রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনে যখন এলেন, তখন তিনি ৬৩, ভিক্টোরিয়া ৩৪। তাঁদের মাঝখানে বিছিয়ে ২৯ বছরের বয়েসের তফাত। আর্জেন্টিনিয়ান যুবতীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে তিনি এই বয়সে আর কতটা পারগ? আধ্যাত্মিকতার আড়াল তাঁকে তো রাখতেই হবে। কিন্তু শরীরের তাপ ও সুখ, তাও তাঁর চাই। একটা গ্রে এরিয়া, মনে হয় ভিক্টোরিয়ার। মনে মনে একই সঙ্গে তিনি কিছুটা বিরক্ত ও বিষণ্ণ। সবটা সৎ হওয়া কি সম্ভব হবে? অন্তত রবীন্দ্রনাথের ভাবমূর্তিকে রক্ষা করতে?
৪৮.
রবীন্দ্রনাথ পৃথিবীতে আর নেই। তবু এই ভারতীয় কবির জন্য মনকেমন ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর ভাবনাকে আজকাল ঘন ঘন মেঘলা করে দিচ্ছে। আত্মজীবনী লিখতে শুরু করেছেন ভিক্টোরিয়া। নাম দিয়েছেন ‘অটোবায়োগ্রাফিয়া’। নিজের জীবনকে ছয় খণ্ডে ভেবেছেন ভিক্টোরিয়া। এবং ভেবেছেন, সব সত্যি কথা বলবেন। তিনি জানেন তাঁর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের জীবন কতটা গড়িয়ে ছিল একসঙ্গে। কতদূর নিবিড় হয়েছিল কবির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। তিনি একথাও অস্বীকার করতে চান না, এই সম্পর্কের মাঝখানে তিনি একটা দাঁড়ি টেনে দিয়েছিলেন। কেননা তিনি চাননি বিবেকানন্দের সঙ্গে নিবেদিতার যে সম্পর্ক, তেমন কোনও সম্পর্ক তৈরি করতে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে। তবে একটা জায়গা এখনও অস্পষ্ট ভিক্টোরিয়ার মনে। রবীন্দ্রনাথ কি চাননি, তাঁদের সম্পর্কে স্পর্শের হলকা থাকুক, আধ্যাত্মিকতার আড়াল টেনে?
রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনে যখন এলেন, তখন তিনি ৬৩, ভিক্টোরিয়া ৩৪। তাঁদের মাঝখানে বিছিয়ে ২৯ বছরের বয়েসের তফাত। আর্জেন্টিনিয়ান যুবতীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে তিনি এই বয়সে আর কতটা পারগ? আধ্যাত্মিকতার আড়াল তাঁকে তো রাখতেই হবে। কিন্তু শরীরের তাপ ও সুখ, তাও তাঁর চাই। একটা গ্রে এরিয়া, মনে হয় ভিক্টোরিয়ার। মনে মনে একই সঙ্গে তিনি কিছুটা বিরক্ত ও বিষণ্ণ। সবটা সৎ হওয়া কি সম্ভব হবে? অন্তত রবীন্দ্রনাথের ভাবমূর্তিকে রক্ষা করতে?
লেখার টেবিল ছেড়ে ভিক্টোরিয়া এসে দাঁড়ান তাঁর অর্ধেক দেওয়াল জোড়া বেলজিয়ান আয়নার সামনে। তারপর রাত পোশাকটা ঝরিয়ে দিয়ে তাকান। ৫০ পেরিয়েও এখনও পুরুষ টানে তাঁর শরীর। এখনও আছে হলকা! তাপ! স্রোত! ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো নিশ্চিত। ভিক্টোরিয়া মন দিয়ে, খুঁটিয়ে নিরীক্ষণ করেন তাঁর দেহরেখা। রবীন্দ্রনাথের কথা ভাবেন। সেই সময় ঠিক যেমন ছিল তাঁর শরীর, কবে চলে গেছে ১৯২৪, তারপর ইউরোপে ১৯৩০-এ শেষ দেখা কবির সঙ্গে, কতবার বলেছেন, ‘একবার এসো শান্তিনিকেতনে, এসো, থাকো, কাজ করো আমার সঙ্গে, ভালোবাসো ভারতবর্ষকে।’
রাজি হননি তিনি। রবীন্দ্রনাথের কাছে লুকিয়ে গেছেন আসল সত্য: আমি তোমাকে ভালবাসি রবীন্দ্রনাথ, কিন্তু আমি এক পুরুষে সন্তুষ্ট থাকার, মজে থাকার মেয়েমানুষ নই। তোমার সঙ্গে যখন একটা প্রেম প্রেম ভাব, তুমি আমি একই বাড়িতে আর্জেন্টিনায়, আমি তোমাকে চাই আমাদের বয়সের সমস্ত দূরত্ব পেরিয়ে একটা বন্য জন্তুর মতো, আর তুমি ক্রমাগত আমাকে পোষ মানাতে চাইছ, কেননা তুমি শারীরিক ভাবে দুর্বল। তুমি একটা পেলব স্পিরিচুয়ালিটি সারাক্ষণ বজায় রেখেছ। অথচ এমন একটা দিন যায় না তুমি আমাকে আদর করো না। রবীন্দ্রনাথ, তুমি রোজ আমার গালে চুমু খাও। কপালে চুমু খাও। ঠোঁটে? আমার গাল দুটো ধরে তাকিয়ে থাকো আমার ঠোঁটের দিকে। কিন্তু তোমার চুমু পৌঁছয় না আমার ঠোঁটে। তোমার আদর পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত। তুমি আমার খোলা বাহুর ওপর রাত্রে রোজ হাত রেখে বলো, ‘কী নরম, কী সুন্দর!’ আমার সমস্ত শরীর তৃষ্ণার্ত থাকে। তুমি হঠাৎ হয়ে যাও উদাসীন। তোমার সে উদাসীনতা সত্য কি না, জানি না। এটাই কি ভারতবর্ষের স্পিরিচুয়ালিটি? একটা কথা তোমাকে কোনও দিন জানাইনি, পাছে তুমি ব্যথা পাও। তোমার সঙ্গে যখন আমার এই শরীর মেশানো প্লেটনিক প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, পাশাপাশি আমার এক ‘তুতো’ ভাই মার্টিনেজ মিটিয়ে চলেছে আমার সেক্স্যুয়াল খিদে। আই ওলসো ওয়েন্ট টু ইউ লাইক আ ওয়াইল্ড অ্যানিমাল, বাট ইউ টেম্ড মি! কেন কেন কেন?
ভিক্টোরিয়া আয়নার আরও কাছে এগিয়ে যান। তাঁর বৃন্ত দুটি প্রায় স্পর্শ করে আয়নায় জেগে ওঠা দুটি বৃন্ত। ভিক্টোরিয়া তল পেটে হাত রাখেন। নিচে আরও নিচে ইচ্ছের তরল আগুন। ভিক্টোরিয়ার মনে পড়ে এক ইংরেজ যুবককে। রবীন্দ্রনাথের ইংরেজ সেক্রেটারি, সুভদ্র সুশিক্ষিত এলমহার্স্ট। কবির সঙ্গে সে-ও এসেছে আর্জেন্টিনায়। সেও কবির সঙ্গে একই বাড়িতে ভিক্টোরিয়ার অতিথি। ভিক্টোরিয়া নানা কাজে এই ইংরেজ যুবকের সঙ্গে ঘুরেছে গাড়িতে। তারপর নিবিড় ব্যক্তিগত কথায় তাঁরা কাটিয়েছে অনেক সময়। রাত হয়ে গেছে। বাড়ি ফিরছে, গাড়িতে পাশাপাশি। হঠাৎ সেই ইংরেজ যুবক ভিক্টোরিয়ার হাতটা টেনে নিয়ে রাখল ঠিক সেই জায়গায়, যেখানে প্যান্টের নিচে তাঁর পুরুষাঙ্গ ফুলে উঠে অনস্বীকার্য ভাবে ঘোষণা করছে তাঁর অস্তিত্ব। স্পষ্ট মনে পড়ে ভিক্টোরিয়ার, কী তীব্র রাগ দেখিয়ে তিনি গাড়ি থেকে নেমে সজোরে বন্ধ করেছিলেন দরজা!
আজ তোমাকে জানাই রবীন্দ্রনাথ, আমি কিন্তু ওই যুবককে ঘৃণা করতে পারিনি। ওই ঘটনা মনে এলে আমার তলপেটের নিচে আজও তরল আগুন ভিজিয়ে দেয়। রবীন্দ্রনাথ, তুমি জানো না, কোনওদিন তোমাকে জানাইনি, তুমি চলে যাওয়ার পরে আরও কত পুরুষের সঙ্গে আমি জড়িয়েছি। দেশ-বিদেশের লেখক, শিল্পী, ইন্টেলেকচুয়াল, দার্শনিক, বিজ্ঞানী, কামনা, আদর, ঈর্ষা, অধিকারবোধ– আমাকে শুধু নিজের করে ধরে রাখার লড়াই। রবীন্দ্রনাথ, তুমি খেললে এক মারাত্মক খেলা। তুমি জানতে তোমার ইংরেজ সেক্রেটারির বিয়ের ঠিক হয়ে গেছে, তবু তুমি হঠাৎ তাঁকে একদিন বললে, সে যেন আমাকে বিয়ে করে শান্তিনিকেতনে নিয়ে আসে। আমাকে কাছে পাওয়ার তোমার শেষ চেষ্টা।
অনেক রাত। ভিক্টোরিয়া সম্পূর্ণ নিরাবরণ। বসলেন এসে লেখার টেবিলে। ঘর অন্ধকার। টেবিলটা শুধু এক মায়াবী আলোয় ভাসছে। টেবিলটার মনের ইচ্ছে বুঝতে পারেন ভিক্টোরিয়া। টেবিলের ওপর দু’টি হাত রেখে বলেন, প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যা এতদিন গোপন রেখেছি, তা আর গোপন রাখব না। সব লিখব, সব!
……………………………
ফলো করুন আমাদের ওয়েবসাইট: রোববার ডিজিটাল
……………………………
ভিক্টোরিয়া লেখেন: সকালবেলা। রবীন্দ্রনাথের ঘরে গেলাম তাঁর লেখার টেবিলে কিছু টাটকা ফুল রেখে আসতে। তিনি লেখায় নিবদ্ধ। ভাষাটা আমার অজানা। সাবলীল লিখে চলেছেন। কী সুন্দর হাতের লেখা! হঠাৎ তিনি হাত রাখলেন আমার একটি স্তনের ওপর। যেমন করে মানুষ গাছ থেকে ফল পাড়ে, তেমনই ভাবে ধরে থাকলেন।
শিউরে উঠলাম প্রথমে। তুমি! তুমিও? আমার ভেতরটা চিৎকার করে উঠল। তারপর ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষটিকে ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম। সব প্রতিবাদ স্তব্ধ হল। জেগে উঠল গ্রহণ ও প্রাপ্তি।
রবীন্দ্রনাথ, তোমার ঠিক এই আদর আর একটি দিনও ফিরে এল না। কেন?
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?
পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান
পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী
পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন
পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক
পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন
পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে
পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা
পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে
পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?
পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী
পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!
পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি
পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা
পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই
পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না
পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা
পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ
পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?
পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!
পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল
পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো
পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়
পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!
পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে
পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে
পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি
পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল
পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল
পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল
পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
পর্ব ২: লেখার টেবিল ভয় দেখিয়েছিল টি এস এলিয়টকে
পর্ব ১: একটি দুর্গ ও অনেক দিনের পুরনো নির্জন এক টেবিল
আমাদের এই ভাগ হয়ে যাওয়া দুই বাংলার দুই ব্যক্তিত্ব। একজনের হাতে কলম, অন্য জনের গলায় শুধু গান। দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সন্জীদা খাতুন। দু’জনের মধ্যে ছিল এক আশ্চর্য ভালোবাসার সম্পর্ক। আজ, সন্জীদা খাতুনের জন্মদিন উপলক্ষে দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা সন্জীদা খাতুনের তিনটি অপ্রকাশিত চিঠি, রোববার ডিজিটালে।