Robbar

কলাম

সিগারেট ঠোঁটে রথীন্দ্রনাথের ছবি প্রচ্ছদে যাওয়া নিয়ে উঠেছিল প্রবল আপত্তি!

এই ছবিটা পাওয়ার পর অপু স্থির করে এ-ছবি দিয়েই বইয়ের মলাট হবে। বিভিন্ন মহলের আপত্তির কথা অপুকে বলায় সে আমাকে বলেছিল– রথীন্দ্রনাথ নিজে যদি সচেতনভাবে এই ছবি তুলতে পারেন, তাহলে আমাদের আপত্তির কী কারণ থাকতে পারে!

→

মৃণাল সেনের ‘ইন্টারভিউ’ ছবির মিঠুর মতো অনেকে উদ্বাস্তু মেয়েই চাকরি পেয়েছিল দুধের ডিপোতে

দুধের ডিপোয় অনেক উদ্বাস্তু মেয়ের কাজ মিলেছিল। কলকাতা শিল্পাঞ্চলে ১৯৫১ সালে ভোজ্য তেল এবং দুগ্ধজাত খাদ্যের ব্যবসায় কাজ করতেন ৫২৫ জন মেয়ে।

→

বাহান্ন বছর পর ফিরে তপন রায়চৌধুরী খুঁজেছিলেন শৈশবের কীর্তনখোলাকে

শৈশবের বন্ধু অক্সফোর্ড মিশনের ব্রাদার কেটলিকে সঙ্গে নিয়ে বরিশাল শহর থেকে সাইকেল চালিয়ে চলে যেতেন কীর্তিপাশার বাড়িতে। তপন রায়চৌধুরী কৈশোরে প্রথম যাঁর প্রেমে পড়েছিলেন তাঁর নাম লায়লা। লায়লার পিতা ছিলেন ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ বিপ্লবী শৈলেন্দ্রনাথ ঘোষ।

→

কার্তিক ময়ূরের পিঠে বসলেও তা সিংহাসনের মর্যাদা পায় শাহজাহানের পৃষ্ঠপোষকতায়

অনুপম সৌন্দর্যের কারণে ময়ূরকে পুরাণে অমরত্বের প্রতীক বলে ধরা হয়। লাবণ্য, সম্ভ্রম, উৎকর্ষের স্বরূপ ময়ূর প্রতীকায়িত হয়েছে দীপদান থেকে সিংহাসনে।

→

বেসরকারিকরণের সুযোগে যে বেকারি তৈরি হয়, তা সরাসরি দেখলাম সোভিয়েতে

যে-কিওস্ক থেকে খবরের কাগজ কিনতাম, একদিন সকালে গিয়ে দেখি সেখানে বিক্রি হচ্ছে নানারকম বিদেশি পণ্য– পেপসি, কোক, চকোলেট আরও কত কি।

→

যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান

আইলেনবারগার আধুনিক পৃথিবীর চার আন্তর্জাতিক খ্যাতির চিন্তকের অন্তর্মহলের দরজা খুলে দিচ্ছেন। যেমন ধরুন সার্ত্রের দৈত্যের মতো যৌন খিদের তাড়না। অ্যাকাডেমিক কচকচানি নেই, আছে রসালো গল্প; অথচ এই যুগের এমন সব ভাবনা-চিন্তা, যা না-জানা অপরাধ।

→

নামের আগেপিছে ঘুরি মিছেমিছে

নাম উচ্চ-বাতিস্তম্ভের গোড়ায়, নাম গাছের আগায়, নাম পার্কের রেলিং-এ, নাম শৌচালয়ে, নাম মন্দিরের গায়ে। কত পিতৃভক্ত-মাতৃভক্ত তাঁদের জন্মদাতা-দাত্রীর স্মৃতিতে ফলক লাগায় মন্দিরে, নিজের নামটাও বড় করে খোদাই করে রাখে অধম সেবক রূপে।

→

গোপাল ঘোষের তুলির আঁচড়ে ছিল চাইনিজ টান আর ছবির ওজনে ইউরোপ

কাগজের নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে অনেকক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন গোপালবাবু। তারপরে বিদ্যুৎগতিতে দ্রুত ব্রাশ চালিয়ে আঁকলেন একটি গাছ এবং দু’-একটা ডালপালা, কাগজের মাঝখান থেকে একটু বাঁদিকে। ততোধিক দ্রুততায় আঁকলেন একটি কালো রঙের পাখি, মুন্ডুটা গলার কাছে কুঁচকে এনে, এক্ষুনি যেন লাফিয়ে ডানা মেলে টেক অফ করবে সে।

→

শান্তিনিকেতন থেকে কলেজ স্ট্রিট, প্রুফ আদান-প্রদানে সহায়ক ছিলেন বই ব্যবসায়ীরাই

শান্তিনিকেতন থেকে সুবর্ণরেখা-র ইন্দ্রদাও (ইন্দ্রনাথ মজুমদার) কখনও স্নেহপরবশ হয়ে আমাকে প্রুফ এনে দিয়েছেন। তবে ‘বোলপুর বুক হাউস’, ‘পুঁথিঘর’, ‘বর্ণপরিচয়’– এইসব বইয়ের দোকানের কাছে আমার অনেক ঋণ।

→

গ্যাংস্টার জঁর– সভ্যতার সূর্যগ্রহণের মুহূর্ত ছায়ামূর্তিদের গল্প বলার সময়

বি-গ্রেড প্রোডাকশনের গল্পগুলো এমন হট কচুরির মতো বিক্রি হতে লাগল, যে তৈরি হল নতুন কিছু জঁর। ফিল্ম নোয়া তো আছেই, একধরনের হরর ছবিও। এবং সেই মাফিয়াদের গল্প নিয়ে গ্যাংস্টার জঁর।

→