রবি ঠাকুর এই শ্লেষের সূত্রপাত কল্লোল যুগে। অচিন্ত্য সেনগুপ্তের কবিতায় ছিল, ‘সম্মুখে থাকুন বসে পথ রুধি রবীন্দ্র ঠাকুর’। এই রবীন্দ্র ঠাকুর কালক্রমে রবি ঠাকুর হলেন। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘হাংরাস’ উপন্যাসে আছে, ‘মনে আছে, একবার ভুল করার পর… নির্ভুল ভাবে বুঝে গেলাম যে রবি ঠাকুর বুর্জোয়া– তাঁর লেখার বিরুদ্ধে আমাদের শ্রেণী সংগ্রাম করতে হবে…।’ অর্থাৎ যে লোকটি অনাধুনিক কবিতা লিখে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, যে লোকটি পথ রোধ করে তরুণদের আটকে রেখে নিজের মহিমা বজায় রাখছে, যে লোকটি খারাপ অর্থে বুর্জোয়া তার নাম রবীন্দ্র ঠাকুর, সংক্ষেপে রবি ঠাকুর।
৪২.
‘আজি হতে শতবর্ষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি
কৌতূহলভরে —
আজি হতে শতবর্ষ পরে।’
চেনা কবিতা। বহুশ্রুত। তবে কেউ যদি অন্য একটি প্রশ্ন করেন। যদি বলেন, ধরা যাক কোনও অলৌকিক উপায়ে কবির সঙ্গে এই শতবর্ষ পরের পাঠক বা পাঠিকার হঠাৎ দেখা হল। তখন কী বলে তিনি কবিকে সম্বোধন করবেন? রবীন্দ্রনাথ? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর? রবীন্দ্রনাথবাবু? রবিবাবু? রবি ঠাকুর? গুরুদেব? রবিদা? ভেবে চিনতে আরও বেশ কিছু বিকল্প দেওয়া সম্ভব। এই ডাকাডাকি নিয়ে রবীন্দ্রনাথের নিজেরও ভাবনা ছিল যথেষ্ট। সত্যভূষণ সেনের চিঠির জবাব দিতে গিয়ে লিখেছিলেন, ‘আমার বয়স যখন ছিল অল্প, বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন বঙ্গসাহিত্যের রাজাসনে, তখন প্রসঙ্গক্রমে তাঁর নাম করতে হলে আমরা বলতুম বঙ্কিমবাবু, শুধু বঙ্কিমও কারো কারো কাছে শুনেছি, কিন্তু কখনো কাউকে বঙ্কিম চাটুজ্জে বলতে শুনি নি। সম্প্রতি রুচির পরিবর্তন হয়েছে কি? এখন শরৎচন্দ্রের পাঠকদের মুখে প্রায় শুনতে পাই শরৎ চাটুজ্জে। পরোক্ষে শুনেছি আমি রবি ঠাকুর নামে আখ্যাত। রুচি নিয়ে তর্কের সীমা নেই কিন্তু শরৎচন্দ্রই আমার কানে ভদ্র শোনায়, শরৎবাবুতেও দোষ নেই, কিন্তু শরৎ চাটুজ্জে কেমন যেন খেলো ঠেকে।’ এই যুক্তি মেনে নিলে তাঁকে রবিবাবু, রবীন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ বলাই শ্রেয়। রবি ঠাকুর বললে কেমন খেলো শোনাবে।
………………………………………………
রবি ঠাকুর এই শ্লেষের সূত্রপাত কল্লোল যুগে। অচিন্ত্য সেনগুপ্তের কবিতায় ছিল, ‘সম্মুখে থাকুন বসে পথ রুধি রবীন্দ্র ঠাকুর’। এই রবীন্দ্র ঠাকুর কালক্রমে রবি ঠাকুর হলেন। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘হাংরাস’ উপন্যাসে আছে, ‘মনে আছে, একবার ভুল করার পর… নির্ভুল ভাবে বুঝে গেলাম যে রবি ঠাকুর বুর্জোয়া– তাঁর লেখার বিরুদ্ধে আমাদের শ্রেণী সংগ্রাম করতে হবে…।’
………………………………………………
যারা ‘রবি ঠাকুর’ নামে ডাকত, তারা যে তির্যক অর্থেই সে নামে ডাকে, তা রবীন্দ্রনাথ জানতেন, সে কথা তো নিজেই লিখেছেন। জানতেন বলেই নিজের লেখায় নিজের বিরুদ্ধবাদীদের কণ্ঠে তিনি ‘রবি ঠাকুর’ নামটিই বসিয়েছিলেন। হাতে-গরম উদাহরণ ‘শেষের কবিতা’। সে উপন্যাসে অমিত রবীন্দ্রনাথের ভক্ত নয়। তাই লাবণ্যের সঙ্গে ‘রবি ঠাকুর’-এর কবিতা নিয়ে তর্ক করে। বলে, ‘বন্যা, ওটা তোমাদের রবি ঠাকুরের কথা। সে লিখেছে, শাজাহান আজ তার তাজমহলকেও ছাড়িয়ে গেল। একটা কথা তোমার কবির মাথায় আসে নি যে, আমরা তৈরি করি তৈরি-জিনিসকে ছাড়িয়ে যাবার জন্যেই। বিশ্বসৃষ্টিতে ঐটেকেই বলে এভোল্যুশন।’ ‘তোমাদের রবি ঠাকুরের’– অমিতর এই কথন ভঙ্গির মধ্যে শ্লেষ আছে। মেয়েরা এ-কবির ভক্ত হতে পারে, অমিত নয়। তাই ডাকে রবি ঠাকুর, তিনির বদলে বলে সে।
………………………………………………
পড়ুন সুশোভন অধিকারীর কলাম ছবিঠাকুর: বাইরে সংযত রবীন্দ্রনাথ, ক্যানভাসে যন্ত্রণাদগ্ধ ছবিঠাকুর
………………………………………………
রবি ঠাকুর এই শ্লেষের সূত্রপাত কল্লোল যুগে। অচিন্ত্য সেনগুপ্তের কবিতায় ছিল, ‘সম্মুখে থাকুন বসে পথ রুধি রবীন্দ্র ঠাকুর’। এই রবীন্দ্র ঠাকুর কালক্রমে রবি ঠাকুর হলেন। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘হাংরাস’ উপন্যাসে আছে, ‘মনে আছে, একবার ভুল করার পর… নির্ভুল ভাবে বুঝে গেলাম যে রবি ঠাকুর বুর্জোয়া– তাঁর লেখার বিরুদ্ধে আমাদের শ্রেণী সংগ্রাম করতে হবে…।’ অর্থাৎ যে লোকটি অনাধুনিক কবিতা লিখে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, যে লোকটি পথ রোধ করে তরুণদের আটকে রেখে নিজের মহিমা বজায় রাখছে, যে লোকটি খারাপ অর্থে বুর্জোয়া তার নাম রবীন্দ্র ঠাকুর, সংক্ষেপে রবি ঠাকুর। রবি ঠাকুরই শ্রেয়। রবীন্দ্র এই যুক্তাক্ষর সমন্বিত নামটি আর উচ্চারণ করা কেন! হতেই পারে, অচিন্ত্যকুমার কবিতার ছন্দের মাত্রা বজায় রাখতে ‘রবীন্দ্র’ লিখেছিলেন– মনে মনে রবি ঠাকুরই বলতে চেয়েছিলেন।
সুতরাং, রবীন্দ্রনাথ তাঁর শতবর্ষ পরের পাঠিকার কাছ থেকে যে সম্বোধন শুনতে চাইবেন, তা হয়তো সব বাদ দিয়ে রবিবাবু। রবীন্দ্রনাথ চলতে পারে, তবে রবিবাবুই কাছের ডাক। তাঁর ‘সাধারণ মেয়ে’ কবিতায় ছিল,
আমি অন্তঃপুরের মেয়ে,
চিনবে না আমাকে।
তোমার শেষ গল্পের বইটি পড়েছি, শরৎবাবু,
‘বাসি ফুলের মালা’।
এই যেমন সাধারণ মেয়ে, শরৎচন্দ্রকে ‘শরৎবাবু’ বলছে তেমনই ‘রবিবাবু’। রবীন্দ্রনাথের মুগ্ধ পাঠিকা বলবেন, ‘আমি কবিতাপড়া মেয়ে,/ চিনবে কি আমাকে?/ তোমার শতবর্ষ আগে লেখা পড়েছি, রবিবাবু,/ ‘আকুল বসন্ত বায়’। ‘সাধারণ মেয়ে’ কবিতায় শরৎচন্দ্রের উপন্যাসের জনপ্রিয়তা নিয়ে তলায় তলায় একটু কি কৌতুকও করেননি রবীন্দ্রনাথ! করেছিলেন। তাই শতবর্ষ পরের কাল্পনিক পাঠিকার কণ্ঠে তাঁর কবিতায় কৌতুক ভরে ঢুকিয়ে দেওয়া যাক ‘আকুল বসন্ত বায়’।
