পরবর্তীকালে সারাজীবনই কবি রবীন্দ্রনাথকে নানা কারণে অপ্রচলিত অর্থে ‘লক্ষ্মীর আরাধনা’ করতে হয়েছিল– নিজের জন্য নয়, যে সামাজিক দায়িত্ব তিনি গ্রহণ করেছিলেন তার জন্য। এ ক্ষেত্রে কবিপত্নী সহায়। ব্রহ্মচর্যাশ্রমের খরচ চালানোর জন্য গহনা প্রদান করেছিলেন। পরে ব্রহ্মচর্যাশ্রমের সীমা অতিক্রম করে কবির প্রতিষ্ঠান যখন ডালপালা মেলল, তখন দেশের মানুষের জন্য গড়ে তোলা সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ভার বহন করা কঠিন হয়ে উঠল। নানা জায়গায় সাহায্য প্রার্থনা করলেন কবি রবীন্দ্রনাথ। কবির প্রার্থনা বিফলে যায়নি।
৩৩.
কবিতা নিয়ে বাঙালির দুর্বলতা অনেক দিনের। কবিতা লিখে কী হয় আর কী হয় না তা নিয়েও নানা বিতর্ক। রবীন্দ্রনাথের ‘পুরস্কার’ কবিতার বেচারি কবি তাঁর স্ত্রী-র কাছে ভালো বাংলায় ‘তিরস্কার প্রাপ্ত হয়েছিলেন’, খারাপ বাংলায় ‘মুখ ঝামটা খেয়েছিলেন’। খাবেন নাই বা কেন? বাইরে ঘোর বর্ষা। বর্ষাকালে নাকি কবিদের মন ‘একখানা’ হয়ে যায়। একমনা কবি বর্ষাযাপনের কবিতা লেখেন। আর তখন কবিপত্নীর নিরুপায় গঞ্জনা,
‘ রাশি রাশি মিল করিয়াছ জড়ো,
রচিতেছ বসি পুঁথি বড়ো বড়ো,
মাথার উপরে বাড়ি পড়ো-পড়ো
তার খোঁজ রাখ কি!’
শুধু কি মাথার ওপরে বাড়ি পড়ো-পড়ো? ‘অন্ন জোটে না, কথা জোটে মেলা,’ –ভাত-কাপড়ের অভাব অস্বীকার করে কবিপুরুষ শব্দসন্ধানী হতেই পারেন কিন্তু কবিপত্নী কতক্ষণ আর নীরবে সহ্য করবেন? গঞ্জনা অবশ্য কবিপত্নীর মনের কথা নয় এই কবিতার শেষে তা পাঠক জানতে পেরেছিলেন। কবি পত্নীর প্ররোচনায় রাজসভায় গিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য পুরস্কার লাভ। রাজার কাছে গিয়ে পুরোহিত, গণৎকার, ব্যাকরণবিদ নানা পুরস্কার জুটিয়ে নিয়েছিলেন। কবি কিন্তু তা পারেননি। কবির বাণীতে মুগ্ধ হয়ে রাজা বললেন,
‘ভাবিয়া না পাই কী দিব তোমারে,
করি পরিতোষ কোন্ উপহারে,
যাহা-কিছু আছে রাজভাণ্ডারে
সব দিতে পারি আনি।’
কবি অবশ্য চাইতে পারলেন না ধন-দৌলত। জানালেন,
‘কণ্ঠ হইতে দেহো মোর গলে
ওই ফুলমালাখানি।’
এ-টুকুই তাঁর চাওয়া। সেই মালাখানি নিয়ে আনন্দ-অভিভূত কবি গৃহে ফিরলেন। পত্নীকে দিলেন সেই মালা। পত্নীর বাক্রুদ্ধ প্রকাশভঙ্গি, বাইরে-অন্তরে কিন্তু অন্য সুর জাগে।
‘মিছে ছল করি মুখে করে রাগ,
মনে মনে তার জাগিছে সোহাগ,
গরবে ভরিয়া উঠে অনুরাগ —
হৃদয়ে উথলে সুখ।’
রবীন্দ্রনাথ যখন লিখছেন এই কবিতা, তখন কি তাঁর নিজের কথা মনে পড়েছিল? দাদা সত্যেন্দ্রনাথ উচ্চপদস্থ চাকুরে। তিনি স্কুল-পালানে কবি বলে চাকরিহারা। তাঁর গৃহে লক্ষ্মী চঞ্চলা। পরবর্তীকালে সারাজীবনই কবি রবীন্দ্রনাথকে নানা কারণে অপ্রচলিত অর্থে ‘লক্ষ্মীর আরাধনা’ করতে হয়েছিল– নিজের জন্য নয়, যে সামাজিক দায়িত্ব তিনি গ্রহণ করেছিলেন তার জন্য। এ ক্ষেত্রে কবিপত্নী সহায়। ব্রহ্মচর্যাশ্রমের খরচ চালানোর জন্য গহনা প্রদান করেছিলেন। পরে ব্রহ্মচর্যাশ্রমের সীমা অতিক্রম করে কবির প্রতিষ্ঠান যখন ডালপালা মেলল, তখন দেশের মানুষের জন্য গড়ে তোলা সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ভার বহন করা কঠিন হয়ে উঠল। নানা জায়গায় সাহায্য প্রার্থনা করলেন কবি রবীন্দ্রনাথ। কবির প্রার্থনা বিফলে যায়নি। দেশীয় রাজা ও শিল্পপতিরা কবিকে দেশের কাজে অর্থ দিয়েছিলেন। অন্য দেশ থেকেও অর্থ এসেছিল। আর কবির নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য? সে টাকা তিনি নিজের প্রতিষ্ঠানের কাজে লাগাননি– মূলধন হিসেবে জমা রেখেছিলেন গ্রামীণ সমবায় ব্যাঙ্কে। তাঁর পল্লিপ্রজারা সেই সুদের টাকার সুবিধে পেতেন। এই ছিল কবির লক্ষ্মীর আরাধনার চরিত্র।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
কবি কল্পনা কি পড়াশোনা আর শিক্ষার চাপে মারা পড়ে? স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অনেকেই কবিদের সঙ্গে পড়াশোনার ও পাণ্ডিত্যের বিয়োগ দেখাতে তৎপর। কল্পনার লাগামছাড়া প্রয়োগই যেন কবিতা। এখানেও রবীন্দ্রনাথের আপত্তি। নীরব কবি ও অশিক্ষিত কবি দুয়েরই তিনি বিরোধী। নীরব যে কবির বিশেষণ হিসেবে অপ্রযুক্ত তা সহজেই বোঝা যায়। প্রকাশই কবিত্ব। কারণ পাঠক তো দৈববলে নীরব কবির মনে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাঁকে প্রকাশিত শব্দসমূহ পড়ে কাব্যবিচার করতে হবে। তাই নীরব কবিত্ব সোনার পাথরবাটির মতোই অর্থহীন।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
তবে সবাই যে এভাবে ভাববেন তা তো নয়। ঈষৎ রসিকতার ভঙ্গিতে কেউ কেউ অন্য-প্রতিশোধের কথাও ভাবতে পারেন।
‘এবার কবিতা লিখে আমি একটা রাজপ্রাসাদ বানাবো
এবার কবিতা লিখে আমি চাই পন্টিয়াক গাড়ি
এবার কবিতা লিখে আমি ঠিক রাষ্ট্রপতি না হলেও
ত্রিপাদ ভূমির জন্য রাখব পা উঁচিয়ে –
মেষপালকের গানে এ পৃথিবী বহুদিন ঋণী!
কবিতা লিখেছি আমি চাই স্কচ, সাদা ঘড়া, নির্ভেজাল ঘৃতে পক্ব
মুর্গীর দু ঠ্যাং শুধু, আর মাংস নয় –
কবিতা লিখেছি তাই আমার সহস্র ক্রীতদাসী চাই –
অথবা একটি নারী অগোপন, যাকে আমি প্রকাশ্য রাস্তায় জানু ধরে
দয়া চাইতে পারি।’
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘এবার কবিতা লিখে’ এক সময়ের জনপ্রিয় কবিতা। কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে তরুণ কবিরা স্কচ, মুরগি, নারী আর প্রাসাদের ছবি দেখতেন মনে মনে। সবাই হয়তো নয়, তবে কেউ কেউ। যাঁরা দেখতেন, তাঁদের কেউ কেউ কবিতা লিখে কিছুই পাননি এমন নয়। বিশেষ করে আধুনিক সুকৌশলী রাষ্ট্রব্যবস্থা ও অর্থতন্ত্র অনেক সময় কবিকে ব্যবহার করতে চেয়েছে, ব্যবহার করতে পেরেছে। পরিবর্তে তাদের হাত ভরে দিতে দ্বিধা করেনি।
সে কথা থাক। কবিতার বিতর্কে অর্থ ও প্রতিপত্তি ছাড়া আরেকটি প্রসঙ্গও মাঝে মাঝে ওঠে। কবি কল্পনা কি পড়াশোনা আর শিক্ষার চাপে মারা পড়ে? স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অনেকেই কবিদের সঙ্গে পড়াশোনার ও পাণ্ডিত্যের বিয়োগ দেখাতে তৎপর। কল্পনার লাগামছাড়া প্রয়োগই যেন কবিতা। এখানেও রবীন্দ্রনাথের আপত্তি। নীরব কবি ও অশিক্ষিত কবি দুয়েরই তিনি বিরোধী। নীরব যে কবির বিশেষণ হিসেবে অপ্রযুক্ত তা সহজেই বোঝা যায়। প্রকাশই কবিত্ব। কারণ পাঠক তো দৈববলে নীরব কবির মনে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাঁকে প্রকাশিত শব্দসমূহ পড়ে কাব্যবিচার করতে হবে। তাই নীরব কবিত্ব সোনার পাথরবাটির মতোই অর্থহীন। আর অশিক্ষিত কবি সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের কী অভিমত? ‘কল্পনারও শিক্ষা আবশ্যক করে। যাহাদের কল্পনা শিক্ষিত নহে, তাহারা অতিশয় অসম্ভব অলৌকিক কল্পনা করিতে ভালবাসে; বক্র দর্পণে মুখ দেখিলে নাসিকা পরিমাণাধিক বৃহৎ এবং কপাল ও চিবুক নিতান্ত হ্রস্ব দেখায়। অশিক্ষিতদের কুগঠিত কল্পনাদর্পণে স্বাভাবিক দ্রব্য যাহা কিছু পড়ে তাহার পরিমাণ ঠিক থাকে না; তাহার নাসা বৃহৎ ও তাহার কপাল খর্ব্ব হইয়া পড়ে। তাহারা অসঙ্গত পদার্থের জোড়াতাড়া দিয়া এক-একটা বিকৃতাকার পদার্থ গড়িয়া তোলে।’ রোম্যান্টিক কাব্যতত্ত্বে দীক্ষাপ্রাপ্ত রবীন্দ্রনাথ ‘ফ্যান্সি’ আর ‘ইমাজিনেশন’ দুয়ের পার্থক্য বিলক্ষণ জানতেন। অশিক্ষিত কল্পনার প্রাচুর্য দেখেই কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বন্ধু শক্তি চট্টোপাধ্যায় হয়তো ‘এত কবি কেন?’ এই জিজ্ঞাসা নিবন্ধ লিখে তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন।
গণতন্ত্র অতি বিষম বস্তু। যা তার শক্তি তাই তার দুর্বলতা। সুতরাং গণতান্ত্রিক দেশে সকলেই কবিতা লিখুন। পাঠক তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার অনুযায়ী ‘শিক্ষিত’, ‘আধা-শিক্ষিত’, ‘না-শিক্ষিত’ কল্পনার ঘোড়দৌড় থেকে নিজের শিক্ষা অনুযায়ী পদ বেছে নিন। তবে কবির পুরস্কার অর্থ-প্রতিপত্তি-স্বীকৃতি সম্বন্ধীয় হলে তা নিয়ে বিতর্ক থাকবেই। রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে সেকালের বাঙালিরা কটু কথা বলতে ছাড়েননি। আবার একথাও সত্য পৃথিবীতে নেই কোনও বিশুদ্ধ পুরস্কার, নেই কোনও বিশুদ্ধ চাকরি।
…ছাতিমতলা-র অন্যান্য পর্ব…
ছাতিমতলা পর্ব ৩২: তরুণ রবির তীক্ষ্ণ সমালোচক পরিণত রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩১: ভোটের মঞ্চে উড়ছে টাকা, এসব দেখে কী বলতে পারতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৩০: শিক্ষিত ভদ্রলোকের ‘নাগরিকত্ব’ বিষয়ক ভাবনার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের যোগ তৈরি হচ্ছে না, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ২৯: কলকাতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অপ্রেম রয়েছে যেমন, তেমনই রয়েছে আবছায়া ভালোবাসা
ছাতিমতলা পর্ব ২৮: মনের ভাঙাগড়া আর ফিরে-চাওয়া নিয়েই মধুসূদনের ভাষা-জগৎ– রবীন্দ্রনাথেরও
ছাতিমতলা পর্ব ২৭: বাংলা ভাষা কীভাবে শেখাতে চাইতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ২৬: ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ প্রৌঢ়ের কথায় রবীন্দ্রনাথের প্রেম চেনা যাবে না
ছাতিমতলা পর্ব ২৫: সুকুমার রায় যে অর্থে শিশু-কিশোরদের মনোরঞ্জন করতে পারতেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২৪: বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে বই প্রকাশের কারখানা শুধু নয়, রবীন্দ্রনাথ দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি