন্ড নেভিগেশন; গোপনে চালনা করো যুদ্ধবিমান। এ শিক্ষার পাপ বয়ে চলে যেতে হবে।

→

হাতে আঁকার কদর নেই, চালচিত্রের সুলভ ডিজিটাল প্রিন্টই রেবা পালের বিষণ্ণতার কারণ

কলকাতার জাঁকজমক থেকে দূরে থাকা, প্রায় ৮০ ছুঁই ছুঁই চালচিত্র শিল্পী রেবা পাল। ৬০ বছর ধরে জড়িয়ে এই পেশায়। কিন্তু এই বছরের শরৎকালে কাশফুলের পাশে ফুটে উঠেছে তাঁর অপরিমেয় বিষণ্ণতা। কারণ হাতে আঁকা চালচিত্রর আজ কদর নেই। ডিজিটাল যুগ এসে, হাতে আঁকা শিল্পের কদর কমায়নি শুধু, অর্থপ্রাপ্তিরও পথগুলোও শীতের কুয়াশায় মিলিয়ে গিয়েছে।

→

বেশিক্ষণ চেপে রাখতে পারি না!

বাংলায় যে শব্দটির বানান নিয়ে সবচেয়ে বেশি পারমুটেশন ও কম্বিনেশন করা হয়েছে, তার নাম প্রস্রাব। তিন অক্ষরের এই শব্দের কত ধরনের বানান আজ অবধি চোখে পড়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। আর ‘এখানে প্রস্রাব করিবেন না’ সাবধানবাণীর শেষ শব্দ ‘না’-টি সম্ভবত কর্পূর দিয়ে তৈরি।

→

ছাদ থাকুক না থাকুক, আমরা চন্দ্রাহত

একসময় চাঁদের সঙ্গে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের যোগাযোগ ছিল বইকি। চন্দ্রাহত সেই প্রজন্ম আজ দূরে, বহুদূরে। লাল চাঁদের সৌজন্যে, আবার একবার, মাথা তোলা– চাঁদের দিকে তাকানো।

→