এক রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কের মধ্যবর্তী আত্মসুখের তীব্র সমালোচক। অন্য রবীন্দ্রনাথের আকুতি মাকে ঘিরে– ‘শিশু’ আর ‘শিশু ভোলানাথ’ বইদু’টির এক কবিতা থেকে অন্য কবিতায় আনন্দ আর বিস্ময়ের চিত্র। শিশু মনের বিস্ময় যাওয়ার নয়। নিজে মাতৃসাহচর্য তেমন করে না পেলেও নিজের পুত্র-কন্যাদের বড় হয়ে উঠতে দেখেছেন। বাৎসল্যের লীলা আর বিস্ময়কে অস্বীকার করেন কেমন করে!
৩৯.
মায়ের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক হওয়া উচিত সন্তানের? রবীন্দ্রনাথের মতে, তা যেন অধিকারসূচক, আসক্তিমূলক না হয়। মা ও সন্তানের সম্পর্ক আত্মসুখের যুক্তিতে নিয়ন্ত্রিত হওয়া অনুচিত। যে বঙ্কিমচন্দ্র বাঙালি ও ভারতবাসীর কাছে দেশের ‘মাতৃমন্ত্র’ প্রকাশ করেছিলেন, ‘বন্দেমাতরম্’ সংগীত রচয়িতা সেই বঙ্কিম মা-সন্তানের সম্পর্কের মনস্তত্ত্ব নীতিসূত্রেই যাচাই করেছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর ‘ভালোবাসার অত্যাচার’ প্রবন্ধে বিষয়টিকে একটি প্রশ্নের সূত্রে উত্থাপন করেন। তাঁর জিজ্ঞাসা, ‘যে মাতা স্নেহবশতঃ পুত্রকে অর্থান্বেষণে যাইতে দিল না– সে কি স্বার্থপর?’ এর উত্তরে কেউ কেউ বলবেন এ তো মায়ের স্বার্থপরতা নয়। পুত্র অর্থান্বেষণে দেশান্তরে গেলে মা তো সেই অর্থের ভাগ পেতেন। পুত্রকে যেতে না দিয়ে তিনি অর্থলোভ ত্যাগ করেছেন। সুতরাং এ কেন স্বার্থপরতা হবে? তার্কিক বঙ্কিমচন্দ্র লিখেছিলেন, ‘যাঁহারা ইহা অস্বার্থপর মনে করেন, তাঁহারা অর্থপরতাকে স্বার্থপর মনে করেন; যে ধনের কামনা করে না, তাহাকে স্বার্থপরতাশূন্য মনে করেন। ধনলাভ ভিন্ন পৃথিবীতে যে অন্যান্য সুখ আছে, এবং তন্মধ্যে কোন কোন সুখের আকাঙ্ক্ষা ধনাকাঙ্ক্ষা হইতে অধিকতর বেগবতী, তাহা তাঁহারা বুঝিতে পারেন না। যে মাতা অর্থের মায়া পরিত্যাগ করিয়া পুত্রমুখদর্শনসুখের বাসনায় পুত্রকে দারিদ্রে সমর্পণ করিল, সেও আত্মসুখ খুঁজিল। সে অর্থজনিত সুখ চায় না, কিন্তু পুত্রমুখদর্শনজনিত সুখ চায়।’ এই পুত্রমুখদর্শনজনিত সুখ– আত্মসুখ। রবীন্দ্ররচনাতে পুত্রকে ঘিরে অধিকারপরায়ণ মায়ের এই আত্মসুখ যাপনের ছবি চোখে পড়ে।
‘চোখের বালি’ উপন্যাসের রাজলক্ষ্মী-মহেন্দ্র সম্পর্ক রাজলক্ষ্মীর আত্মসুখবোধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। নিজের ছেলেকে রাজলক্ষ্মী আঁচলবদ্ধই রাখতে চান। তির্যক কৌতুকে ‘নরনারী’ রচনায় রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘আমাদের দেশে পুরুষেরা গৃহপালিত, মাতৃলালিত, পত্নীচালিত। কোনো বৃহৎ ভাব, বৃহৎকার্য, বৃহৎ ক্ষেত্রের মধ্যে তাহাদের জীবনের বিকাশ হয় নাই; অথচ অধীনতার পীড়ন, দাসত্বের হীনতা-দুর্বলতার লাঞ্ছনা তাহাদিগকে নতশিরে সহ্য করিতে হইয়াছে।’ আত্মসুখের জন্য স্নেহ সম্পর্কে একে অপরকে জীর্ণ করছে। এই জীর্ণতা ভালোবাসা নয়– ভালোবাসার অত্যাচার।
ব্যক্তিগত জীবনে রবীন্দ্রনাথ মাতৃসাহচর্য বড় একটা পাননি। তাই হয়তো খানিক নৈর্ব্যক্তিকভাবে মা-সন্তানের সম্পর্ককে বিচার করতে পেরেছিলেন। এর অর্থ অবশ্য এই নয়, মা আর সন্তানের আনন্দময় লীলা তাঁর রচনায় আসেনি, নানাভাবেই এসেছে। মায়ের সঙ্গে সন্তান নানা রকম খেলায় মাতে। ‘শিশু ভোলানাথ’ কবিতার বইয়ের ‘অন্য মা’ কবিতায় ছেলেটি মায়ের সঙ্গে পরিচয় ও অপরিচয়ের খেলায় মত্ত। তার আবদার মা অন্য কারও মা হবেন। সে কিন্তু ঠিক অপরের মাকে নেবে চিনে। দু’-জায়গায় ভিন্ন দু’টি গাঁয়ে থাকবে তারা। তবে দিন ফুরোলেই মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য নায়ে চাপতে হবে তাকে। আর যদি বিপিন মাঝি কোনওদিন নৌকা করে অবুকে তার মায়ের কাছে নিয়ে আসতে না-চায়, তাহলে অবু জানে পার হয়ে মাকে আসতে হবেই। অবু যেখানে আছে সেইখানে। এই যে কাছে থাকার আর দূরে যাওয়ার খেলা এ-খেলাই বুঝি আত্মসুখের বাইরে গিয়ে মা আর ছেলের টানাপোড়েনের লীলা। মায়ের সঙ্গে একদিকে যেমন পরিচয়-অপরিচয়ের, কাছের-দূরের খেলায় মাতে অবু, তেমনই ‘বীরপুরুষ’ মায়ের কাছে নিজের বীরত্বের পরিচয় দিতে চায়। কী ভয়ানক লড়াই হল মা যে! এও জানে তার বীরত্বের কথা দাদা বিশ্বাস করতে চাইবে না। দাদার সঙ্গে ভাইয়ের যেমন খুনসুটি, তেমনি দাদার তো ভাইও চাই একটি। ‘বনবাস’ কবিতায় দাদাটি তার মাকে বলেছে,
মা গো, আমায় দে-না কেন
একটি ছোটো ভাই–
দুইজনেতে মিলে আমরা
বনে চলে যাই।
আমাকে মা, শিখিয়ে দিবি
রাম-যাত্রার গান,
মাথায় বেঁধে দিবি চুড়ো,
হাতে ধনুক-বাণ।
চিত্রকূটের পাহাড়ে যাই
এম্নি বরষাতে–
লক্ষ্মণ ভাই যদি আমার
থাকত সাথে সাথে।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
রবীন্দ্রনাথের মনের জগৎ এরকমই। একদিকে কঠিন তির্যক, বিষয়টির মধ্যে নেতিটুকুকে দেখতে পান। আবার তাঁর মন কোমল– মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের লীলাকে অস্বীকার করেন না। সেজন্যই হয়তো রবীন্দ্রনাথ বারবার ভাঙতে পারেন নিজেকে। ইতি আর নেতির পথে তাঁর যাত্রা। কোনও একদিকে ঝুঁকে পড়ছেন না।
……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
এ যেন দুই রবীন্দ্রনাথ। এক রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কের মধ্যবর্তী আত্মসুখের তীব্র সমালোচক। অন্য রবীন্দ্রনাথের আকুতি মাকে ঘিরে– ‘শিশু’ আর ‘শিশু ভোলানাথ’ বইদুটির এক কবিতা থেকে অন্য কবিতায় আনন্দ আর বিস্ময়ের চিত্র। শিশু মনের বিস্ময় যাওয়ার নয়। নিজে মাতৃসাহচর্য তেমন করে না পেলেও নিজের পুত্র-কন্যাদের বড় হয়ে উঠতে দেখেছেন। বাৎসল্যের লীলা আর বিস্ময়কে অস্বীকার করেন কেমন করে!
রবীন্দ্রনাথের মনের জগৎ এরকমই। একদিকে কঠিন তির্যক, বিষয়টির মধ্যে নেতিটুকুকে দেখতে পান। আবার তাঁর মন কোমল– মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের লীলাকে অস্বীকার করেন না। সেজন্যই হয়তো রবীন্দ্রনাথ বারবার ভাঙতে পারেন নিজেকে। ইতি আর নেতির পথে তাঁর যাত্রা। কোনও একদিকে ঝুঁকে পড়ছেন না। এমনকী নিজের একদিকে ঝুঁকে পড়া ভাবকে পরে নিজেই অস্বীকার করছেন– এমনকী, নিজের লেখায় নিজেকে চরিত্র করে তুলছেন। ‘শেষের কবিতা’য় রবীন্দ্রনাথ ‘রবি ঠাকুরের কবিতার’ বিরোধীদের ভাষা ও যুক্তি প্রদান করছেন।
মা আর ছেলের সম্পর্কের কথাই মুখ্যত এসেছে রবীন্দ্র কবিতায়, রবীন্দ্র উপন্যাসে। কিন্তু মা আর মেয়ের সম্পর্ক? তার নানা দিক? পুরুষ লেখকের পক্ষে ছেলের মাতৃ-এষণা ও মায়ের পুত্র-এষণাকে প্রকাশ করা সহজ, স্বাভাবিক। মা আর মেয়ের সম্পর্ককে প্রকাশ করা পুরুষ লেখকের পক্ষে কঠিন। একেবারে যে নেই তা নয়। অন্যভাবে আছে। ‘গোরা’ উপন্যাসে বরদাসুন্দরীর সঙ্গে তাঁর কন্যাদের সম্পর্ক! বরদাসুন্দরীকে রবীন্দ্রনাথ একটু বাঁকা চোখেই দেখেছেন। ‘পরেশবাবুর স্ত্রীর নাম বরদাসুন্দরী। তাঁহার বয়স অল্প নহে কিন্তু দেখিলেই বোঝা যায় যে বিশেষ যত্ন করিয়া সাজ করিয়া আসিয়াছেন। বড়োবয়স পর্যন্ত পাড়াগেঁয়ে মেয়ের মতো কাটাইয়া হঠাৎ এক সময় হইতে আধুনিক কালের সঙ্গে সমান বেগে চলিবার জন্য ব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছেন; সেইজন্যই তাঁহার সিল্কের শাড়ি বেশি খস্খস্ এবং উঁচু গোড়ালির জুতা বেশি খট্খট্ শব্দ করে। পৃথিবীতে কোন্ জিনিসটা ব্রাহ্ম এবং কোন্টা অব্রাহ্ম তাহারই ভেদ লইয়া তিনি সর্বদাই অত্যন্ত সতর্ক হইয়া থাকেন।’ ব্রাহ্ম বরদাসুন্দরীর সংকীর্ণতা তাঁকে মা হয়ে উঠতে দেয়নি। নিজের কন্যাদের পক্ষে উদার বাৎসল্যময়ী মা হয়ে ওঠা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। মেয়েদের সঙ্গে তাঁর কেমন যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্পর্ক। এ উপন্যাসে যথার্থ মা হয়ে উঠেছেন আনন্দময়ী। তিনি জৈবপরিচয়ে গোরার গর্ভধারিণী না হয়েও গোরার যথার্থ মা। গোরার মা আনন্দময়ীর কাছে সুচরিতারও কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সে গল্প অবশ্য রবীন্দ্রনাথের লেখায় আসেনি। সব কি আর লেখা যায়!
(চলবে)
…ছাতিমতলা-র অন্যান্য পর্ব…
ছাতিমতলা পর্ব ৩৮: রবি ঠাকুরের জন্মদিনের সাংস্কৃতিক ‘ফ্যাশন’ নিয়ে ফুট কাটা যাবে না কেন!
ছাতিমতলা পর্ব ৩৭: রবীন্দ্রনাথের মতে, ভোট সামাজিক মঙ্গলের নিঃশর্ত উপায় নয়
ছাতিমতলা পর্ব ৩৬: টক্সিক রিলেশনশিপ কি রবীন্দ্রনাথের লেখায় আসেনি?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৫: রবীন্দ্রনাথ কি আড্ডা মারতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৪: চিনের দৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথের সভ্যতা-ভাবনা ছিল কল্পনা বিলাস
ছাতিমতলা পর্ব ৩৩: পুরস্কার মূল্যকে হেলায় ফেরাতে জানে কবিই, জানতেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩২: তরুণ রবির তীক্ষ্ণ সমালোচক পরিণত রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩১: ভোটের মঞ্চে উড়ছে টাকা, এসব দেখে কী বলতে পারতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৩০: শিক্ষিত ভদ্রলোকের ‘নাগরিকত্ব’ বিষয়ক ভাবনার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের যোগ তৈরি হচ্ছে না, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ২৯: কলকাতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অপ্রেম রয়েছে যেমন, তেমনই রয়েছে আবছায়া ভালোবাসা
ছাতিমতলা পর্ব ২৮: মনের ভাঙাগড়া আর ফিরে-চাওয়া নিয়েই মধুসূদনের ভাষা-জগৎ– রবীন্দ্রনাথেরও
ছাতিমতলা পর্ব ২৭: বাংলা ভাষা কীভাবে শেখাতে চাইতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ২৬: ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ প্রৌঢ়ের কথায় রবীন্দ্রনাথের প্রেম চেনা যাবে না
ছাতিমতলা পর্ব ২৫: সুকুমার রায় যে অর্থে শিশু-কিশোরদের মনোরঞ্জন করতে পারতেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২৪: বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে বই প্রকাশের কারখানা শুধু নয়, রবীন্দ্রনাথ দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি