মধুসূদন বা বিহারীলাল সম্বন্ধে যখন রবীন্দ্রনাথ কথা বলছিলেন তখন তো তিনি নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত কবি নন। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির পর রবীন্দ্রনাথ যখন তরুণদের কবিতা সম্বন্ধে কিছু বলবেন তখন সেই বিচারকে কেবল সাহিত্য বিচার হিসেবে দেখতে নারাজ তাঁরা। রবীন্দ্রনাথ যেন বাংলা কবিতার কুলপতি তখন। তিনি চান বা না-চান এই পদে তিনি বৃত। তাঁর ক্ষমতা থাক বা না থাক তাঁকে তরুণ কবিরা ক্ষমতাবান হিসেবেই দেখছেন। ক্ষমতাবান হিসেবে দেখলে একদল তাঁর পক্ষ নেবেন অন্য দল তাঁর মূর্তি ভাঙতে সমর্থ হবেন। রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছিল। একদিকে রবীন্দ্র অনুসারী কবিসমাজ অন্যদিকে রবীন্দ্রবিরোধী কবি সমাজ।
অন্য কবিদের কবিতা কীভাবে পড়তেন রবীন্দ্রনাথ? কবির কবিতা পড়া সাধারণ পাঠকের কবিতা পড়ার থেকে আলাদা। নিজে কবি বলেই কেবল কবিতা পড়ছেন না, হয়তো কবির মনকে আবিষ্কার করছেন কিংবা কবিতার মধ্য থেকে খুঁজে নিচ্ছেন নতুন কোনও ইঙ্গিত যা অভাবিত সাধারণ পাঠকের কাছে। আবার কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠ বলেই কবিতা সম্বন্ধে, বিশেষ করে সমকালীন অনুজ কবিদের কবিতা সম্বন্ধে, তাঁর মতামত ও প্রতিক্রিয়া সামাজিক স্তরে তৈরি করতে পারে গভীর অভিঘাত। যখন কিশোরবেলায় কবি হয়ে উঠছেন রবীন্দ্রনাথ তখন থেকেই কবিতা সম্বন্ধে তাঁর পছন্দ-অপছন্দের একটা আদল তৈরি হয়ে উঠছিল। সেই পছন্দ-অপচ্ছন্দের যুক্তি যে বেশ তীব্র, তা বোঝা গিয়েছিল পূর্বজ দুই কবি সম্বন্ধে তাঁর অভিমতে। মধুসূদনের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’কে তরুণ সমালোচক রবীন্দ্রনাথ তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। পরিণত রবীন্দ্রনাথ তাঁর সেই কম বয়সের লেখাটি সম্বন্ধে লজ্জিত হলেও বুঝতে অসুবিধে হয় না মধুসূদনের কবিতা তাঁর খুব প্রিয় নয়। প্রিয় বিহারীলাল। সেই বিহারীলালকে কিশোর রবীন্দ্রনাথ ‘অবোধবন্ধু’-র পাতায় আবিষ্কার করে চমকিত হয়েছিলেন, তাঁর কবি মন হু-হু করে উঠেছিল। পরে যখন বিহারীলালের কবিতার মূল্যায়ন করেছিলেন তখন সেই কিশোরবেলার পাঠস্মৃতি জ্ঞাপন করেছিলেন। বিশেষ অর্থে নয়– নির্বিশেষ অর্থে। এখানেই রবীন্দ্রনাথের বিশেষত্ব।
সাধারণত সংবেদনশীল কবির সমালোচনার ভাষা কাব্য সমালোচকদের ভাষার থেকে আলাদা। তাঁরা সংবেদন প্রকাশ করেন এমন বিশেষ আবেগের বশবর্তী হয়ে যে, তা অনেক সময় ‘আবেগের মুদ্রাদোষ’ বলে মনে হয়। যে কোনও কবির কবিতা ভালো লাগলে সেই আবেগের বাঁধি বুলি উচ্চারণ করেন। ফলে সাধারণ মানুষ তাঁর ভালো লাগার আবেগটুকু বুঝতে পারেন কিন্তু আবেগের যুক্তি বুঝতে পারেন না। প্রকাশভঙ্গির একঘেয়েমিই এর কারণ– বিশেষ ব্যক্তিগত সংবেদনের ভাষায় ঘুরপাক খাওয়াই এর কারণ। বিহারীলালের কবিতার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ তাঁর ব্যক্তিগত আবেগকে নির্বিশেষের ভাষায় উত্তীর্ণ করতে পেরেছিলেন। মধুসূদনের সনেটের কথা মনে রেখেই তিনি বিহারীলালের কবিতায় ‘নিজের কথা’ খুঁজে পেলেন। তাঁর মনে হল ইতিহাসের নিরিখেও বিহারীলালই বুঝি প্রথম, বাংলা কবিতার ইতিহাসে এই নিজস্ব একটি স্বরের আত্মপ্রকাশ– আধুনিক বাংলা কবিতার তিনি ভোরের পাখি।
মধুসূদন বা বিহারীলাল সম্বন্ধে যখন রবীন্দ্রনাথ কথা বলছিলেন তখন তো তিনি নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত কবি নন। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির পর রবীন্দ্রনাথ যখন তরুণদের কবিতা সম্বন্ধে কিছু বলবেন তখন সেই বিচারকে কেবল সাহিত্য বিচার হিসেবে দেখতে নারাজ তাঁরা। রবীন্দ্রনাথ যেন বাংলা কবিতার কুলপতি তখন। তিনি চান বা না-চান এই পদে তিনি বৃত। তাঁর ক্ষমতা থাক বা না থাক তাঁকে তরুণ কবিরা ক্ষমতাবান হিসেবেই দেখছেন। ক্ষমতাবান হিসেবে দেখলে একদল তাঁর পক্ষ নেবেন অন্য দল তাঁর মূর্তি ভাঙতে সমর্থ হবেন। রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছিল। একদিকে রবীন্দ্র অনুসারী কবিসমাজ অন্যদিকে রবীন্দ্রবিরোধী কবি সমাজ। রবীন্দ্রবিরোধী তরুণেরা যেভাবে পড়ছিলেন রবীন্দ্রনাথের কবিতা যেভাবে তাঁরা রবীন্দ্রনাথের কবিতায় কী আছে ও কী নেই তার বিচার করছিলেন সেভাবে কি রবীন্দ্রনাথও অনেক সময় বিচার করতেন না অন্য কবিদের! ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো রবীন্দ্রনাথকে পড়ে শোনাচ্ছিলেন শার্ল বোদলেয়রের কবিতা, রবীন্দ্রনাথ তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেছিলেন ‘আসবাবের কবি’-কে ভালো লাগছে না তাঁর। শঙ্খ ঘোষ বিচার করে দেখিয়েছিলেন পাশ্চাত্যে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্রনাথ যখন গিয়েছেন তখন সেখানকার সমকালীন কবি-সাহিতিকদের প্রতি একরকম উদাসীনতা জেগে উঠেছে তাঁর মনে। তাহলে কি নিজের কবিতা পড়ার চেনা একটা অভ্যাসেই আটকে গিয়েছিলেন তিনি! তাই সমকালীন তরুণ বাঙালি কবিরা তাঁকে যখন কবিতা পাঠাতেন তখন একরকম দ্বিধান্বিত প্রতিক্রিয়াই রবীন্দ্রনাথ জ্ঞাপন করতেন। এ নিয়ে তরুণ কবিদের মনে ক্ষোভও ছিল। সে ক্ষোভের আঁচ রবীন্দ্রনাথ পেয়েছিলেন বলেই হয়তো ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসে নিজেই নিজের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। রবি ঠাকুরের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন অপর এক কবিকে। আধুনিক কবিতার মধ্যে যে ব্যথা প্রকাশের ভাষার মধ্যে যে তীক্ষ্ণতা তা তো রবি ঠাকুরের কবিতায় নেই।
আধুনিক বাংলা কবিতার রবীন্দ্রকৃত সংকলন কিংবা তাঁর নিজের কবিতার নিজের সংকলন এক অর্থে পাঠক রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়ার সাক্ষ্য বহন করছে। যে পাঠক মন দিয়ে তিনি একদিন বিহারীলালকে নিজের মতো করে আবিষ্কার করেছিলেন সেই আবিষ্কারের নিভৃত মনের কাছে আর পৌঁছতে পারবেন না তিনি, খ্যাতির এ বিড়ম্বনা। শুধু খ্যাতিরও নয়– বঙ্গজ কবি সমাজ একই সঙ্গে তাঁকে যেমন কুলপতি হিসেবে মানে তেমনই আবার তাঁকে সমালোচনা করে। এই স্তুতি আর সমালোচনার আবর্তে তাঁর কবি মনটি আন্দোলিত হয়, ঈপ্সিত নিভৃতি হারিয়ে যায়। নিরাময় খোঁজেন নিজের কবিতার কাছে। নিজের কবিতাকে কত ভাবে যে ভাঙেন। নিজের কবিতার তো মনোযোগী পাঠক তিনি।
অন্যের কবিতা নিয়ে কথা বলতে গেলে না হয় সামাজিক প্রতিক্রিয়া হবে, নিজের কবিতাকে কি ভাঙা যায় না সেক্ষেত্রে! পাঠক রবীন্দ্রনাথই যেন কবি রবীন্দ্রনাথকে নতুন করে নির্মাণ করছেন। পদ্য থেকে গদ্য কবিতার ধারা বেয়ে তাঁর শেষবেলার কবিতায় এমন এক ভাষা তৈরি করছেন যা বাহুল্যহীন। অলঙ্কারের দেখনদারি নেই, মিলের ঠমক নেই, ছন্দ অন্তর্লীন– দেখা দিতে চায় না। কবিকে যেন পাঠক বলছেন নিভৃত কবিতা রচনা করতে। অন্য কবিদের কাছে পাঠকের নিভৃতি নিয়ে বসার উপায় নেই তাঁর, সেজন্য কবিকেই তোইরি করে দিতে হচ্ছে পাঠকের জন্য, নিজের ভেতরের পাঠকের জন্য নিভৃত বারান্দা– কবিতার বারান্দা।
…ছাতিমতলা-র অন্যান্য পর্ব…
ছাতিমতলা পর্ব ৪৮: ছাত্রদের আন্দোলন হবে গঠনমূলক, মনে করতেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৪৭: যে কলকাতায় নব মেঘদূত রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৪৬: রবীন্দ্রনাথ পরোপকারের জন্য ‘ব্যবসাদার’ হয়ে ওঠেননি
ছাতিমতলা পর্ব ৪৫: ‘লেখা পড়া করে যে গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে’ প্রবাদের উদাহরণ হয়ে উঠতে চাননি রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৪৪: ‘গরম’ শব্দটিকে কতরকমভাবে ব্যবহার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৪৩: খেটে খাওয়া মানুষের সহজ পাঠ, রাজনৈতিক দল যদিও সেদিন বোঝেনি
ছাতিমতলা পর্ব ৪২: ‘রবি ঠাকুর’ ডাকটি রবীন্দ্রনাথ নিজেই তির্যকভাবেই ব্যবহার করতেন
ছাতিমতলা পর্ব ৪১: রবীন্দ্রনাথ ফেসবুকে থাকলে যে ভাষায় ট্রোলড হতেন
ছাতিমতলা পর্ব ৪০: রবীন্দ্র-দেবেন্দ্র সম্পর্ক বাংলা ছবির উত্তমকুমার-কমল মিত্র সম্পর্ক নয়
ছাতিমতলা পর্ব ৩৯: তেমন মাতৃসাহচর্য পাননি বলেই নৈর্ব্যক্তিকভাবে মা-সন্তানের সম্পর্ককে দেখতে পেরেছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ৩৮: রবি ঠাকুরের জন্মদিনের সাংস্কৃতিক ‘ফ্যাশন’ নিয়ে ফুট কাটা যাবে না কেন!
ছাতিমতলা পর্ব ৩৭: রবীন্দ্রনাথের মতে, ভোট সামাজিক মঙ্গলের নিঃশর্ত উপায় নয়
ছাতিমতলা পর্ব ৩৬: টক্সিক রিলেশনশিপ কি রবীন্দ্রনাথের লেখায় আসেনি?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৫: রবীন্দ্রনাথ কি আড্ডা মারতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৪: চিনের দৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথের সভ্যতা-ভাবনা ছিল কল্পনা বিলাস
ছাতিমতলা পর্ব ৩৩: পুরস্কার মূল্যকে হেলায় ফেরাতে জানে কবিই, জানতেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩২: তরুণ রবির তীক্ষ্ণ সমালোচক পরিণত রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩১: ভোটের মঞ্চে উড়ছে টাকা, এসব দেখে কী বলতে পারতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৩০: শিক্ষিত ভদ্রলোকের ‘নাগরিকত্ব’ বিষয়ক ভাবনার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের যোগ তৈরি হচ্ছে না, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ২৯: কলকাতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অপ্রেম রয়েছে যেমন, তেমনই রয়েছে আবছায়া ভালোবাসা
ছাতিমতলা পর্ব ২৮: মনের ভাঙাগড়া আর ফিরে-চাওয়া নিয়েই মধুসূদনের ভাষা-জগৎ– রবীন্দ্রনাথেরও
ছাতিমতলা পর্ব ২৭: বাংলা ভাষা কীভাবে শেখাতে চাইতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ২৬: ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ প্রৌঢ়ের কথায় রবীন্দ্রনাথের প্রেম চেনা যাবে না
ছাতিমতলা পর্ব ২৫: সুকুমার রায় যে অর্থে শিশু-কিশোরদের মনোরঞ্জন করতে পারতেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২৪: বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে বই প্রকাশের কারখানা শুধু নয়, রবীন্দ্রনাথ দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি