কেমন সে ছবি, যা সংগ্রহ করার জন্যে ব্যাকুল হয়েছেন রবীন্দ্রনাথ? যার জন্য আজ থেকে প্রায় ১১০ বছর আগে খরচ করেছেন ১৫০০ টাকা? তাও মূল ছবি নয়, আর্টিস্টকে দিয়ে কপি করিয়ে নেওয়া! রবীন্দ্রনাথের কাছেই শুনি, কেমন ছিল জাপানি চিত্রকর শিমোমুরা কানজানের আঁকা ‘অন্ধের সূর্যবন্দনা’ ?
৩১.
সারাজীবনে দেশবিদেশ থেকে কত যে উপহার গ্রহণ করেছেন রবিঠাকুর, তার ইয়ত্তা নেই! সে একদিকে যেমন ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিস, তেমনই কত বিচিত্র শিল্পসামগ্রী। কিছু রেখেছেন নিজের কাজে, আবার অকাতরে বিলিয়েছেন কত, তবে শিল্পসামগ্রী রেখেছেন অবন গগনের কাছে, ‘বিচিত্রা’ স্কুলের জন্যে। অবশ্য পরবর্তীকালে অধিকাংশই বিশ্বভারতীতে এসেছে। রবি ঠাকুরের ব্যক্তিত্ব এমনই যে, সামনে এসে দাঁড়ালে কেমন যেন সম্মোহিত করে দেন– ঘরে-বাইরে এমনটা বারবার দেখা গিয়েছে। এ বিষয়ে এক মজার ঘটনা বলি।
রবীন্দ্রনাথ তখন বুয়েনোস আইরেসে ওকাম্পোর আতিথ্যে কিছুকাল কাটিয়ে ইটালিয়ান জাহাজ ‘জুলিয়ো চেজার’-এ ইউরোপ থেকে ফিরছেন। সময়টা ১৯২৫, জানুয়ারির মাঝামাঝি। পথে নেমেছেন জেনোয়াতে, সেখানে অধ্যাপক ফরমিকি ব্যক্তিগত উদ্যোগে দিনকয়েকের জন্য রবিঠাকুরের বিশ্রাম আর ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা করেছেন। সেই পর্বে একদিন ভেনিস থেকে স্টিমারে বিন্দ্রিসি এসেছেন রবীন্দ্রনাথ, বাকিদের সঙ্গে পুত্র রথীও আছেন। সদলবলে না ঘুরে একটা ঘোড়ার গাড়িতে নিজেদের মতো করে শহরের খানিকটা দেখে নেবেন এমনটাই ইচ্ছে তাঁর। ফলে মোটরগাড়ির পরিবর্তে ঘোড়ার গাড়ি ডাকা হয়েছে। কিন্তু সেই গাড়িওয়ালা বেশ বুদ্ধিমান, সে জেনেবুঝে মিউজিয়ামের সামনে গাড়িটা দাঁড় করালে– একদল ফটোগ্রাফার সেখানে আগে থেকেই ভিড় করেছিল। এদিকে মিউজিয়ামে রবীন্দ্রনাথ এসেছেন শুনে সেখানকার কিউরেটর, পাদরি-সহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হুড়মুড় করে হাজির। একবর্ণ ইংরেজি না-জানা পাদরি সাহেব তো উত্তেজনায় হাত-পা নেড়ে প্রবল উৎসাহে কবিকে বোঝাতে ব্যস্ত। কীভাবে যে তিনি কবিকে খুশি করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না। গোড়াতেই পুরাতাত্ত্বিক রোমান মাটির পাত্রে সবাইকে পুরনো মদিরা পরিবেশন করে আতিথেয়তা সেরেছেন। তারপর সংগ্রহশালার একটি অত্যন্ত মূল্যবান অ্যানটিক পাত্র সকলের সামনে রবিঠাকুরকে উপহার দিয়ে বসলেন। বাকিরা কেউ কিছু বললে না, মানাও করলে না! সেই রোমান পুরাতাত্ত্বিক পাত্রটা আজও সযত্নে রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত। এই হল রবীন্দ্র-আবির্ভাবের আশ্চর্য ম্যাজিক। উপহারের পাশাপাশি কবি স্বয়ং বিদেশে গিয়ে কিছু সংগ্রহ করেছেন বা মূল্যবান শিল্পসামগ্রী কিনেছেন কি না, সে খবর নেওয়াও জরুরি। এমন ঘটনার পটভূমি জাপান।
নোবেল পর্বের অব্যবহিত পরে ১৯১৬ সালে রবীন্দ্রনাথের প্রথম বিদেশ সফর জাপান এবং আমেরিকা। জাপান তাঁকে অভিভূত করেছিল, লিখেছেন ‘জাপানযাত্রী’র ছত্রে ছত্রে। সেখানে তিনি গোটা তিনেক জাপানি ছবি কিনেছেন। মূলত জোড়াসাঁকোতে গড়ে ওঠা ‘বিচিত্রা’ স্কুলের কথা ভেবে। সেগুলির অন্যতম, একটা জাপানি স্ক্রিন-পেন্টিং– রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ‘অন্ধের সূর্যবন্দনা’– যা দীর্ঘকাল তাঁকে আবিষ্ট করে রেখেছে।
কেমন সে ছবি, যা সংগ্রহ করার জন্যে ব্যাকুল হয়েছেন রবীন্দ্রনাথ? যার জন্য আজ থেকে প্রায় ১১০ বছর আগে খরচ করেছেন ১৫০০ টাকা? তাও মূল ছবি নয়, আর্টিস্টকে দিয়ে কপি করিয়ে নেওয়া! রবীন্দ্রনাথের কাছেই শুনি, কেমন ছিল জাপানি চিত্রকর শিমোমুরা কানজানের আঁকা ‘অন্ধের সূর্যবন্দনা’ ? তিনি লিখেছেন, ‘হারাসান (কবি যাঁর অতিথি) সবশেষে নিয়ে গেলেন একটি লম্বা সংকীর্ণ ঘরে; সেখানে একদিকের সমস্ত দেওয়াল জুড়ে একটা খাড়া পর্দা দাঁড়িয়ে। এই পর্দায় শিমোমুরার আঁকা একটি প্রকাণ্ড ছবি। শীতের পরে প্রথম বসন্ত এসেছে; প্লাম গাছের ডালে একটাও পাতা নেই, সাদা সাদা ফুল ধরেছে, ফুলের পাপড়ি ঝরে ঝরে পড়ছে; বৃহৎ পর্দার এক প্রান্তে দিগন্তের কাছে রক্তবর্ণ সূর্য দেখা দিয়েছে, পর্দার অপর প্রান্তে প্লাম গাছের রিক্ত ডালের আড়ালে দেখা যাচ্ছে একটি অন্ধ হাতজোড় করে সূর্যের বন্দনায় রত। একটি অন্ধ, এক গাছ, এক সূর্য, আর সোনায়-ঢালা সুবৃহৎ আকাশ; এমন ছবি আমি কখনো দেখিনি’।
বিস্ময় জাগানো মুগ্ধতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের মনে হয়েছে– ‘উপনিষদের সেই প্রার্থনাবাণী যেন রূপ ধরে আমার কাছে দেখা দিলে– তমসো মা জ্যোতিগর্ময়। কেবল সেই অন্ধ মানুষের নয় অন্ধ প্রকৃতির এই প্রার্থনা, তমসো মা জ্যোতিগর্ময়– সেই প্লাম গাছের একাগ্র প্রসারিত শাখাপ্রশাখার ভিতর দিয়ে জ্যোতিলোকের দিকে উঠছে। অথচ আলোয় আলোময়– তারি মাঝখানে অন্ধের প্রার্থনা’। সেই মুহূর্তে ‘য়ুরোপের নানা অনাবশ্যক কুশ্রী’ জিনিসের বিপরীতে জাপানের আড়ম্বরহীন ছবির সহজ ভঙ্গি তাঁকে ভরিয়ে তুলেছিল। জাপানের শিল্পকলা দেখে মনে হয়েছে শৌখিনতা ছাড়িয়ে সে যেখানে পৌঁছেছে সেখানে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে ‘জ্ঞানীর জ্ঞান, ভক্তের ভক্তি, রসিকের রসবোধ’ নিবিড়ভাবে সংসক্ত। অথচ খেয়াল করলে দেখি, তিনি যখন স্বয়ং ছবি-আঁকিয়ে হয়ে উঠবেন, তখন চিত্রকলার সঙ্গে সাহিত্যের যোগ স্বীকার করবেন না। তখন বলবেন, ছবি হল ‘একটি প্রত্যক্ষ অস্তিত্বের সাক্ষী’। বলবেন, ‘চিত্রকর গান করে না, ধর্মকথা বলে না’, ‘যদি সে কোনোও নৈতিক বাণী আনে তা উপরি দান’ ইত্যাদি ইত্যাদি। কেবল শিমোমুরার ছবি নয়, আরেক শিল্পী টাইক্কানের ছবি দেখেও মনে হয়েছে, সে ছবিতে ‘না আছে বাহুল্য, না আছে শৌখিনতা। তাতে যেমন একটা জোর, তেমনি সংযম’। মনে হয়েছে ছবির ‘প্রত্যেক রেখা প্রাণে ভরা। এর মধ্যে ছোটখাটো কিংবা জবরজং কিছুই নেই; যেমন উদার তেমনই গভীর, তেমনই আয়াসহীন। নৈপুণ্যের কথা একেবারে মনেই পড়ে না, …দেখামাত্র মনে হয় খুব বড়ো এবং খুব সত্য’। টাইক্কানের ছবি তাঁকে টেনেছে আরেক রকমে। আধুনিক জাপানের এই দুই অন্যতম শিল্পী সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের মত, এঁরা ‘আধুনিক য়ুরোপের নকল করেন না, প্রাচীন জাপানেরও না। তাঁরা প্রথার বন্ধন থেকে জাপানের শিল্পকে মুক্তি দিয়েছেন’। এখানেই রবিঠাকুরের মনের কথা স্পষ্ট হয়ে উঠেছ– যা ভবিষ্যতের ‘ছবি-আঁকিয়ে’ রবীন্দ্রনাথকে চিনিয়ে দেয়।
রবীন্দ্রনাথের সেই প্রিয় ছবি ‘অন্ধের সূর্যবন্দনা’ কপি করে দেওয়ার ভার ছিল আরেক শিল্পী কাম্পো আরাইয়ের ওপর। ছবি কপির পর জাহাজে করে তা নিয়ে এসেছিলেন শিল্পী স্বয়ং। তিনি জোড়াসাঁকোর ‘বিচিত্রা’ স্কুলের চিত্রশিক্ষক হয়ে এসেছিলেন। ‘অন্ধের সূর্যবন্দনা’ ছবি দেখানোর কথায় আরাই তাঁর ডায়ারিতে লিখেছেন, ‘মি কানজান শিমোমুরার ‘অন্ধের সূর্যবন্দনা’ ছবির আমার কপি করা চিত্রটি রাত্রে বের করলাম। এই চিত্রের জন্য বিশেষ জাপানি প্রথায় ঘর তৈরি করা হল। উক্ত জাপানি স্টাইলের ঘরে সেই কপি করা পট দাঁড় করিয়ে রাখা হল। ঠাকুর পরিবারের গৃহবধূ ও কন্যাগণ খুব সকালে জড়ো হয়ে পটটির সামনে বসে রবীন্দ্রনাথের রচিত অন্ধের গানটি গাইতে গাইতে অনেকক্ষণ ধরে সেটা দেখছিলেন’।
আরাইয়ের এই বিবরণ আমাদের ভাবিয়ে তোলে। রবীন্দ্রনাথের কোন ‘অন্ধের গানটি’ ছবি দেখতে দেখতে ঠাকুরবাড়ির মেয়েরা গাইছিলেন? সে কি তবে কিছুকাল আগে রচিত ‘ফাল্গুনী’ নাটকের অন্ধ বাউলের গান? ‘চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে।/ অন্তরে আজ দেখব, যখন আলোক নাহি রে…’। ‘ফাল্গুনী’র সেই বাউল ‘চোখ দিয়ে দেখে না বলেই তার দেহ মন সমস্ত দিয়ে দেখে’। যে বাউলকে পথে নেমে পথ খুঁজতে হয় না, তার পথ ‘ভিতর থেকে দেখতে পায়’, নিষ্কম্প কণ্ঠে সে বলতে পারে, –‘যখন অন্ধ হলুম ভয় হল দৃষ্টি বুঝি হারালুম। কিন্তু চোখওয়ালার দৃষ্টি অস্ত যেতেই অন্ধের দৃষ্টির উদয় হল। সূর্য যখন গেল তখন দেখি অন্ধকারের বুকের মধ্যে আলো’। কী আশ্চর্য এই বাউলের জীবনদর্শন! আমরা জানি, কবি এই অন্ধ বাউলের ভূমিকায় অভিনয় করতেন। মঞ্চে যখন গাইতেন, ‘ধীরে বন্ধু ধীরে চলো তোমার বিজন মন্দিরে। জানি পথ, নাই যে আলো, ভিতর বাহির কালোয় কালো, তোমার চরণশব্দ বরণ করেছি এই অরণ্যগভীরে’ তখন দর্শকের আসনে সবাই স্থির, নিশ্চল, চিত্রার্পিত। আমাদের মনে হয়, রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং বুঝি সেই অন্ধ বাউল, যিনি চোখে দেখার চেয়ে কানে শোনায় বেশি ভরসা করেন। ‘দৃশ্যপ্রবাহের অবিরাম কম্পনধ্বনিকে’ যিনি ‘চোখ বুজে মনের কান দিয়ে শুনতে’ চান। দিনের আলোর চেয়ে ‘গোধূলি ঘনীভূত হয়ে’ আকাশে চাঁদ উঠলে যাঁর ‘মুগ্ধ হৃদয়ের মধ্যে সমস্ত তারগুলো যেন বেজে’ ওঠে, যিনি ‘গানের ভিতর দিয়ে যখন’ পৃথিবীকে দেখেন তখনই তাকে চিনতে পারেন, জানতে পারেন। এ কি তবে ‘চোখের দেখা’-কে ‘কানে শোনা’য় তরজমা করে নেওয়ার আকুল আকুতি? আঁধার রাতের সেই একলা পাগলের মতো যে ‘বুঝিয়ে দে, বুঝিয়ে দে’ বলে আর্ত হাহাকার করে পথ চলা? রবি ঠাকুরের ভেতর মহলের গোপন আকুলতাই কি ‘অন্ধের সূর্যবন্দনা’র প্রতি প্রবল আকর্ষণের ভিত্তিভূমি? কলমে যেকথা বার বার ফিরে আসে, ‘পশ্চিম-যাত্রীর ডায়ারি’তে বলেন, ‘একজন আধুনিক জাপানি রূপদক্ষের রচিত ছবি আমার কাছে আছে। সেটি যতবার দেখি আমার গভীর বিস্ময় লাগে। দিগন্তে রক্তবর্ণ সূর্য– শীতের বরফচাপা শাসন সবে-মাত্র ভেঙে গেছে, প্লাম গাছের পত্রহীন শাখাগুলি জয়ধ্বনির বাহুভঙ্গির মতো সূর্যের দিকে প্রসারিত, সাদা সাদা ফুলের মঞ্জরীতে গাছ ভরা। সেই প্লাম গাছের তলায় একটি অন্ধ দাঁড়িয়ে তার আলোকপিপাসু দুই চক্ষু সূর্যের দিকে তুলে প্রার্থনা করছে’।
রবীন্দ্রনাথ কি এই আলোকপিপাসু অন্ধভিক্ষুর সত্তার সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করে নিয়েছিলেন? মনের দেখাকে চোখের লেখায় পরিণত করে নিতে ছবি ঠাকুরের বিলম্বের মুহূর্তমালা কি তবে এর আড়ালেই লুকিয়ে আছে?
…পড়ুন ছবিঠাকুর-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৩০: সেরামিক পাত্রের গায়ে রবীন্দ্রনাথের আশ্চর্য সব নকশা
পর্ব ২৯: ছিমছাম গ্রন্থসজ্জাই কি বেশি পছন্দ ছিল রবিঠাকুরের?
পর্ব ২৮: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম প্রচ্ছদ
পর্ব ২৭: রবীন্দ্রনাথের চিত্রপটে রং-তুলিতে সাজিয়ে তোলা ফুলেরা কেমন? কী নাম তাদের?
পর্ব ২৬: রবীন্দ্রনাথের আঁকা শেষ ছবি
পর্ব ২৫: রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি সংরক্ষণ করা সহজ নয়
পর্ব ২৪: জাল ছবি ও রবীন্দ্র-ব্যবসা
পর্ব ২৩: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথের বিদ্রোহের ছবি
পর্ব ২২: চিত্রকলার বোধ যত গাঢ়তর হচ্ছে, ততই রবীন্দ্রনাথ চোখের দেখার ওপরে ভরসা করছেন
পর্ব ২১: কলাভবনে নন্দলালের শিল্পচিন্তার প্রতি কি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছিলেন না রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ২০: ছবি বুঝতে হলে ‘দেখবার চোখ’-এর সঙ্গে তাকে বোঝার ‘অনেক দিনের অভ্যেস’
পর্ব ১৯: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথ কোন রংকে প্রাধান্য দিয়েছেন?
পর্ব ১৮: ছবি আঁকিয়ে রবিঠাকুরও সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন
পর্ব ১৭: রবীন্দ্রনাথের নারী মুখমণ্ডলের সিরিজ কি কাদম্বরী দেবীর স্মৃতিজাত?
পর্ব ১৬: ট্যাক্স না দেওয়ায় রবীন্দ্রনাথের ছবি আটক করেছিল কাস্টমস হাউস
পর্ব ১৫: বাইরে সংযত রবীন্দ্রনাথ, ক্যানভাসে যন্ত্রণাদগ্ধ ছবিঠাকুর
পর্ব ১৪: অমৃতা শেরগিলের আঁকা মেয়েদের বিষণ্ণ অভিব্যক্তি কি ছবিঠাকুরের প্রভাব?
পর্ব ১৩: আত্মপ্রতিকৃতির মধ্য দিয়ে নতুন করে জন্ম নিচ্ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
পর্ব ১২: আমেরিকায় কে এগিয়ে ছিলেন? ছবিঠাকুর না কবিঠাকুর?
পর্ব ১১: নন্দলাল ভেবেছিলেন, হাত-পায়ের দুয়েকটা ড্রয়িং এঁকে দিলে গুরুদেবের হয়তো সুবিধে হবে
পর্ব ১০: ১০টি নগ্ন পুরুষ স্থান পেয়েছিল রবীন্দ্র-ক্যানভাসে
পর্ব ৯: নিরাবরণ নারী অবয়ব আঁকায় রবিঠাকুরের সংকোচ ছিল না
পর্ব ৮: ওকাম্পোর উদ্যোগে প্যারিসে আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে যাচাই করেছিলেন রবি ঠাকুর
পর্ব ৭: শেষ পর্যন্ত কি মনের মতো স্টুডিও গড়ে তুলতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ৬: রবীন্দ্র চিত্রকলার নেপথ্য কারিগর কি রানী চন্দ?
পর্ব ৫: ছবি আঁকার প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ পরলোকগত প্রিয়জনদের মতামত চেয়েছেন
পর্ব ৪: প্রথম ছবি পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ামাত্র শুরু হয়েছিল বিদ্রুপ
পর্ব ৩: ঠাকুরবাড়ির ‘হেঁয়ালি খাতা’য় রয়েছে রবিঠাকুরের প্রথম দিকের ছবির সম্ভাব্য হদিশ
পর্ব ২: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম ছবিটি আমরা কি পেয়েছি?
পর্ব ১: অতি সাধারণ কাগজ আর লেখার কলমের ধাক্কাধাক্কিতে গড়ে উঠতে লাগল রবিঠাকুরের ছবি