শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় মনে করতেন– ‘শাহজাদা দারাশুকো হিন্দুস্থানে হিন্দু-মুসলমানের ধর্মচিন্তায় মিলনবিন্দুটি খুঁজতে গিয়ে সময়ের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে যান। তাই তিনি হিন্দুস্থানের ইতিহাসে একটি কালো গোলাপ। ব্যথা, সৌন্দর্য, কালের ইতিহাসের সঙ্গে এই গোলাপ জড়িয়ে গেছে। হিন্দুস্থান যুগে যুগে তাঁকে বারবার আবিষ্কার করবে।
মশার হাত থেকে বাঁচতে শ্যামলদা ব্রহ্মপুরের বাড়ির বারান্দায় একটা বিশাল মশারি টাঙিয়ে তার মধ্যে টেবিল-চেয়ার পেতে লিখতে বসতেন। মশারির মধ্যে দুয়েকটা টুল-চেয়ারও থাকত। কেউ এলে হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকে ভেতরে বসতে হত।
১৯৯৩ সালে দে’জ পাবলিশিং থেকে তারাপদ রায়ের প্রথম বই প্রকাশিত হয়– ‘নীল দিগন্তে তখন ম্যাজিক’। এই ভ্রমণকাহিনি, তবে এর কাছাকাছি নামের একটি কবিতাবই-ও তাঁর ছিল।
আজ বাঙালির নববর্ষ। নববর্ষ মানেই কলেজ পাড়ায় উৎসবের আমেজ। তারই টুকরো-স্মৃতি নিয়ে আজকের ‘ইতি কলেজ স্ট্রিট’।
তারাপ্রণব ব্রহ্মচারীর মতো পরিব্রাজক সন্ন্যাসীকে পেয়ে বাংলাসাহিত্য আজ ধন্য। শুধু সাহিত্যিকই নন তিনি একজন সংগীত সাধকও। শৈশব থেকেই সংগীতবিদ্যার প্রতি ছিল তাঁর তীব্র আকর্ষণ। মাতাজিদের স্বর্গীয়সংগীত তিনি শুনতেন আগ্রহের সঙ্গে।
এরকমই ছিলেন সুনীলদা। এত বড় লেখক কিন্তু নিজের লেখা নিয়ে বিরাট কোনও দাবি তাঁর মুখে কেউ কখনও শোনেনি।
মানুষকে ভালোবাসবার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল শক্তিদার। তাঁর আবদার ফেলবার কথা আমি ভাবতেও পারতাম না।
প্রেস-ইন-চার্জ এসে প্রফুল্লদাকে না কি জিগ্যেস করেন– এটা কেমন পাণ্ডুলিপি পাঠানো হয়েছে। প্রফুল্লদা তখনও বিষয়টার ধরতাই না পেয়ে সরল বিশ্বাসে বলেন বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস পাঠিয়েছেন, তা নিয়ে আবার সমস্যার কী থাকতে পারে ! তখন প্রেসের সেই ভদ্রলোক না কি পাণ্ডুলিপি দেখিয়ে বলেন, তিনি এমন বিচিত্র পাণ্ডুলিপি জীবনে দেখেননি !
শঙ্কুদার সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া মানে ইতিহাস-ভূগোল-পুরাণের এনসাইক্লোপিডিয়ার সঙ্গে বেরিয়ে পড়া। গোয়ায় পর্তুগিজদের আসার ইতিহাস থেকে শুরু করে ওখানকার চারটি বিখ্যাত গির্জা আর অসংখ্য মন্দির এবং সব জায়গার অমূল্য সব শিল্পকীর্তি-স্থাপত্যকলা আমাদের খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে দেখিয়েছিলেন শঙ্কুদা।
আমার ধারণা বাংলাদেশে এ-পারের লেখকদের আইনি পথে আমদানি করা বইয়ের চেয়ে জাল বই বেশি বিক্রি হয়।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved