হরেকরকম নোট, স্কেচ, ছবির লোগো– যখন যা মাথায় আসছে, লিখে রাখতেন মানিকদা। কখনও শিল্পনির্দেশনা নিয়ে, কখনও-বা পোশাক। সেই ‘খেরোর খাতা’ হাতে পেলাম। দেখতে দেখতে ‘খেরোর খাতা’টাই আমার কাছে হয়ে উঠল আস্ত মানিকদা! থাকল রহস্যও। ‘আমি জানি না’ খেরোর খাতায় কেন ফিরে ফিরে আসে ধ্রুবপদের মতো?
প্রথম যুগের চাকুরিরতারা চিরাচরিত সাংসারিক নিয়ম নীতিকে প্রশ্ন করেছিলেন, ছক ভেঙেছিলেন, একটু হলেও বাড়তি গুরুত্ব আদায় করেছিলেন ঘরে বাইরে। উত্তরকন্যাদের চৌকাঠ পেরনো মসৃণ হয়েছিল তাঁদের মা, দিদিমা, ঠাকুমাদের জন্য।
ব্রুসের ফাইট সিন দেখলে বোঝা যায় যে আসলে তিনি হলিউডের এই ‘সিনেম্যাটিক’-কেই পর্যুদস্ত করছেন। ফাইট সিনের সবচেয়ে জরুরি উপকরণ– নাটকীয়তা ছাড়া– হল ছন্দ, যা ক্যামেরার কোন পরিবর্তন ও সম্পাদনার মাধ্যমে তৈরি হয়, অভিনেতারা সেই সুতোয় পুতুল হয়ে ওঠেন প্রায়।
শুরু হল নতুন কলাম ‘বাতাসিয়া লুপ’। হাওয়া-বাতাস নিয়েই লেখার সিরিজ। হাওয়া, যা আমাদের স্পর্শ করে যাচ্ছে। ফলে যেখানে যেখানে হাওয়া, এই কলাম সে হাওয়ার পিছু পিছু যাবে। সেই হাওয়াকে চিনবে, জানবে, বুঝবে। বন্ধুত্ব কিংবা শত্রুতা কিংবা শত্রুবন্ধুতা– কিছু একটা পাকাবে। আপাতত, হাওয়া দিচ্ছে গড়ের মাঠে। চাইলে আসুন। হাওয়া, স্পর্শ করুন।
‘বাংলা শিশু সাহিত্য’ যাঁদের হাতে সৃষ্টি, তাঁদের সবাইকে এক ফ্রেমে এই বনাকীর্ণ জলাভূমির যাত্রাপথে দেখতে পাওয়া যায়। রায় পরিবারের সবার মধ্যে ভাষার যে আশ্চর্য সরলতা বা প্রসাদগুণ, তার শিকড় ময়মনসিংহের মসূয়ার মাটিতে পোঁতা রয়েছে।
ভারতবর্ষে গৃহ হল ব্রহ্মাণ্ডের প্রতীক। লক্ষ্মী সেখানে বাস করেন। সূর্যাস্তের পর ঝাঁট দেওয়া মানে মা লক্ষ্মীকে তাড়িয়ে দেওয়ার সংকেত। মা লক্ষ্মী যেহেতু প্রাচুর্যেরও প্রতীক তাই অন্ধকারে দামি জিনিস হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই সম্ভবত এই রূপকের জন্ম।
মানুষকে জানাতে হবে তো, কেন বিয়ে সর্বদা হয়ে যায় প্রেমের মৃত্যুর নিশ্চিত কারণ। কী জন্যে বিয়ে থেকে ঝরে যায় প্রেম?
কলা হয়ে উঠল সামাজিক মাধ্যমের নায়ক, শিল্পজগতে এক ঝড়। হাসির মাঝে প্রশ্ন উঠতে শুরু করল, শিল্প আসলে কী? এই কলা তো একদিন পচে যাবে, তবু কেন এটি ১২০,০০০ ডলারে বিক্রি হল? কেন আরেকটি সংস্করণ গেল ১৫০,০০০ ডলারে?
২০০৮ সালেই আমি মণিভূষণ ভট্টাচার্যের প্রবাদপ্রতিম কাব্যগ্রন্থ ‘গান্ধীনগরে রাত্রি’ পুনর্মুদ্রণ করি। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। এই কবিতা-বইয়ে তিনি বাংলার বিপ্লবপন্থী রাজনৈতিক কর্মীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। সাতের দশকে নকশালবাড়ি আন্দোলন বাংলার রাজনীতিতে আলোড়ন তুলেছিল।
কবিদের নিয়ে কথা উঠলেই মনে হয়, রবীন্দ্রনাথের পরে গত ৭৫ বছরের বাংলা কবিতায় ভুলে যাওয়া নিয়ে স্মৃতি-বিস্মৃতির কাজ কারবারে ভাস্করের মতো এতটা আলো কেউ ফেলেননি। রবীন্দ্রনাথের গানে কবিতায় ভুলে যাওয়ার যে অপূর্ব আসা-যাওয়া আছে তা নিয়ে আমরা যদি বসি, কত যে বাঁচার পথ পাওয়া যাবে!
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved