মাঝেমধ্যে নিজেরা খাতা খুলে চমকেও উঠতাম। জমার যা বহর তাতে কপালে খাবার না জোটারই কথা। মেসে তবু উপোসের রীতি নেই। কেউ-না-কেউ খাইখরচ দিয়েই দেয়।
করুণা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে হয়তো একজন একা মা হিসেবে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়া চোখে জলভর্তি সর্বজয়ার চিত্রণ বেছে নিতে পারতেন। কিন্তু অপরাজিত ছবিতে তিনি আগের থেকে আরও শক্ত, তাঁর চোখ দুটো স্থির। ১৩ নভেম্বর করুণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ লেখা।
আপনি চিত্রকে ‘এজিটেটর, অর্গানাইজর’ বলে গেছিলেন, তাঁর উত্তরসুরি কি আমরা হতে পেরেছি? হয়তো আপনার কাজ আমাদের গ্রামের ঘরের দেওয়ালে থাকে না, তবুও আজও গ্রামের আনাচেকানাচে আপনার ছবি কোনও কোনও দেওয়ালে নতুন রাজনৈতিক শিল্পীরা এঁকেই যান।
প্রায় বিনি পয়সার সোশ্যাল মিডিয়ায় যেকোনও কনটেন্ট নিয়ে রিল বানিয়ে, ভিডিও পোস্ট করে যেখানে কেউ ‘সিউডো সেলেব’ হয়ে অর্থ উপার্জন শুরু করেছেন, সেখানে শিশুটি যে ছাড় পাবে না– বলাই বাহুল্য। শিশুদিবস উপলক্ষে বিশেষ লেখা।
মনোজের বাড়িতে অল্পসময়ের জন্য গেলেও অবধারিতভাবে লুচি-তরকারির প্লেট সামনে এসে যেত, ভূরিভোজ অনিয়মিত ছিল না, আর আমার বাড়িতে নেমন্তন্নে এলে তিনি ল্যাজ আর মাথা প্লেট ছাপিয়ে যায় এইরকম পাবদা মাছের বায়না দিয়ে রাখতেন।
মুখ্যমন্ত্রী শিঙাড়াই খান না। এবার কথা হচ্ছে তাহলে শিঙাড়া খামোখা আনা হলই বা কেন? যাঁর জন্য আনা হয়েছে তিনিই যখন খান না, কেন এত হইচই কেন এত হট্টগোল!
অডিটোরিয়াম থেকে ব্যাক স্টেজে আসার যে দরজা সেটা দিয়ে উঠে আসছিল খুব রোগা মতো একটি ছেলে, গায়ের রংটা শ্যামলা, তাকে দেখে বলি, ‘একটু দেখবেন ভাই, অডিটোরিয়াম এ সামনের রো-তে রশিদ খান বলে কেউ আছেন কিনা’, সে শুধু বলল, ‘জি’, আবারও বলি, ‘প্লিজ একটু দেখবেন’, আমি তখনও তাঁকে ভাবছি ‘usher’ জাতীয় কেউ। এবার সে একটু ইতস্তত করে নম্রভঙ্গীতে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বলে, ‘জি, ম্যায় হুঁ’।
অভিনেতা হিসেবে অভিনয়ের যে জায়গাগুলো তিনি আবিষ্কার করেছিলেন, যা আমি আগেও বলেছি, সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা, ভালো থাকার আকাঙ্ক্ষা, জয়ী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা, সাধারণ মানুষ যা প্রকাশ করতে পারে না চট করে। মনোজ মিত্র তাঁর সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে তাকে বড় করে দেখিয়েছেন।
কত নাটক, কত একসঙ্গে থাকা, কত বন্ধুত্ব, কত কৌতুকময় বিষাদ। আজ বিষাদটুকু পড়ে আছে। মনোজ– বাংলা নাটক ও আমার– একান্ত কাছের। এই ক্ষতি অপূরণীয়।
মাতলার বাঘবনে সালওয়াড়ি বাঘের সংখ্যার হ্রাসবৃদ্ধির বিবরণ, অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণী, সরীসৃপ, পাখ-পাখালি, মাছ প্রভৃতি জীববৈচিত্র্য এবং সুন্দরবনের জঙ্গল ও ভূমিরূপের বৈচিত্র্য ও ঘনত্ব নিয়ে এমন তথ্যবহুল পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা পত্রিকাটির মান বাড়িয়েছে।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved