রবীন্দ্রনাথ যখন শিক্ষাসত্র স্থাপন করছেন সেই সময় রচনা করছেন ‘রক্তকরবী’। তার কিছুদিন আগে রচনা করেছেন ‘মুক্তধারা’। এই দুই নাটকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে গ্রাম সমাজের কথা আছে। সেই গ্রাম সমাজ থেকে সাধারণ মানুষকে বিচ্যুত করতে চায় যে অর্থনীতি তারই বিরোধিতা দুই নাটকে চোখে পড়ে। গ্রাম সমাজের স্থিতিশীল স্বনির্ভর চরিত্র গড়ে তোলার জন্য যে শিক্ষা উদ্যোগ প্রয়োজন তারই রূপরেখা ‘শিক্ষাসত্র’-এর ভাবনায় ছিল। রবীন্দ্রনাথ ও এল্ম্হার্স্ট– দু’জনে মিলে আলোচনা করে এই বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচি নির্মাণ করেছিলেন।
৪৬.
রবীন্দ্রনাথের তৈরি করা বিদ্যালয় বলতে প্রায় সবাই শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মচর্যাশ্রমকেই চেনেন, জনসমাজে তা শান্তিনিকেতনের ‘পাঠভবন’ নামে পরিচিত। শুধু পরিচিতই নয়, কবির এই বিদ্যালয় সম্বন্ধে প্রকৃতিপ্রেমী রোম্যান্টিক নাগরিক মানুষের গভীর বিহ্বলতা। কবি কী চেয়েছিলেন তা বিচার্য নয়, তাঁরা ‘কবির স্কুল’ বলতে কী ভাবেন, তাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে কবি একটি বিদ্যালয়ের রূপকার ছিলেন না, আরেকটি বিদ্যালয়েরও তিনি নির্মাতা।
বিদ্যালয়ের রূপ যে একরকম নয়, অনেক রকম, তা রবীন্দ্রনাথ ক্রমশই উপলব্ধি করেছিলেন। ভারতীয় তপোবনের শিক্ষাদর্শের পুনর্নির্মাণের যে সংকল্প বিশ শতকের গোড়ায় তাঁকে পেয়ে বসেছিল সেই পুনর্নির্মাণের প্রকল্প থেকে সরে এসে শিক্ষাদর্শের নব-রূপায়ণে তিনি ব্রতী হয়েছিলেন। ঔপনিবেশিক শিক্ষানীতির সঙ্গে ভারতীয় গ্রাম-সমাজের কোনও সংযোগ ছিল না। তাঁরা ঔপনিবেশিক ব্যবস্থায় ছোট-মেজ-বড় প্রশাসনিক কর্মী তৈরি করার জন্যই শিক্ষালয়গুলি গড়ে তুলেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে যে ব্রহ্মচর্যাশ্রম স্থাপন করেছিলেন তা সর্বার্থেই ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার বিরোধী। তবে তপোবনের শিক্ষার আদর্শে ব্রহ্মচর্যাশ্রম গঠন করলেই যে স্বদেশি সমাজের সমস্ত অভাব দূর হবে না ক্রমে রবীন্দ্রনাথ তা বুঝতে পারছিলেন। স্বদেশি সমাজের রূপ কেমন হওয়া উচিত তা-ও তো একদিনে স্পষ্ট হয়নি। অভিজ্ঞতা ও অনুভবের সূত্রে রবীন্দ্রনাথের পরিকল্পনা পরিণতি লাভ করেছে। এই পরিণত পরিকল্পনার সূত্রেই রবীন্দ্রনাথ আরেকটি বিদ্যালয় গড়ে তুলেছিলেন। সে বিদ্যালয়ের নাম শিক্ষাসত্র, তার অবস্থান শেষ পর্যন্ত শান্তিনিকেতনে রইল না। শুরু করার কয়েক বছর পরে চলে গেল শ্রীনিকেতনে।
রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনের ব্রহ্মচর্যাশ্রমের শিক্ষাব্যবস্থায় নানা ভাবনার ঢেউ এসে লেগেছিল। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির পর রবীন্দ্রনাথ অনুভব করলেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁর মতের বিশেষ গুরুত্ব আছে। সেই মত প্রচলিত পুঁজিতান্ত্রিক নেশন নির্মাণের প্রকল্পের বিরোধী বলে ‘বিতর্কিত’ হতে পারে কিন্তু তাঁর মতের মধ্যে এমন কিছু ভাবনার উপাদান ছিল যা উন্নয়নের ঘাত-সহ সুস্থিত রূপের পক্ষপাতী। নগরের চাহিদা ও লোভ মেটানোর জন্য বৃহত্তর গ্রামসমাজকে রুগ্ণ করে তোলার পক্ষপাতী তিনি নন। পরিবেশকে ধ্বংস করে প্রকৃতিকে মেরে প্রযুক্তির চাকা ঘোরায় যে অর্থনীতি তার সমর্থকও রবীন্দ্রনাথ হতে পারেননি। এর অর্থ এই নয় যে, রবীন্দ্রনাথ আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সম্পূর্ণ বিরোধী ছিলেন। একেবারেই নয়– বিজ্ঞানের নয়, বিজ্ঞানের মাধ্যমে লোভকে প্রবল করে তোলে যে ব্যবস্থা তিনি তার বিরোধী। শান্তিনিকেতনের থেকে কিছু দূরে পল্লিপুনর্গঠনের জন্য যে আয়োজন তিনি করেছিলেন সেই আয়োজনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তৈরি হল আরেকটি বিদ্যালয়। নাম তার শিক্ষাসত্র।
শিল্পী নন্দলাল বসু পঞ্চানন মণ্ডলকে জানিয়েছিলেন, ‘গুরুদেব স্থির করেছিলেন, শিক্ষাসত্রে এমন সব ছেলে নেবেন, যাদের অভিভাবকদের তরফ থেকে পরীক্ষা-পাশ করানোর দাবি উঠবে না। তিনি ভাবলেন, এইভাবেই তাঁর শিক্ষার আদর্শ সম্পূর্ণরূপে রূপায়িত করা যাবে। … ১৯২৪ সালে শান্তিনিকেতনে ছটি ছেলেকে নিয়ে শিক্ষাসত্র আরম্ভ হয়েছিল। বালকদের রান্না-বান্না, বাগান-করা, ঘর-দুয়ার পরিষ্কার রাখা, সন্তোষচন্দ্র তাদের শেখাতেন হাতে করে।” ১৯২৪ সালে এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার সময়েই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে বালকেরা এখানে ভর্তি হবে শুরু থেকেই তারা হস্তশিল্প ও গৃহশিল্প এই দুই ক্ষেত্রে শিক্ষানবিশী করবে। কর্মশালার শিক্ষা তাদের সমর্থ হস্তশিল্পী ও স্বাধীন কারিগর হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে। রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ‘প্রবাসী’ পত্রে ( জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৫) খেয়াল করিয়ে দিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধীর ভাবাদর্শের সঙ্গে এর মিল ও বেমিল দুই আছে। গান্ধীর মতোই রবীন্দ্রনাথ শিক্ষাব্যবস্থায় কায়িক শ্রমের উদ্ভাবনী গুরুত্বকে স্বীকার করে নিচ্ছেন। তবে, ‘ইহাতে বলা হয় নাই যে, শিক্ষাসত্রের অনুযায়ী শিক্ষা দিলে পূর্ণস্বরাজ পাওয়া যাইবে ও দেশ স্বাধীন হইবে।’ রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ও গান্ধীর ওয়ার্ধা প্রণালী বা বুনিয়াদি শিক্ষার সঙ্গে শিক্ষাসত্রের শিক্ষা-প্রণালীর তুলনা করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ যখন শিক্ষাসত্র স্থাপন করছেন সেই সময় রচনা করছেন ‘রক্তকরবী’। তার কিছুদিন আগে রচনা করেছেন ‘মুক্তধারা’। এই দুই নাটকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে গ্রাম সমাজের কথা আছে। সেই গ্রাম সমাজ থেকে সাধারণ মানুষকে বিচ্যুত করতে চায় যে অর্থনীতি তারই বিরোধিতা দুই নাটকে চোখে পড়ে। গ্রাম সমাজের স্থিতিশীল স্বনির্ভর চরিত্র গড়ে তোলার জন্য যে শিক্ষা উদ্যোগ প্রয়োজন তারই রূপরেখা ‘শিক্ষাসত্র’-এর ভাবনায় ছিল। রবীন্দ্রনাথ ও এল্ম্হার্স্ট– দু’জনে মিলে আলোচনা করে এই বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচি নির্মাণ করেছিলেন।
শতবর্ষ আগে যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই বিদ্যালয় গড়ে তুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ শতবর্ষ পরে বিদ্যালয়টি সেই রূপে আর নেই। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যে-কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চরিত্র বদলে যায়। তবে শতবর্ষ আগে রবীন্দ্রনাথ কায়িক শ্রমের উদ্ভাবনী শক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে, পল্লি পুনর্গঠনের কথা ভেবে যে বিদ্যালয় গড়ে তুলেছিলেন সেই বিদ্যালয় যে প্রাসঙ্গিক প্রশ্নগুলি সামনে এনেছিল তা আজও প্রাসঙ্গিকতা হারায়নি। চিন্তাবিদ অম্লান দত্ত শিক্ষাসত্রের পঞ্চসপ্ততিতম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যে ভাষণ প্রদান করেছিলেন তাতে বলেছিলেন, ‘পল্লীসংগঠন বলতে জওহর রোজগার যোজনা বা ওই ধরনের কয়েকটা আলাদা-আলাদা প্রকল্প বোঝায় না। পল্লীসংগঠন বলতে পল্লীসমাজের একটা আলাদা পুনর্গঠন বোঝায়। … গ্রামের বাড়তি শ্রম, সম্পদ এইসব মিলিয়ে মানুষ স্বনির্ভরতার সমবায় ইত্যাদির উপর নির্ভর করে তারা তাদের নিজেদের অভাব নিজেরাই দূর করতে পারবে।’ এই অভাব দূর করার কাজে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দিত এই বিদ্যালয়। শতবর্ষ পরে এখন ভারতীয় রাজনীতি নানা ভাবে জনতোষী ও খয়রাতি কেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। এই খয়রাতির রাজনীতি জনসমাজকে স্বনির্ভর হতে সহায়তা করে না। খয়রাতির তাৎক্ষণিক প্রয়োজন অনেকেই স্বীকার করেন, তবে খয়ারাতির উপর মানুষকে ক্রমাগত নির্ভরশীল করে তোলার রাজনীতি উপর থেকে নিচের দিকে দাক্ষিণ্য বিতরণের রাজনীতি। তারই বিপরীতে শিক্ষাসত্রের মতো বিদ্যালয় ব্যবস্থা স্বনির্ভর হতে শেখায়। সরকারের দান নয়, নিজেদের স্বাধীন অর্জনই পল্লীপুনর্গঠনের মূল নীতি – আত্মমর্যাদার বোধে এভাবেই শতবর্ষ আগে গ্রাম সমাজকে রবীন্দ্রনাথ উজ্জীবিত করতে চেয়েছিলেন।
…ছাতিমতলা-র অন্যান্য পর্ব…
ছাতিমতলা পর্ব ৪৫: ‘লেখা পড়া করে যে গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে’ প্রবাদের উদাহরণ হয়ে উঠতে চাননি রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৪৪: ‘গরম’ শব্দটিকে কতরকমভাবে ব্যবহার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৪৩: খেটে খাওয়া মানুষের সহজ পাঠ, রাজনৈতিক দল যদিও সেদিন বোঝেনি
ছাতিমতলা পর্ব ৪২: ‘রবি ঠাকুর’ ডাকটি রবীন্দ্রনাথ নিজেই তির্যকভাবেই ব্যবহার করতেন
ছাতিমতলা পর্ব ৪১: রবীন্দ্রনাথ ফেসবুকে থাকলে যে ভাষায় ট্রোলড হতেন
ছাতিমতলা পর্ব ৪০: রবীন্দ্র-দেবেন্দ্র সম্পর্ক বাংলা ছবির উত্তমকুমার-কমল মিত্র সম্পর্ক নয়
ছাতিমতলা পর্ব ৩৯: তেমন মাতৃসাহচর্য পাননি বলেই নৈর্ব্যক্তিকভাবে মা-সন্তানের সম্পর্ককে দেখতে পেরেছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ৩৮: রবি ঠাকুরের জন্মদিনের সাংস্কৃতিক ‘ফ্যাশন’ নিয়ে ফুট কাটা যাবে না কেন!
ছাতিমতলা পর্ব ৩৭: রবীন্দ্রনাথের মতে, ভোট সামাজিক মঙ্গলের নিঃশর্ত উপায় নয়
ছাতিমতলা পর্ব ৩৬: টক্সিক রিলেশনশিপ কি রবীন্দ্রনাথের লেখায় আসেনি?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৫: রবীন্দ্রনাথ কি আড্ডা মারতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৪: চিনের দৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথের সভ্যতা-ভাবনা ছিল কল্পনা বিলাস
ছাতিমতলা পর্ব ৩৩: পুরস্কার মূল্যকে হেলায় ফেরাতে জানে কবিই, জানতেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩২: তরুণ রবির তীক্ষ্ণ সমালোচক পরিণত রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩১: ভোটের মঞ্চে উড়ছে টাকা, এসব দেখে কী বলতে পারতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৩০: শিক্ষিত ভদ্রলোকের ‘নাগরিকত্ব’ বিষয়ক ভাবনার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের যোগ তৈরি হচ্ছে না, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ২৯: কলকাতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অপ্রেম রয়েছে যেমন, তেমনই রয়েছে আবছায়া ভালোবাসা
ছাতিমতলা পর্ব ২৮: মনের ভাঙাগড়া আর ফিরে-চাওয়া নিয়েই মধুসূদনের ভাষা-জগৎ– রবীন্দ্রনাথেরও
ছাতিমতলা পর্ব ২৭: বাংলা ভাষা কীভাবে শেখাতে চাইতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ২৬: ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ প্রৌঢ়ের কথায় রবীন্দ্রনাথের প্রেম চেনা যাবে না
ছাতিমতলা পর্ব ২৫: সুকুমার রায় যে অর্থে শিশু-কিশোরদের মনোরঞ্জন করতে পারতেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২৪: বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে বই প্রকাশের কারখানা শুধু নয়, রবীন্দ্রনাথ দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি