১৯২৪ সালে, ‘পূরবী’র সেই বিখ্যাত খাতায় (রবীন্দ্রভবন সংগ্রহের পাণ্ডুলিপি সংখ্যা ১০২) শুরু হয়েছে কাটাকুটির বিস্তার। জাহাজে থাকতেই ডায়েরি লেখার বদলে তাঁর কলমে নেমেছে কবিতার ঢল, লিখে চলেছেন, একের পর এক কবিতা। এবারে সেই কবিতার বর্জিত অক্ষররা আকার নিচ্ছে আশ্চর্য সব রূপের প্রতিমায়। সংশোধনের অছিলায় কবিতার ফেলে দেওয়া শব্দেরা এখানে জেগে উঠেছে কীসব আশ্চর্য চেহারা নিয়ে। তথাকথিত মার্কা দেওয়া সুন্দরের সঙ্গে এদের কোনও যোগ নেই।
৩৫.
১৯২৪-এর শেষভাগ। চিন থেকে সদ্য ফিরেছেন রবীন্দ্রনাথ। এ অভিজ্ঞতা ছিল আরেক রকম। সবচেয়ে বড় কথা, এবারে তাঁর সঙ্গে ছিলেন নন্দলাল। সেই নন্দলাল, বহুকাল আগে যাকে জাপানযাত্রার সফরসঙ্গী করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্ত সেবারে অবন প্রিয়তম শিষ্যটিকে ছাড়তে রাজি ছিলেন না। নন্দলাল এখন শান্তিনিকেতনে কলাভবনের দায়িত্বে, ফলে অবনের সম্মতির প্রয়োজন নেই। নন্দলালের কাছেও চিন ভ্রমণ ছিল এক নতুন অভিজ্ঞতা। দু’চোখ ভরে দেখেছেন আর কলাভবনের জন্যে অজস্র শিল্পকাজ সংগ্রহ করেছেন। খেয়াল করলে দেখা যাবে, রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিদেশযাত্রায় বিশেষত প্রাচ্যসফরে শিল্পীদের সঙ্গে নিতে ভালোবাসেন। ১৯১৬ সালে জাপানযাত্রায় সঙ্গে ছিলেন মুকুল দে, ১৯২৪ সালে চিন সফরে নন্দলাল, ১৯২৭-এ জাভাযাত্রায় গিয়েছেন সুরেন কর ও ধীরেনকৃষ্ণ দেববর্মা, ১৯৩৪ সালে শ্রীলঙ্কায় আবার সঙ্গী হয়েছেন নন্দলাল। বিশ্বভারতীতে পূর্ব-পশ্চিমের যে খোলা বাতাস রবীন্দ্রনাথ এনে দিয়েছিলেন, তার পশ্চিমের দিকটা সামলেছেন নিজেই। আর পুব থেকে শিল্পরসদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে আশ্রমের শিল্পীদের সঙ্গে নিয়েছেন। চিন থেকে ফিরে কিছুদিন পরেই শুরু হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকা যাওয়ার প্রস্তুতি। এবারে সদলবল যাত্রা শুরু হলেও কবি এগিয়ে যাবেন পেরুর নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে। প্রাথমিক ধাপে তাঁর সঙ্গে রথী, প্রতিমা, পুপে ইত্যাদি ছাড়াও আছেন শিল্পী সুরেন কর। চিকিৎসার জন্য রথী-প্রতিমা রয়ে যাবেন প্যারিসে, সুরেন ওঁদের সঙ্গে কিছুদিন কাটিয়ে লন্ডনে গিয়ে লিথোগ্রাফির পাঠ নেবেন। আর রবীন্দ্রনাথের পেরুযাত্রার সঙ্গী হবেন এল্মহারস্ট।
সামগ্রিক পরিকল্পনা এমনটাই। সেই মতো রবি ঠাকুর ১৮ অক্টোবর শেরবুর্গ বন্দর থেকে আন্দেস জাহাজে চাপলেন, সঙ্গে সচিব এল্মহারস্ট। কবির শরীর ভালো নেই, অসুস্থ অবস্থায় তিনি বুয়েনোস আইরেস পৌঁছলেন ৬ নভেম্বর। এই পর্বের লেখা ‘পশ্চিম-যাত্রীর ডায়ারি’র দিকে তাকালে দেখি এক মস্ত বড় ফাঁক। ৭ অক্টোবর, ১৯২৪ তারিখে হারুনা-মারু জাহাজে বসে লেখার পরে আবার সে শুরু হয়েছে ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৫ তারিখে ক্রাকোভিয়া জাহাজে করে দেশে ফেরার সময়। মাঝের দীর্ঘ চার মাসে রবীন্দ্রনাথের জীবনে ঘটেছে কত অজস্র ঘটনা, তার মধ্যে ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর আতিথেয়তায় আর্জেন্টিনার দিনগুলি অন্যতম। লক্ষ করলে দেখি, পেরু যাবেন এই উদ্দেশে আন্দেস জাহাজে রওনা হওয়ার পর থেকেই ‘পূরবী’র সেই বিখ্যাত খাতায় (রবীন্দ্রভবন সংগ্রহের পাণ্ডুলিপি সংখ্যা ১০২) শুরু হয়েছে কাটাকুটির বিস্তার। জাহাজে থাকতেই ডায়েরি লেখার বদলে তাঁর কলমে নেমেছে কবিতার ঢল, লিখে চলেছেন, একের পর এক কবিতা। এবারে সেই কবিতার বর্জিত অক্ষররা আকার নিচ্ছে আশ্চর্য সব রূপের প্রতিমায়। সংশোধনের অছিলায় কবিতার ফেলে দেওয়া শব্দেরা এখানে জেগে উঠেছে কীসব আশ্চর্য চেহারা নিয়ে। তথাকথিত মার্কা দেওয়া সুন্দরের সঙ্গে এদের কোনও যোগ নেই। অদ্ভুত কিম্ভূতকিমাকার চেহারা তাদের। বিচিত্র জান্তব আকার, প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীর দল, কখনও বা হাঁ-করা কুমিরের মতো তীক্ষ্ণ দাঁতের সারি, কোথাও জ্যামিতিক স্থাপত্যের অংশ, আবার বুঝি প্রাচীন দারুভাস্কর্যের নমুনার মতো চেহারা। নেহাত আলগোছেভাবে এরা আসছে না, কবিতার কাটাকুটির গভীরে তারা দৃঢ়ভাবে নিজেদের অস্তিত্ব ঘোষণা করছে। বার বার মনে হয়, খাতার পাতায় এদের উপস্থিতি কবিতাকে বুঝি গৌণ করে তোলে। ভীষণদর্শন চেহারার দিক থেকে প্রিমিটিভ আর্টের সঙ্গেই এদের নাড়ির সম্পর্ক, তাদের সঙ্গেই গহন আত্মীয়তা। কবিতায় তাদের একত্র সহাবস্থান বোঝাতে কয়েকটা বিশেষ পৃষ্ঠার দিকে তাকাই।
১৮ অক্টোবরে লেখা কবিতার নাম ‘অপরিচিতা’, মুদ্রিত কাব্যগ্রন্থে এই শিরোনাম থাকলেও দেখি পাণ্ডুলিপিতে এর নাম ছিল ‘পথ’। ছবিতে গাঢ় কালো মোটা রেখা দিয়ে পাতা জুড়ে স্থাপত্যের কাঠামো, তার সঙ্গে মিশেছে জন্তুর ছুঁচলো মুখ– যেন একটার পিঠে আরেকটা বসানো। আর জ্যামিতির ফাঁকফোঁকর থেকে দেখা দিচ্ছে কবিতার লাইন। পরের কবিতা ‘আনমনা’ও একই তারিখে লেখা, সমস্ত পাতা ভরে আছে কালোরেখার জ্যামিতিক বিন্যাসে। মূল ফর্ম জুড়ে কাটাকুটি, ওপরে আঁকা ছোট এক জান্তব মাথা। পাতার পুরোটা জুড়ে থাকা কাঠামোর গা থেকে