আজকের ভাষায় কবি-আক্রমণের অনুবাদ: ‘রবিবাবুর ‘চোখের বালি’ চুনকালি মাখানোর মতো লেখা। কোথায় বঙ্কিমচন্দ্র আর কোথায় রবিবাবুর ‘ভ্যালসা’ গদ্য। হবে না? গাদা গাদা গদ্য-পদ্য লেখেন। খবরের কাগজের সম্পাদকেও এত লেখে না। রবিবাবুর দিস্তে দিস্তে লেখা।/ কত কবি মরে গেল শুধু শুধু একা একা। রবিবাবুর গদ্য-পদ্য এক্কেবারে চারশো বিশ/ একটিও বই লেখেননি মহামতি সক্রেটিস।’
৪১.
রবীন্দ্রনাথ যদি এখন পৃথিবীতে থাকতেন ও তাঁর নিজস্ব একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকত, তাহলে কীভাবে কী ভাষায় রবীন্দ্র-বিরোধীরা তাঁকে সম্ভাষণ মানে ‘ট্রোল’ করতেন ভাবতে ইচ্ছে করে।
ইংরেজি ‘troll’ শব্দটি গত শতকের আটের দশক থেকে পাশ্চাত্যে সুপরিচিত। আমাদের দেশে ইদানীং পুরনো এই ইংরেজি শব্দ ও সংস্কৃতি জনপ্রিয় হচ্ছে– সমাজমাধ্যমে তার রগরগে দগদগে নানা নমুনা চোখে পড়ছে। যখন কেউ একজন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অন্তর্জালে অপরের নামে অপ্রাসঙ্গিক, বিদ্বেষমূলক, উসকানিদায়ী বিষয় বা মন্তব্য ‘পোস্ট’ করতে থাকেন তাকে ‘ট্রোল’ করা বলে। রবীন্দ্রনাথের জীবৎকালে রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য নানাজন নানা-সময়ে করেছেন। করার কারণ রবীন্দ্রনাথের প্রতি ঈর্ষা, প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব। রবীন্দ্রনাথ নামক প্রতিষ্ঠানকে ভাঙার জন্য তাঁরা এমন করছেন– এ-কথা মুখে বলতেন বটে, তবে প্রতিষ্ঠান ভাঙতে চাই এই আপাত সাধু উদ্দেশ্য সামনে রেখে নিজেদের ঈর্ষাও তৃপ্ত করতেন। অনেক সময় রবীন্দ্র-রচনার সমালোচনার নামে যা খুশি মন্তব্য করার স্বাধীনতাও ভোগ করতেন তাঁরা। সেইসব মত, মন্তব্য যদি একালের সমাজমাধ্যমের বুকনিতে রূপান্তরিত করা যায় তাহলে রবীন্দ্রনাথের কল্পিত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যে ‘শরশয্যা’ ও ‘শরসজ্জা’ প্রাপ্ত হবে সন্দেহ নেই। খান-তিনেক নমুনা দেওয়া যাক। প্রথমে সেকালের বাক্যাবলি তারপর খানিকটা একালের ভাষায় তার বিস্তার।
রবীন্দ্রনাথ বঙ্কিমচন্দ্র সম্পাদিত ‘বঙ্গদর্শন’ শ্রীশচন্দ্র মজুমদারের সাহায্যে পুনরায় ‘নবপর্যায় বঙ্গদর্শন’ রূপে প্রকাশ করতে শুরু করেন। ‘চোখের বালি’ উপন্যাস এখানে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়। সুরেশচন্দ্র সমাজপতি সম্পাদিত ‘সাহিত্য’ পত্রিকার মাঘ ১৩০৮ সংখ্যায় প্রকাশিত হল রবীন্দ্রনাথ সম্পাদিত পত্রের সমালোচনা নিবন্ধ ‘নব বঙ্গ-দর্শন’। এই পত্রিকাটিকে ‘সাহিত্য’ প্রতিযোগী বলে ভাবছে– প্রকাশ্যেই তা লেখা হল। প্রতিযোগীকে চোখা-চোখা শব্দে বিদ্ধ না করলে চলে! ফাল্গুন ১৩০৯ সংখ্যায় ‘নব বঙ্গ-দর্শন’-রচনাটির ভাষা তীব্রতর। ‘রবি বাবুর এই বই [ ‘চোখের বালি’] … বঙ্গদর্শনের মুখে চুণকালী মাখিয়া দিতেছে। … রবি বাবু তাঁহার গদ্য ভাষা এমনতর ভাঙ্গিয়া চুরিয়া ভ্যাল্সা করিয়া ফেলিতেছেন কেন? অবিশ্রান্ত রচনাতিসারই কি ইহার কারণ? … রবিবাবু গদ্য পদ্য অনেকই লিখিয়াছেন; লিখিতেছেনও অনেক। দৈনিক সংবাদপত্রের দেশী সম্পাদকেও এত লেখা লেখে না ও এত ছাপে না।’ একালের ভাষায় এই প্রতিযোগী সমালোচকের অভিযোগের চেহারা কেমন হবে! একটু বিস্তার-টিস্তার করা যাক।
“রবিবাবুর ‘চোখের বালি’ চুনকালি মাখানোর মতো লেখা। কোথায় বঙ্কিমচন্দ্র আর কোথায় রবিবাবুর ‘ভ্যালসা’ গদ্য। হবে না? গাদা গাদা গদ্য-পদ্য লেখেন। খবরের কাগজের সম্পাদকেও এত লেখে না। রবিবাবুর দিস্তে দিস্তে লেখা।/ কত কবি মরে গেল শুধু শুধু একা একা। রবিবাবুর গদ্য-পদ্য এক্কেবারে চারশো বিশ/ একটিও বই লেখেননি মহামতি সক্রেটিস।’
‘ঘরে-বাইরে’ প্রকাশিত হওয়ার পর ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৩২৩-এর ‘বরিষাল হিতৈষী’-তে লেখা হয়েছিল, “রবীন্দ্রনাথের সিদ্ধি বাকী কোন্ দিকে? তিনি এখন পূর্ণ ‘সার’ [sir] … ‘বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে দিয়ে একলাও চল্তে হয় নাই। বরং নানা কারণে তিনি ‘সারত্ব’ প্রাপ্ত হইয়াছেন। … ‘ঘরে-বাইরে’-র উপসংহারে তিনি স্বদেশীর সর্ব্ব কার্য্যই দোষদুষ্ট বলিয়া বাহবা লইয়াছেন।”
সেকেলে ভাষার জামা খুলে একালের ভাষার জামা ‘খানিকটা’ পরালে কী হবে? “রবীন্দ্রনাথ সরকারের কাছ থেকে সব সুবিধে নিয়েছেন। সরকারের নাইট উপাধি পেয়েছেন। তিনি এখন ‘টোটাল সার’[ sir]। এর জন্য তাঁর ভাটের গানের ন্যাকা ন্যাকা লাইন অনুসারে ‘বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে’ একলা চলতে হয়নি। নানা ভাবে ‘সারত্ব’ বাগিয়েছেন। তাই ‘ঘরে-বাইরে’ উপন্যাসের শেষে অপ্রাতিষ্ঠানিক বিপ্লবীদের সব কিছুর সমালোচনা করে ‘লাইক’ খাচ্ছেন।”
জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ নাইট উপাধি ত্যাগ করলে ‘বরিষাল হিতৈষী’ তাঁদের পূর্ব মন্তব্য প্রত্যাহার করেননি। একালে ট্রোলবাজরা সে-সব করবেন আশাই করা যায় না!
রবীন্দ্রনাথের ছবি নিয়ে শনিবারের চিঠির সজনীকান্ত লিখেছিলেন ‘রবীন্দ্রনাথের চিত্র-সংবেদনা বা ছবিতা’। সজনীকান্তের মন্তব্য, ‘ছবিগুলি ছবি হউক আর না হইক– একটা কিছু বটেই, আমরাও তাহা অস্বীকার করি না। অনেকগুলিতে শ্যাওলা-ছ্যাৎলা-মেছেতা জাতীয় একটা রূপ আছে; আবার কতকগুলিতে যে বিকট হিলিবিলির মত রেখা বিন্যাস আছে তাহার সহিত লালাক্লিন্ন সরীসৃপের সাদৃশ্য আছে। রবীন্দ্রনাথ তাঁহার ছবিগুলির অঙ্কন রহস্যের যে আভাস দিয়াছেন, তাহাতে মনে হয়, এগুলি তাঁহার অবচেতনা হইতে উদ্ভূত; যদি তাহাই হয় তবে এগুলি শিল্পের অন্তর্ভুক্ত না করিয়া মনোবিকলন-শাস্ত্রের অধীন করাই ত সংগত।’ শুধু গদ্য নয় সজনীকান্ত সত্যজিতের ভাষায় রবীন্দ্রনাথের ছবি বিষয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে একটা পদ্য add করে দিয়েছিলেন। তার দু’টি পঙ্ক্তি মনে ধরে। ‘ছিলিম-বাষ্পের কৃপা লভি’/ ছোট বুধু উবু হয়ে দেখিল শ্রীরবীন্দ্রের ছবি।।’ তাঁর আত্মস্মৃতিতে সজনীকান্ত অবশ্য পরে ‘অনুতাপ’ প্রকাশ করেছেন। ‘আমাদের প্রতিহিংসা-পরবশতা শালীনতার সীমা’ লঙ্ঘন করে গিয়েছিল।
অনুতাপের রাজনীতির অবশ্য নানা কারণাকারণ থাকে। শুধু কি রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি তাঁর প্রতিহিংসার লক্ষ্য? ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথও বাদ যান না। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ অধ্যাপনা করতে গেলে সজনীকান্ত ‘বদন-ভস্মের পরে’ নামে ছড়া কেটেছিলেন। ‘কবীন্দ্রেরে লুব্ধ করে করেছ একি দেশবাসী/ মাস্টারিতে দিয়েছ তারে চড়ায়ে,/ হায় গো কবি, ঠাট্টা যারে করিতে আগে উল্লাসি/ গর্তে তারি আপনি এলে গড়ায়ে।’ যে রবীন্দ্রনাথ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-পদ্ধতির বিরোধী ছিলেন তিনিই স্রেফ টাকার লোভে মুখ-পুড়িয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্তে গড়িয়ে চলে এলেন। সজনীকান্তের ভাষা একেলেদের সন্দেহ নেই নির্ভেজাল আনন্দ দেবে। একেলে ভাষায় খুব একটা রূপান্তরের দরকার নেই।
রবীন্দ্রনাথ এই সমস্ত ‘মার’ কীভাবে সহ্য করতেন? তিনি বাংলা লিখতে পারেন না, গাদা-গুচ্ছের লেখেন, সাহেবদের পা-চাটেন, ছবি বলে শ্যাওলা-ছ্যাতলা-মেছেতা জাতীয় কতগুলি বস্তু বাজারে পাঠান, টাকার লোভে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টারি করেন– এসব শুনতে ভালো আর কার লাগে! রবীন্দ্রনাথেরও লাগত না বোধকরি। তবে তিনি বিশেষ আক্রমণকে নির্বিশেষে গ্রহণ করতে পারতেন। পারতেন বলেই ব্যক্তিবিশেষের প্রতি অশিষ্ট ক্রোধ প্রকাশ করতেন না। যে দ্বিজেন্দ্রলাল রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে যা খুশি তাই লিখেছিলেন, সাহেবদের তৈলমর্দন করে তাঁদেরকে দিয়ে অনুবাদ করিয়ে রবিবাবু সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন জাতীয় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সেই দ্বিজেন্দ্রলালের পুত্র রবীন্দ্রস্নেহ লাভে বঞ্চিত হননি। ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ নিজেই নিজের কবিতা নিয়ে কৌতুক করতে সমর্থ হয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের এই শুভ্র সংযত রসবোধ, অভিজাত ভদ্রতা অনুশীলন করা কঠিন, রবীন্দ্রবিরোধীদের পথ অনুসরণ করা সহজ।
এ লিখলে সে পাল্টা দিচ্ছে। খেউড়ে আর প্রতি খেউড়ে বাজার গরম। সত্য-মিথ্যে জরুরি নয়, জরুরি ‘কী দিচ্ছি’– ‘কী দিচ্ছে’। রাজনীতি-ধর্মক্ষেত্র-সাহিত্যতীর্থ সর্বত্র এক চিত্র। প্রতি যুক্তি ও বিতর্ক উত্থাপনের যে শালীন-সরস ভাষিক ঐতিহ্য বঙ্কিমচন্দ্র উনিশ শতকে গড়ে দিয়েছিলেন সজনীকান্তদের হাতে তা নষ্ট হয়েছিল। এখন তা আরও তরল, অশিষ্ট। সজনীকান্তের ছাঁচ চোখে পড়ে কিন্তু সজনীকান্তের মতো প্রতিভা ও গবেষণামনস্কতা বিরল। রবীন্দ্রনাথের ‘ক্ষমা’ গবেষক সজনীকান্ত লাভ করেছিলেন।
…ছাতিমতলা-র অন্যান্য পর্ব…
ছাতিমতলা পর্ব ৪০: রবীন্দ্র-দেবেন্দ্র সম্পর্ক বাংলা ছবির উত্তমকুমার-কমল মিত্র সম্পর্ক নয়
ছাতিমতলা পর্ব ৩৯: তেমন মাতৃসাহচর্য পাননি বলেই নৈর্ব্যক্তিকভাবে মা-সন্তানের সম্পর্ককে দেখতে পেরেছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ৩৮: রবি ঠাকুরের জন্মদিনের সাংস্কৃতিক ‘ফ্যাশন’ নিয়ে ফুট কাটা যাবে না কেন!
ছাতিমতলা পর্ব ৩৭: রবীন্দ্রনাথের মতে, ভোট সামাজিক মঙ্গলের নিঃশর্ত উপায় নয়
ছাতিমতলা পর্ব ৩৬: টক্সিক রিলেশনশিপ কি রবীন্দ্রনাথের লেখায় আসেনি?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৫: রবীন্দ্রনাথ কি আড্ডা মারতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৪: চিনের দৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথের সভ্যতা-ভাবনা ছিল কল্পনা বিলাস
ছাতিমতলা পর্ব ৩৩: পুরস্কার মূল্যকে হেলায় ফেরাতে জানে কবিই, জানতেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩২: তরুণ রবির তীক্ষ্ণ সমালোচক পরিণত রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩১: ভোটের মঞ্চে উড়ছে টাকা, এসব দেখে কী বলতে পারতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৩০: শিক্ষিত ভদ্রলোকের ‘নাগরিকত্ব’ বিষয়ক ভাবনার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের যোগ তৈরি হচ্ছে না, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ২৯: কলকাতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অপ্রেম রয়েছে যেমন, তেমনই রয়েছে আবছায়া ভালোবাসা
ছাতিমতলা পর্ব ২৮: মনের ভাঙাগড়া আর ফিরে-চাওয়া নিয়েই মধুসূদনের ভাষা-জগৎ– রবীন্দ্রনাথেরও
ছাতিমতলা পর্ব ২৭: বাংলা ভাষা কীভাবে শেখাতে চাইতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ২৬: ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ প্রৌঢ়ের কথায় রবীন্দ্রনাথের প্রেম চেনা যাবে না
ছাতিমতলা পর্ব ২৫: সুকুমার রায় যে অর্থে শিশু-কিশোরদের মনোরঞ্জন করতে পারতেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২৪: বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে বই প্রকাশের কারখানা শুধু নয়, রবীন্দ্রনাথ দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি