Robbar

জাল ছবি ও রবীন্দ্র-ব্যবসা

Published by: Robbar Digital
  • Posted:September 11, 2024 9:01 pm
  • Updated:September 11, 2024 9:01 pm  

রবীন্দ্রনাথের ১৫০তম জন্মবর্ষের পুণ্যলগ্নে কলকাতার সরকারি আর্ট কলেজে আয়োজিত জমজমাট রবীন্দ্রচিত্র প্রদর্শনী। সেই বিশেষ প্রদর্শনী উদ্বোধনের নিমন্ত্রণপত্রে আহ্বায়ক ছিলেন তৎকালীন সম্মাননীয় রাজ্যপাল, বিশিষ্ট কবি, চিত্রকর, সরকারি আমলা-সহ একাধিক খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ। পরিতাপের কথা, প্রদর্শনীর অন্যতম আয়োজক সরকারি আর্ট কলেজের পক্ষে ব্যক্তিগত সংগ্রহের সেই রবীন্দ্রনাথের ছবি কোনও রকম যাচাই না করেই প্রবল ঢক্কানিনাদের সঙ্গে সূচনা হয়েছিল এগজিবিশন! অথচ প্রদর্শিত রবীন্দ্রচিত্রের প্রায় সবগুলিই না কি এসেছিল অজানা এক গোপন ভাণ্ডার থেকে!

সুশোভন অধিকারী

২৪.

রবীন্দ্রনাথের কবিতা আমাদের মন্ত্র, গান আমাদের আশ্রয়। জীবনের প্রতি মুহূর্তে আনন্দ, দুঃখ, বেদনা ও সংকটে সে আমাদের পরম সান্ত্বনা। নিষ্কম্প কণ্ঠে বলতে পারি, পবিত্র গীতা সরিয়ে রেখে হলুদ মলাটে জড়ানো প্রাণের ‘গীতবিতান’খানা হাতে তুলে নিতে কোনও দ্বিধা নেই। যে বইয়ের পাতায় পাতায় ছত্রে ছত্রে ছড়ানো আমাদের ‘দুঃখদিনের রক্তকমল’ ফুটে ওঠার স্নিগ্ধকরুণ প্রার্থনা, ভয় থেকে অভয়ের মাঝে নতুন জন্মগ্রহণের আকুল আকুতি। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি? সে কি এখনও আমাদের ততখানি চেনা হয়ে উঠেছে? আমরা কি জেনেছি তাঁর রেখার তন্ময়তা, শিল্পীর সচেতন আঙুলে টানা কলমের আঁচড়ের পাশাপাশি রেখার অনায়াস অবচেতনের চলন? যার অনেকখানিই চিত্রকরের নিয়ন্ত্রণের আড়ালে? কখনও অনুভব করতে পেরেছি, ক্ষিপ্র হাতে রঙের পাত্রে তুলি ডুবিয়ে নির্মম রুক্ষতায় টেনে যাওয়া তাঁর ইমোটিভ লাইনের আশ্চর্য চিত্রাক্ষর? না, এসব তলিয়ে বুঝতে গেলে একইসঙ্গে লাগে দৃষ্টির প্রখর পাঠ আর অন্তরের গভীর অনুভব। এখনও সে আমাদের পুরোপুরি আয়ত্ত হয়ে ওঠেনি, তার নাগাল পেতে কিছু দেরি আছে আমাদের।

রবীন্দ্রনাথের চিত্ররচনার পর্ব– সে প্রায় ১০০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে এলেও তাঁর ছবির অন্দরমহলে প্রবেশের চাবিকাঠি এখনও হাতে এসে পৌঁছয়নি। সে কি আমাদের চিত্রভাবনার অভাব? শিল্পবিষয়ে ধারণার সীমাবদ্ধতা? চিত্রশিক্ষার অসম্পূর্ণ জ্ঞান, ছবিবোধের দীনতা? না কি এর সঙ্গে অন্য কোনও প্রেক্ষিত জড়িয়ে আছে! আমরা কি তবে ছবির চেয়ে সাহিত্যকে এগিয়ে রাখি? চিত্রকলার চেয়ে গানকে দেখি বড় করে– হবেও বা। কেউ কেউ বলে থাকেন, বাঙালি গান ভালোবাসে, গান বোঝে, তবে ছবি বোঝে না। এ কথা কি সত্যিই? সাধারণভাবে আজও আমরা অনেকে ফোটোগ্রাফের সঙ্গে ছবিকে এক সারিতে বসিয়ে রাখি। বুঝতে চাই না, এদের প্রথমটা যদি বাস্তবের হুবহু প্রতিরূপ, তো অন্যটায় প্রকাশ পায় প্রকৃতির রূপের ভাঁড়ার থেকে ছেঁকে নিংড়ে নেওয়া রং-রেখা-আকারের সংহতিপূর্ণ সমাবেশ। চোখের দেখাকে মনের দেখায় জারিত করে নিয়ে তাকে নতুন করে দেখা, তারপর ছবির প্রধান ভর– রং-রেখা-আকারের আধারে তাকে সাজিয়ে তোলার সৃষ্টিশীল প্রয়াস।

কখনও এমনটা মনে হয়, এ জন্য কি সামাজিক চেতনার ভিন্নতা কাজ করেছে? আমাদের ওপর বিলেতি সাহেবদের সুদীর্ঘ অনুশাসন কি এ জন্য দায়ী হতে পারে? সেই বিদেশি প্রশাসক– যারা আমাদের শিল্পের দৃশ্যপটকে সরিয়ে লন্ডনের রয়্যাল কলেজের আর্টের শিল্প-সিলেবাসে মুড়িয়ে দিয়েছিল আমাদের চোখ, আমাদের ভাবনার স্তর? প্রাচ্য আধারে অবগাহিত আলংকারিক চিত্রধারার সুর শুনতে না পেয়ে তারা আমাদের শিল্পের মাথার ওপর রয়্যাল অ্যাকাডেমির চাঁদোয়া টাঙিয়ে দিয়েছিল! সে সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে সে চাঁদোয়া সরিয়ে দিতে অনেক সময় লেগেছে আমাদের, কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে বিস্তর। তবুও মনের ভেতরে কোথাও দৃঢ়ভাবে বসে গিয়েছে ছবি বলতে বাস্তবের অনুকৃতি হতে হবে, আর তা হয়ে উঠবে রিয়েলিস্টিক অ্যাপ্রোচের চূড়ান্ত পরাকাষ্ঠা। সেখানেই মিশে আছে ফোটোগ্রাফিক রিয়েলিটির সঙ্গে চিত্রকরের ভাবনা আর তার প্রকাশকে এক সুতোয় গেঁথে দেওয়ার নিরর্থক প্রচেষ্টা। তাই, প্রকৃতির হুবহু অনুকরণ যে শিল্পকলার সত্যিকার চেহারা নয়, একথা বুঝতে হয়তো আরও খানিকটা অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। সে প্রসঙ্গে আলোচনা এখন থাক, তোলা রইল হবে অন্য কোনও পর্বের জন্য।

আজ রবি ঠাকুরের ছবির দিকে তাকাতে চাই। কিছুকাল আগে পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথের ছবির মুদ্রিত চেহারা আমাদের ধরাছোঁয়া বা দেখাশোনার বাইরে ছিল। আজ ‘রবীন্দ্রচিত্রাবলী’র দৌলতে প্রায় ৯০ ভাগের বেশি ছবি সবার দৃষ্টির নাগালে এসে পড়েছে। মুদ্রিত ছবি ব্যবহার করতে চাইলে আইনত কপি-রাইটের কোপ থেকেও তা অনেকাংশে মুক্ত। তবুও দেখি, রবীন্দ্রনাথের ছবি হিসেবে যত্রতত্র ‘ভুল ছবি’র (ফেক ছবি বলতেই চাই) ব্যবহার হয়ে চলেছে। কারণ হিসেবে সেই গোড়ার কথাগুলো আবার বলতে হয়– চিত্রশিক্ষিত চোখে রবীন্দ্রনাথের ছবি দেখার অভ্যাস এখনও সম্পূর্ণ হয়নি আমাদের। তাঁর ছবির মহিমা এখনও আমাদের কাছে অধরা। রবীন্দ্রচিত্রে রেখার বৈভব অনুভবের অক্ষমতা, চিত্রপটের পরতে পরতে লাগানো রঙের অলৌকিক বিভা অনুভব করতে না-পারার বোধ, তাঁর ছবির গভীরে যে প্রাণের অনন্ত উত্তাপ– তাকে উপলব্ধি করতে না-পারার দীনতা আমাদের গ্রাস করেছে। তাই সোশাল মিডিয়ায়, অজস্র নামী-অনামী পত্রপত্রিকায় আজও অসংখ্য ভুল ছবি– রবীন্দ্রনাথের আঁকা বলে ভেসে উঠছে। অধিকাংশ সময়েই তাকে যাচাই না-করে আমরা গ্রহণ করছি, বরণ করে নিচ্ছি। আসলে এইসব ছবি রবীন্দ্রচিত্রের আদলে কে বা কারা তৈরি করে চলেছে। এখানে প্রশ্ন উঠবে কেন, কী কারণে এমনটা করতে হচ্ছে? সে কি নেহাতই খেলার ছলে, রসিকতার আবহে, কৌতুকের অদ্ভুত প্রণোদনায়?