ছোট ছোট জানলা দিয়ে ঠিকরে বেরচ্ছে কবিতার ছত্র। জানলাগুলো যেন মাকড়সার জালে আবৃত, তারই ফাঁকে কিউবিস্টিক ভঙ্গির টুকরো ভেদ করে বিচ্ছুরিত হচ্ছে কবিতার অক্ষর। ছবি দেখতে গিয়ে পাঠকের হয়তো মনে পড়ে যাবে জালের আড়ালে ‘রক্তকরবী’র রাজার কথা, বা তাকে ঘিরে গগন ঠাকুরের আঁকা ‘রক্তকরবী’র ছবির কথা। পরের দিন ১৯ অক্টোবরে লেখা ‘বিস্মরণ’। কবিতার নিচের দিকে এক দাঁতওয়ালা জান্তব মুখের শরীর যেন পিয়ানোর আকার নিয়েছে। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখছে সেই জন্তু। সরু রেখার বদলে এ ছবি পেপার-কাটের মতো ফ্ল্যাট, ভরাট, দ্বিমাত্রিক। ১৯ তারিখেই লেখা ‘আশা’ কবিতায় কাটাকুটি তেমন নেই, তবে ২০ তারিখে লিসবন বন্দরে লেখা ‘বাতাস’ কবিতায় কাটাকুটির ছবি এক আসাধারণ উৎকর্ষ লাভ করেছে। এক তীক্ষ্ণ নাকযুক্ত মুখের প্রোফাইল ফুটেছে এখানে, ঠোঁট সামান্য ফাঁক করা, থুতনির অংশ এগিয়ে এসে সমগ্র মুখের আদলকে বদলে দিয়েছে। মুখের পরে বাকি অংশ যেন স্থাপত্যের আকারের মত শক্ত। এ ছবিতে উল্লেখ্য বিষয় হল– স্থাপত্যের ফর্ম ঘিরে আছে অসংখ্য ছোট ছোট ত্রিভুজের আকার। সবটুকু মিলে সে এক অপূর্ব আলংকারিক প্যাটার্ন। এ পাতার অন্য বৈশিষ্ট্য, অসাধারণভাবে লেখা রবি ঠাকুরের স্বাক্ষর। তিনি যে ‘আর-নুভো’ ধরনের ছন্দোময় রৈখিক ভঙ্গিতে স্বাক্ষর করতেন– তার শ্রেষ্ঠ নমুনা বুঝি এখানেই চিহ্নিত। লিসবন বন্দরেই পরের দিন লেখা হয়েছে ‘স্বপ্ন’। এই কবিতা উপলক্ষে দু’-পাতায় তৈরি হয়েছে দুটো আলাদা ডিজাইন। মোটা কালোরেখার পরিবর্তে এখানে সরু রেখার আলপনা এঁকেছেন রবীন্দ্রনাথ। আর সে আলপনায় ফুটেছে রবিঠাকুরের সম্পূর্ণ নিজস্ব ঘরানা। তার সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন জ্যামিতিক গড়নের জান্তব রূপাভাস, কোথাও মুখের আভাস কখনও বা কেবল চোখের ইশারা।
আবার কাটাকুটির নকশা কোথাও যেন এঁকে-বেঁকে নাচতে নাচতে সিঁড়ি দিয়ে ওপর থেকে নিচে নেমে আসছে। কারও মনে হতে পারে নিচ থেকেই উঠেছে তা উপরের দিকে। ২১ তারিখে বন্দর ছেড়ে বেরিয়ে সমুদ্রবক্ষে লেখা হচ্ছে ‘সমুদ্র’, সে নকশায় অনবচ্ছিন্ন কালোর সঙ্গে ফাঁকফোঁকর জুড়ে প্রিমিটিভ আর্টের কথা মনে পড়ায়। পরের দিন ‘মুক্তি’ কবিতায় সমস্ত লেখা কেটেকুটে দিয়ে নিবিড় সচেতনে গড়ে তুলেছেন অসাধারণ কারুকাজে ঠাসা এক চিত্রপ্রতিমা। কবিতা রয়েছে তার আগে আর পরের পাতায়। ছবির মাথার কাছে পেনসিলে লেখা ‘মুক্তির ত এক মূর্তি নহে’। আর প্রকাশিত পাঠে পাই, ‘মুক্তি নানা মূর্তি ধরি দেখা দিতে আসে না জনে–/ এক পন্থা নহে’। এই কাটাকুটির চলতে চলতে এগিয়েছেন রবিঠাকুর।
‘পূরবী’র পাণ্ডুলিপির পাতার দিকে চেয়ে মনে হয়, কবিতার বাণী ছাপিয়ে এই আশ্চর্য ছবির ঢল কি হঠাৎ এসে উপস্থিত হয়েছিল? মনের মধ্যে ছিল কোনও নিঃশব্দ প্রস্তুতি? কীভাবে খুঁজে পেলেন আদিম শিল্পের এইসব আশ্চর্য নমুনা? এখানে একটা কথা জরুরি। রবীন্দ্রনাথ বরাবর নতুন কোনও দেশে যাওয়ার আগে সেই দেশের শিল্প-সংস্কৃতি-ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়ে যথাসাধ্য পড়াশোনা করে নিতে ভালোবাসেন। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়েছিল বলে মনে হয় না। আরও অবাক লাগে যখন দেখি, তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহের বই ‘The Art of Old Peru’ রয়েছে কলাভবন লাইব্রেরিতে। সে বইয়ের প্রকাশনা ১৯২৪-এই, তবে কি কবির অনুরোধে এল্মহারস্ট সদ্য প্রকাশিত বইটি নিয়ে রবিঠাকুরের সঙ্গে আন্দেস জাহাজে উঠলেন? এ সম্ভাবনাকে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া চলে না। বিশেষ করে যখন দেখা যায়, আন্দেস জাহাজ বুয়েনোস আইরেসে পৌঁছনো মাত্র সাংবাদিকদের তিনি জানান যে, আর্জেন্টিনায় কয়েক দিন থেকে পেরু চলে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য, সেখান থেকে তিনি মেক্সিকো যেতে আগ্রহী। তাঁর অন্যতম উদ্দেশ্য দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার আদিবাসীদের লুপ্ত সভ্যতা সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া। তাছাড়া ইনকা আর অ্যাজটেক সভ্যতা সম্বন্ধে তিনি বিশেষভাবে জিজ্ঞাসু। এক্ষেত্রে আমাদের বুঝতে অসুবিধে হয় না যে, রবীন্দ্র-পাণ্ডুলিপি কাটাকুটির দিকবদলের আড়ালে লুকিয়ে আছে প্রিমিটিভ আর্টের প্রতি ছবি ঠাকুরের সেই অদম্য কৌতূহল– যা ক্রমে তাঁর চিত্রকলার নিভৃত করিডর হিসেবে দেখা দেবে।
…পড়ুন ছবিঠাকুর-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৩৩: ছবির অ্যালবাম ও তিতিবিরক্ত রবীন্দ্রনাথ
পর্ব ৩৩: রবীন্দ্রনাথ কি সত্যিই সরকারি আর্টস্কুলের এগজিবিশনে ছবির নাম দিয়েছিলেন?
পর্ব ৩২: জীবৎকালে রবীন্দ্রনাথের ছবির প্রদর্শনীতে ছবি বিক্রির মূল্য গড়ে মাত্র ২০০ টাকা
পর্ব ৩১: অন্ধের সূর্যবন্দনায় বহুকাল আবিষ্ট ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
পর্ব ৩০: সেরামিক পাত্রের গায়ে রবীন্দ্রনাথের আশ্চর্য সব নকশা
পর্ব ২৯: ছিমছাম গ্রন্থসজ্জাই কি বেশি পছন্দ ছিল রবিঠাকুরের?
পর্ব ২৮: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম প্রচ্ছদ
পর্ব ২৭: রবীন্দ্রনাথের চিত্রপটে রং-তুলিতে সাজিয়ে তোলা ফুলেরা কেমন? কী নাম তাদের?
পর্ব ২৬: রবীন্দ্রনাথের আঁকা শেষ ছবি
পর্ব ২৫: রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি সংরক্ষণ করা সহজ নয়
পর্ব ২৪: জাল ছবি ও রবীন্দ্র-ব্যবসা
পর্ব ২৩: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথের বিদ্রোহের ছবি
পর্ব ২২: চিত্রকলার বোধ যত গাঢ়তর হচ্ছে, ততই রবীন্দ্রনাথ চোখের দেখার ওপরে ভরসা করছেন
পর্ব ২১: কলাভবনে নন্দলালের শিল্পচিন্তার প্রতি কি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছিলেন না রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ২০: ছবি বুঝতে হলে ‘দেখবার চোখ’-এর সঙ্গে তাকে বোঝার ‘অনেক দিনের অভ্যেস’
পর্ব ১৯: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথ কোন রংকে প্রাধান্য দিয়েছেন?
পর্ব ১৮: ছবি আঁকিয়ে রবিঠাকুরও সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন
পর্ব ১৭: রবীন্দ্রনাথের নারী মুখমণ্ডলের সিরিজ কি কাদম্বরী দেবীর স্মৃতিজাত?
পর্ব ১৬: ট্যাক্স না দেওয়ায় রবীন্দ্রনাথের ছবি আটক করেছিল কাস্টমস হাউস
পর্ব ১৫: বাইরে সংযত রবীন্দ্রনাথ, ক্যানভাসে যন্ত্রণাদগ্ধ ছবিঠাকুর
পর্ব ১৪: অমৃতা শেরগিলের আঁকা মেয়েদের বিষণ্ণ অভিব্যক্তি কি ছবিঠাকুরের প্রভাব?
পর্ব ১৩: আত্মপ্রতিকৃতির মধ্য দিয়ে নতুন করে জন্ম নিচ্ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
পর্ব ১২: আমেরিকায় কে এগিয়ে ছিলেন? ছবিঠাকুর না কবিঠাকুর?
পর্ব ১১: নন্দলাল ভেবেছিলেন, হাত-পায়ের দুয়েকটা ড্রয়িং এঁকে দিলে গুরুদেবের হয়তো সুবিধে হবে
পর্ব ১০: ১০টি নগ্ন পুরুষ স্থান পেয়েছিল রবীন্দ্র-ক্যানভাসে
পর্ব ৯: নিরাবরণ নারী অবয়ব আঁকায় রবিঠাকুরের সংকোচ ছিল না
পর্ব ৮: ওকাম্পোর উদ্যোগে প্যারিসে আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে যাচাই করেছিলেন রবি ঠাকুর
পর্ব ৭: শেষ পর্যন্ত কি মনের মতো স্টুডিও গড়ে তুলতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ৬: রবীন্দ্র চিত্রকলার নেপথ্য কারিগর কি রানী চন্দ?
পর্ব ৫: ছবি আঁকার প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ পরলোকগত প্রিয়জনদের মতামত চেয়েছেন
পর্ব ৪: প্রথম ছবি পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ামাত্র শুরু হয়েছিল বিদ্রুপ
পর্ব ৩: ঠাকুরবাড়ির ‘হেঁয়ালি খাতা’য় রয়েছে রবিঠাকুরের প্রথম দিকের ছবির সম্ভাব্য হদিশ
পর্ব ২: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম ছবিটি আমরা কি পেয়েছি?
পর্ব ১: অতি সাধারণ কাগজ আর লেখার কলমের ধাক্কাধাক্কিতে গড়ে উঠতে লাগল রবিঠাকুরের ছবি