জন ডান লিখতে লাগলেন অনর্গল। জন্মাচ্ছে তাঁর কলমে নতুন প্রেমের কবিতা। টেবিলটাকে ভূতে পেয়েছে! তাঁর কলম থেকে এ কী সব বেরচ্ছে: ঠাট্টা করতে হয় করো। কিন্তু ভালবাসতে দাও আমাকে। জানি আমার গেঁটেবাত, gout, তাতে কী? আমাকে ভালবাসতে দাও আমার গেঁটেবাত টপকে। কেন gout দাঁড়াবে আমার প্রেমের পথ আটকে? আমাকে ভালোবাসতে দাও, আমাকে ভালবাসতে দাও। আমি জানি আমি এখন জানুভ্রষ্ট খঞ্জ! আমি palsy-তে আক্রান্ত। আমি লাঠি নিয়ে খুঁড়িয়ে চলি। আমার পা কাঁপে। আমি ভালো করে দাঁড়াতে পারি না। চলতে পারি না। হাঁটুতে বেদনা। আমাকে ভালোবাসতে দাও, ভালোবাসতে দাও।
২৪.
না, তাঁর ৪৫৩তম জন্মদিনে তাঁকে আমরা মুহূর্তের জন্যও স্মরণ করিনি। আমি লন্ডনের কথা বলতে পারব না। তাঁর জন্ম ও প্রয়াণ দুটোই লন্ডনে। সেখানে হয়তো কোনও নিঃসঙ্গ পণ্ডিত ইংরেজ তাঁকে কোনও পাবের বিষণ্ণ কৌণিকতায় স্মরণ করে থাকতে পারেন। কিন্তু কলকাতায় তাঁর জন্মদিন ২২ জানুয়ারি, তাঁর কথা এই যুগের কোনও অমিত বা লাবণ্য ভেবেছে বলে মনে হয় না। কিন্তু কোনও এক যুগের বাঙালি অমিত বাঙালি লাবণ্যকে বলেছিল:
“রামচন্দ্র সীতার সত্য যাচাই করতে চেয়েছিলেন বাইরের আগুনে, তাতেই সীতাকে হারালেন। কবিতার সত্য যাচাই হয় অগ্নিপরীক্ষায়, সে আগুন অন্তরের। যার মনে নেই সেই আগুন সে যাচাই করবে কী দিয়ে?… আমার মনে আজ আগুন জ্বলছে, সেই আগুনের ভিতর দিয়ে আমার পুরোনো সব পড়া আবার পড়ে নিচ্ছি; কত অল্পই টিকল। সব হূ হূ শব্দে ছাই হয়ে যাচ্ছে। কবিদের হট্টগোলের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আজ আমাকে বলতে হয়, তোমরা অত চেঁচিয়ে কথা কোয়ো না, ঠিক কথাটি আস্তে বলো–
For God’s sake hold your tongue
and let me love.”
এতক্ষণে নিশ্চয়ই ধরতে পেরেছেন যে, বিশ্ববিখ্যাত ইংরেজ মেটাফিজিকাল কবির জন্মদিন আমার কলকাতায় টুঁ শব্দটি না করে কাটালাম, তিনি উইলিয়াম শেক্সপিয়রের থেকে ৮ বছরের ছোট– জন ডান ( John Donne, ২২ জানুয়ারি, ১৫৭২–৩১ মার্চ, ১৬৩১)।
প্রশ্ন হল, রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘শেষের কবিতা’র অসহনীয় রোমান্টিক নায়কের মুখে এমন এক ইংরেজ কবির, এমন একটি প্রেমের কবিতার প্রথম লাইনটি বসিয়ে নায়িকা লাবণ্যকে কাত করতে চেয়েছেন, যিনি আদৌ রোমান্টিক নন। তবে রবীন্দ্রনাথ যে সুযোগ মতো ডান-এর এই পঙক্তি লুফে নিয়েছেন, তার কারণ আমরা পাই ডান সম্পর্কে ভার্জিনিয়া উল্ফের ব্রিলিয়ান্ট আলোচনায়, যার শুরুতেই এই লাইন: Donne leaps into poetry the shortest way. জন ডান মুহূর্তে লাফিয়ে চলে আসেন কবিতার শিখরে। এই সুযোগ রবীন্দ্রনাথ ছাড়তে পারেননি। হাঁকিয়ে অনুবাদ করলেন এই ভাষায়। এবং অমিতের মুখে বসিয়ে দিলেন সেই অনুবাদ, সেই অতিনাটুকে উচ্চারণ, যা অমিতের চরিত্রের সঙ্গে মেলে। রবীন্দ্রনাথের সেই অনুবাদে অমিত লাবণ্যকে তাক লাগাতে বলেছে:
‘দোহাই তোদের, একটুকু চুপ কর।
ভালোবাসিবারে দে আমারে অবসর।’
কিন্তু এই কবিতা যাঁর মাথায়, এই মাত্র নাম লিখেছেন ডান– ‘The Canonization’, সেটা তো মোটেও নয় রোমান্টিক প্রেমের কবিতা। বরং রোমান্টিক প্রেমের বেলুনে ছুঁচ ফুটিয়েছেন ডান তীব্র বিদ্রুপে!
এইখানে একটি ব্যক্তিগত কথা বলার লোভ সামলাতে পারছি না। স্কটিশ চার্চ কলেজে ইংরেজি অনার্স ক্লাসে আমাদের জন ডান-এর কবিতা পড়িয়ে ছিলেন সদ্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্কলার ডক্টর কিটি স্কুলার। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল: মেটাফিজিক্যাল পোয়েটস। এই ইংরেজ কবিদের নিয়ে তাঁর প্রগাঢ় গবেষণার বইটিও বেরিয়েছিল। এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি থেকে সেই বই ধার করে যত পেরেছি টুকে নিয়েছি। তবে আমার এই জন ডান উত্তেজনার কারণ ততটা ডানের কবিতা নয়, যতটা তরুণী অধ্যাপিকার মাধুরী। তিনি ক্লাসে এলে কিছুতেই চোখ ফেরাতে পারতাম না। সোনালি চুল। চাঁদের মতো নীল চোখ। জ্যোৎস্নার মতো হাসি। ঝলমলে দাঁতের সারি। আর কিটির ইংরেজি উচ্চারণে কী সাবলীল লাবণ্য। আর এই সব কিছুর সঙ্গে মিশে ছিল কিটির অবিস্মরণীয় ইন্টেলেকশন!
কিছুদিনের মধ্যে কিটি প্রেমে পড়লেন অর্থনীতির মহাপণ্ডিত অধ্যাপক অম্লান দত্তর। মনটা একটু যে বিষণ্ণ হয়নি, তা নয়। এরপর ওঁরা বিয়ে করলেন। মন আরও খারাপ হল। তারপর একদিন খবর পেলাম, আমি নিজে তখন স্কটিশ কলেজে অধ্যাপক, ওদের বিয়েটা ভেঙে গেছে! সেই মনখারাপ আজও বোধহয় কাটেনি। যদিও দু’জনেই পৃথিবীতে আর নেই। স্বীকার করছি, আজও জন ডানের কোনও কবিতার কথা মনে পড়লে, কিছুতেই সেই কবিতাকে ছাড়িয়ে নিতে পারি না সোনালি চুল, নীল চাঁদনি চোখ, বাঁধভাঙা চাঁদের হাসি আর সেই তরুণীর মুখের ভাষার তরল লাবণ্য থেকে!
কিটি আমাদের যেভাবে ডানের ‘ক্যানোনাইজেশন’ পড়িয়েছিলেন, সব মনে আছে। তখনও ব্রিটিশরাজের শেষ সুবর্ণ ঝাপটা চলছে আমাদের শিক্ষাদীক্ষায়। ঝেঁপে বৃষ্টির মতো কিটির কণ্ঠস্বর শুনতে পাই। আর দেখতে পাই জন ডান বসে আছেন তাঁর লেখার টেবিলে। লিখছেন মোমবাতির আলোয়। আর মাঝে মাঝে টেবিলটার কাছে প্রার্থনার মতো করে বলছেন, “পথ দেখাও। প্রেম নিয়ে নতুন ভাবনার পথ। যেভাবে কেউ ভাবেনি, লেখেনি, আমাকে নিয়ে চলো সেই ভাবনায়, সেই লেখায়। প্রেমের কবিতায়, যে কবিতায় আমি এখুনি লিখেছি, For God’s sake hold your tongue and let me love, সেই কবিতায় আমি নিজেকে বিদ্রুপ করতে চাই, চালাতে চাই শ্লেষের চাকু, টেবিল, ভাষা দাও আমাকে, নতুন যুগের প্রেমের কবিতার ভাষা, আর নয় রোম্যান্টিক ন্যাকামি।”
জন ডান লিখতে লাগলেন অনর্গল। জন্মাচ্ছে তাঁর কলমে নতুন প্রেমের কবিতা। টেবিলটাকে ভূতে পেয়েছে! তাঁর কলম থেকে এ কী সব বেরচ্ছে:
ঠাট্টা করতে হয় করো। কিন্তু ভালবাসতে দাও আমাকে। জানি আমার গেঁটেবাত, gout, তাতে কী? আমাকে ভালবাসতে দাও আমার গেঁটেবাত টপকে। কেন gout দাঁড়াবে আমার প্রেমের পথ আটকে? আমাকে ভালোবাসতে দাও, আমাকে ভালবাসতে দাও। আমি জানি আমি এখন জানুভ্রষ্ট খঞ্জ! আমি palsy-তে আক্রান্ত। আমি লাঠি নিয়ে খুঁড়িয়ে চলি। আমার পা কাঁপে। আমি ভালো করে দাঁড়াতে পারি না। চলতে পারি না। হাঁটুতে বেদনা। আমাকে ভালোবাসতে দাও, ভালোবাসতে দাও। ঠাট্টা করো না আমার টাক মাথাকে। না, না, ঠাট্টা করো আমাকে, ওই টাকের জন্যে। কিন্তু দেখতে ভুলো না টাকের ওপর এখনও ফুরফুরে পাঁচটি পাকা চুল। আমাকে ভালোবাসতে দাও। আমাকে ভালোবাসতে দাও। তুমি বিদ্রুপ করতেই থাকো আমাকে আমার দুর্ভাগ্যের জন্যে। ঠাট্টা করে আমার সব হারিয়ে ফেলাকে। আর তুমি আমাকে ছেড়ে এগিয়ে যাও তোমার নব নব সম্পদের পথে। আমাকে ভালোবাসতে দাও। আমাকে ভালোবাসতে দাও। তোমার মন ধাবিত হোক শিল্পচর্চার পথে। নতুন নতুন ভাবনায় তুমি আরও আরও ধনী হয়ে ওঠো। আরও প্রতিষ্ঠিত হও তোমার কর্মজীবনে। Get you a place. তোমাদের মধ্যে যারা ইতিমধ্যে জাঁকিয়ে বসেছেন অধিকারের আসনে, তাঁদের ঠিক ঠিক জায়গায় তেল দিয়ে বাকিরা এগিয়ে যাও সামাজিক উত্তরণ আর প্রাপ্তির পথে। আর আমার দিকে ফেলো করুণার দৃষ্টি। আমাকে ভালবাসতে দাও। ভালোবাসতে দাও। যে বন্ধু ছড়ি ঘোরাচ্ছে, observe his honour or his grace, আমাকে ভালোবাসতে দাও, ভালোবাসতে দাও। তোমরা বরং রাজার মুদ্রিত মুখের দিকে তাকিয়ে মগ্ন হয়ে থাকো। অর্থাৎ, টাকাপয়সা কামাও, যে টাকাপয়সায় মুদ্রিত রাজার মুখ। আমাকে ভালোবাসতে দাও। ভালোবাসতে দাও। এসব থেকে আমি চলে এসেছি অনেক দূরে। আমাকে শুধু ভালোবাসতে দাও। ভালোবাসতে দাও।
এতখানি তুমুল তরঙ্গে লিখে ফেলে জন ডান কিছুক্ষণ থামেন। এই রকম প্রেমের কবিতা কোনও দিন কখনও কোনও কবি লিখেছেন? না, বুঝতে পারেন জন ডান। প্রণয়-ভাবনার নতুন দরজা খুলে দিয়েছেন তিনি। তাঁর লেখার টেবিল তাঁর প্রার্থনা শুনেছে। তিনি টেবিলটার গায়ে কৃতজ্ঞতার চুমু বসিয়ে দেন। আর তখুনি টেবিলটা যেন এক ঝাপটায় তাঁকে ওই কবিতায় আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসে:
আমার কান্নায় কি ভাসিয়েছি কারও জমিজমা? আমার জীবনে ভালোবাসার উপবাস কী পৃথিবীতে বসন্তের আগমন বিলম্বিত করেছে? আমার জীবন যন্ত্রণার আর হতাশার দীর্ঘশ্বাস কি ডুবিয়ে দিয়েছে কখনও কোনও বণিকের জাহাজ? আমার শরীরে শিরার উত্তাপ কখনও কাউকে কি প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে মরতে বাধ্য করেছে? (সে যুগের ধারণা ছিল প্লেগের কারণ উত্তাপ)। এখনও সৈনিক সন্ধান করে যুদ্ধের। এখনও উকিল খোঁজে মামলাবাজ মানুষ। এসব আছেই। সর্ব যুগে থাকবেও। থাক, এসব যে যার মতো। আমাকে ভালোবাসতে দাও। ভালোবাসতে দাও। আমার ভালোবাসার মেয়েটিকে এই নির্মম নিষ্ঠুর পৃথিবীতে, তোমাদের সহস্র বিদ্রুপের মধ্যে আমাকে ভালবাসতে দাও।
তোমরা বলতেই পারো আমরা দু’জন দু’টি পতঙ্গ। সত্যি তো, তোমাদের তুলনায় আমরা পতঙ্গ। প্রেমের আগুনে বোকার মতো পুড়ে মরার জন্য উন্মুখ। জেনে শুনে সর্বনাশের দিকে উড়ে যাচ্ছি। ভালোবাসতে দাও। ভালোবাসতে দাও। আমরা দু’টি মোমবাতি। প্রেমের আগুনে নিজেরাই গলে যাচ্ছি। We are tapers too and at our own cost die. কিন্তু আমরা আবার পরস্পরের ঈগল আর কপোত, তাও বলতে পারো। And we in us find the Eagle and the Dove. পরস্পরের শরীর শিকার করি এইভাবে। শরীর ছাড়া প্রেমে বিশ্বাস করি না আমরা। আমরা পরস্পরের শরীরের আগুনে পুড়ে ছাই হই। আবার ফিনিক্স পাখির মতো ছাই থেকে নতুন হয়ে জন্মাই। ভালোবাসতে দাও। ভালোবাসতে দাও। এইভাবে ঠিক এইভাবে যেন ভালোবাসতে বাসতে আমরা আমাদের প্রেমের সমস্ত ভঙ্গির অন্তর স্রোত বুঝতে শিখি। ভালোবাসতে দাও। ভালোবাসতে দাও।
…………………………………..
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
…………………………………..
জন ডান শেষ করেন তাঁর প্রেমের কবিতা। পৃথিবীতে এমন প্রেমের কবিতা এই প্রথম লেখা হল। ডানের চোখের জল পড়ে টেবিলটার ওপর। এক ফুঁয়ে মোমবাতি নিভিয়ে দেন কবি। ঘর অন্ধকার। শুধু নিভে যাওয়া বাতির পোড়া গন্ধ।
ভালোবাসতে দাও। ভালোবাসতে দাও।
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!
পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে
পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে
পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি
পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল
পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল
পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল
পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
পর্ব ২: লেখার টেবিল ভয় দেখিয়েছিল টি এস এলিয়টকে
পর্ব ১: একটি দুর্গ ও অনেক দিনের পুরনো নির্জন এক টেবিল