ছুটির দিনে কাজ করা, কাজের সময় গা ঢাকা দেওয়া, সংকট দেখা দিলে অপারেশনের নাম করে হাসপাতালে শুয়ে পড়া সাধারণের কাছে যা দৃষ্টিকটু, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েল্ৎসিনের পক্ষে সেটাই স্বাভাবিক। গত ২ ফেব্রুয়ারি ছিল তাঁর জন্মদিন। চৌষট্টি বছর পূর্ণ হল। সারাটা দিন কাজ করলেন ক্রেমলিনে, তাঁর অফিসে। রাশিয়ার বহুসংখ্যক পত্র-পত্রিকা কিন্তু এবারে দিনটি পালন করল প্রেসিডেন্ট ও তাঁর নীতির ওপর তুমুল আক্রমণের মাধ্যমে। ক্রেমলিনের জনৈক মুখপাত্রের মন্তব্য: প্রেসিডেন্ট তাঁর জন্মদিন নিয়ে বিশেষ বাড়াবাড়ি পছন্দ করেন না।
৫৮.
গোপন কথাটি গোপন থাকছে না, তবে বরিস ইয়েল্ৎসিন টলছেন না
০১. ১১. ১৯৯৪
কদাচিৎ স্বীকৃত হলেও সুরাজাতীয় পানীয়ের প্রতি প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েল্ৎসিনের সুবিদিত পক্ষপাত রাশিয়ার পত্র-পত্রিকায় উত্তরোত্তর আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। জার্মানিতে ও আয়ারল্যান্ডে তাঁর সাম্প্রতিক কাণ্ডকারখানায় তাঁর পরম অনুগত সমর্থকদেরও কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গত সেপ্টেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পথে ইয়েল্ৎসিন যখন পূর্বনির্ধাবিত সূচি অনুযায়ী আয়ারল্যান্ডের Shenon বিমানবন্দরে নেমে বিমানবন্দরে অপেক্ষমান আইরিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎকারে অসমর্থ হলেন, তখন তাঁর জনৈক মুখপাত্র নেমে এসে জানালেন যে প্রেসিডেন্ট অসুস্থ। কিন্তু মস্কোয় ফিরে এসে ইয়েল্ৎসিন জানালেন যে তিনি রীতিমতো সুস্থ, আসলে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন; এমনকী তাঁর রক্ষাণাবেক্ষণকারীর তাঁকে যথাসময়ে জাগিয়ে দেননি বলে বিরক্তিও প্রকাশ করলেন। আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত ক্ষমা প্রার্থনা যেতে সময় লেগে গেল এক সপ্তাহ।
Irish Times সংবাদপত্রের খবরে প্রকাশ, ইয়েল্ৎসিনের প্লেন নামার আগে কোনও অজ্ঞাত কারণে বিমানবন্দরের মাথার ওপর প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চক্কর মারে। অনুমান করা যায়, ওই সময় তাঁর ঘুম ভাঙানোর ব্যর্থ চেষ্টা চলছিল। পত্রিকায় প্রকাশিত ব্যঙ্গচিত্রে দেখা যায় প্লেনের সিঁড়ি বেয়ে গড়গড়িয়ে নামছে একটা ভোদ্কার বোতল, নীচে লেখা: ‘অবশেষে প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েল্ৎসিনের কাছ থেকে বার্তা এল।’
রুশিদের অনেকের কাছেই পানাভ্যাস কোনও অমার্জনীয় অপরাধ নয়। কিন্তু তাই বলে এতটা? সরকারি দূরদর্শন ও পত্র-পত্রিকা তাঁর এইসব কীর্তিকলাপ প্রকাশে বেশ খানিকটা সতর্ক হলেও স্বাধীন দূরদর্শন কেন্দ্র এই ঘটনার অল্প কিছু দিন আগে জার্মানিতে ইয়েল্ৎসিনের আরও একটি অদ্ভুত আচরণের ছবি দেখিয়েছে কোনও রকম মন্তব্য ছাড়াই।
গত ১ সেপ্টেম্বর পূর্ব জার্মানি থেকে রুশ সেনাবাহিনী অপসারণ উপলক্ষে বার্লিনে আয়োজিত উৎসবের সময় সম্মানিত অতিথি প্রেসিডেন্ট ইয়েল্ৎসিন আচমকা জার্মান পুলিশ অর্কেস্ট্রার কন্ডাক্টারের হাত থেকে ছড়ি কেড়ে নিয়ে নিজেই শূন্যে এলোপাথাড়ি ছড়ি নাড়তে থাকেন, ভালুক-নাচ নাচতে নাচতে বেসুরো গলায় রুশ লোকসংগীত গাইতে শুরু করেন। দূরদর্শনের পর্দায় ধরা পড়ে যায় সে-দৃশ্য। ইয়েল্ৎসিন-সমর্থক ‘ইজ্ভেস্তিয়া’ পত্রিকাও শেষপর্যন্ত প্রেসিডেন্টের এই আচরণের সমালোচনা করতে বাধ্য হয়। অবশ্য তাঁর আসল সমস্যাটা যে কী, সে-সম্পর্কে নীরব থাকে।
এদেশের দু’টি দৈনিক কোনও রকম মন্তব্য ছাড়াই প্রকাশ করে বার্লিনের ভোজসভায় ইয়েল্ৎসিনের বিকট মুখভঙ্গির আলোকচিত্র– ডান হাতে মদের গ্লাস উঁচু করে ধরেছেন, অন্য হাতের মুদ্রায় সকলকে নস্যাৎ করে দেওয়ার ভঙ্গি। সরকারবিরোধী ‘সোভিয়েত রাশিয়া’ দৈনিকের প্রধান সম্পাদকের মন্তব্য: “ইতিমধ্যে দু’-দু’বার আমাদের পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তাই আমাদের যথেষ্ট সংযত থাকতে হচ্ছে।”
ইতিমধ্যে তাঁর এককালের অন্তরঙ্গ ও ঘনিষ্ঠমহলের লোকজনের স্মৃতিকথায় তাঁর সম্পর্কে যে সমস্ত তথ্য প্রকাশ পেয়েছে ও পাচ্ছে, সেগুলিতেও তাঁর মানসিক সুস্থতার কোনও পরিচয় মেলে না।
ইয়েল্ৎসিনের এককালের দেহরক্ষীবাহিনীর প্রধান জেনারেল কর্জাকভের সম্প্রতি (১৯৯৭) প্রকাশিত স্মৃতিকথা থেকে জানা যাচ্ছে, তিনি দুরারোগ্য অবসাদ রোগে ভুগছেন। বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন। এরকম একটা ঘটনার কথা অবশ্য আমরা আগেও শুনেছি– গর্বাচ্যোভ্ অনেকবার তার উল্লেখ করেছিলেন। ১৯৯০ সালের ঘটনা– বোধহয় প্রথম ঘটনাই হবে– ঘটনার অব্যবহিত পরে গর্বাচ্যোভ্ পার্লামেন্ট সদস্যদের সামনে তা ফাঁস করতে করতেও কেন যেন দ্বিধা করেননি। তখন তিনি একটা সেতুর ওপর থেকে মস্ক্ভা নদীর গর্ভে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। ঘটনাটি পরে ইয়েল্ৎসিন তার প্রাণনাশের জন্য কে জি বি-র ব্যর্থ চেষ্টা বলে উল্লেখ করেন। ১৯৯০ সালের ঘটনা– তখনও তিনি পূর্ণক্ষমতার অধিকারী হননি, গর্বাচ্যোভ্ তখনও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী– অতএব বলতেই পারেন। কিন্তু তার আগের মুহূর্তে হাতের শিরা কাটা? তাছাড়া পরবর্তীকালে কোনও তদন্ত ছাড়াই স্রেফ ধামাচাপা পড়ে গেল?
এর দু’-বছর পরও নাকি যখন তিনি পূর্ণ ক্ষমতাসীন সেই সময় ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তখন তাঁর প্রহরীবাহিনীর প্রধান ঘরের দরজা ভেঙে অনেক কষ্টে তাঁকে উদ্ধার করেন।
কর্জাকভের কথায় ইয়েল্ৎসিন এখন ‘একজন অশক্ত অক্ষম বৃদ্ধ। দেশের ব্যাপারে তাঁর কোনও আগ্রহ নেই, তিনি এখন শুধু তাঁর নিজের পরিবারের ও লোকজনদের স্বার্থরক্ষা করার জন্য ব্যস্ত।’
কিন্তু তাতে কী এসে যায়? কী এসে যায় প্রেসিডেন্টের? অনুমান করা যায় আয়ারল্যান্ডের আকাশে ইয়েল্ৎসিন যেমন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তার চেয়েও গভীর কোনও ঘুমে তিনি আচ্ছন্ন হয়ে না পড়লে ১৯৯৬ সালের গ্রীষ্মকালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ঠিক জিতে যাবেন। ইয়েল্ৎসিনের পক্ষে আশার কথা এই যে রুশিরা যত সমালোচনাই করুক না কেন, শেষপর্যন্ত বর্তমানে যিনি ‘জার’ তাঁরই পক্ষে ভোট দেবে, আর সরকারি দূরদর্শনে তাদের যা করতে বলবে তারা তা-ই করবে। প্রেসিডেন্ট নিজেও সম্প্রতি এক দূরদর্শন-সাক্ষাৎকারে বলেছেন পত্র-পত্রিকায় বর্তমানে যা প্রকাশিত হচ্ছে– রাশিয়ার আম-জনতার পক্ষে নিজ বিচারবুদ্ধিতে তা বোঝা দুষ্কর।
জন্মদিন তিক্ত হয়ে যায় সমালোচনার তোড়ে
৩০ এপ্রিল, ১৯৯১
ছুটির দিনে কাজ করা, কাজের সময় গা ঢাকা দেওয়া, সংকট দেখা দিলে অপারেশনের নাম করে হাসপাতালে শুয়ে পড়া সাধারণের কাছে যা দৃষ্টিকটু, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েল্ৎসিনের পক্ষে সেটাই স্বাভাবিক। গত ২ ফেব্রুয়ারি ছিল তাঁর জন্মদিন। চৌষট্টি বছর পূর্ণ হল। সারাটা দিন কাজ করলেন ক্রেমলিনে, তাঁর অফিসে। রাশিয়ার বহুসংখ্যক পত্র-পত্রিকা কিন্তু এবারে দিনটি পালন করল প্রেসিডেন্ট ও তাঁর নীতির ওপর তুমুল আক্রমণের মাধ্যমে। ক্রেমলিনের জনৈক মুখপাত্রের মন্তব্য: প্রেসিডেন্ট তাঁর জন্মদিন নিয়ে বিশেষ বাড়াবাড়ি পছন্দ করেন না।
নিজের অফিসের কর্মী, পুর কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন উদ্যোগের অধিকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি সারাদিন ব্যস্ত থাকলেও তাঁর অন্তরঙ্গ মহল ছাড়বে কেন? পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের সিপ্কাররা, প্রধানমন্ত্রী এরই মাঝখানে প্রেসিডেন্টের প্রতি তাঁদের অভিনিবেশের পরিচয় দিয়ে যান। এসেছিলেন রাশিয়ার অর্থোডক্স চার্চের প্রধানও। কাজের কথা ছিল তাঁদের সঙ্গে। সেই সঙ্গে পেয়ে গেলেন ধর্মগুরুর আশীর্বাদও। গরজটা কার দিক থেকে, জানা যায়নি।
এবারে খুব কম সংবাদপত্রেই ইয়েল্ৎসিনের জন্মদিনের উল্লেখ ছিল। শুধু তা-ই নয়, অনেক পত্র-পত্রিকায় প্রেসিডেন্ট ও তাঁর অন্তরঙ্গ মহলের বিরুদ্ধে কটুকাট্যব্যের অভাব ছিল না– বিশেষত উত্তর ককেশাসের চেচ্নিয়াতে সামরিক হস্তক্ষেপকে কেন্দ্র করে।
একটা জনপ্রিয় সংবাদপত্রে জনৈক পাঠকের চিঠি: ‘চোর-ডাকাতদের শাস্তিবিধানই যদি চেচ্নিয়ার রাজধানী গ্রোজ্নির ওপর আক্রমণের কারণ হয়, তাহলে তো রাজধানী সাংকৃত পেতের্বুর্গে সরিয়ে এনে মস্কো আক্রমণ করাই বেশি যুক্তিযুক্ত হত, যেহেতু সেখানে চোর-ডাকাতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।’
এর একটি চিঠির ভাষায়: ‘সাহস সঞ্চয় করুন, মহামান্য প্রেসিডেন্ট, ভেবে দেখুন আফগানিস্তানের ঘটনা, বন্ধ করুন এই ব্যাপক হত্যাকাণ্ড।’
জনৈক প্রতিবেদক ইয়েল্ৎসিন তাঁর প্রধান দেহরক্ষী জেনারেল আলেক্সান্দ্র কর্জাকভ্কে বড় বেশি ক্ষমতা দিয়েছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। প্রতিবেদকের মন্তব্য, “রাশিয়ার পক্ষে বড়োই লজ্জাজনক যে প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষী গত দু’-মাস হল বিদেশি নেতৃবৃন্দ, বিশ্বের প্রচারমাধ্যম ও কূটনীতিবিদদের মনোযোগের কেন্দ্রস্থল হয়ে আছেন… দেশের নেতৃস্থানীয় রাজনীতিকদের তালিকায় একজন দেহরক্ষীর স্থান লাভ– এই ঘটনাটাই অস্বাভাবিক।”
কিন্তু অন্যত্র যা অস্বাভাবিক, রাশিয়ায় তা স্বাভাবিক। রাশিয়াতেও যা অস্বাভাবিক, ইয়েল্ৎসিনের কাছে তা আরও স্বাভাবিক।
…পড়ুন রুশকথা-র অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৫৭। গুরুগম্ভীর থেকে হাস্যকরের তফাত মাত্র একটি পদক্ষেপের
পর্ব ৫৬। রুশ দেশের অনেক খবরই আজকাল গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ঠাঁই পাওয়া শুরু করেছে
পর্ব ৫৫। মার্কিন দেশে ব্যাঙ্ক ডাকাতি করতে এসেছিল একজন গর্বাচ্যোভের মুখোশ পরে, অন্যজন মাইকেল জ্যাকসনের
পর্ব ৫৪। হাজার হাজার কৌতূহলী জনতার সঙ্গে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম সেই মহাদৃশ্য
পর্ব ৫৩। নাম বদলের গোলকধাঁধায় অসঙ্গতি বেড়েছে, ঐতিহ্যকে রক্ষা করা যায়নি
পর্ব ৫২। মস্কোর আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের মিছিলে ভারতের পতাকা থাকবে না-ই বা কেন?
পর্ব ৫১। পত্র-পত্রিকায় ঘোষণা করা হল কাস্ত্রো আসছেন, তবে ইনি মেক্সিকোর সোপ অপেরা স্টার
পর্ব ৫০। খোলা হাওয়ায় মানুষের আর কোনও কিছু নিয়েই চিন্তা নেই, অন্ন চিন্তা ছাড়া
পর্ব ৪৯। সোভিয়েত-মুক্ত রাশিয়াকে কে রক্ষা করবে?
