Robbar

স্বামীর গঞ্জনা, প্রেমিক ডিচ করেছে, এসব নালিশও জানানো যায় টুসুর কাছে

Published by: Robbar Digital
  • Posted:September 6, 2025 5:46 pm
  • Updated:September 6, 2025 6:20 pm  
Swapnamoy Chakraborty on tusu festival and songs। Robbar

মেয়েরাই টুসুর পুজো করে। একটা মাটির ভাঁড়ে কিছু শস্যের বীজ পুঁতে দেয়। সারা পৌষমাস সেই মৃত্তিকা ভাণ্ডটিকে যত্নে রাখে। মেয়েরা একসঙ্গে গান গায়। টুসু গানে সমসাময়িক প্রসঙ্গ-টসঙ্গ এসেই যায়। টুসু লোকসমাজের, বিশেষত মেয়েদের খুব আপনজন। নিজের দুঃখের কথা বলা যায়। টুসুকে পেট পুরে পিঠে খাওয়ানোর ইচ্ছের কথাও রয়েছে গানে। টুসুকে নাগরদোলায় চড়ানোর কথাও, একটু ঠাট্টা-ইয়ার্কিও। টুসুকে ফেসিয়াল করে দেওয়ার কথাও আছে।

স্বপ্নময় চক্রবর্তী

২৭.

আমরা বলে থাকি দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। আমরা, মানে মধ‌্যবিত্ত হিন্দু বাঙালিরাই এটা বলি, এবং দেশের বাকি বাঙালিদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাই। চাপানোর বেশ কিছুটা কাজ হয়েও গেছে। আজকাল রাঢ়ের লোকেরাও সমারোহে দুর্গোৎসব করে। দুর্গাপুজোটার মধ‌্যেই বেশ একটা হইহই ভাব আছে। ক‌্যানভাসটা বেশ বড়। কত বৈচিত্র! মাঝখানে যুদ্ধ হচ্ছে, আর কী অদ্ভুত ব‌্যাপার– ‘মেয়েছেলে’র কাছে হেরে যাচ্ছে হদ্দমদ্দ ব‌্যাটা ছেলে। একদিকে ফর্সাপানা বিদ‌্যেদেবী, অন‌্যদিকে হলুদমুখো টাকাপয়সার দেবী। বাবরি চুল নিয়ে কার্তিক তীর-ধনুক বাগিয়েছে। নির্ঘাৎ একটা বুনো মুরগি দেখেছে, শিকার করে ফেলবে। রাঢ়ের লোকেরা এরকম মূর্তি দেখে অবাক হয়েছে। জমিদারবাবুদের বাড়িতে পুজো, ঢাক, বাদ‌্যি, হুলাহুলি টানা চারদিন ধরে। অবাক হয়েছে রাঢ়ের মানুষ। কিন্তু দুর্গাপুজোকে নিজেদের উৎসব বলে সহজে মেনে নেয়নি।

উৎসব তো শুরু করেছিলেন নবকৃষ্ণ দেব। পলাশির যুদ্ধে কোম্পানি জিতল। সিরাজ হারল। ক্লাইভকে ট্রিট দিতে হবে, কারণ ক্লাইভের হাতেই নবকৃষ্ণের ব‌্যবসাপাতির চাবি। তখন দুর্গোৎসব করলেন বাড়িতে। খাওয়া-দাওয়া, বাদ‌্যি, বাইজি– এলাহি ব‌্যবস্থা করে ক্লাইভ-সহ কোম্পানির ওপরওলাদের ডাকলেন। শোভাবাজারের দেখাদেখি অন‌্যান‌্য রাজা-জমিদার-মুৎসুদ্দিরাও ক্রমশ চালু করে দিল দুর্গাপুজো, জমিদার বাড়ি আর বড়লোকের বাড়ি থেকে বাইরে নিয়ে এল গুপ্তিপাড়া, পরে বাগবাজার-সিমলে পাড়া। ‘বারো ইয়ারি’ বা বারোয়ারি পুজো শুরু হল। শহর থেকে ক্রমশ গ্রামে ঢুকল। দুর্গাপুজোর জাঁকজমকের সঙ্গে পেরে উঠল না মকর-মনসা।

undefined
নবকৃষ্ণ দেবের দুর্গাপুজো, লর্ড ক্লাইভের উপস্থিতিতে, শিল্পীর কল্পনায়

আসলে মকরই হল বাঙালির আদি উৎসব। এবং ধর্ম বিবর্জিত উৎসব। মকর উৎসব একেবারেই ধর্মীয় উৎসব নয়। এই উৎসব আসলে নতুন বছরের উৎসব। তখনও বৈশাখ থেকে নতুন বছরের হিসেব চালু করেননি আকবর-বাদশা। মাঘ থেকেই বছর শুরু হত। পৌষ সংক্রান্তি ছিল বছরের শেষদিন।

আমরা ছোটবেলায় ভূগোল বইতে পড়েছিলাম ২০ মার্চ আর ২৩ সেপ্টেম্বর দিন-রাত সমান থাকে। ২১ জুন সবচেয়ে লম্বা দিন আর ২১ ডিসেম্বর সবচেয়ে ছোট্ট দিন। এই ২১ ডিসেম্বর আর পৌষ সংক্রান্তি প্রায় একই সময়ে পড়ত উত্তর গোলার্ধে। সবচেয়ে ছোট দিনের পর থেকেই দিন একটু একটু করে বাড়তে থাকত। মানুষের মনে আনন্দ আসত। নতুন বছরের সঙ্গে এই বাংলায় মিলে যেত নতুন ধান। অঘ্রান-পৌষেই ধান উঠত।

খেজুরের গাছ রস দিতে শুরু করত। ট‌্যাংরা-পার্শেদের পেটে ডিম, জলও কমে এসেছে, মাছও ধরা পড়ছে এন্তার। সারা বর্ষা ভালো খাওয়া-দাওয়া করে মাছেরা বেশ গায়েগতরে হয়েছে। ঘরের চালায় নতুন লাউ, উঠোনে ধনেপাতা, মুলো। এই তো উৎসবের সময়। বর্ষা নেই, রোদ্দুরটা মিঠে। ফুল পাতাও, মিতে পাতাও, সারা দুপুর হাডুডু খেলো, হাটে চালাও মুর্গি লড়াই, তাসের জুয়া। পিঠা বানাও, কত রকমের পিঠা! এই সময়েই যত রকমের মেলা।

বাংলার ঐতিহ্য:  টুসু উৎসব

প্রকৃতিও এই সময়ে যেন স্নো-পাউডার মেখে, সেজে থাকে। মানুষের মনেও বেশ উড়ন উড়ন ভাব থাকে। মানুষ ঘুড়ি হয়ে যায়। রাঢ়ের মানুষ টাকা জমায় মকরের নতুন জামাকাপড়ের জন‌্য। পরিবারের সবাই যতটা পারে নতুন জামাকাপড় পরে। মেয়েরা মাথায় গ‌্যাঁদা ফুল গোঁজে। মেলায় গিয়ে বেলুন ফাটায়, পিছনে দিলীপকুমার, সায়রা বানু থেকে অমিতাভ, ঐশ্বর্য রাই কিংবা ফোয়ারাওলা জমিদার বাড়ি বা তাজমহল কিংবা যা কখনও হবে না– এমন ছবি পিছনে রেখে ছবি তোলে। পিছনে লাল রঙের চারচাকা গাড়িও হতে পারে।

একটা মকরমেলার কথা বলি, চাইবাসার কাছাকাছি একটা পাহাড়ের পাশে। বাঙালি, কুর্মি, মাহাতোদের সঙ্গে মুন্ডা এবং হো-রাও আছে। নাগরদোলা, মরণকূপের খেলা, ইলেকট্রিক যুবতী আছে। আর ছিল বেশ কিছু ফটোক তাম্বু। মানে স্টুডিও আর কী! স্টুডিওগুলি স্বপ্ন বিক্রি করে। মনের অরূপ ইচ্ছেগুলোকে রূপবান করে। বেশ কিছু কাট-আউট থাকতে। প্রমাণ সাইজের মানুষ। কেউ বুট-সুট-হ‌্যাট পরা সাহেব, কেউ বা চোগা-চাপকান, পাগড়ি পরা মহারাজা, কোনও কাট-আউটের শরীরে জামা নেই প্রশস্ত বুক, পেশি, মাসল, সেভেন প‌্যাক, নাইন প‌্যাক ইত‌্যাদি– এইসব কাট-আউটের মুখ নেই। মুখ যেখানে থাকার কথা সেইখানে নিজেদের মুখ বসে যাবে। ওরকম ফাইভ প‌্যাক বা সেভেন প‌্যাক ৪৮ ইঞ্চি ছাতির যে কবন্ধ কাট-আউট, তার ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে যাবে হাড় জিরজিরে ৩২ ইঞ্চি ছাতির সুবন্ধু মাহাতো। যদি বেঁটে হয় ইটের বন্দোবস্ত আছে। ইটের ওপর দাঁড়িয়ে মুন্ডুটা সেট করে দেবে। নিত‌্যানন্দ মাহাতোর ছবি উঠবে। ছবিটা নিয়ে হয়তো বাঁধিয়ে রাখবে। এরকম নিত‌্যানন্দ মাহাতো-গোপাল খুঁটিয়া, লখাই বাগদিরা দশ-বিশ টাকা খরচ করে মহারাজা, জমিদার, নবাব কিংবা সাহেবও হয়ে যেতে পারে। শুধু সেইসব কবন্ধ কাট-আউটের পিছনে দাঁড়িয়ে মুন্ডুটা সেট করে দিলেই হল। ভ‌্যানচালকটি মহারাজা, হোটেলের বয় নবাব; আবার মহিলাদের জন‌্যও বন্দোবস্ত আছে। চোলি আর জরির ঘাগরা-পরা বডি আছে। ওর গলার ওপরে মুন্ডুটা ফিট করে দিচ্ছে হাটে মহুয়া বেচে সুফলা মান্ডি।

আবার অন‌্যরকম ইচ্ছাপূরণও আছে। কোনও ধনঞ্জয় সাধু, করিশ্মা কাপুরের কোমর ধরে নেত‌্য করতে চাইলেই করতে পারে। করিশ্মার কোমরটা ধরে দাঁড়িয়ে যাও, ক‌্যামেরার দিকে চাও। ক‌্যামেরা বলল ‘ওয়ান টু থিরি’। ব‌্যস! হয়ে গেল। শাহরুখ আছেন, বচ্চন আছেন, মিঠুন আছেন, আর ধুতি-পরা উত্তমকুমারও। কোনও নবীনচন্দ্র সেনাপতি সস্ত্রীক গিয়েছেন মেলায়, নবীনচন্দ্রের স্ত্রীর প্রথম আড়চোখে, পরে জুলজুল করে উত্তমকুমারের দিকে তাকাচ্ছে। নবীনচন্দ্র বলছেন– ‘শখ মিটিয়ে নাও। মকরমেলায় সব হয়, নজ্জা কোরোনে।’ নবীনচন্দ্রও দু’-দান কাঁটা জুয়ায় বসে গেলেন। বিশ টাকা খরচ করে একটা প্লাস্টিকের চামচ আর একটা ছোট বান্ডিল বিড়ি। নবীন তো যা হোক বিড়ির বান্ডিল পেয়েছে, তিনটাকা দাম। অন‌্যরা তো একটা টকঝাল নজেন্চুস, ব‌্যস!

পরপর মেলা হয়ে যায় পৌষ-মাঘ মাসে। ফাল্গুনেও চলে। গালুডি শেষ হলে বন্দোয়ান। তার পর বাঘমুন্ডি, শুধু তাই নয়– বেশ কয়েক জায়গায় মেলা চলে একসঙ্গে। ওদিকে মানকড়, হাঁসোয়া, বানডিহা, কিংবা পরকুল। রায়পুর, রাণীবাঁধের মকরমেলা। নদীর ধারের মকরমেলার আর এক বড় আকর্ষণ হল টুসু ভাসান।

শিল্পী: শান্তনু দে

টুসু হলেন ওদিকের এক আঞ্চলিক দেবী। কী করে টুসু দেবীর উৎপত্তি, সেদিকে যাচ্ছি না এখন, একটা মূর্তি হয়– অনেকটা যেন লক্ষ্মীদেবীর মতো। ধানের থেকে বের হয় তুষ। তুষের দেবী ‘তুষু’ বা ‘টুসু’। মেয়েরাই টুসুর পুজো করে। একটা মাটির ভাঁড়ে কিছু শস্যের বীজ পুঁতে দেয়। সারা পৌষমাস সেই মৃত্তিকা ভাণ্ডটিকে যত্নে রাখে। মেয়েরা একসঙ্গে গান গায়। টুসু গানে সমসাময়িক প্রসঙ্গ-টসঙ্গ এসেই যায়। টুসু লোকসমাজের, বিশেষত মেয়েদের খুব আপনজন। নিজের দুঃখের কথা বলা যায়– স্বামীর গঞ্জনার কথাও যেমন, কোনও প্রেমিক ডিচ করেছে সেই নালিশও জানানো যায় টুসুর কাছে।

‘অন‌্য ফুলে গেঞছে ভ্রমর
বল লো টুসু কী করি
ভোমরা জাতির এমন স্বভাব
আমি ক‌্যান দিব গলাত দড়ি?’

টুসুর কাছে, মানসিক সমর্থন চাইছে মেয়েটি। সে বাঁচতে চায়।

টুসুকে নিয়ে যে কত রকমের গান তার শেষ নেই। টুসুকে সঙ্গে নিয়ে বেড়ানোর ইচ্ছে–

‘হামার টুসু কাশী যাবেন।
পাল্‌কি চড়ে উ বেলা
ফিরার বেলা দেখায়ে আনবো
কয়লা খাদের জল তোলা।’

টুসুকে সাজানোর কথাও বলা হচ্ছে–

‘চল গো স্যাঁতি সবাই।
খেলাইচণ্ডীর হাটে যাবো
সোনো পাউডার চুড়ি কিনে
টুসু ধনকে সাজাবো।’

যেহেতু মকরে পিঠে-পায়েস হয়। টুসুকে পেট পুরে পিঠে খাওয়ানোর ইচ্ছের কথাও রয়েছে গানে। টুসুকে নাগরদোলায় চড়ানোর কথাও, একটু ঠাট্টা-ইয়ার্কিও। টুসুকে ফেসিয়াল করে দেওয়ার কথাও আছে।

‘কে বলে কে বলে লো
হামার টুসু কালো
বিষ্টুপুরের হলদি আনেঞ
টুসুর গা করিব আলো।’

উৎসবের ক’দিন টুসুও সাজুগুজু করবে, নিজেরাও করবে। মানে নিজেদের সঙ্গে সঙ্গে টুসুকেও সাজাবে। মকর পরবে টুকটাক প্রেম-প্রেম তো চলতেই পারে। টুসুকে সেসব না জানিয়ে থাকা যায়?

‘চোখ টিপে চোখ টিপে টুসু
হামার দিকে তাকায়ে
হামি ও কী করলাম টুসু
মুখটা দিলাম বাঁকায়ে।’

কিন্তু এত অন্তরঙ্গ সখি টুসু, কিন্তু শেষ অবধি তো দেবীই। তাই বর চাইতেই হয়। আশীর্বাদ ভিক্ষা।

‘তুষ তুষলা তুষ তুষলা তোমার কাছে মাগি বর
ধন লক্ষ্মী পুত্র দিয়া পূর্ণ কর আমার ঘর।’

চৌদোলা সাজিয়ে টুসুর জলে বিসর্জন

আগেই বলেছি, মকর সংক্রান্তিতে এই টুসুকে জলে বিসর্জন করা হয়। মূর্তি সব জায়গায় নেই। আগে কোথাও ছিল না, এখন হয়েছে। সুন্দর করে চৌদোলা সাজিয়ে জলে ফেলা হয়। যেখানে মূর্তি নেই, সেখানে সেই অঙ্কুরিত শস্যের মৃত্তিকাভাণ্ড। বিসর্জনের সময় একটা গান শুনে চমকে উঠেছিলাম। গানটা হল–

‘জল জল যে করহ টুসু–
জলে তুমার কে আছে!
মনেতে ভাবিঞে দেখ
জলে শ্বশুরঘর আছে।’

এই গানটি যেন শঙ্খ ঘোষের এই বিখ‌্যাত কবিতাটির লৌকিক রূপ।

‘জল কি তোমার কোনো ব‌্যথা বোঝে?
তবে কেন, তবে কেন জলে কেন যাবে তুমি!
নিবিড়ের সজলতা ছেড়ে?’

…পড়ুন ব্লটিং পেপার-এর অন্যান্য পর্ব…

২৬. বাঙালদের কাছে ডালের খাতির বেশি, ঘটিদের কাছে মাছটাই প্রিয়

২৫. আদালতে একটি দুপুর

২৪. পিতৃপিণ্ডে টমেটো সস

২৩. হীনম্মন্য বাঙালি সমাজে শব্দের প্রমোশন হয় মূলত ইংরেজি বা হিন্দিতে

২২. গন্ধটা খুব সন্দেহজনক!

২১. বাঙালির বাজার সফর মানেই ঘ্রাণেন অর্ধভোজনম

২০. জাত গেল জাত গেল বলে পোলিও খাব না!

১৯: ধোঁয়া আর শব্দেই বুঝে গেছি আট-তিন-পাঁচ-দেড়-দেড়!

১৮: নামের আগেপিছে ঘুরি মিছেমিছে

১৭: টরে টক্কার শূন্য এবং ড্যাশের সমাহারে ব্যাঙের ‘গ্যাগর গ্যাং’ও অনুবাদ করে নিতে পারতাম

১৬: ছদ্মবেশী পাগলের ভিড়ে আসল পাগলরা হারিয়ে গেল

১৫. ধূমপান নিষেধের নিয়ম বদলান, আকাশবাণীর স্টেশন ডিরেক্টরকে বলেছিলেন ঋত্বিক ঘটক

১৪. এমএলএ, এমপি-র টিকিট ফ্রি, আর কবির বেলা?

১৩. ভারত কিন্তু আম-আদমির

১২. ‘গাঁধী ভগোয়ান’ নাকি ‘বিরসা ভগোয়ানের পহেলা অবতার’

১১. কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্টের চক্করে বাঙালি আর ভোরবেলা হোটেল থেকে রওনা দেয় না

১০. জনতা স্টোভ, জনতা বাসন

৯. রামেও আছি, রোস্টেও আছি!

৮. বাঘ ফিরেছে বাগবাজারে!

৭. রেডিওর যত ‘উশ্চারণ’ বিধি

৬.হৃদয়ে লেখো নাম

৫. তিনটে-ছ’টা-ন’টা মানেই সিঙ্গল স্ক্রিন, দশটা-পাঁচটা যেমন অফিসবাবু

৪. রাধার কাছে যেতে যে শরম লাগে কৃষ্ণের, তা তো রঙেরই জন্য

৩. ফেরিওয়ালা শব্দটা এসেছে ফার্সি শব্দ ‘ফির’ থেকে, কিন্তু কিছু ফেরিওয়ালা চিরতরে হারিয়ে গেল

২. নাইলন শাড়ি পাইলট পেন/ উত্তমের পকেটে সুচিত্রা সেন

১. যে গান ট্রেনের ভিখারি গায়কদের গলায় চলে আসে, বুঝতে হবে সেই গানই কালজয়ী