না, ব্যাপারটা এতখানি নির্দোষ সরলতায় আবৃত নয়। এর নেপথ্যে আছে একপ্রকার কালো ব্যবসার হাতছানি। আমরা জানি, অনেকেই বিখ্যাত শিল্পীদের ছবি তাঁদের ব্যক্তিগত সংগ্রহে রাখতে চান। সেই আগ্রহী সংগ্রাহকদের কাছেই এই নকল ছবি তৈরির জাল ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আবেগতাড়িত হয়ে ভালো করে পরখ না করে এগুলো সংগ্রহ করতে ঝাঁপিয়ে পড়ি। এই ছায়াবৃত বিপণীর প্রকৃত টার্গেট তারাই। কেবল রবি ঠাকুরের ছবি নয়, অন্য শিল্পীদের ছবিও সে পসরায় থরে থরে সাজানো, তবে রবীন্দ্রনাথের ছবি নিয়ে বিপণনের বাজার উত্তপ্ত হয় অনেক বেশি। বিশ্বজোড়া খ্যাতির পাশাপাশি তাঁর ছবির বিচিত্রগামিতা, দর্শকের সামনে তাঁর ছবির গুচ্ছ তেমনভাবে এসে না পড়ায় সংকট আরও তীব্রতর। আর একটা কথা। যেহেতু তিনি স্বশিক্ষিত শিল্পী, প্রথা মেনে আঙ্গিকের চর্চা করেননি, প্রত্যেকটা ছবিই যেন স্বতন্ত্র অভিমুখের দিকে এগিয়ে, সহজে তাদের নিয়মমাফিক ছকের মধ্যে ফেলা যায় না, রং-রেখার ব্যবহার একেবারে ভিন্নমাত্রা স্পর্শ করে– তাই এই আপাত দুর্গম এলাকায় রবীন্দ্রনাথের ছবিকে ‘সফট টার্গেট’ করে নিতে সুবিধে অনেক। সেইসঙ্গে তাঁর সৃষ্টিকে সংগ্রহ করে নিজের রাখার অমোঘ আকর্ষণ তো আছেই।

কেবল ছবি কেন, বিশ্বজুড়ে তাঁর একখানা চিঠি বা এক টুকরো পাণ্ডুলিপির পাতা সংগ্রহ করতে আমরা মরিয়া হয়ে উঠি। এই সুযোগটাই নিতে চায় সেইসব ‘ফেক-ছবি’ নির্মাতাদের কারবারি। তাই বলতে চাই, আবেগের বশে প্রিয় শিল্পীর কাজ শুধু ভালোবাসায় নয়, তাকে যথার্থ চিনতে শেখা দরকার, ছবির ভেতরে প্রবেশ করা জরুরি। তাঁর কাজের ধরনকে তলিয়ে বুঝতে শেখা প্রয়োজন। এ সংকট কেবল ব্যক্তিগত পরিসরে আবদ্ধ নেই, বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানও এভাবে কখনও আক্রান্ত হতে পারে। চকিতে মনে পড়বে, রবীন্দ্রনাথের ১৫০তম জন্মবর্ষের পুণ্যলগ্নে কলকাতার সরকারি আর্ট কলেজে আয়োজিত জমজমাট রবীন্দ্রচিত্র প্রদর্শনী।

সেই বিশেষ প্রদর্শনী উদ্বোধনের নিমন্ত্রণপত্রে আহ্বায়ক ছিলেন তৎকালীন সম্মাননীয় রাজ্যপাল, বিশিষ্ট কবি, চিত্রকর, সরকারি আমলা-সহ একাধিক খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ। পরিতাপের কথা, প্রদর্শনীর অন্যতম আয়োজক সরকারি আর্ট কলেজের পক্ষে ব্যক্তিগত সংগ্রহের সেই রবীন্দ্রনাথের ছবি কোনও রকম যাচাই না করেই প্রবল ঢক্কানিনাদের সঙ্গে সূচনা হয়েছিল এগজিবিশন! অথচ প্রদর্শিত রবীন্দ্রচিত্রের প্রায় সবগুলিই নাকি এসেছিল অজানা এক গোপন ভাণ্ডার থেকে! এমন ঘটনা হতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে কোনও বিশেষজ্ঞ কমিটির মধ্য দিয়ে সেই ছবি যাচাই করে নেওয়াই দস্তুর। বিশেষত সরকারি প্রতিষ্ঠানে তো বটেই। কিন্তু এক্ষেত্রে সেসব কিছু মানা হয়নি। নিশ্চিতভাবেই হয়নি, তাই প্রদর্শনী শুরু হতে না হতেই প্রবল শোরগোল শুরু হয়, বিশেষজ্ঞেরা বলেন– এগুলি রবীন্দ্রনাথের আঁকা হতে পারে না। তার আঁচ অনেকদূর যায়, পত্রপত্রিকায় বিস্তর লেখালিখি থেকে ছাত্রবিক্ষোভ পর্যন্ত গড়িয়েছিল। অবশেষে আইন আদালতের দরজায় ঘা পড়ে, প্রদর্শনী বন্ধ করে দিতে হয়। এমনকী, আর্ট কলেজের প্রধানকে পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়। সরকারি আর্ট কলেজে প্রদর্শিত সেই ছবি কয়েকটি, যা রবীন্দ্রনাথের ছায়া অনুসরণ করে বানিয়ে ‘রবীন্দ্রচিত্র’ বলে দর্শকের সামনে মেলে ধরা হয়েছিল– নমুনা হিসেবে এ লেখার সঙ্গে রইল। পাশাপাশি সাজিয়ে দিলাম সেইসব মূল ছবি যেগুলি অবলম্বনে আঁকানো হয় নকল ছবির পসরা। অবশেষে বলতে হয়, শুধু শিল্পের প্রতি অন্ধ ভালোবাসার মুগ্ধতা নয়, ছবি বুঝে নেওয়ার, যাচাই করে নেওয়ার মতো শিক্ষিত হয়ে উঠতে হবে দর্শকের চোখ, সংগ্রাহকের দৃষ্টি। বিশেষ করে ওল্ড-মাস্টারদের ক্ষেত্রে একথা একশো ভাগ প্রযোজ্য। অন্যথায় ভুল ছবি (ফেক ছবি) সংগ্রহ করে ফেলার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠবে।

…পড়ুন ছবিঠাকুর-এর অন্যান্য পর্ব…

পর্ব ২২: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথের বিদ্রোহের ছবি

পর্ব ২১: চিত্রকলার বোধ যত গাঢ়তর হচ্ছে, ততই রবীন্দ্রনাথ চোখের দেখার ওপরে ভরসা করছেন

পর্ব ২০: ছবি বুঝতে হলে ‘দেখবার চোখ’-এর সঙ্গে তাকে বোঝার ‘অনেক দিনের অভ্যেস’

পর্ব ১৯: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথ কোন রংকে প্রাধান্য দিয়েছেন?

পর্ব ১৮: ছবি আঁকিয়ে রবিঠাকুরও সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন

পর্ব ১৭: রবীন্দ্রনাথের নারী মুখমণ্ডলের সিরিজ কি কাদম্বরী দেবীর স্মৃতিজাত?

পর্ব ১৬: ট্যাক্স না দেওয়ায় রবীন্দ্রনাথের ছবি আটক করেছিল কাস্টমস হাউস

পর্ব ১৫: বাইরে সংযত রবীন্দ্রনাথ, ক্যানভাসে যন্ত্রণাদগ্ধ ছবিঠাকুর

পর্ব ১৪: অমৃতা শেরগিলের আঁকা মেয়েদের বিষণ্ণ অভিব্যক্তি কি ছবিঠাকুরের প্রভাব?

পর্ব ১৩: আত্মপ্রতিকৃতির মধ্য দিয়ে নতুন করে জন্ম নিচ্ছিলেন রবীন্দ্রনাথ

পর্ব ১২: আমেরিকায় কে এগিয়ে ছিলেন? ছবিঠাকুর না কবিঠাকুর?

পর্ব ১১: নন্দলাল ভেবেছিলেন, হাত-পায়ের দুয়েকটা ড্রয়িং এঁকে দিলে গুরুদেবের হয়তো সুবিধে হবে

পর্ব ১০: ১০টি নগ্ন পুরুষ স্থান পেয়েছিল রবীন্দ্র-ক্যানভাসে

পর্ব ৯: নিরাবরণ নারী অবয়ব আঁকায় রবিঠাকুরের সংকোচ ছিল না

পর্ব ৮: ওকাম্পোর উদ্যোগে প্যারিসে আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে যাচাই করেছিলেন রবি ঠাকুর

পর্ব ৭: শেষ পর্যন্ত কি মনের মতো স্টুডিও গড়ে তুলতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?

পর্ব ৬: রবীন্দ্র চিত্রকলার নেপথ্য কারিগর কি রানী চন্দ?

পর্ব ৫: ছবি আঁকার প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ পরলোকগত প্রিয়জনদের মতামত চেয়েছেন

পর্ব ৪: প্রথম ছবি পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ামাত্র শুরু হয়েছিল বিদ্রুপ

পর্ব ৩: ঠাকুরবাড়ির ‘হেঁয়ালি খাতা’য় রয়েছে রবিঠাকুরের প্রথম দিকের ছবির সম্ভাব্য হদিশ

পর্ব ২: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম ছবিটি আমরা কি পেয়েছি?

পর্ব ১: অতি সাধারণ কাগজ আর লেখার কলমের ধাক্কাধাক্কিতে গড়ে উঠতে লাগল রবিঠাকুরের ছবি