Robbar

Anti-war song

একটা গান থেমে যায়, চিৎকার ভেসে ওঠে

১৯৮৮ সালে ট্রেসি রিলিজ করেন এই গান, ‘বিহাইন্ড দ্য ওয়ালস’। গানটি একটি প্রতিবেশীর দৃষ্টি দিয়ে লেখা। দেওয়ালের ওপার থেকে ভেসে আসা নিপীড়নের শব্দ শুনে, প্রতিবেশী আন্দাজ করছেন কী চলছে!

→

সচ্ছলতার বিনিময়ে দমবন্ধ করা এক স্বপ্নহীন, স্বাধীনতাহীন জীবন

গানটি তো তথাকথিত স্বচ্ছল এক জীবনযাপনের কথা বলে। কিন্তু স্বচ্ছলতার বিনিময়ে কী পাওয়া যায়? এক দমবন্ধ করা, স্বপ্নহীন, স্বাধীনতাহীন এক জীবন। যেখানে জীবনের স্পর্শ নেই।

→

তিনটি মানুষ ও একটি কারাগার

ওই সময়কার একটি কালজয়ী গান ক্রিস ক্রিস্টোফারসনের ‘Me and Bobby Mcgee’-র সুরের কাঠামোর সঙ্গে প্রিজন ট্রিলজির সূক্ষ্ম মিল পাওয়া যায়।

→

কাব্যিক অভিপ্রায় ছাপিয়ে যে গান রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষায় মিশে যায়

আর তোমরাও সন্তান-সন্ততির সঙ্গে সমুদ্রে বেড়াতে যেতে পারবে, যে স্বপ্ন তুমি অনেকদিন দেখো, কিন্তু এই স্বপ্নের কাছাকাছি যে যাওয়া যায়, তোমরা জানতে না।

→

যে সৈনিক কবর খোঁড়ে বেঁচে থাকার তাগিদে

যে গান মৃত্যু থেকে জীবনের দিকে যায়, যে গানে পাহাড়ি ফুল কবরের পাশে বসে থাকে পরিহাসের মতো।

→

যে প্রশ্ন শহরের আনাচেকানাচে ঘুরে বেড়ায়, উত্তর পাওয়া যায় না

এই গানে নেই কোনও নান্দনিকতার বাধ্যবাধকতা, সাহিত্যমূল্যে পাশ করার দাবি, নেই কোনও উচ্চবিত্তের ভাবনাবিলাস।

→

আহা ফুল, কবরের ফুল, মাটিকে অমন ভালোবেসে পাশাপাশি ঘুমিয়ে থেকো না

জার্মানি যখন বিশ্বযুদ্ধে নারকীয় হত্যালীলা চালাচ্ছে, বিরোধী ভাষ্যকে গলা টিপে খুন করছে, তখন মার্লিন দিত্রিশ জার্মান ভাষাতেই গাইলেন যুদ্ধবিরোধী গান– ফুলগুলো সব কোথায় গেল।

→

বব ডিলানের এই গান ভবিষ্যৎবাণীর মতো নিদান দেয়– যুদ্ধ আসন্ন

প্রতিরোধী গানে সূক্ষ্মভাবে হলেও স্লোগানধর্মিতা এসে যায়। দেওয়ালে লেখার অক্ষর হয়ে ওঠে গানের কথা। কিন্তু এই গান সেই প্রবণতাকে অস্বীকার করে।

→