পর্ব ৪৮। বর্ষশেষে মানুষ পেল দারিদ্র, এখন লোকে ধার-দেনা করে চা-কফি খাওয়া শুরু করেছে
পর্ব ৪৭। মুক্ত দিনে ব্যালের দেশ রাশিয়ায় ‘আধুনিক ব্যালে’ শেখাতে আসছে ক্যালিফোর্নিয়ার ট্রুপ
পর্ব ৪৬। অক্টোবর বিপ্লবের উচ্ছ্বাস কোনও দেশে কমলে, অন্য দেশে বাড়তে থাকে
পর্ব ৪৫। ‘অক্টোবর বিপ্লব দিবস’ আর পালিত হবে না, পালিত হবে বড়দিন– চোখের সামনে বদলে যাচ্ছিল সোভিয়েত
পর্ব ৪৪। রাজনীতিতে অদূরদর্শিতার ফল যে কত সুদূরপ্রসারী, তার প্রমাণ আফগানিস্তান
পর্ব ৪৩। জানলা দিয়ে পূর্ব জার্মানি দেখতে দেখতে গর্বাচ্যোভ বলেছিলেন, তাহলে এখানেই শেষ!
পর্ব ৪২। পেরেস্ত্রৈকা শুরু হলে বুঝেছিলাম ‘প্রগতি’ ‘রাদুগা’– এসব কিছুই থাকবে না
পর্ব ৪১। কল্পনা যোশীর তুলনায় ইলা মিত্রকে অনেক বেশি মাটির কাছাকাছি বলে মনে হয়েছে
পর্ব ৪০। বেসরকারিকরণের শুরু দিকে রাস্তাঘাটে ছিনতাই বেড়ে গেছিল, কারণ সব লেনদেন নগদে হত
পর্ব ৩৯। হাওয়া বদলের আঁচ অনেকেই আগে টের পেয়েছিল, বদলে ফেলেছিল জীবনযাত্রা
পর্ব ৩৮। শুধু বিদেশে থাকার জন্য উচ্চশিক্ষা লাভ করেও ছোটখাটো কাজ করে কাটিয়ে দিয়েছেন বহু ভারতীয়
পর্ব ৩৭। একটা বিদেশি সাবানের বিনিময়েও নাকি মস্কোয় নারীসঙ্গ উপভোগ করা যায়– এমনটা প্রচার করেছে ভারতীয়রা
পর্ব ৩৬। মস্কোর ঠান্ডায় লঙ্কা গাছ দেখে পি.সি. সরকার বলেছিলেন, ‘এর চেয়ে বড় ম্যাজিক হয় নাকি?’
পর্ব ৩৫। রুশদের কাছে ভারত ছিল রবীন্দ্রনাথের দেশ, হিমালয়ের দেশ
পর্ব ৩৪। সোভিয়েত শিক্ষায় নতুন মানুষ গড়ে তোলার ব্যাপারে একটা খামতি থেকে গিয়েছিল
পর্ব ৩৩। দিব্যি ছিলাম হাসপাতালে
পর্ব ৩২। মস্কোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সাধারণ ডাক্তাররা অধিকাংশই মহিলা ছিলেন
পর্ব ৩১। আমার স্ত্রী ও দুই কন্যা নিজভূমে পরবাসী হয়ে গিয়েছিল শুধু আমার জন্য
পর্ব ৩০। শান্তিদা কান্ত রায়ের প্রিয় কাজ ছিল মস্কোয় ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের কমিউনিজম পড়ানো
পর্ব ২৯। পেরেস্ত্রৈকার শুরু থেকেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন গোপেনদা
পর্ব ২৮। দেশে ফেরার সময় সুরার ছবি সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাননি গোপেনদা
পর্ব ২৭। বিপ্লবের ভাঙা হাট ও একজন ভগ্নহৃদয় বিপ্লবী
পর্ব ২৬। ননী ভৌমিকের মস্কোর জীবনযাত্রা যেন দস্তইয়েভস্কির কোনও উপন্যাস
পর্ব ২৫। ননীদা বলেছিলেন, ডাল চচ্চড়ি না খেলে ‘ধুলোমাটি’র মতো উপন্যাস লেখা যায় না
পর্ব ২৪। মস্কোয় শেষের বছর দশেক ননীদা ছিলেন একেবারে নিঃসঙ্গ
পর্ব ২৩। শেষমেশ মস্কো রওনা দিলাম একটি মাত্র সুটকেস সম্বল করে
পর্ব ২২। ‘প্রগতি’-তে বইপুথি নির্বাচনের ব্যাপারে আমার সঙ্গে প্রায়ই খিটিমিটি বেধে যেত
পর্ব ২১। সোভিয়েতে অনুবাদকরা যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করত, সে দেশের কম মানুষই তা পারত
পর্ব ২০। প্রগতি-র বাংলা বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে ননীদাই শেষ কথা ছিলেন
পর্ব ১৯। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় নাকি খুব ভালো রুশভাষা জানতেন, প্রমথনাথ বিশী সাক্ষী
পর্ব ১৮। লেডি রাণু মুখার্জিকে বাড়ি গিয়ে রুশ ভাষা শেখানোর দায়িত্ব পড়েছিল আমার ওপর
পর্ব ১৭। একদিন হঠাৎ সুভাষদা আমাদের বাড়ি এসে উপস্থিত ফয়েজ আহমেদ ফয়েজকে নিয়ে
পর্ব ১৬। মুখের সেই পরিচিত হাসিটা না থাকলে কীসের সুভাষ মুখোপাধ্যায়!
পর্ব ১৫। রুশ ভাষা থেকেই সকলে অনুবাদ করতেন, এটা মিথ
পর্ব ১৪। মস্কোয় ননীদাকে দেখে মনে হয়েছিল কোনও বিদেশি, ভারতীয় নয়
পর্ব ১৩। যিনি কিংবদন্তি লেখক হতে পারতেন, তিনি হয়ে গেলেন কিংবদন্তি অনুবাদক
পর্ব ১২। ‘প্রগতি’ ও ‘রাদুগা’র অধঃপতনের বীজ কি গঠনপ্রকৃতির মধ্যেই নিহিত ছিল?
পর্ব ১১। সমর সেনকে দিয়ে কি রুশ কাব্যসংকলন অনুবাদ করানো যেত না?
পর্ব ১০। সমর সেনের মহুয়ার দেশ থেকে সোভিয়েত দেশে যাত্রা
পর্ব ৯। মস্কোয় অনুবাদচর্চার যখন রমরমা, ঠিক তখনই ঘটে গেল আকস্মিক অঘটন
পর্ব ৮: একজন কথা রেখেছিলেন, কিন্তু অনেকেই রাখেননি
পর্ব ৭: লেনিনকে তাঁর নিজের দেশের অনেকে ‘জার্মান চর’ বলেও অভিহিত করত
পর্ব ৬: যে-পতাকা বিজয়গর্বে রাইখস্টাগের মাথায় উড়েছিল, তা আজ ক্রেমলিনের মাথা থেকে নামানো হবে
পর্ব ৫: কোনটা বিপ্লব, কোনটা অভ্যুত্থান– দেশের মানুষ আজও তা স্থির করতে পারছে না
পর্ব ৪: আমার সাদা-কালোর স্বপ্নের মধ্যে ছিল সোভিয়েত দেশ
পর্ব ৩: ক্রেমলিনে যে বছর লেনিনের মূর্তি স্থাপিত হয়, সে বছরই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার সূচনাকাল
পর্ব ২: যে দেশে সূর্য অস্ত যায় না– আজও যায় না
পর্ব ১: এক প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে রাশিয়ার খণ্ডচিত্র ও অতীতে উঁকিঝুঁকি