ধরে নেওয়া যেতে পারে, এই শতবর্ষ পরের পাঠিকার কোনও পূর্ববর্তী আত্মীয় বা আত্মীয়া শান্তিনিকেতনে কবির প্রতিষ্ঠানে কবির জীবৎকালে পড়েননি। পড়লে তাঁকে অবধারিত ভাবে ‘গুরুদেব’ বলে সম্বোধন করতেন পাঠিকা। কারণ সহজেই অনুমেয়। তাঁদের পারিবারিক স্মৃতিকথনে রবীন্দ্রনাথের সূত্রে ‘গুরুদেব’ এই সম্বোধন প্রতিষ্ঠা পেয়ে যেত। কোনও একজনের গুরুদেব মানে পরিবারের পরবর্তী সকলের ‘গুরুদেব’। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের সমকালে যাঁরা ‘গুরুদেব’– এই সম্বোধন একটু এড়িয়ে চলতে চাইতেন, তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন ‘কবি’ এই ডাক– একটু পরোক্ষ, শ্রদ্ধা সূচক। তাঁর অনুপস্থিতে এই ‘কবি’ বলেই সম্বোধন করতেন। কিন্তু সামনে? সামনে কি সেই গুরুদেব?
আচ্ছা, একালের মতো রবিদা কি কোনও ভাবেই চালানো যাবে না? রবীন্দ্রনাথের নাটকে বয়স্ক হাসি-খুশি মাইডিয়ার মানুষেরা ঠাকুরদা বা দাদাঠাকুর। ‘অচলায়তন’ নাটকে গুরু তো আরেকরূপে দাদাঠাকুর। অচলায়তনের নাট্য রূপান্তর ‘গুরু’। সেখানে গুরু বালকদের বলেন, ‘আমি তোমাদের সঙ্গে খেলব’ । আর ঠাকুরদা? ‘ঋণশোধ’-এ বালকেরা তাকে সবাই দলে টানতে চায়। তবে শতবর্ষ পরের পাঠক বা পাঠিকা তাঁকে ঠাকুরদা বা দাদাঠাকুর বলছেন এটা কেমন কেমন লাগবে! শরৎচন্দ্রকে অনেকেই ব্যক্তিগত স্তরে ‘দাদা’ বলতেন। শরৎচন্দ্র তাঁদের যেভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতেন সেই আশ্রয়-প্রশ্রয়ের সূত্রেই ব্যক্তিগত স্তরে স্বতঃস্ফূর্ত হয়েছিল এই দাদা সম্বোধন। তার সঙ্গে হাল আমলের তরুণ কবিদের অগ্রজ কবিদের নামের সঙ্গে ‘দাদা’ লাগিয়ে ডাকার যোগ নেই। তাই রবিদা চলবে না। তা রবি ঠাকুর এই ডাকের চাইতেও কানে লাগছে।
…………………………………..
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
…………………………………..
ঠাকুরদা বা দাদাঠাকুর ডাকটি শহুরে পাঠক-পাঠিকাদের ঠোঁটে বেমানান লাগলেও খেটে-খাওয়া মানুষদের মুখে বেমানান লাগবে না। মনে রাখতে হবে, দাদাঠাকুর, ঠাকুরদাকল্প চরিত্রগুলির আরেকটি ভূমিকাও ছিল। তাঁরা বিশেষ এক অদলীয় সামাজিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। যে রবি ঠাকুর বুর্জোয়া কবি বলে একদা নির্ধারিত ও শ্রেণি সংগ্রামের লক্ষ্য বলে বিবেচিত, সেই রবি ঠাকুর পল্লি পুনর্গঠনের জন্য কম ভাবেননি, কম কাজ করেননি। তাই অন্য এক অলৌকিক দৃশ্যের কথা ভাবতে ইচ্ছে করে। ধরা যাক, বীরভূমের কোনও গ্রামে উপস্থিত তিনি। বৃদ্ধ প্রফুল্ল মানুষটি। তাঁকে দাদাঠাকুর বা ঠাকুরদা বলে সম্বোধন করছেন গ্রামবাসীরা। বলছেন হয়তো, ‘দাদাঠাকুর, কোনো দলই আমাদের কথা ভাবে না। যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ’। দাদাঠাকুর রবীন্দ্রনাথ সেই অলৌকিক দৃশ্যে তাঁদের বলছেন, ‘তোরা দলকে যত জড়িয়ে ধরছিস তোদের সাঁতার শেখা ততই পিছিয়ে যাচ্ছে। যা দলের নয় তা দলকে দিতে নেই। বাইরের আলোর উপর ভরসা রাখাই তোদের অভ্যাস, তাই অন্ধকার হলেই একেবারে অন্ধকার দেখিস। বাইরের আলো গেলে অপরে এসে সে আলো জ্বালিয়ে দেবে একথা না ভেবে, দলকে বাদ দিয়ে নিজেরা সচেতন হলে, গাঁ-ঘরে নিজেরাই সে আলো জ্বালতে পারবি।’ দাদাঠাকুর রবীন্দ্রনাথের কথাটি সকলে না বুঝলেও কেউ কেউ হয়তো বুঝল! দাদাঠাকুর তখন গান ধরলেন,
নিশিদিন ভরসা রাখিস, ওরে মন, হবেই হবে।
যদি পণ করে থাকিস সে পণ তোমার রবেই রবে।
ওরে মন, হবেই হবে॥
পাষাণসমান আছে পড়ে, প্রাণ পেয়ে সে উঠবে ওরে,
আছে যারা বোবার মতন তারাও কথা কবেই কবে॥
সময় হল, সময় হল– যে যার আপন বোঝা তোলো রে–
দুঃখ যদি মাথায় ধরিস সে দুঃখ তোর সবেই সবে।
ঘণ্টা যখন উঠবে বেজে দেখবি সবাই আসবে সেজে–
এক সাথে সব যাত্রী যত একই রাস্তা লবেই লবে॥
…ছাতিমতলা-র অন্যান্য পর্ব…
ছাতিমতলা পর্ব ৪১: রবীন্দ্রনাথ ফেসবুকে থাকলে যে ভাষায় ট্রোলড হতেন
ছাতিমতলা পর্ব ৪০: রবীন্দ্র-দেবেন্দ্র সম্পর্ক বাংলা ছবির উত্তমকুমার-কমল মিত্র সম্পর্ক নয়
ছাতিমতলা পর্ব ৩৯: তেমন মাতৃসাহচর্য পাননি বলেই নৈর্ব্যক্তিকভাবে মা-সন্তানের সম্পর্ককে দেখতে পেরেছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ৩৮: রবি ঠাকুরের জন্মদিনের সাংস্কৃতিক ‘ফ্যাশন’ নিয়ে ফুট কাটা যাবে না কেন!
ছাতিমতলা পর্ব ৩৭: রবীন্দ্রনাথের মতে, ভোট সামাজিক মঙ্গলের নিঃশর্ত উপায় নয়
ছাতিমতলা পর্ব ৩৬: টক্সিক রিলেশনশিপ কি রবীন্দ্রনাথের লেখায় আসেনি?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৫: রবীন্দ্রনাথ কি আড্ডা মারতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৪: চিনের দৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথের সভ্যতা-ভাবনা ছিল কল্পনা বিলাস
ছাতিমতলা পর্ব ৩৩: পুরস্কার মূল্যকে হেলায় ফেরাতে জানে কবিই, জানতেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩২: তরুণ রবির তীক্ষ্ণ সমালোচক পরিণত রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩১: ভোটের মঞ্চে উড়ছে টাকা, এসব দেখে কী বলতে পারতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৩০: শিক্ষিত ভদ্রলোকের ‘নাগরিকত্ব’ বিষয়ক ভাবনার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের যোগ তৈরি হচ্ছে না, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ২৯: কলকাতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অপ্রেম রয়েছে যেমন, তেমনই রয়েছে আবছায়া ভালোবাসা
ছাতিমতলা পর্ব ২৮: মনের ভাঙাগড়া আর ফিরে-চাওয়া নিয়েই মধুসূদনের ভাষা-জগৎ– রবীন্দ্রনাথেরও
ছাতিমতলা পর্ব ২৭: বাংলা ভাষা কীভাবে শেখাতে চাইতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ২৬: ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ প্রৌঢ়ের কথায় রবীন্দ্রনাথের প্রেম চেনা যাবে না
ছাতিমতলা পর্ব ২৫: সুকুমার রায় যে অর্থে শিশু-কিশোরদের মনোরঞ্জন করতে পারতেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২৪: বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে বই প্রকাশের কারখানা শুধু নয়, রবীন্দ্রনাথ দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি