চন্দ্রবিন্দুর অনুষ্ঠানে ঢোকা নিয়ে ঋতুদার একটা ঘটনা আছে। ঘটনা না বলে ‘দুর্ঘটনা’ বলাই ভালো। রবীন্দ্রসদনে আমরা একক করছি। এমন ভিড় হয়েছিল সে অনুষ্ঠানে, কর্তৃপক্ষও ভয় পেয়ে গিয়েছিল। সে এক চূড়ান্ত কেওস! তার মধ্যে ব্যাকগেট দিয়ে লোক ঢুকছে। বিপদ বুঝে সদনের সচিব নিজে ওই পিছনের দরজা সামলাচ্ছিলেন। মঞ্চে ওঠার আগে শুনি প্রবল হইচই! ঢোকার সময় ঋতুদাকে সচিব মহাশয় ধাক্কা মেরে দিয়েছেন। আমি গিয়ে দেখি, সচিব হাতজোড় করে সরি সরি বলছেন পাংশুমুখে আর ঋতুদা বাঘের মতো গর্জন করছে, ‘আপনি ইচ্ছে করে অপমান করেছেন!’
৩৫.
মিউজিক ওয়ার্ল্ডের চার্টে সেই যে ‘চ’ একনম্বরে উঠল, টানা একবছর ওইখানেই আটকে ছিল। সত্যিকারের হিট বলতে কী বোঝায়, সেই প্রথম শেখাল জীবন। কিছু আশ্চর্য ফোন বাজতে শুরু করল সাতসকালে, হঠাৎ করে খুব দামি আর ব্যস্ত হয়ে গেলাম যেন। ক্যাসেট কোম্পানির আচার-আচরণ গেল বদলে। আগামী দিনে কী করা উচিত সে ব্যাপারেও দেখলাম তারা পরামর্শ নিচ্ছে। ঠিক হল ধুমধাম করে ‘চ’-এর সিডি রিলিজ হবে। আমাদের অনুষ্ঠান করা হয়নি মিউজকি ওয়ার্ল্ডে। তাই ঠিক করলাম, গান গেয়েই প্রকাশ করা হবে সিডি।
ঋতুদা বলল, ‘আমি তো আসবই।’
‘তুমি আবার রিলিজ করলে ভালো দেখাবে?’
ঋতুদা একচোট হাসল। ‘আরে বাবা, আমি তো চন্দ্রবিন্দুর ফ্যান, এমনিই আসব।’
এসব শুনি, আর বুকের ভেতর তোলপাড় হয়ে যায়। তবে কি সত্যি নাম হয়ে গেল আমাদের? ঋতুপর্ণের মতো? ঋতুদার বাড়ি আসি মাথা ঠান্ডা করতে।
‘শোন, এটা সবে শুরু। তোদের মতো এত এক্সপেরিমেন্টাল একটা বাংলা গানের দলকে মাস গ্রহণ করেছে, কম কথা নয় সেটা!’
‘চাকরিটা ছেড়ে দিই?’
‘একদম। এবার তোর সময় হয়ে গিয়েছে চাকরি ছাড়ার। এক্ষুনি ছেড়ে দে।’
চাকরি ছাড়ার পোকাটা আবার মাথার মধ্যে নড়ে উঠল। সিডি রিলিজ পর্বটা মিটুক। দু’টি মেয়ে সদ্য একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ খুলেছে। চন্দ্রবিন্দু-র একটি একক শো তারা করতে চায়। সিডি রিলিজের দারুণ একটা সুযোগ পেয়ে গেলাম। বুক করা হল বিড়লা সভাঘর। একক অনুষ্ঠানের মাঝেই প্রকাশ পাবে ‘চ’-এর সিডি। এবার অন্য একজন কাউকে চাই। একলপ্তে মনে পড়ে গেল নাম– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। আগেরবার আসতে চেয়েছিলেন, কিন্তু অদ্ভুত এক কাণ্ডে হয়নি। এবার তো আমাদের নিজেদের প্রোগ্রাম। সুনীলদাকে মাথায় করে নিয়ে আসব। আমি আর চন্দ্রিল সটান হানা দিলাম সুনীলদার পারিজাতে। এককথায় রাজি, ব্যস! কথা রইল, অনুষ্ঠানের আগে গাড়ি পাঠিয়ে নিয়ে আসব আমরা।
প্রথম সিডি বেরনোর সে এক তুমুল উত্তেজনা! একক অনুষ্ঠানে যাতে সম্পূর্ণ অভিনব কিছু করা যায়, সেই চিন্তায় তখন মেতে। শেষমেশ ঠিক হল মিউজিক ভিডিও দেখানো হবে। এখন যেমন যে কোনও অনুষ্ঠানের পিছনে একটা এলইডি স্ক্রিন থাকে, এমনটাই দস্তুর। ২০০২ সালে ব্যাপারটা অত সহজ ছিল না। আরও শক্ত ছিল ভিডিওগুলো জড়ো করা। এসআরএফটিআই-এর প্রথম বছরের দুই ছাত্র চন্দ্রিল ও সৌগত আমাদের দুটো গান ফিল্মে তুলেছিল। ‘যদি বলো হ্যাঁ’ ও ‘বন্ধু তোমায়’। খুব ভুল যদি না করি, ‘ওই বন্ধু তোমায়’ বাদশা মৈত্র-র প্রথম কাজ পর্দায়। ‘আকাশ বাংলা’য় অনেকগুলো সিরিয়ালের গানের ভিডিও ছিল। যেমন ‘দুনিয়া ডট কম’। এছাড়াও ছিল ‘ত্বকের যত্ন নিন’ কিংবা ‘দুপুরের খামোখা খেয়াল’-এর ভিডিও। লাইভ শো-এ মিউজিক ভিডিও– অন্যরকম কিছু ঘটতে চলেছিল।
একদিকে এইরকম উত্তেজনা, অন্যদিকে প্রবল গোমড়াপনা। ‘তারা’-র অফিসে বন্ধুরা আমাদের এই সাফল্যে যতটাই খুশি ছিল, ম্যানেজমেন্ট ততটাই গম্ভীর। এই হঠাৎ করে নাম করে যাওয়ার ব্যাপারটা খুব ভালো চোখে দেখছিল না তারা। আমিও বিরক্তির শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। আজ নয় কাল, ছাড়তে আমাকে হতই। ওই আনন্দ-বিষাদের অদ্ভুত সময়টাতে প্রাণ খুলে কথা বলতে পারতাম ঋতুদার সঙ্গে। কী করলে ভাল হবে, এ নিয়ে ঋতুদাও নিজের মতামত দিত। খুব দরকার পড়লে যে টালিগঞ্জে অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টরের একটা কার্ড করে নেওয়া যাবে, সে ভরসাও জুগিয়েছিল ঋতুদা।
কোনও কোনও ইনিংস থাকে চালিয়ে ব্যাট করার। তখন আমার ওইরকম সময় চলছিল। ঋতুদা খুব খুশি সুনীলদা আসবেন। বলল, ‘আমায় এবার মঞ্চে ডাকিস না যেন।’ আমি মুচকি হেসে বললাম, ‘তুমি কিন্তু তাড়াতাড়ি ঢুকবে।’ ঋতুদা হো হো করে হাসল। ‘সে আর বলতে।’
………………………………………………………………………………..
সুনীলদা বহুক্ষণ অপেক্ষা করে, নিজেই ট্যাক্সি ধরে চলে এসেছিলেন সভাঘরে। ওই জন্য একটু দেরি হয়েছিল। আমি কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে ফের চিৎকার করতে শুরু করলাম। কিন্তু চিৎকার কলে লাভই বা কী? যা ঘটার তা ঘটে গিয়েছে! শঙ্খ ঘোষের পর এবার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়! চন্দ্রবিন্দু-র কি কোনও কাজ নির্বিঘ্নে হবে না কোনও দিন? ভাবলে অবাক লাগে, কী সব মানুষ ছিলেন এঁরা!
………………………………………………………………………………..
আসলে এই চন্দ্রবিন্দুর অনুষ্ঠানে ঢোকা নিয়ে ঋতুদার একটা ঘটনা আছে। ঘটনা না বলে ‘দুর্ঘটনা’ বলাই ভালো। রবীন্দ্রসদনে আমরা একক করছি। ‘যদি বলো হ্যাঁ’– ভ্যালেন্টাইন দিনের অনুষ্ঠান। এমন ভিড় হয়েছিল সে অনুষ্ঠানে, কর্তৃপক্ষও ভয় পেয়ে গিয়েছিল। বাইরে বিরাট সংখ্যক মানুষ ছিল, যাদের হাতে টিকিট নেই। সেই প্রোগ্রামে আমারই একটা ভুলে দুটো রো-এর টিকিট দু’বার করে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। সে এক চূড়ান্ত কেওস! তার মধ্যে ব্যাকগেট দিয়ে লোক ঢুকছে। বিপদ বুঝে সদনের সচিব নিজে ওই পিছনের দরজা সামলাচ্ছিলেন। মঞ্চে ওঠার আগে শুনি প্রবল হইচই! কী ব্যাপার, না, ঢোকার সময় ঋতুদাকে সচিব মহাশয় ধাক্কা মেরে দিয়েছেন। আমি গিয়ে দেখি, সচিব হাতজোড় করে সরি সরি বলছেন পাংশুমুখে আর ঋতুদা বাঘের মতো গর্জন করছে, ‘আপনি ইচ্ছে করে অপমান করেছেন!’ সচিব মিনমিন করে বলছেন, ‘ইচ্ছে করে করিনি, বিশ্বাস করুন।’ ‘তার মানে অপরাধ যে করেছেন, সেটা স্বীকার করছেন তো?’ ঋতুদার সঙ্গে কথায় পারা মুশকিল ছিল। ঝগড়া করায় কোনও পুরস্কার থাকলে নির্ঘাত পেতই ঋতুদা।
বিড়লা সভাঘরের দিন তাড়াতাড়ি চলে এল ঋতুদা। সুনীলদা আসার আগেই। ব্যাকস্টেজে দেখাও করে গেল। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কিছু পর সুনীলদা এলেন স্বভাবোচিত রাজসিক মহিমা ছড়িয়ে। অনেক জিনিস সামলাতে হয়েছিল বলে, মাথার এমনিই ঠিক ছিল না। মঞ্চের সেটটা সাজিয়ে দিয়েছিল ‘আকাশ বাংলা’। সৌরভ ষড়ঙ্গী না সাহায্য করলে অনুষ্ঠানটা এমন জমকালো হতই না। অনুষ্ঠানের বিরতিতে সিডি লঞ্চ। মহুয়া সুনীলদাকে ডাকল আর ডাকার কথা না-থাকলেও ঋতুদাকে।
সেলিব্রিটিহুডের একটা আলো আছে। সেই ‘আলো’ বা ‘হ্যালো’ এড়ানো মুশকিল। আমার সঠিক মনে নেই, কে কী বলেছিল, তবে সকলে খুব জোরে জোরে হাততালি দিচ্ছিল, ফোটোগ্রাফাররা পরদিন কাগজের খোরাক পেয়ে গিয়েছিল। সুনীলদা শেষ অবধি প্রোগ্রাম শুনেছিলেন। শেষ হয়ে যাওয়ার পর যথারীতি ব্যাকস্টেজে মানুষের ভিড়। সুনীলদা এসে কাঁধে হাত রাখলেন। ‘খুব ভালো অনুষ্ঠান হল। তাহলে আসি অনিন্দ্য, কেমন?’ সুনীলদার প্রতি কৃতজ্ঞতার অন্ত নেই। আগেরবারের ভুল বোঝাবুঝি ভুলে তিনি এলেন তো! ক’জন মানুষ সেটা করে?
অবশ্য আরও একটা বড় চমক বাকি ছিল। সবকিছু গুটিয়ে যখন হল ছাড়ছি, আমাদের বন্ধু কৌশিক এসে বলল, ‘আমি ছেড়ে দিয়ে এলাম সুনীলদাকে, উনি নিজেই চলে যাবেন বলছিলেন অবশ্য।’ আমি বললাম, ‘মানে! সুনীলদার জন্য তো একটা গাড়ি আছে, তোর ড্রপ করার কী দরকার ছিল?’ কৌশিক এরপর যা বলল, শুনে মাথায় বজ্রাঘাত! যারা ইভেন্টটা করেছে, সেই দু’টি মেয়ে, সুনীলদাকে গাড়িটা পাঠাতে বেমালুম ভুলে গিয়েছিল। সুনীলদা বহুক্ষণ অপেক্ষা করে, নিজেই ট্যাক্সি ধরে চলে এসেছিলেন সভাঘরে। ওই জন্য একটু দেরি হয়েছিল। আমি কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে ফের চিৎকার করতে শুরু করলাম। কিন্তু চিৎকার করে লাভই বা কী? যা ঘটার তা ঘটে গিয়েছে! শঙ্খ ঘোষের পর এবার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়! চন্দ্রবিন্দু-র কি কোনও কাজ নির্বিঘ্নে হবে না কোনও দিন? ভাবলে অবাক লাগে, কী সব মানুষ ছিলেন এঁরা! আজকাল তো চার আনা-আট আনার সেলেবও কোথাও যেতে হলে উদ্যোক্তাদের গাড়ির মডেল বলে দেয়, সেখানে সুনীলদার মতো মানুষ, নিজে চলে আসেন ক্ষমাসুন্দর হাসি নিয়ে। ‘আহা, ওরা তো এখনও ছোট, ভুল হতেই পারে।’ এই ছিল আমাদের লজ্জাফোনের উত্তর।
বড় মানুষেরা সকলেই একে একে চলে গিয়েছেন। ছোট মানুষেরাই পড়ে আছে এখনও। তারা কি আর এমন বড় হতে পারবে কখনও?
…ঋইউনিয়ন-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৩৪: বিলক্ষণ বুঝতে পারছি, চ অ্যালবামটা মাথা খাচ্ছে ঋতুদার
পর্ব ৩৩: হাতে মাইক আর হাতে বন্দুক– দুটোই সমান বিপজ্জনক!
পর্ব ৩২: ‘চ’ রিলিজের সময় শঙ্খবাবু আমাকে দু’টি কড়া শর্ত দিয়েছিলেন
পর্ব ৩১: ত্বকের যত্ন নিন সেক্সিস্ট গান, বলেছিল ঋতুদা
ঋইউনিয়ন পর্ব ৩০: বাতিল হওয়া গান শোনাতে কার ভালো লাগে?
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৯: সামান্য দরকার থাকলেই মাথাখারাপ করে দিত ঋতুদা
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৮: পত্রিকার ক্যাচলাইনের মতোই এডিটরের মুডও ক্ষণে ক্ষণে পাল্টায়
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৭: জয়দেব বসু ছাড়া আর কেই বা ছিল কলকাতার সঙ্গে মানানসই?
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৬: পাহাড় থেকে নেমে আসার আগে মিঠুনদা একদিন রান্না করে খাওয়াবেন– খবরটা চাউর হয়ে গেল
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৫: মেঘে ডুবে গেল শুটিং ইউনিট, শুরু হল গোধূলি সন্ধির গীতিনাট্য
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৪: মিঠুনদার উত্তাল সত্তরের গল্পে আমাদের অলিগলি মুখস্ত হয়ে যেত
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৩: প্রথম টেকে মিঠুনদা ফলস খেলেন!
ঋইউনিয়ন পর্ব ২২: মানুষ কালীভক্ত হয়, ঋতুদা শুধু লি ভক্ত
ঋইউনিয়ন পর্ব ২১: শুনলাম কঙ্কনা না কি খুবই নার্ভাস, ‘ঋতুমামা’র ছবি করবে বলে
ঋইউনিয়ন পর্ব ২০: ইউনিটে একটা চাপা উত্তেজনা, কারণ মিঠুন চক্রবর্তীর আসার সময় হয়ে গিয়েছে
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৯: যে সময় ‘তিতলি’র শুটিংকাল, তখন পাহাড়ে ঘোর বর্ষা
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৮: চিত্রনাট্য পড়ে শোনাল ঋতুদা, কিন্তু ‘চোখের বালি’র নয়
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৭: তুই কি অ্যাসিস্ট করতে পারবি আমায় ‘চোখের বালি‘তে?
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৬: লিরিক নিয়ে ভয়ংকর বাতিক ছিল ঋতুদার
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৫: জীবনের প্রথম চাকরি খোয়ানোর দিনটি দগদগে হয়ে রয়েছে
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৪: উত্তমের অন্ধকার দিকগুলো প্রকট হচ্ছিল আমাদের কাটাছেঁড়ায়
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৩: সুপ্রিয়া-উত্তমের কন্যাসন্তান হলে নাম ভাবা হয়েছিল: ভ্রমর
ঋইউনিয়ন পর্ব ১২: ধর্মতলায় ঢিল ছুড়লে যে মানুষটার গায়ে লাগবে, সে-ই উত্তম ফ্যান
ঋইউনিয়ন পর্ব ১১: পার্ক স্ট্রিট ছিল আমার বিকেলের সান্ত্বনা, একলা হাঁটার রাজপথ
ঋইউনিয়ন পর্ব ১০: পরিচালক হলে খিস্তি দিতে হয় নাকি!
ঋইউনিয়ন পর্ব ৯: সেই প্রথম কেউ আমায় ‘ডিরেক্টর’ বলল
ঋইউনিয়ন পর্ব ৮: শুটিং চলাকালীনই বিগড়ে বসলেন ঋতুদা!
ঋইউনিয়ন পর্ব ৭: ঋতুদা আর মুনদির উত্তেজিত কথোপকথনে আমরা নিশ্চুপ গ্যালারি
ঋইউনিয়ন পর্ব ৬: মুনমুন সেনের নামটা শুনলেই ছ্যাঁকা খেতাম
ঋইউনিয়ন পর্ব ৫: আমার পেশার জায়গায় লেখা হল: পেশা পরিবর্তন
ঋইউনিয়ন পর্ব ৪: লাইট, ক্যামেরা, ফিকশন, সব জ্যান্ত হয়ে ওঠার মুহূর্তে ঋতুদার চিৎকার!
ঋইউনিয়ন পর্ব ৩: রবীন্দ্রনাথকে পার করলে দেখা মিলত ঋতুদার
ঋইউনিয়ন পর্ব ২: ‘চন্দ্রবিন্দু’র অ্যালবামের এরকম সব নাম কেন, জানতে চেয়েছিলেন ঋতুদা
ঋইউনিয়ন পর্ব ১: নজরুল মঞ্চের ভিড়ে কোথায় লুকিয়ে ছিলেন ঋতুপর্ণ?