যিশুর জন্মের ৪৮৪ বছর আগে পৃথিবীতে এসে, পাপের কাহিনির নাট্যরূপ দিয়ে অমরত্ব অর্জন করেন ইউরিপিডিস। তাঁর নাটক ‘মিডিয়া’ তো পাপের উৎসব। আর ‘মিডিয়া’ সেই নারী, যার পাপকে হয়তো আমরা ‘স্ট্যান্ডিং অভেশন’ দিয়ে আসছি যুগ যুগ ধরে। কিন্তু কেন? এত বছর পেরিয়েও কেন সেই পাপ কোনও আধুনিক পুণ্য স্পর্শ করতে পারেনি?
৫০.
এই লেখা লিখতে মোটে সায় দিচ্ছে না মন। কিন্তু না-লিখেও উপায় এই। আমার মনের মধ্যে এই লেখার তাড়না চাপিয়ে দিয়েছে আমার লেখার টেবিল। অবাধ্য দুর্বার তাড়না। সেক্স্যুয়াল আর্জের সঙ্গে যুতসই তুলনা চলে। লেখার প্রথমে যে কথাগুলো লিখব, সেগুলো আমার স্ত্রীর উদ্দেশে। আপনারা বিবেচনা করে দেখুন আমি ঠিক লোককে ঠিক কথা বলছি কি না। তবে প্রথমেই এই কথামালা, যাকে আমার স্ত্রীর প্রতি আমার উপদেশও বলতে পারেন, তার ব্যাকগ্রাউন্ডটা জানিয়ে রাখি। তাহলে আমাকে এবং আমার মঙ্গলবার্তা বুঝতে আপনাদের সুবিধে হবে।
আমার এই অমূল্য উপদেশের প্রেক্ষাপট হল, আমি আবার একটা বিয়ে করতে চলেছি। এই অমোঘ সত্যটুকু আমার বউ কিছুতেই নিতে পারছে না। কী মেয়েমানুষ বলুন!
এবার আমার এই নতুন সহবাসের পিছনে আমার অকাট্য যুক্তিগুলো শুনুন। যে কথা হুবহু বউকে বলেছি। শোনো, এতদিন তোমার সঙ্গে ঘর করলাম। তোমাকে দুটো বাচ্চার মা করেছি। কিন্তু তোমার মেজাজের কোনও পরিবর্তন আনতে পারিনি। তোমার মেজাজ আমার পক্ষে সহ্য করা আর সম্ভব হচ্ছে না। তবে তোমাকে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলছি না। বরং এবার এই বাড়িতে আরও ভালোভাবে, আরামে থাকতে পারবে। এবং বাচ্চা দুটোকে আরও ভালোভাবে লেখাপড়া শিখিয়ে বড় করতে পারবে। জিনিসপত্রের দাম ক্রমশ চড়া হচ্ছে। কুলিয়ে উঠতে পারছি না। এবার যাকে ঘরে আনছি, বড়লোকের মেয়ে। দু’হাতে খরচ করবে। আমাদের সংসারের শ্রী ফিরবে। সব দিক থেকে ওই মেয়েটাকে ঘরে তুলতে পারলে আমাদের সবার মঙ্গল।
আমি আমার নতুন বউকে একটি শর্তে এই সংসারে নিয়ে আসছি । তুমি ওর বিরুদ্ধে একটি কথাও বলতে পারবে না। তুমি ওর টাকায় খাবে, পরবে, দুটো বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করবে, আবার আমার-ওর নিন্দে করবে, ওকে কথা শোনাবে, এসব ধ্যাষ্টামো চলবে না। যেদিন শুনব, কোনও সমালোচনা করেছ আমার বা আমার বউয়ের, তোমাকে আমার বাড়ি থেকে, এই শহর থেকে তাড়াব। কেউ তোমাকে বাঁচাতে পারবে না। আমি যাকে বিয়ে করছি, সে শুধু বড়লোকের কন্যা নয়, প্রভাবশালী বাপের মেয়ে। ওর বিরুদ্ধে একটি কথা বললে তোমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
অন্য মেয়ে হলে এই প্রস্তাব লুফে নিত। আমার বউ কিন্তু আমাকে শাসিয়েছে! ঠান্ডা মাথায় বলেছে, আমি যদি নতুন বউ ঘরে আনি, আমার দুটো বাচ্চাকে ও আমার সামনে কেটে ফেলবে। এবার বলুন, বাপ হয়ে আমার ঔরসের এই নিদারুণ অপমান আমি কেমন করে সহ্য করব? ঈশ্বর কেন যে এমন কাণ্ড ঘটাল! কেন যে জন্মদানের জন্য নারীর প্রয়োজন হয়! পুরুষ এত কাণ্ড করতে পারে। একা একটা বাচ্চা বানাতে পারে না? নারীর কাছে গর্ভ ভিক্ষে করতে হয় তাকে? আমার বিশ্বাস একদিন মানব-সভ্যতা, বিজ্ঞানের উন্নতি পুরুষকে এই আদি অপমান থেকে উদ্ধার করবে। এই কথাটা আমার নয়। আমি ধার করেছি হাজার হাজার বছর আগে গ্রিক লেখক ইউরিপিডিসের নাটক ‘মিডিয়া’ থেকে।
‘মিডিয়া’র গল্প কিন্তু আজও শেষ হয়নি। আজও আমাদের সংসারে, সমাজে এই গল্পের নানা সংস্করণ দিব্যি চলছে আমাদের আধুনিক বীক্ষণে ডাইলিউটেড হতে হতে। তবে ইউরিপিডিস বাঘের বাচ্চার মতো মিডিয়া নামের মেয়েটাকে যেভাবে গড়েছেন, আমাদের সাধ্য নেই সেই পথে গিয়ে আরও এক এই সময়ের মিডিয়া-কে ওইভাবে সেলিব্রেট করি। অসম্ভব!
এবার আমার লেখার টেবিলের কাছে করজোড়ে ক্ষমা-প্রার্থনা করে আমার স্ত্রী, মাঝখানে এক পরস্ত্রী এবং আমি– এই ত্রিভুজের মধ্যে মিমি করে যে একান্ত বাঙালি প্রহসন ঘটেছিল, সেই রোগীর পথ্য থেকে সরে আসছি মিডিয়া আর জেসনের অগ্নিময় উপাখ্যানে। এই গল্প ভাবা এবং লেখা কোনও বাঙালির পক্ষে সম্ভব নয়।
যিশুর জন্মের ৪৮৪ বছর আগে পৃথিবীতে এসে, এই পাপের কাহিনির নাট্যরূপ দিয়ে অমরত্ব অর্জন করেন ইউরিপিডিস। তাঁর নাটক ‘মিডিয়া’ তো পাপের উৎসব। আর মিডিয়া সেই নারী, যার পাপকে হয়তো আমরা ‘স্ট্যান্ডিং অভেশন’ দিয়ে আসছি যুগ যুগ ধরে।
এতক্ষণ তো আমার স্ত্রীর প্রতি আমার উপদেশ শুনলেন। তার অনেকটাই ইউরিপিডিসের ডাল-ভাত সংস্করণ। এবার শুনুন খাঁটি ইউরিপিডিস। জেসন বলছে, তার দুই বাচ্চা ছেলের মা মিডিয়াকে: তোমার ওই বেদম ক্রোধ, ভয়ংকর মেজাজ তোমাকে একদিন ধ্বংস করবে। তুমি একটা অসভ্য দেশের মানুষ। আমার বাড়ির, আমাদের সমাজের সভ্য পরিবেশে তোমাকে মানায় না। তাও বলছি, আমার এই বাড়িতে তোমার বাচ্চাদের নিয়ে থাকো। এবং যা ঘটতে চলেছে তার সঙ্গে মানিয়ে নাও। মনে রেখো, তোমাকে মেনে চলতেই হবে ক্ষমতাবানদের। বুঝতে হবে কারা চালক, কারা চালিত। তুমি আমার বাড়িতে থাকাটা পরবাসে থাকা মনে করছ। ভাবো, কত সুযোগ পাচ্ছ এই পরবাসে। আমি আর একটা বিয়ে করছি!
এই বিয়ের ফলে আমি আরও ক্ষমতাবান হব। সেটা তোমার পক্ষে খারাপ হবে না, যদি আমাদের আদেশ মতো চলতে শেখো। কিন্তু মিডিয়া তোমার চোখে-মুখে আমার প্রতি ঘৃণা। আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমার ভালো চাই। তাই তো আবার বিয়ে করছি। যাকে বিয়ে করছি, তুমি জানো, সে রাজকুমারী। তোমার তো তাতে খুশি হওয়া উচিত। কিন্তু তোমার চোখ দিয়ে আগুন ঝরছে। কিন্তু ভেবে দেখো, রাজকুমারীর গর্ভে আমার যে বাচ্চারা জন্মাবে, তাদের সঙ্গে তোমার পেটের বাচ্চারাও লেখাপড়া শেখার সুযোগ পাবে। তবে ভগবানের ওপর আমার একটা ব্যাপারে রাগ হয়। ‘There should have been some other means for mankind to reproduce itself, without the need of a female sex; this would rid the world of all its troubles.’
ইউরিপিডিসের মিডিয়া কিন্তু শেষ পর্যন্ত মায়ের হাতে পুত্রহত্যার কাহিনি। তার দুই শিশু পুত্রকে তাদের মা মিডিয়া নিজের হাতে খুন করছে, তাদের বাপের পুরুষত্বকে খুন করার জন্য। এবং সেই পুরুষের সন্তানকে বহন করার পাপের জন্য নিজের গর্ভকেও মিডিয়া খুন করছে। আমি ভাবতে চেষ্টা করি সেই কোন প্রাচীন যুগে কোন ভাবনার টেবিলে বসে ইউরিপিডিস লিখতে পেরেছিলেন এমন নারী-আর্তি ও নারীজাগরণের লেখা। ইউরিপিডিসের মিডিয়া বলছে, “I shall kill my own children, no one shall take them from me, I will wreck havoc on all Jason’s house and then quit this land, to escape the charge of murdering my beloved children.”
এরপর মিডিয়া জেসনের বউকেও মেরে ফেলার মতলব করে। কারণ, তাহলে ওই মেয়ের গর্ভে জেসনের ঔরসে আর কোনও সন্তান জন্মানোর সম্ভাবনাই থাকবে না।
কিন্তু আসলে মিডিয়া যা চাইল, সবটুকু কি ঘটল? শেষটুকু জানতে পড়তেই হবে ইউরিপিডিস। আর তখুনি মনে হবে, এই গ্রিক লেখক সম্বন্ধে গোয়েটের উক্তি: আর কোনও জাতি কি কখনও জন্ম দিয়েছে এমন এক নাট্যকারের, যিনি ইউরিপিডিসের পায়ে জুতো পরিয়ে দেওয়ার যোগ্য?
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ৪৯: কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল
পর্ব ৪৮: টেবিলই ওকাম্পোর স্মৃতি, আত্মজীবনীর ছেঁড়া আদর
পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?
পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান
পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী
পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন
পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক
পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন
পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে
পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা
পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে
পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?
পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী
পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!
পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি
পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা
পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই
পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না
পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা
পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ
পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?
পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!
পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল
পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো
পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়
পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!
পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে
পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে
পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি
পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল
পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল
পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল
পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
পর্ব ২: লেখার টেবিল ভয় দেখিয়েছিল টি এস এলিয়টকে
পর্ব ১: একটি দুর্গ ও অনেক দিনের পুরনো নির্জন এক টেবিল
ক্যালিগুলার আমলে নিয়ম করে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য এ রংকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। সেনেটের উচ্চপদাধিকারীরাও বড়জোর তাদের পোশাকে এক ফালি বেগুনি পার ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছিলেন। আর সাম্রাজ্যের একজনই পুরোদস্তুর বেগুনি টোগায় সর্বাঙ্গ ঢাকার অধিকারী ছিলেন– তিনি স্বয়ং সিজার!