বর্ষায় প্রাণ সঞ্চার হয় পৃথিবীর বুকে। মানুষের পাশাপাশি গাছপালা-কীটপতঙ্গ সকলের জীবনই সিক্ত হয়ে ওঠে নবধারাজলে। প্রকৃতির সেই সুর, যা মিশে আছে আমাদের সুরের সঙ্গেও, তার দেখা মিলবে চারপাশে চোখ মেললেই। বিশ্বপ্রাণের সেই আনন্দকে আমরা কতটুকু দেখি? কতটুকু চিনি আমাদের এই খুদে প্রতিবেশীদের দুনিয়াকে?
রিসার্চ বলছে ডেটিং অ্যাপে আসলে অচেনা মানুষদের চোখে নিজের মূল্য যাচাই করে মানুষ। তবে কি চেনা মানুষের চোখে রহস্য ফুরিয়ে গেলে, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দ্যোতনা তৈরি হলে, চেনা মানুষের চোখে ‘টেকেন ফর গ্রান্টেড’ হলে গেলে– অচেনার কাছে সেলফ এস্টিম খুঁজে পেতে হয়?
কালের করাল গ্রাসে শহর ও শহরতলিতে বাঙালির ছোট রথগুলিতে আর সেই শিল্পের মাধুরী নেই। এখন তার শরীর গোটাটাই রঙিন সেলোফেনে মোড়া। কাঠের বদলে সেখানে স্থান পেয়েছে প্লাস্টিকের ঘোড়া।
নতুন প্রকাশকরা আর প্রতিষ্ঠিত প্রকাশকরা কলকাতার বইপাড়ায় বড়ো শো-রুম ধরনের দোকান দিচ্ছেন রাস্তার বিপরীতের বাড়িগুলির বিভিন্ন তলা জুড়ে, তখন পত্রপত্রিকা সমাজ মাধ্যমের বিজ্ঞাপন আর প্রকাশকের গ্রন্থ-তালিকা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাচ্ছে কথাসাহিত্য, মানে ‘ফিকশন’ যত প্রকাশিত হচ্ছে তার সিংহভাগই হল গোয়েন্দা কাহিনি আর রহস্য-রোমাঞ্চ।
জলের রুপোলি শস্য। এই বর্ষাতেও ইলিশ নিয়ে বাঙাল-ঘটির লড়াই একবিন্দু কমবে না। তবে ইলিশপ্রেমীদেরও পদ্মার ইলিশ না গঙ্গার ইলিশ, কোনটা ভালো, এ নিয়েও জমাটি তক্ক রয়েছে! পড়ুন ইলিশের আশ্চর্য সব গপ্পগাছা। চোখে পড়ুন, জিভে অনুভব করুন!
আজ বর্ষাকালের দ্বিতীয় দিন। সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। এমন দিনে তারে বলা যায় যেমন, তেমন বসানো যায় খিচুড়িও। সঙ্গে গোল করে আলুভাজা, বেগুনভাজা হলে বৃষ্টিদিন জমে ক্ষীর! শুধুই কি উপাদেয় খিচুড়ি খাবেন? পড়েও নিন।
সকাল থেকে ঝিরঝির। টিপটিপ। মেঘলা আকাশ। আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে, রোববার.ইন নিয়ে এল বাংলা কার্টুনের বর্ষাকাল। কার্টুন যখন সংবাদপত্রর পাতা থেকে ক্রমে উধাও হয়ে যাচ্ছে, তখন হঠাৎ কালো মেঘের মতোই এই লেখার এসে পড়া। প্রিয় পাঠক, পড়ুন, দেখুন। বাংলা কার্টুনের পাশে থাকুন।
পিতার মৃত্যুর বদলা নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন রঘু ঘোষ। ক্রমে গ্রামের লাঠিয়ালদের থেকে লাঠিখেলা শিখে অর্জন করেন বাহুবলের ক্ষমতা। একসময় লাঠিখেলায় তাঁর অসামান্য দক্ষতা দেখে চমকে উঠতেন সবাই। সেই খেলার লাঠিই তাঁর কাছে হয়ে ওঠে নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার অস্ত্র।
অনিমেষ-মাধবীলতার মতো যুগল এই শহর আর কখনও পাবে না। কারণ তারা কালজয়ী। সমরেশ মজুমদার এমন দু’জন চরিত্রকে সৃষ্টি করলেন যারা আজও হেঁটে যাচ্ছে। সময় পেলে কফিহাউসে পাশাপাশি বসছে। এই শহরে আজও আন্দোলন হলে নেমে আসে তারা।
খাটের তলায় বিছানো আম আর প্রতি রাতে জলে ভেজানো আম চলত বৈশাখের শেষ থেকে জৈষ্ঠ্যের শেষ অবধি। সকালে টিউশন পড়তে যাওয়ার আগে চারপিস আম দিয়ে মুড়ি। পড়ে এসে পুকুরে চান করতে গিয়ে দু’পিস। গায়ে আমের রস পরলে স্যাটাস্যাট ধুয়ে ফেল। একে বলে একশোভাগ চ্যাটচ্যাট-মুক্ত আম খাওয়া।
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved