ফেমিনিজমের সেকেন্ড ওয়েভের সময় (ছয়ের দশক থেকে মোটামুটি যা শুরু হয়) ফেমিনিস্ট ফিল্ম ক্রিটিসিজমের যে উৎকর্ষ, সেখানে ভাগ্যিস আজকালকার মতো পলিটিকালি কারেক্ট প্রতিরূপায়নের একমাত্রিক চাহিদা প্রাধান্য পায়নি। ফিল্ম নোয়ার নায়িকা বেশিরভাগ সময়েই ভিলেন (বা ভ্যাম্প), সে অধিকাংশ সময়েই নৈতিকভাবে অধঃপতিত, সেই ভূমিকায় যাঁরা অভিনয় করতেন, তাঁরা সেক্স-অ্যাপিলে পুরুষদের ফ্যান্টাসির আইকন। তাই মনে হতেই পারে যে, তাঁরা নারী সম্বন্ধে মিসোজিনিস্ট ভাবনারই পরাকাষ্ঠা। কিন্তু ভাগ্যিস সেই সময়ের ফেমিনিস্ট ফিল্ম ক্রিটিকদের দেখার চোখ ছিল আরও ক্ষুরধার। তারা সারফেস ভেদ করে গভীরে দেখতে জানতেন।
১২.
বিনোদিনী সুন্দরী, আবার মিশনারিতে মেমসাহেবের কাছে পড়াশোনা করেছে, ‘আজকালকার পছন্দর সঙ্গে’ মেলার মতো। কিন্তু না তার বিয়ে হল মহেন্দ্রর সঙ্গে, না হল বিহারীর সঙ্গে। যার সঙ্গে হল, সে মরল। ইতিমধ্যে মহেন্দ্র বিবাহ করেছে আশালতাকে, এবং সর্বদাই ঘরে ঢুকে দোর দিয়ে থাকে তারা। তাদের এই বেহায়াপনা দেখে মহেন্দ্রর মা রাজলক্ষীর ভারি রাগ হল। তিনি ছেলের বউয়ের রূপের দেমাক ভাঙতে আরও সুন্দরী বিনোদিনীকে বাড়িতে আনলেন। কিন্তু সেই বিনোদিনী এখন আহত ক্রুদ্ধ বাঘিনীতে পরিণত হয়েছে। শুধুই যে সে সুন্দরী ও শিক্ষিতা তাই নয়, সে বুদ্ধিমতী, সে পুরুষমানুষদের কথার পিঠে উপযুক্ত কথার জবাব দিতে পারে, তার জীবনের সমস্ত সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যাবে স্রেফ সে বিধবা বলে? তাই ‘চোখের বালি’-র বাড়িতে যখন সে প্রবেশ করে, সেই বাড়ির ভিত নড়িয়েই দিতে। তার প্রধান অস্ত্র কী? অবশ্যই শারীরিক সৌন্দর্য, মোহিনী আকর্ষণ এবং বুদ্ধি ও ভাষার ওপর দখল, এবং আশালতার ঘরোয়াপনাকে বেঁধে ফেলার মতো বন্ধুত্ব।
১৯৪০-এর হলিউডে যদি এই গল্পটিকে ছবিতে এনে ফেলা যেত, তাহলে ১৯৫০-এর ফরাসি সিনেফিলরা সেই ছবি দেখে বলতেন বিনোদিনী একজন femme fatale, বিপজ্জনক কুহকিনী এক নারী। ‘ফিল্ম নোয়া’ ছবিগুলিতে সেই নায়িকার উল্টোদিকে নায়ক হয়তো সামান্য একটি ব্ল্যাকমেলের কেস থেকে বা পরকীয়ার গল্প থেকে এক শহর জোড়া দুর্নীতি, অপরাধচক্র, অভিসন্ধির জালে সে জড়িয়ে পড়ছে; পরতের পর পরত রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে যেখানে। এবং অনেক ক্ষেত্রেই এই নাগরিক ভুলভুলাইয়ার যক্ষের মতো আসে সেই নারী, যে কুহকিনী যেন এই কপট শহরেরই প্রতিমূর্তি। এইবার যে ঘটনাটি অনেক ক্ষেত্রে ঘটে, তা ব্রিটিশ মডেলের গোয়েন্দার ক্ষেত্রে ঘটবে না কখনও– নায়ক প্রেমে বা যৌনসম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এই নারীর সঙ্গে। শেষে শহরের কুহকের সমাধান না ঘটুক, এই নারীর রহস্যের উন্মোচন তাকে করতেই হয়, এই নারী ও রহস্যের পাকচক্র থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। জাঁ-লুক গোদারের ‘মাস্কুলা ফেমিনা’ ছবিতে একটি ইন্টারটাইটেল ছিল– a man, a woman, and an ocean of blood– বোধহয় এর চেয়ে ভালো ফিল্ম নোয়ার সংজ্ঞা হয় না।
আগের কিস্তিতেই বলেছি, ফিল্ম নোয়া জঁর না স্টাইল– এই নিয়ে প্রশ্ন আছে, যা অমীমাংসিত। কিন্তু অনেকেই, শৈলীগত কারণে এবং বিষয়ে ক্রাইমের প্রাধান্য থাকায়, গ্যাংস্টার ছবির সঙ্গে নোয়াকে গুলিয়ে ফেলেন। এই গুলিয়ে দেওয়াটা এড়ানো যায়। গ্যাংস্টার অর্গানাইজড ক্রাইম নিয়ে পুরুষদের একটি কৌমের গল্প, সেখানে নারীরা প্রাধান্য পাবে না। ফিল্ম নোয়া মূলত একটি পতিত মধ্যবিত্ত অবক্ষয়ের গল্প বলে, সেখানে এই বিপজ্জনক নারীর উপস্থিতি থাকবেই। বেশিরভাগ সময়েই গল্প শেষ হয়, হয় অপরাধী-নায়কের হাতে তার মৃত্যুতে, নয়তো গোয়েন্দা-নায়ক হৃদয়ে পাথর চাপা দিয়ে তাকে তুলে দেয় পুলিশের হাতে; এককথায় সেই নারীর শাস্তিতে।
আগের কিস্তিতে যে গোয়েন্দা-গল্পের বিশেষ একটি মোড়বদলের কথা বলেছি, তা এই জঁরকে দিয়েছে ভঙ্গুর, বিপন্ন একটি পুরুষের আর্কেটাইপ। বহিরঙ্গে যে স্মার্ট, টাফ কিন্তু ভিতরটা ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। তাহলে এই নারীর আর্কেটাইপটার কি কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে, না সে কেবলই একটি ‘টাইপ’? হয়তো এরকম চরিত্রের নিদর্শন সেই প্রাচীন সাহিত্যেও আছে, কিন্তু চারের দশকে তা কি বিশেষ মাত্রা পেয়েছিল?
উত্তর দেওয়ার আগে বলি, ফেমিনিজমের সেকেন্ড ওয়েভের সময় (ছয়ের দশক থেকে মোটামুটি যা শুরু হয়) ফেমিনিস্ট ফিল্ম ক্রিটিসিজমের যে উৎকর্ষ, সেখানে ভাগ্যিস আজকালকার মতো পলিটিকালি কারেক্ট প্রতিরূপায়নের একমাত্রিক চাহিদা প্রাধান্য পায়নি। ফিল্ম নোয়ার নায়িকা বেশিরভাগ সময়েই ভিলেন (বা ভ্যাম্প), সে অধিকাংশ সময়েই নৈতিকভাবে অধঃপতিত, সেই ভূমিকায় যাঁরা অভিনয় করতেন, তাঁরা সেক্স-অ্যাপিলে পুরুষদের ফ্যান্টাসির আইকন। তাই মনে হতেই পারে যে, তাঁরা নারী সম্বন্ধে মিসোজিনিস্ট ভাবনারই পরাকাষ্ঠা। কিন্তু ভাগ্যিস সেই সময়ের ফেমিনিস্ট ফিল্ম ক্রিটিকদের দেখার চোখ ছিল আরও ক্ষুরধার। তারা সারফেস ভেদ করে গভীরে দেখতে জানতেন। এইরকম সমালোচকদের অত্যন্ত প্রিয় জঁর ছিল ফিল্ম নোয়া, এবং প্রিয় চরিত্র ছিল এই ‘ফাম ফাতাল’। কারণ এই চরিত্রের পিছনে তাঁরা দেখতে পেতেন সমকালীন পুরুষদের অ্যাংজাইটি এবং সমকালীন নারীদের স্বাধীনতার ডিজায়ার।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে তো বটেই, কোরিয়া এবং ভিয়েতনামের যুদ্ধের সময়েও আমেরিকার নিজস্ব তৈরি সেনাবাহিনী ছিল না। তাই যুদ্ধের সময়ে (যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্য দেশে গিয়ে নাক গলানো) তাদের রীতিমতো ঘরে ঘরে গিয়ে ছেলে তুলে নিয়ে যেতে হত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে দেশের মাটিতে কিচ্ছু হয়নি, যা লড়াই হয়েছে তা আমেরিকার বাইরে। তাই এই যুদ্ধে আমেরিকার বৈষয়িক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ন্যূনতম; যা ক্ষতি হয়েছিল তা গণ-সাইকোলজিকাল। মন তো রাষ্ট্রের থাকে না, থাকে মানুষের, সৈনিকদের।
বিশ শতকের প্রায় সমস্ত যুদ্ধের ভিতই হল ধনতন্ত্রের। এর আগে বেশ কয়েক শতক ধরে কলোনিয়ালিজমের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সম্পদকে আগ্রাসীভাবে পুঞ্জীভূত করার যে প্রক্রিয়া, তা একসময়ে সভ্যভদ্র মুখোশ খুলে দাঁত-নখ বের তো করতই। যারা এতদিন একে-অপরের সঙ্গে ফ্রেন্ডলি কম্পিটিশন চালিয়েছিল, তারা ‘অ্যানিমাল’-এর রনবিজয়ের মতো রণহুংকার ছেড়ে বিশাল বন্দুক নিয়ে হামলে পড়তই। কিন্তু মনে রাখতে হবে, আগের শতকের যুদ্ধের চেয়ে এই যুদ্ধ ভিন্ন। কারণ ক্যাপিটালিজম যুদ্ধকেও ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত করে; যুদ্ধের সময়ে ন্যাশনালিজমের দোহাই দিয়ে রাষ্ট্র এবং ক্যাপিটালিস্ট চায় দ্বিগুণ হারে এবং দ্রুত প্রোডাকশন এমন কিছু দ্রব্যের, যার কাটতি যুদ্ধের সময়েই। দেশ তো ভর্তি বৃদ্ধ আর শিশুতে; প্রাপ্তবয়স্ক এবং কিশোর পুরুষরা তো ভিন্ন দেশে যুদ্ধরত; ওয়ারটাইম প্রোডাকশনের ওয়ার্ক ফোর্স কারা হবে?
কারা আবার? মেয়েরা! এতদিন পুরুষতন্ত্র এবং পরিবারতন্ত্র যাদের গৃহকর্মে সীমাবদ্ধ করে রেখেছিল, তাদের এবার দিনের বেলা যেতে হল ওয়ারটাইম কারখানায়।
যুদ্ধ শেষ হল। আঘাতপ্রাপ্ত শরীর এবং বিধ্বস্ত মন নিয়ে সেইসব পুরুষরা ঘরে ফিরলেন। যুদ্ধের জিগির তোলার সময়ে যাদের আমরা বলি হিরো, অনেক ক্ষেত্রেই ফেরার পরে তাদের আমরা চিনতে পারি না। স্বাভাবিকভাবেই ঝাঁঝরা মনগুলি চায় আরেকটু সম্মান, আরেকটু বৈধতা, আরেকটু প্রিভিলেজ, দেশের জন্য সর্বস্ব সপে দিয়েছিল তো তারা। কিন্তু রাষ্ট্র এবং সমাজের সেই খেয়াল বেশিরভাগ সময়েই থাকে না। যে হারিয়েছে হাত বা পা, সে ঠিকঠাক চাকরি পায় না। এদিকে মনের মধ্যে বাসা বেঁধে আছে post-traumatic stress disorder; মৃত্যু, ভায়োলেন্স আর রক্তপাতের ভয়াবহ স্মৃতি দেশপ্রেম দিয়ে প্রলেপ দেওয়া যায় না। এই ঝাঁঝরা মনগুলি এসে কী দেখল? বাড়ির মেয়েরা এই ক’বছরে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে গেছে। কেউ হয়তো অপর কোনও পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক-স্থাপন করেছে, কেউ হয়তো পালিয়েওছে। কিন্তু সবচেয়ে ট্রমাটাইজিং কী? ঘরের মেয়েগুলি উপার্জন করছে, তাদের নিজেদের টাকা আছে, তারা নিজের জীবনের কিছু সিদ্ধান্তের জন্য আর কারও মুখাপেক্ষী হতে তারা রাজি নয়। যুদ্ধের পরে মার্কিন সরকার লিঙ্গকেন্দ্রিক শ্রমকে ফের যুদ্ধপূর্ববর্তী পর্যায়ে ফিরিয়ে আনার বহু প্রচেষ্টা করেছে। মিডিয়ায়, বিজ্ঞাপনে গ্রেট আমেরিকান পরিবারের গুণগান করা, যেখানে মেয়েরা শুধুই গৃহবধূ; মেয়েদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করা, তাদের মাইনে কমিয়ে দেওয়া। কিন্তু সেই যে মেয়েরা কাজে বেরল, তাদের ঘরে ফেরানো সম্ভব হয়নি সেভাবে। পুরুষরা ভিনদেশে রক্তের স্বাদ পেয়ে ভঙ্গুর, মেয়েরা দেশে টাকার স্বাদ পেয়ে স্বাধীন।
এই অবস্থার যে ম্যাস্কুলিন প্যারানইয়া, তারই রূপকধর্মী গল্প পেশ করতে থাকে ধ্রুপদী ফিল্ম নোয়া। আগের কিস্তিতেই বলেছি, এই ছবির অনেক নির্মাতাই হয় বামমনস্ক ছিলেন, বা আমেরিকাকে দেখছেন বহিরাগতর দৃষ্টি থেকে। সেই দৃষ্টিতে জেন্ডার-পলিটিক্সের এই মুহূর্তটি এড়িয়ে যায়নি। এই ছবিগুলির কুহকিনী নারীরা অতএব একরকমভাবে ঐতিহাসিক নারীদেরও ফ্যান্টাসি, স্বাধীনতার, নৈতিকতা থেকে মুক্তির। প্রতিটা গল্পে সে শেষে চরম শাস্তি পেলেও সারা ছবিতে তার উপস্থিতি ভারি আকর্ষণীয়, ভারি স্টাইলিশ, ভারি দেমাকি! পুরুষের জগতকে সে দুই আঙুলে নাচিয়ে যেতে পারে, যতক্ষণ পারে।
ওয়েস্টার্নের আলোচনায় যেভাবে প্রচুর ছবির উদাহরণ দিয়েছিলাম, সেই রকমটি এইবার সম্ভব হল না কারণ আরও বেশ কয়েকটি জঁরের আলোচনা করার ইচ্ছে। কিন্তু উদাহরণ ব্যতিরেকেও হয়তো বোঝাতে পারলাম যে ফিল্ম নোয়া হল অত্যন্ত সাবভার্সিভ, অতএব ডিসটার্বিং, ধনতান্ত্রিক ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের রাজনৈতিক পাঠের সম্ভাবনা তাতে নিহিত থাকে। রক্ষণশীল বা মিসোজিনিস্ট নির্মাতার হাতে তাদের মতাদর্শের বাহক হয়তো হয়ে যাবে এই ছবিগুলি– কিন্তু কিছু প্রশ্নের উদ্রেক তারা বন্ধ করতে পারবেন না, যদি তাঁরা জঁরে নিবিষ্ট থাকেন, কারণ প্রশ্নগুলো জঁরের ভিতেই আছে। নির্মাতার ভিন্ন উদ্দেশ্য সেটায় খুব একটা রেখাপাত করতে পারে না।
যেমন– কেন এই গল্পে পুরুষরা বিপন্ন ও ভঙ্গুর? কেন এই ছবির ফ্যাসফ্যাসে কণ্ঠে পুরুষদের ভয়েসওভার শুনলে মনে হয় চার্চে কনফেশনের মতো? কেন এই গল্পগুলোয় মাফিয়া ও দুর্নীতি-আকীর্ণ শহরে তাদের মনে হয় আসলে মেয়েরাই সবচেয়ে বিপজ্জনক? কেন সেই মেয়েগুলি– যারা চরিত্রহীনা ম্যানিপুলেটিভ ইত্যাদি যতরকম খারাপ সব কিছু হয়েও যখন শেষদৃশ্যে মরে বা শাস্তি পায় আমাদের মন খারাপ হয়?
উত্তর তো বঙ্কিমচন্দ্রও জানতেন– জলতল আলো করে শুয়ে আছে বিধবা রোহিনীর মৃতদেহ, জলের ওপরে একদা প্রেমিকের হাতে বন্দুক ধূমায়মান। বঙ্কিম তো সবই জেনে তাও বলেছিলেন পাঠককে– রোহিনীর জন্য একবার ‘আহা’ করতে!
…পড়ুন এই কলামের অন্যান্য পর্ব…
১১. রহস্যসন্ধানীর পালাবদল, ফিল্ম নোয়া আর আমরা
১০. ফিল্ম নোয়া– নাগরিক আলোর মধ্যে আঁধারের বিচ্ছুরণ
৯. ‘দ্য হেটফুল এইট– এখন ওয়েস্টার্ন যেরকম হতে পারত
৮. একটি মৃতদেহ দেখানো ও না-দেখানোর তফাত থেকে বোঝা যায় ‘শোলে’ শুধুমাত্রই অনুকরণ নয়
৭. যখন জঁর নিজেকে নিয়েই সন্দিহান
৬. আমেরিকার ‘হয়ে ওঠা’-র কল্পগল্প
৫. একটি সভ্যতার হয়ে ওঠার মিথোলজি
৪: পশ্চিমে এল এক নারী, বেজে উঠল অমর সংগীত
৩. জঁরের ফর্দ– দৃশ্য, শব্দ, প্রেক্ষাপট
২. ট্যাক্সি ড্রাইভার এবং তার পূর্বসূরি দুই নায়ক ও একটি ছদ্মবেশী জঁর
১. ভাঙনের শহরে এক নামহীন আগন্তুক এবং চারখানি গল্পের গোত্র
অশোক ঘোষ মনে করতেন, ট্রাম আন্দোলন কলকাতার হকারদের একটি রাজনৈতিক চেতনা জুগিয়েছিল। এই আন্দোলন ছিল ছাত্র, শিক্ষক, কেরানি, হকার, আর উদ্বাস্তুদের লড়াই। আর ট্রাম-ডিপো মানেই হকার। এইসব দোকানেই আন্দোলনকারীদের আড্ডা বসত। দেশ-বিদেশের নানা ধরনের কথা আলোচনা হত। সকালে হয়তো কোনও এক চায়ের দোকানে জটলা পাকিয়ে খবরের কাগজ পড়া হত।