রবীন্দ্রনাথ যখন এই সমস্ত ভাবনা-চিন্তা করছিলেন তখন দেশ পরাধীন। দেশ যখন স্বাধীন হল তখন ভোটের রাজনীতির যে মডেল গৃহীত হয়েছিল তাতেও সাধারণ জনগণ ‘সংখ্যা’ মাত্র। স্বাধীন ভারতে প্রথম ভোটের সংবাদ ভালো করে পড়লে দেখা যাবে সেই ভোট গণসচেতনতাকে প্রতিফলিত করেনি। রাজনীতিবিদরা তা চাননি। সাধারণের সংখ্যাকে কীভাবে প্রভাবিত করা যায়, তাই রাজনৈতিক লক্ষ্য। সাম্প্রতিককালের সমাজবিজ্ঞানীরা স্বার্থগোষ্ঠীর কথা বলেন। নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে ভারতের রাজনীতি আর পরিচালিত হয় না।
৩৭.
ভোটতন্ত্র ও গণতন্ত্রের ওপর ভরসা রাখাই কি জনগণমঙ্গলবিধায়ক? ফরাসি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে পাশ্চাত্যে যে নবযুগের সূত্রপাত হয়েছিল, তার কেন্দ্রে তো ভোটের মূল্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বিপ্লবের আগে প্রথম ও দ্বিতীয় এস্টেট তৃতীয় এস্টেটের ওপর কর্তৃত্ব করত। তার কারণ যদিও বিপ্লব পূর্ববর্তী পর্বে ফরাসি নাগরিকদের শতকরা ৯৮ জন বাস করতেন তৃতীয় এস্টেটে, তবু তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও মাথাপিছু একটি ভোটের অধিকার তাঁদের ছিল না। ফরাসি বিপ্লব অবস্থার পরিবর্তন ঘটাল, অভিজাততন্ত্রের পতন হল। কিন্তু ব্যক্তিমানুষের মাথা পিছু একটি ভোটের অধিকারই কি সমস্ত সমস্যার নিরাময় করতে পারে? রবীন্দ্রনাথ পল্লিগ্রামের প্রজাদের দূরবস্থার কথা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে লিখেছিলেন, ‘এক সময় লোকে মনে করিয়াছিল আপামর সাধারণকে ভোট দিতে দিলেই পৃথিবীর অধিকাংশ অমঙ্গল দূর হইবে– এখন সকলে ভোট দিতেছে, অথচ অধিকাংশ অমঙ্গল বিদায় লইবার জন্য কোনোরূপ ব্যস্ততা দেখাইতেছে না।’ কথাটি ভাবার। এর অর্থ এই নয় যে, রবীন্দ্রনাথ ভোটের অধিকার হরণ করে জনগণকে স্বৈরতন্ত্র কিংবা রাজতন্ত্রের দিকে ঠেলে দিতে চাইছেন। এর অর্থ এই যে, কেবল ভোটাধিকার সামাজিক মঙ্গলের নিঃশর্ত উপায় হতে পারে না।
কেন ভোট সামাজিক মঙ্গলের নিঃশর্ত উপায় নয়, তা রবীন্দ্রনাথ অন্যত্র ব্যাখ্যা করেছিলেন। ‘আসল কথা, যে মানুষ নিজেকে বাঁচাতে জানে না কোনো আইন তাকে বাঁচাতে পারে না। নিজেকে এই-যে বাঁচাবার শক্তি তা জীবনযাত্রার সমগ্রতার মধ্যে, কোনো একটা খাপছাড়া প্রণালীতে নয়। তা বিশেষ আইনে নয়, চরকায় নয়, খদ্দরে নয়, কন্গ্রেসে ভোট দেবার চার-আনা ক্রীত অধিকারে নয়।’ মানুষ নিজেকে তখনই বাঁচাতে পারে যখন সে নিজের অধিকার ও অবস্থা সম্বন্ধে সচেতন হয়। ভোট দেওয়ার চার-আনা ক্রীত অধিকার মানুষকে অভ্যাসের দাস করে।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
এই গড্ডলপ্রবাহ ভোটের গণতন্ত্রকে কেবল অমঙ্গলবিধায়ক নয়, ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী করে তোলে। রবীন্দ্রনাথের ‘ঘরে-বাইরে’ উপন্যাসে সন্দীপ স্বদেশি রাজনীতির নামে জনমতকে প্রভাবিত করতে চেয়েছিল। বিশেষ হিন্দু জনগোষ্ঠীকে কাপড়-পোড়ানো বয়কটের রাজনীতিতে সামিল করে সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়কে দেশের পক্ষে হিতজনক বলে প্রমাণ করতে চেয়েছিল। এই সংখ্যাতন্ত্র যে কতটা ক্ষতিকর, তা বুঝতে পেরেছিল নিখিলেশ। আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা করতে। পারেনি, দাঙ্গা লেগেছিল।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
রবীন্দ্রনাথ খেয়াল করে দেখেছিলেন সেই সময় ভারতবর্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ বসবাস করতেন পল্লিগ্রামে। তাঁদের সঙ্গে কংগ্রেসি নেতাদের যোগ নিতান্ত বাইরের। গান্ধী যখন কংগ্রেসি রাজনীতিতে যোগ দিলেন তখন সেই রাজনীতিতে জনগণের প্রবেশ অনেকটাই সম্ভব হল। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন ‘কন্গ্রেস প্রভৃতি কোনো রকম বাহ্যানুষ্ঠানে দেশের হৃদয় জাগে নি, মহৎ অন্তরের অকৃত্রিম প্রেমের স্পর্শে জাগল।’ কিন্তু তারপর? রবীন্দ্রনাথ খেয়াল করলেন মহাত্মার বাণী অনেক সময় নির্বিচারে জনগণ অনুমোদন ও অনুসরণ করে, বিচার করে না। গান্ধীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের চরকাকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক হয়েছিল তার মূলে এই কথাটিই ছিল। গান্ধী চরকা কাটলে রবীন্দ্রনাথের কোনও আপত্তি নেই। কারণ কেন মহাত্মা চরকা কাটছেন, সে-চেতনা তাঁর আছে। অন্য গান্ধীবাদীরা যখন নিজেদের অবস্থা ও অবস্থান না বুঝে যান্ত্রিকভাবে চরকায় হাত লাগান তখন বুঝতে হবে তাঁরা গান্ধীকে হনুকরণ করছেন। তাছাড়া এ-ও বিচার করে দেখতে হবে সকলেই একই রকম শ্রমের উপযোগী কি না? অন্যান্য বিষয়ও ভেবে দেখা দরকার। কবি রবীন্দ্রনাথ যে বাস্তববোধ ও কাণ্ডজ্ঞান থেকেই নির্বিচার গোষ্ঠীগত অনুকরণের গড্ডল-প্রবাহের বিরুদ্ধে যুক্তি সাজাচ্ছিলেন তা ‘সত্যের আহ্বান’ লেখাটিতে স্পষ্ট। ‘একটি কথা উঠেছে এই যে, ভারতে শতকরা আশিজন লোক চাষ করে এবং তারা বছরে ছয় মাস বেকার থাকে তাদের সুতা কাটতে উৎসাহিত করবার জন্যে কিছুকাল সকল ভদ্রলোকেরই চরকা ধরা দরকার। প্রথম আবশ্যক হচ্ছে যথোচিত উপায়ে তথ্যানুসন্ধান দ্বারা এই কথাটি প্রতিপন্ন করা। অর্থাৎ কী পরিমাণ চাষা কতদিন পরিমাণ বেকার থাকে। যখন চাষ বন্ধ তখন চাষারা কোনো উপায়ে যে পরিমাণ জীবিকা অর্জন করে সুতাকাটার দ্বারা তার চেয়ে বেশি অর্জন করবে কি না।’ এসব বিচার-বিশ্লেষণ-বিবেচনা পরিশ্রম সাধ্য কাজ। ‘হনুকরণ’ সহজতর। ‘মুক্তধারা’ নাটকে গ্রামের মানুষ ধনঞ্জয় বৈরাগীকে তাদের কথা ভেবে দিতে বলেছিল। ধনঞ্জয় তাতে রাজি হননি, কারণ একালের ভোটবাদী রাজনীতিবিদ তিনি নন। ভোটবাদী রাজনীতিবিদরা জনগোষ্ঠীর হয়ে তাদের কথা নিজেরা ভেবে দিয়ে ভোটের ফল-মূল উদরস্থ করেন। জনতা-জনার্দনের ভোটের পর কী হল তাতে তাঁদের বয়েই গেল!
এই হনুকরণই ভোটের রাজনীতিকে অমঙ্গলবিধায়ক করে তোলে। কোনও একটি গোষ্ঠীর নেতৃস্থানীয় কাউকে কোনও একটি রাজনৈতিক দল কবজা করতে পারলেই সেই গোষ্ঠীর সমস্ত ভোট তাদের ঝুলিতে যায়। এই গড্ডলপ্রবাহ ভোটের গণতন্ত্রকে কেবল অমঙ্গলবিধায়ক নয়, ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী করে তোলে। রবীন্দ্রনাথের ‘ঘরে-বাইরে’ উপন্যাসে সন্দীপ স্বদেশি রাজনীতির নামে জনমতকে প্রভাবিত করতে চেয়েছিল। বিশেষ হিন্দু জনগোষ্ঠীকে কাপড়-পোড়ানো বয়কটের রাজনীতিতে সামিল করে সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়কে দেশের পক্ষে হিতজনক বলে প্রমাণ করতে চেয়েছিল। এই সংখ্যাতন্ত্র যে কতটা ক্ষতিকর, তা বুঝতে পেরেছিল নিখিলেশ। আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা করতে। পারেনি, দাঙ্গা লেগেছিল।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
পড়ুন সুশোভন অধিকারীর ‘ছবিঠাকুর’: ১০টি নগ্ন পুরুষ স্থান পেয়েছিল রবীন্দ্র-ক্যানভাসে
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
রবীন্দ্রনাথ যখন এই সমস্ত ভাবনা-চিন্তা করছিলেন তখন দেশ পরাধীন। দেশ যখন স্বাধীন হল তখন ভোটের রাজনীতির যে মডেল গৃহীত হয়েছিল তাতেও সাধারণ জনগণ ‘সংখ্যা’ মাত্র। স্বাধীন ভারতে প্রথম ভোটের সংবাদ ভালো করে পড়লে দেখা যাবে সেই ভোট গণসচেতনতাকে প্রতিফলিত করেনি। রাজনীতিবিদরা তা চাননি। সাধারণের সংখ্যাকে কীভাবে প্রভাবিত করা যায়, তাই রাজনৈতিক লক্ষ্য। সাম্প্রতিককালের সমাজবিজ্ঞানীরা স্বার্থগোষ্ঠীর কথা বলেন। নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে ভারতের রাজনীতি আর পরিচালিত হয় না। কেবল ভারত কেন বিশ্বের বহু গণতন্ত্র এই স্বার্থগোষ্ঠী নির্ভর রাজনীতিতে হাত পাকিয়েছে। এদেশেও কেন্দ্রে ও রাজ্যে এই কৌশল রাজনৈতিক দলগুলি নির্বিচারে প্রয়োগ করে। অতঃপর উত্তপ্ত গ্রীষ্মে রবীন্দ্রনাথের জন্মমাসে সচেতন নাগরিকদের মনে রবীন্দ্রনাথের তোলা প্রশ্নগুলি অনিবার্যভাবে হানা দিচ্ছে। উপায় কী? বলা কঠিন। ভোটের রাজনীতি তার পথে সংখ্যার হিসেবে চলবে। রাজনৈতিকতার বাইরে আমাদের যে সমাজ, যে সমাজের নির্মাণে রবীন্দ্রনাথ আজীবন উৎসাহী ছিলেন সেই সামাজিক পরিসরে কি মঙ্গলের প্রশ্নগুলিকে সার্বিকভাবে উত্থাপন করা যায় না! বিশেষ স্বার্থগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলি পাইয়ে দেওয়ার যে ভিক্ষাজাল তৈরি করেছে তা ছিন্ন করতে পারলেই ভোটের গণতন্ত্র মূল্যবান হয়ে উঠতে পারে।
…ছাতিমতলা-র অন্যান্য পর্ব…
ছাতিমতলা পর্ব ৩৬: টক্সিক রিলেশনশিপ কি রবীন্দ্রনাথের লেখায় আসেনি?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৫: রবীন্দ্রনাথ কি আড্ডা মারতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৪: চিনের দৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথের সভ্যতা-ভাবনা ছিল কল্পনা বিলাস
ছাতিমতলা পর্ব ৩৩: পুরস্কার মূল্যকে হেলায় ফেরাতে জানে কবিই, জানতেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩২: তরুণ রবির তীক্ষ্ণ সমালোচক পরিণত রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩১: ভোটের মঞ্চে উড়ছে টাকা, এসব দেখে কী বলতে পারতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৩০: শিক্ষিত ভদ্রলোকের ‘নাগরিকত্ব’ বিষয়ক ভাবনার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের যোগ তৈরি হচ্ছে না, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ২৯: কলকাতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অপ্রেম রয়েছে যেমন, তেমনই রয়েছে আবছায়া ভালোবাসা
ছাতিমতলা পর্ব ২৮: মনের ভাঙাগড়া আর ফিরে-চাওয়া নিয়েই মধুসূদনের ভাষা-জগৎ– রবীন্দ্রনাথেরও
ছাতিমতলা পর্ব ২৭: বাংলা ভাষা কীভাবে শেখাতে চাইতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ২৬: ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ প্রৌঢ়ের কথায় রবীন্দ্রনাথের প্রেম চেনা যাবে না
ছাতিমতলা পর্ব ২৫: সুকুমার রায় যে অর্থে শিশু-কিশোরদের মনোরঞ্জন করতে পারতেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২৪: বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে বই প্রকাশের কারখানা শুধু নয়, রবীন্দ্রনাথ দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি