যত সভ্য হবে মানুষ, তত লোভী হবে সে, ক্ষমতার লোভ, অর্থের লোভ, প্রতিপত্তি আর আধিপত্যের লোভ। আর এইসব লোভ ক্রমাগত প্রসারিত করবে মানুষের শাঠ্য ও শয়তানি। তখন পৃথিবীর সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য হবে আমার ধ্রুপদী শয়তান-সংহিতা ‘দ্য প্রিন্স’। আর নিরন্তর অমরত্বে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বলবে শয়তান-সাধক নিকোলো ম্যাকিয়াভেলির নাম। জীবনে উন্নতি করতে হলে মানুষকে ম্যাকিয়াভেলির পরামর্শ মতো চলতেই হবে, পড়তেই হবে শয়তান-শাস্ত্র ‘দ্য প্রিন্স’!
১৬.
প্রিয় ফ্রান্সেসকো ভেত্তোরি,
আজ ১৫১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর। এই বছর ৩ মে নিঃসঙ্গ নির্বাসনে কাটল আমার ৪৪ বছরের জন্মদিন। অনেক দিন তোমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। আজ শুধু তোমার কথাই মনে পড়ছে বন্ধু। আর কতদিন বাঁচব, জানি না। বাকি জীবন কেমন কাটবে, তাও আন্দাজ করতে পারছি না। এক সময়ে ভাবতাম, যেমন চালাব তেমনি চলবে জীবন। মনে হয়েছে এত যার ক্ষমতা, ধনদৌলত, সামাজিক দাপট, রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রসার, জীবন তো তার হাতের মুঠোয়। আজ বুঝতে পারছি জীবন এক অলীক আলেয়া। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অনিশ্চিত। একটি মুহূর্তের অধীনতাও আমি অর্জন করতে পারিনি। জীবনের একটি মুহূর্তও হাত জোড় করে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আমার শাসন, প্রভুত্ব, আধিপত্য মেনে নেয় না।
এমন জীবনবোধ থেকে উৎসারিত কয়েকটি একান্ত ব্যক্তিগত কথা আমি তোমাকে বলে যেতে চাই। নিশ্চয়ই তোমার জানতে ইচ্ছে করছে, কেমন আছি আমি। কেমন কাটছে আমার জীবন, বলা উচিত সময়, দিনরাত। আমি প্রতিদিন রাত পোহালেই উঠে পড়ি। সূর্যের সঙ্গে পাশাপাশি উঠে পড়ি। তবে ডিসেম্বরে এখন তো প্রবল শীতের সূর্য। ভোরের মেঘে ঢাকা। তবু সূর্য তো সূর্যই। উঠলেই রাতের আকাশে আলো ফোটে। আমিও বিছানা ছাড়ি।
এবার একটা আশ্চর্য ঘটনার কথা বলি। এতদিন ভোর না হতেই ছুটতাম যেখানে কাঠুরেরা আমার জন্য কাজ করছে জঙ্গলের মধ্যে। অনেক দিন লাগল তাদের আমার জন্যে এই কাজটা করতে। কাজটা হল, একটি বিশেষ গাছের কাঠ থেকে আমার জন্যে একটি লেখার টেবিল তৈরি করা। এ এক অদ্ভুত গাছ। এবং এ এক আশ্চর্য টেবিল। ওই গাছটা আমার নির্বাসনের দিনগুলিকে আস্তে-আস্তে গ্রাস করে ফেলে। ওই গাছের তলায় জঙ্গলের মধ্যে একা বসে আমি আমার ধ্যানের মধ্যে দেখতে পেয়েছি শয়তানের মুখ। এবং সেই গাছের কাঠের টেবিলে বসে আমি শেষ পর্যন্ত লিখতে পেরেছি এমন এক বই যা যুগ-যুগান্তর বেঁচে থাকবে। এই গ্রন্থ বিশুদ্ধ শয়তানির। পৃথিবীতে টিকে থাকতে গেলে এই বইয়ের বাণী, উপদেশ, পরামর্শ মানুষের বড় প্রয়োজন হবে সর্বযুগে। শয়তান না হলে, বিশুদ্ধ শয়তান, জীবন যুদ্ধে হেরে যেতে হবে, মানবসমাজকে এই কথাটাই আমি বলতে চেয়েছি।
…………………………………………..
৫০০ বছর পরে, এই পৃথিবী, মানবসভ্যতার চেহারা, তার ভেতরের শাঁসটা একই রকম থাকবে। সুতরাং, আমার উপদেশ তখনও কাজে লাগবে। সেই পৃথিবীতে ক্ষমতাবানদের বলছি, ওপরে-ওপরে একটা ধর্মভীরু ভাবটা রাখবে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যেন কখনও তোমাকে দুর্বল না-ভাবে। তারা যেন তোমাকে ভয় পায়। অর্জন করতে হবে তাদের ত্রাস। ভালোবাসা দিয়ে শাসন করা যায় না। শাসন করতে সর্বদা দেখাতে হয় ক্ষমতার জোর এবং ভয়। আমার তৈরি শয়তান ওপরে-ওপরে বেশ দয়ালু। কিন্তু অন্তরে সে নির্মম, নিষ্ঠুর। এই হল ম্যাকিয়াভেলিয়ান শয়তানের আসল রূপ!
…………………………………………..
এই বই যখন লিখছিলাম তখন পাশাপাশি লেখার ফাঁকে-ফাঁকে এই একই টেবিলে বসে আমি নিয়মিত দান্তে, পেট্রার্ক, ওভিড্ পড়েছি। তাছাড়া, লেখা থামিয়ে, পড়া বন্ধ করে, ওই একই টেবিলে বসে আমার যেসব প্রেমিকারা যৌবনে আঁচ দিয়েছিল, তপ্ত করেছিল রাতের বিছানা, তাদের কথাও ভেবেছি। কিন্তু এবার বলি আসল কথাটা। কোনও কাঠের টেবিলে বসে দান্তে লিখতে পারেন তাঁর বিয়েট্রিসকে নিয়ে আধ্যাত্মিক প্রেম ও মিলনের রূপকথা। কোনও টেবিলে ওভিড্ লিখতে পারেন তাঁর অপূর্ব অশ্লীল প্রেমকাব্য– শুধু শরীর শরীর আর শরীর! আমার ওই বিশেষ গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি লেখার টেবিল আমাকে নিয়ে গেছে নিখাদ শয়তানির অতল গভীরে! কোনও ভালোত্ব নেই কোথাও। শুধু ক্ষমতা অর্জন এবং তারপর সেই ক্ষমতায় টিকে থাকার অকাট্য যুক্তি এবং পরামর্শ আমার বইয়ে। আমার ধারণা ওই গাছ, ওই কাঠ, ওই টেবিল ছাড়া এই বই আমি লিখতে পারতাম না। বিশ্বাস করো বন্ধু, টেবিলটা আমার সঙ্গে কথা বলে। এ এক মিরাক্কেল, কিন্তু আমার জীবনে ঘোর বাস্তব।
বন্ধু, তুমি জানো, আমি মাত্র ৪০ বছর বয়সে ফ্লোরেনটাইন রিপাবলিকের প্রতাপ শীর্ষে উঠেছিলাম। কিন্তু অধিষ্ঠিত হতে পারিনি। তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, নিটোল বাস্তববোধ এবং অবিকল্প শয়তানি ছাড়া ক্ষমতার চূড়ায় পৌঁছোন যায় না। কিন্তু জীবনের অনিশ্চয়তা শয়তানকেও মেনে নিতে হয়। রিপাবলিক চুরমার হল। আর আমি শয়তানের মতোই স্বর্গচ্যুত হলাম। নির্বাসিত এবং অত্যাচারিতও হলাম।
যাই হোক, ক্ষমতা হারিয়ে আমি আর ক্ষমতার রাজধানী ফ্লোরেন্সে থাকিনি। আমি চলে এসেছি ফ্লোরেন্স থেকে অনেক দূরে এক ‘সংসারবিহীন’, সমাজপ্রান্তিক আরণ্যক পরিবেশে শয়তানকে ধ্যান করব বলে। শয়তান আমার ধ্যানে ও আহ্বানে সাড়া দিয়েছে। শয়তানই আমাকে হাত ধরে ওই গাছের নিচে গিয়ে বসিয়েছে। এবং গাছই আমাকে বাতলে দিয়েছে– আমি কীভাবে আমার শয়তানি বুদ্ধি ও মতলবকে ভাঁজে-ভাঁজে সাজাব। কিন্তু গাছটাকে তো আর ঘরের মধ্যে এনে তার ছায়ায় বসে আমার শয়তান-সাধনায় সিদ্ধ হওয়ার উপায় নেই। তাই গাছ কেটে তার কাঠ দিয়ে তৈরি করেছি আমার শয়তান-গ্রন্থের টেবিল। এই টেবিলে ইতিমধ্যে আমি লেখার হাত পাকিয়েছি ফ্লোরেন্সের ইতিহাসের প্রথম খসড়া লিখে। তারপর শেষ করেছি আমার শয়তান-সিদ্ধির চূড়ান্ত ফসল, আমার কালজয়ী মাস্টারপিস, ‘দ্য প্রিন্স’! যতদিন পৃথিবীতে থাকবে মানব সমাজ-সংস্কৃতি-সভ্যতা, ততদিন তাদের সুবর্ণ সিম্পটম হয়ে নানারূপে দেখা দেবে সদর্প শয়তানি। এ আমি দিব্যচক্ষে দেখতে পাচ্ছি। যত সভ্য হবে মানুষ, তত লোভী হবে সে, ক্ষমতার লোভ, অর্থের লোভ, প্রতিপত্তি আর আধিপত্যের লোভ। আর এইসব লোভ ক্রমাগত প্রসারিত করবে মানুষের শাঠ্য ও শয়তানি। তখন পৃথিবীর সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য হবে আমার ধ্রুপদী শয়তান-সংহিতা ‘দ্য প্রিন্স’। আর নিরন্তর অমরত্বে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বলবে শয়তান-সাধক নিকোলো ম্যাকিয়াভেলির নাম। জীবনে উন্নতি করতে হলে মানুষকে ম্যাকিয়াভেলির পরামর্শ মতো চলতেই হবে, পড়তেই হবে শয়তান-শাস্ত্র ‘দ্য প্রিন্স’!
‘দ্য প্রিন্স’ গ্রন্থে আমার মূল পরামর্শগুলি এবার তোমাকে জানাই, প্রিয় বন্ধু ফ্রান্সেসকো, কারণ তুমি বুঝবে এইসব পরামর্শ ও উপদেশের চিরকালীন মূল্য।
প্রথমেই বলি, বাড়িতে একটি ফুল-সাইজ আয়না রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ দিনের শুরুতে, দিনটি হাতের তালুর মতো পরিষ্কার করে ছকে নেওয়ার আগে, একবার আয়নার সামনে দাঁড়াতেই হবে। এবং মনে রাখবে, ক্ষমতায় আসতে গেলে কোনও না কোনওভাবে রাজনীতিতে আসতেই হবে। জীবন মানেই রাজনীতি। এবং যে-ধরনের রাজনীতিতেই আসো না কেন, যে-কোনও সময়ে, যে-কোনও যুগে, তুমি ভোরবেলা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তোমার সারা শরীরে জাগিয়ে তুলবে একটি সৎ ভাব, একটা উদার পরোপকারী ভাব, যেন মানুষের জন্যে কাজ করতেই তোমার জন্ম, তুমি সর্বদা মানুষের মঙ্গল চাও এবং তুমি ধর্মপ্রাণ! আপনার এই সৎ ভাবটির বুননে যেন কোনও ফাঁক না থাকে। আলগা বুনন চলবে না কিন্তু। যত বড় শয়তান, তত তার মঙ্গলকামী সততার ঠাস বুনন।
আরও একটা কথা, ক্ষমতায় আসতে গেলে যে-কোনওভাবে হোক শাসকের আসনে বসতেই হবে। শাসকের আসনে মূলত দু’ভাবে বসা যায়। একটি উপায় হল, জোর-যার-মুলুক-তার। আর একটি উপায় হল, আইনসম্মতভাবে শাসনের আসনে উত্তীর্ণ হওয়া। প্রথম পথটি জন্তুর এবং জঙ্গলেই চলে। দ্বিতীয় পথটি মানুষের। কিন্তু মানব সভ্যতা আমাদের সারাক্ষণ এই দীক্ষা দিচ্ছে, কীভাবে দয়ার আড়ালে জোর-যার-মুলুক-তার উপায়টি দারুণভাবে কাজে লাগানো যায়। আমার ‘দ্য প্রিন্স’-এর প্রথমেই সেই দীক্ষাটি দিয়েছি। জীবনে সফল হতে, শেয়ালের মতো ধূর্ত হতে হবে। এবং শেয়াল হওয়া মানুষের পক্ষে সহজ। তবে ওপরে-ওপরে সিংহের ভাবটা বজায় রাখার চেষ্টা চালাতে হবে। একটা কথা কিন্তু খুব জরুরি। মানুষের কাছে নানারকম মঙ্গলকাজের প্রতিশ্রুতি জানাতেই হবে। কিন্তু কথা রাখার দরকার নেই। কারণ মানুষ ছ্যাঁচড়া জীব। কেউ কথা রাখে না। সুতরাং, তাদের কথা দিয়ে কথা রাখারও দরকার নেই। প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাও, ক্ষমতায় থাকবেই। ‘Because men are wretched creatures who would not keep their word to you, you need not keep your word to them.’
আজ থেকে ৫০০ বছর পরে, এই পৃথিবী, মানবসভ্যতার চেহারা, তার ভেতরের শাঁসটা একই রকম থাকবে। সুতরাং, আমার উপদেশ তখনও কাজে লাগবে। সেই পৃথিবীতে ক্ষমতাবানদের বলছি, ওপরে-ওপরে একটা ধর্মভীরু ভাব রাখবে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যেন কখনও তোমাকে দুর্বল না-ভাবে। তারা যেন তোমাকে ভয় পায়। অর্জন করতে হবে তাদের ত্রাস। ভালোবাসা দিয়ে শাসন করা যায় না। শাসন করতে সর্বদা দেখাতে হয় ক্ষমতার জোর এবং ভয়। আমার তৈরি শয়তান ওপরে-ওপরে বেশ দয়ালু। কিন্তু অন্তরে সে নির্মম, নিষ্ঠুর। এই হল ম্যাকিয়াভেলিয়ান শয়তানের আসল রূপ!
সুতরাং, বুঝতেই পারছ, জীবনে উন্নতি করতে হলে ভালো অভিনেতা হতে হবে। মুখে ফুটে থাকবে উদারতা। মঙ্গলকামনা। একটা বেশ ভালো মানুষের ভাব। কিন্তু শানানো ছুরি থাকবে ভেতরে। প্রয়োজনে চালিয়ে দেবে।
তবে কয়েকটি বিষয়ে সাবধান। হে শাসক, দু’টি ভুল কখনও কোরো না। এক, গরিবের জমিতে হাত দিও না। কখনও দখল কোরো না গরিবের সামান্য সম্বল। আর মেয়ে মানুষের গায়ে হাত দিও না। মেয়ে মানুষের গায়ে হাত পড়লে আন্দোলন হবেই। সেই আন্দোলন সামলানোর ক্ষমতা তোমাদের নেই, কখনও হবে না। So don’t be rapacious and aggressive with regard to the property and the women of the common men, যদি এই সাধারণ উপদেশটি মনে না রাখো, তুমি যত বড় শয়তান বা শাসক হও, পতন অনিবার্য।
এবার আরও একটি কথা, আমার এই শয়তান-সংহিতা শিরধার্য করার আগে আমার জীবনটা একবার ভেবে দেখো। নানারকম ধূর্তমি ও শয়তানির পথে মাত্র ৪০ বছর বয়সে আমি নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি ফ্লোরেনটাইন রিপাবলিকের সেক্রেটারি এবং সেকেন্ড চ্যান্সেলার হয়ে প্রচুর ঘুরিয়েছি শাসন ও ক্ষমতার ছড়ি। এমনকী, তৈরি করেছিলাম নিজের সৈন্যবাহিনী। কিন্তু সৈন্যবাহিনীই আমার বিরুদ্ধে তেড়ে এল। আমাকে ক্ষমতা থেকে তাড়াল। ৪৪ বছর বয়সে আমি বউ ও ছয় সন্তানকে নিয়ে জঙ্গলের ধারে একটি ফার্ম হাউসে একা থাকি। বউ আমাকে দেখতে পারে না। সন্তানেরা আমার কাছে আসে না। আমি সারাদিন লেখাপড়া করি। সন্ধেবেলায় শুঁড়িখানায় গিয়ে মদ খাই। এবং সেখানে আমার জীবনে এসেছে এক কুৎসিত বেশ্যা– সে প্রয়োজনে আমার শরীরের খিদে মেটায়। রাত্রিবেলা আমি ফিরে আসি শয়তানিতে বিদগ্ধ আমার টেবিলটার কাছে, যার অবদান ছাড়া সত্যিই কি আমি লিখতে পারতাম আমার কালজয়ী ‘দ্য প্রিন্স’?
প্রিয় বন্ধু ফ্রান্সেসকো,
এইটেই তোমাকে আমার শেষ চিঠি–
নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি,
১০ ডিসেম্বর, ১৫১৩
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
পর্ব ২: লেখার টেবিল ভয় দেখিয়েছিল টি এস এলিয়টকে
পর্ব ১: একটি দুর্গ ও অনেক দিনের পুরনো নির্জন এক টেবিল
বীরভূমের লেখক-গবেষকেরা মনে করেন, বীরভূমের লাভপুরের কাছে দেবী ফুল্লরাতেই সেই পীঠের অধিষ্ঠান আবার বর্ধমানের গবেষকেরা দাবি করেন, ঈশানী নদীর বাঁকে বর্ধমানের দক্ষিণডিহিতেই দেবীর ওষ্ঠপাত ঘটেছিল। তবে ভক্তদের কাছে দুটিই সমান গুরুত্বপূর্ণ তীর্থক্ষেত্র এবং অলৌকিক শক্তি দুই জায়গাতেই বর্তমান।