প্রচ্ছদে অতি-অলংকরণ কবির একেবারে না-পসন্দ। অবশ্য তা সত্ত্বেও ‘বীথিকা’র পরবর্তী মুদ্রণে সহজ ভাবে ‘বীথিকা’ নামটি লিখে রাখার বদলে মলাট সেজে উঠেছে নন্দলালের আঁকা ছবিতে। এ কি তবে রবীন্দ্রগ্রন্থের বিপননের দিকে তাকিয়ে? পরবর্তীকালে সাদামাটা প্রচ্ছদের ওপরে বিশ্বভারতীর আস্থা কি কমে আসছিল? তাই পাঠকের দরবারে তাকে সাজিয়ে-গুজিয়ে উপস্থিত করতে হয়েছে?
২৯.
রবিঠাকুর তাঁর বেশ কিছু বইয়ের প্রচ্ছদ নিজেই এঁকেছিলেন। সেগুলোর সব যে ব্যবহার হয়েছে, এমন নয়। যেমন, তাঁর জীবদ্দশায় ‘রাখী’ শিরোনামে কবিতার বইটা ছাপানো হয়নি, ফলে তার জন্যে তৈরি প্রচ্ছদ রয়ে গেছে আড়ালে। এইসব রঙিন প্রচ্ছদ ছাড়াও অনেক সময় তাঁর অক্ষরলিপিও অব্যবহৃত রয়ে গিয়েছে। কারণ, কভারের ছবি আঁকার পরে সে বইয়ের নাম হয়তো পাল্টে দিয়েছেন। তাই কভার আর কাজে আসেনি।
এ প্রসঙ্গে মনে পড়ে, লাল-কালোতে আঁকা ‘কাব্যগ্রন্থন’ লেখা এক প্রচ্ছদপটের কথা– যা ছাপানো হয়নি। পরে, ভিন্ন শিরোনামে এটি প্রকাশিত হয়েছিল। অনুমান করি, শিরোনামটি ‘কাব্যপরিচয়’ তথা ‘বাংলা কাব্যপরিচয়’-এর আদিরূপ। আবার ‘চণ্ডালিকা’র জন্যও স্বতন্ত্রভাবে আঁকা একটি মলাটের নকশা যা কি না বিশেষ উপলক্ষে মুদ্রিত হওয়ার কথা ছিল– স্পেশাল ইস্যুর সেই স্বতন্ত্র মলাটে লেখা, ‘পঁচিশ খণ্ড মাত্র’– সেও আর ছাপা হয়নি।
সেদিক থেকে মুদ্রিত প্রচ্ছদ হিসেবে যেগুলো চোখে পড়ে, তার মধ্যে ‘বনবাণী’, ‘পরিশেষ’ ইত্যাদি কাব্যগ্রন্থের মলাট, ‘চণ্ডালিকা’ কাব্যনাট্যের মুখচ্ছবি বা ‘চার অধ্যায়’ উপন্যাসের প্রচ্ছদ ইত্যাদি অন্যতম। পাশাপাশি ‘বিচিত্রিতা’ বা ‘গল্পসল্প’র মুখপাতের ছবি আলাদা নজরের দাবি রাখে। আবার ‘দুই বোন’ উপন্যাসের অক্ষরলিপির গড়ন বেশ অন্যরকম, কাহিনির বিষয়সূত্র যেন অক্ষরের নকশায় ছায়া ফেলেছে। সে গল্পের প্লট অনেকটা এইরকম, অসুস্থ দিদির সংসারে ছোট বোনের প্রবেশ এবং ভগনিপতির সঙ্গে শ্যালিকার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠা, এরই বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গল্প এগিয়েছে। ‘দুই বোন’ গল্পের জন্য তৈরি অক্ষরলিপিতে যে বাড়ির কাঠামো মিশে আছে, সে কি সচেতনভাবেই রবিঠাকুরের কলম-নিঃসৃত? দিদির সংসার অর্থে ঘর ভেঙে যাওয়ার সম্ভাব্য ইশারা কি রয়ে গেল ওই আখরনির্মাণের আড়ালে? কে বলবে আজ সে কথা!
আবার পরবর্তী কালে ‘চিত্রাঙ্গদা’ বা ‘তপতী’ নাটকের প্রচ্ছদ নামাঙ্কন তেমন অর্থবহ হয়ে না-উঠলেও সেদিকে চোখ পড়ে সহজে। রবি ঠাকুরের এই কাজগুলির ফাঁকে একাধিক প্রচ্ছদ এঁকেছেন নন্দলাল। তা যেমন ‘নটরাজ ঋতুরঙ্গশালা’, ‘সহজ পাঠ’ তেমনই আলাদা করে বলতে হয় ‘ছড়ার ছবি’র কথা। সেগুলো একপাশে সরিয়ে রাখলে মনে হয়, রবীন্দ্রনাথ বুঝি তাঁর লেখা ও রেখার সবটুকুর সঙ্গে ওতপ্রোত জড়িয়ে নিয়েছিলেন ‘খাপছাড়া’, ‘সে’ এবং তাঁর ছবির অ্যালবাম ‘চিত্রলিপি’র সঙ্গে। এগুলোর বিষয় আলাদা করে বলতে হয়।
রবিঠাকুরের বইয়ের ছবি নিয়ে কথা বলার আগে দেখা যাক প্রচ্ছদের ব্যাপারে তাঁর ভাবনার অভিমুখ কোনদিকে। তিনি কি তাঁর বইতে জমকালো প্রচ্ছদে বিশ্বাসী ছিলেন, নাকি সহজ ছিমছাম গ্রন্থসজ্জাই তাঁর বেশি পছন্দের? এ ব্যাপারে দুয়েকটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। বিশ্বভারতীর প্রেসে তখন ‘বীথিকা’ ছাপার কাজ চলছে, এমন অবস্থায় বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগের অন্যতম প্রাণপুরুষ, বিশ্বভারতী ছাপাখানার প্রধান নির্ভরস্থল কিশোরীমোহন সাঁতরাকে রবীন্দ্রনাথ একটা চিঠি লিখছেন। ১৯৩৫-এর সেপ্টেম্বরে স্নেহের কিশোরীকে মৃদু কটাক্ষের স্বরেই কবি লিখলেন, ‘‘বীথিকার শেষ ফর্মা আজ শেষ হোলো। আমার বিশেষ অনুরোধ, যাতে যথাসম্ভব সত্বর এটার প্রকাশ হয়। মলাটে এসে না ঠেকে যায়। মলাটে সাদা অক্ষরে ‘বীথিকা’ যেন লেখা থাকে, আমি অলঙ্কৃত করে দেবো না। এই রকম সাজসজ্জা বাঙালে রুচি, নিজের বই সম্বন্ধে নতুন লেখকের গদগদ স্নেহের সোহাগ এতে প্রকাশ পায়।’’
কেবল এটুকু বলেই থামেননি রবীন্দ্রনাথ, কঠিন সুরে বলছেন, ‘জাপানীরা তলোয়ারে কারুকার্য করে, খাপ রাখে অত্যন্ত সাদা, যেহেতু তারা আর্টিস্ট– যদিচ পূর্ববঙ্গ পেরিয়েও পূর্বতর দেশে তাদের জন্ম…’ ইত্যাদি ইত্যাদি। অর্থাৎ, এখানে স্পষ্ট, প্রচ্ছদে অতি-অলংকরণ কবির একেবারে না-পসন্দ। অবশ্য তা সত্ত্বেও ‘বীথিকা’র পরবর্তী মুদ্রণে সহজভাবে ‘বীথিকা’ নামটি লিখে রাখার বদলে মলাট সেজে উঠেছে নন্দলালের আঁকা ছবিতে। এ কি তবে রবীন্দ্রগ্রন্থের বিপননের দিকে তাকিয়ে? পরবর্তীকালে সাদামাটা প্রচ্ছদের ওপরে বিশ্বভারতীর আস্থা কি কমে আসছিল? তাই পাঠকের দরবারে তাকে সাজিয়ে-গুজিয়ে উপস্থিত করতে হয়েছে?
অন্যদিকে দেখি, ‘ছেলেবেলা’র প্রকাশ নিয়েও বেশ ভাবিত রবীন্দ্রনাথ। কালিম্পং থেকে কিশোরীকে লিখছেন, ‘এখানে বসে বসে ছেলেবেলা বলে ছেলেদের জন্যে একটা বই লিখেছি। বালক রবীন্দ্রনাথের পরিচয় দেওয়া গেছে। বোধহয় সাবালক পাঠকদেরও ভালো লাগবে। সেটা পুজোর বাজারে বের করা চলবে কি? রবিঠাকুরের ছড়া বৎসরের শেষ দিকে বেরলে এ বছরটা ভর্তি হয়ে যাবে’।
চিঠিপত্রের টুকরো থেকে জানতে পারি, রবীন্দ্রনাথ তাঁর শেষবেলার বই ‘ছেলেবেলা’য় তাঁর ফোটোগ্রাফ দেওয়ার পক্ষপাতী একেবারেই ছিলেন না। একটু বিরক্ত হয়েই কিশোরীর চিঠির জবাবে লিখেছেন, ‘ছেলেবেলার ছবির কথা আমি কিছুই জানি নে। আমি চাই সময়মত বের করতে, ছবি দিতে গিয়ে সময় পেরিয়ে দেওয়া আমার মত নয়। ছবি যদি নিতান্ত দিতে চাও ছবি ও ছড়া ( নন্দলাল চিত্রিত রবীন্দ্রনাথের ‘ছড়ার ছবি’) বই থেকে সিঙ্গির বলিদান আতার বিচি প্রভৃতি ছবি দিয়ে দিতে পার তার ব্লক তৈরি আছে। নিজের ছবি আমি আর দিতে চাই নে, লজ্জা বোধ হয়। রচনাবলী তো কিলবিল করচে ছবিতে। আর কেন? সেই ছবিগুলোই উল্টেপাল্টে অন্য বইয়ে দেওয়ার কোনো মানে নেই– একঘেয়ে হয়ে গেল।’’
ক’দিন পরে কিশোরীকে পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘ছেলেবেলা ছাপা শেষ হয়ে গেল। এই বইটাতে আমি কোনরকম ছবি দিতে চাই নে। এর ছবি লেখারই মধ্যে। সাহিত্যের মধ্যে অকারণ ছবি এনে চোখ ভোলানো ছেলেমানুষি। ছবি দেবার চেষ্টাও কোরো না।’’ অর্থাৎ, এইটেই রবি ঠাকুরের মূল কথা, ‘সাহিত্যের মধ্যে অকারণ ছবি এনে চোখ ভোলানো ছেলেমানুষি’-কে তিনি পছন্দ করেন না। যদিও তাঁর চিত্রিত দু’টি অসাধারণ বই ‘খাপছাড়া’ আর ‘সে’ প্রসঙ্গে এমনটা খাটে না। এখানে বইয়ের ছবি লেখা মিলে পাশাপাশি এক প্যারালাল টেক্সট নির্মাণ করেছে। বইয়ের মলাট থেকে শেষ পাতা পর্যন্ত রচনা করেছে এক নতুন চিত্রভুবন। ইলাস্ট্রেশনের লেবেল লাগিয়ে এর দিকে খাটো নজরে তাকানো যাবে না। কবির চিঠিপত্রের দিকে নজর দিলে মনে হয়, ‘খাপছাড়া’র ছবি আঁকার পরিকল্পনা ছিল রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে নন্দলালেরও। পরে সে পরিকল্পনা বাতিল হয়েছে তা রবীন্দ্রনাথের চিঠিতে স্পষ্ট – ‘খাপছাড়ায় আমার ছাড়া অন্য কারো ছবি নিষিদ্ধ হয়েছে। অগত্যা ছবি বানাতে লেগেছি। অনেকগুলোই হয়েছে। আর গোটাকতক হলেই সম্পূর্ণ হয়। দেরি হবে না’।
‘খাপছাড়া’ আর ‘সে’ বইয়ের প্রচ্ছদের ছবিও বেশ জোরদার হয়েছিল। কিন্তু খাপছাড়ার অতগুলো কবিতার মধ্যে কোন ছবির সঙ্গে কোনটা কোথায় যাবে, তা চিহ্নিত করা সহজ ছিল না। মূল ছবির সঙ্গে কবিতা চিহ্নিত করে দিলেও মাঝপথে ছাপার কাজ থামিয়ে দিতে হয়েছে। এমনকী দুয়েকটা ছবি হারিয়ে ফেলায় আবার নতুন করে এঁকেছেন রবীন্দ্রনাথ, এর মধ্যে অন্যতম ছবি হল ‘পাল্লারাম’। আবার ‘সে’ গল্পের ‘সুকুমার’কেও তিনি দু’বার এঁকেছেন। প্রথমবার আঁকা হয়েছিল প্যাস্টেলে, কিন্তু ছাপার খরচের কথা ভেবে ‘সে’ গল্পের সব ছবিই লাইন ড্রয়িঙে আঁকা। ফলে কেবল রেখায় আবার এঁকেছেন ‘সুকুমার’কে। তা সত্ত্বেও দেখি, কবিতার পাশে ‘খাপছাড়া’র কোন ছবি কোথায় বসবে এ নিয়ে বিভ্রাট সম্পূর্ণ মেটেনি। কবিতার পাশাপাশি ছবি দেখতে গিয়ে দুয়েক জায়গায় এখনও খটকা লাগে। যেমন, ৭৪ সংখ্যক কবিতায় ‘দাঁয়েদের গিন্নি’র ছবি ঠিক জায়গায় বসেছে কি না, সন্দেহ হয়। একনজরেই মনে হয়, গিন্নির মুখখানা যেন টাকমাথা পুরুষের মুখ। মাথায় টুপির আভাস আর গলার কাছে জামার কলারে এই ছবি ‘গিন্নি’ হিসেবে ভাবতে বড় বেমানান লাগে। খটকা ৪৮ নম্বর কবিতা নিয়েও। ‘কনের পণের আশে চাকরি সে ত্যেজেছে’– এই বর্ণনার সঙ্গে যে ছবি রাখা হয়েছে, সেখানে দেখি হিল উঁচু জুতো পরে দৌড়ে পালাচ্ছে এক মেমসাহেব। সে আর যাই হোক, কবিতার নায়ক ‘হীরু’র ‘দরবেশ’ সাজ হতে পারে না। তবে কি তাড়াহুড়োয় ছবি আর কবিতার সামঞ্জস্য সবসময় রক্ষা করা যায়নি? রবীন্দ্রনাথ কিশোরীর ওপরেই সম্পূর্ণ ভরসা করেছিলেন। কালির রং নিয়েও যথেষ্ট চিন্তিত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ, কী রঙে ছাপলে ভালো দেখায় তাও কিশোরীকে জানিয়েছেন, ‘কালো কালীর যে নমুনা পাঠিয়েছ সে তো বেশ ভালোই– কিন্তু লাল কালীটা মাঝে মাঝে কোনও কোনও বিশেষ ছবির পক্ষে চলবে– সবগুলো হলে একঘেয়ে হবে– ওর চেয়ে সীপিয়া ভালো। আমার বোধ হয় লাইন ব্লক এবং লেটর প্রেস এক কালী হলেই ভালো– অন্যগুলো সীপিয়া’। মুদ্রণ সম্পর্কে রবি ঠাকুরের এমন টেকনিকাল বোধের সূক্ষ্মতা আমাদের অবাক করে।
…পড়ুন ছবিঠাকুর-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ২৮: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম প্রচ্ছদ
পর্ব ২৭: রবীন্দ্রনাথের চিত্রপটে রং-তুলিতে সাজিয়ে তোলা ফুলেরা কেমন? কী নাম তাদের?
পর্ব ২৬: রবীন্দ্রনাথের আঁকা শেষ ছবি
পর্ব ২৫: রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি সংরক্ষণ করা সহজ নয়
পর্ব ২৪: জাল ছবি ও রবীন্দ্র-ব্যবসা
পর্ব ২৩: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথের বিদ্রোহের ছবি
পর্ব ২২: চিত্রকলার বোধ যত গাঢ়তর হচ্ছে, ততই রবীন্দ্রনাথ চোখের দেখার ওপরে ভরসা করছেন
পর্ব ২১: কলাভবনে নন্দলালের শিল্পচিন্তার প্রতি কি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছিলেন না রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ২০: ছবি বুঝতে হলে ‘দেখবার চোখ’-এর সঙ্গে তাকে বোঝার ‘অনেক দিনের অভ্যেস’
পর্ব ১৯: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথ কোন রংকে প্রাধান্য দিয়েছেন?
পর্ব ১৮: ছবি আঁকিয়ে রবিঠাকুরও সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন
পর্ব ১৭: রবীন্দ্রনাথের নারী মুখমণ্ডলের সিরিজ কি কাদম্বরী দেবীর স্মৃতিজাত?
পর্ব ১৬: ট্যাক্স না দেওয়ায় রবীন্দ্রনাথের ছবি আটক করেছিল কাস্টমস হাউস
পর্ব ১৫: বাইরে সংযত রবীন্দ্রনাথ, ক্যানভাসে যন্ত্রণাদগ্ধ ছবিঠাকুর
পর্ব ১৪: অমৃতা শেরগিলের আঁকা মেয়েদের বিষণ্ণ অভিব্যক্তি কি ছবিঠাকুরের প্রভাব?
পর্ব ১৩: আত্মপ্রতিকৃতির মধ্য দিয়ে নতুন করে জন্ম নিচ্ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
পর্ব ১২: আমেরিকায় কে এগিয়ে ছিলেন? ছবিঠাকুর না কবিঠাকুর?
পর্ব ১১: নন্দলাল ভেবেছিলেন, হাত-পায়ের দুয়েকটা ড্রয়িং এঁকে দিলে গুরুদেবের হয়তো সুবিধে হবে
পর্ব ১০: ১০টি নগ্ন পুরুষ স্থান পেয়েছিল রবীন্দ্র-ক্যানভাসে
পর্ব ৯: নিরাবরণ নারী অবয়ব আঁকায় রবিঠাকুরের সংকোচ ছিল না
পর্ব ৮: ওকাম্পোর উদ্যোগে প্যারিসে আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে যাচাই করেছিলেন রবি ঠাকুর
পর্ব ৭: শেষ পর্যন্ত কি মনের মতো স্টুডিও গড়ে তুলতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ৬: রবীন্দ্র চিত্রকলার নেপথ্য কারিগর কি রানী চন্দ?
পর্ব ৫: ছবি আঁকার প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ পরলোকগত প্রিয়জনদের মতামত চেয়েছেন
পর্ব ৪: প্রথম ছবি পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ামাত্র শুরু হয়েছিল বিদ্রুপ
পর্ব ৩: ঠাকুরবাড়ির ‘হেঁয়ালি খাতা’য় রয়েছে রবিঠাকুরের প্রথম দিকের ছবির সম্ভাব্য হদিশ
পর্ব ২: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম ছবিটি আমরা কি পেয়েছি?
পর্ব ১: অতি সাধারণ কাগজ আর লেখার কলমের ধাক্কাধাক্কিতে গড়ে উঠতে লাগল রবিঠাকুরের ছবি