খেয়াল করলে দেখা যাবে, রবীন্দ্রনাথ তাঁর শান্তিনিকেতনে ঔপনিবেশিক বিদ্যাব্যবস্থার প্রচলিত পাঠ্যসূচির বাইরে অন্যরকম পাঠ্যসূচি নির্মাণ করেছিলেন। কোনও বিদ্যাই ফেলনা নয়। মানুষের রুচি যেমন বিবিধ, বিদ্যাও বিবিধ। এই ভিন্নরুচি ও ভিন্নবিদ্যার পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে হয়। একদিনে তা সম্ভব নয়। লেগে থাকতে হয়, সাহসে বুক বাঁধতে হয়– শ্রম ও উদ্যম থাকা চাই। একদিক থেকে দেখলে এসব ভাববাদী ভালো ভালো অকেজো কথা। আর এক দিয়ে দেখলে এসবই বস্তুবাদী কেজো কথা।
৪৫.
শিক্ষাব্যবস্থা পরীক্ষাতন্ত্র ও উপার্জনযন্ত্র হয়ে উঠবে তা রবীন্দ্রনাথ চাননি। ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা অবশ্য ক্রমশ তাই হয়ে উঠেছিল। ‘লেখা পড়া করে যে গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে’ এই প্রবাদকল্প বাক্যটি ঊনবিংশ শতাব্দীর ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার দান। ব্যক্তিগত জীবনে রবীন্দ্রনাথ সদর্থে কিংবা কদর্থে এই বাক্যের উদাহরণ হয়ে উঠতে চাননি। তাঁর অগ্রজ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সদর্থেই লেখাপড়া করে গাড়ি-ঘোড়া চেপেছিলেন। অন্যদিকে, বঙ্কিমচন্দ্রের মুচিরাম গুড় লেখাপড়া না-শিখেও হাতের লেখার গুণে ও অভিভাবক ঈশানবাবুর সৌজন্যে মুহুরিগিরি থেকে শুরু করে ডেপুটিগিরি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। তোষামোদ করার অপূর্ব প্রতিভা ও পড়াশোনা তেমন না-জেনেও অধঃস্তনদের দিয়ে ‘ম্যানেজ’ করার কৌশলী কাণ্ডজ্ঞান তার ছিল। শেক্সপিয়র, মিল্টন, বেকন থেকে কোটেশন দেওয়া ইংরেজি ভাষাবিজ্ঞদের থেকে ‘প্রভুর পদে সোহাগমদে দোদুল কলেবর’ বাঙালি বাবুদের সাহেবরা পছন্দ করতেন বেশি। তাই মুচিরামের চাকরিতে অসুবিধে হত না, বঙ্কিমের আরেক চরিত্র ইংরেজি জানা শেক্সপিয়র পড়া কমলাকান্তের চাকরি চলে গিয়েছিল। এই পরীক্ষাতন্ত্র ও পরীক্ষাতন্ত্র নির্ভর শিক্ষা-উপাধিরত্ন যে উপার্জনতন্ত্র তৈরি করে, তার থেকে মুক্তির উপায় কী? রবীন্দ্রনাথ জানতেন মুক্তির উপায় সহজ নয়। মুক্তির নানা রকম প্রয়াস ও মুক্তির নামে তাৎক্ষণিক অপপ্রয়াস সবকিছুরই সাক্ষী তিনি।
পরীক্ষাতন্ত্র নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থার প্রাথমিক স্তরে বেত্রহস্তে গৃহশিক্ষকের আবির্ভাব হয়। এই গৃহশিক্ষকের বেত্রাঘাত পড়ুয়ার মনে শিক্ষক সম্বন্ধে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক বিরক্তি তৈরি করে, তারই মজাদার নিদর্শন রবীন্দ্রনাথের ‘ছাত্রের পরীক্ষা’ নামের কৌতুক হাস্য। ছাত্রের নাম শ্রীমধুসূদন, মাস্টারের নাম কালাচাঁদ। একালে প্রয়াত শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় ফেল করা, টুকলিবাজ এক শিক্ষক হিসেবে সাধু কালাচাঁদ নামের চরিত্রটি খাড়া করে যখন স্বাধীনতা পরবর্তী শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কিশোর-কিশোরীপাঠ্য ফাজিল-কাহিনি রচনার আয়োজন করেছিলেন, তখন রবীন্দ্রনাথের এই শ্রীযুক্ত কালাচাঁদের কথা মনে রাখা তাঁর পক্ষে খুবই সম্ভব ছিল।
রবীন্দ্রনাথের লেখায় ছাত্রের স্বগতোক্তি: ‘কাল মাস্টারমশায় এমন মার মেরেছেন যে আজও পিঠ চচ্চড় করছে। আজ এর শোধ তুলব। ওঁকে আমি তাড়াব।’ কালাচাঁদ কেমন পড়াচ্ছেন, মধুসূদনের পিতা তার পরীক্ষা নিতে এসেছেন। পরীক্ষার উপায় মাস্টারের সামনে ছেলের পরীক্ষা নেওয়া। ছেলে সব প্রশ্নের বিচিত্র উত্তর দিচ্ছে। উদ্দেশ্য প্রহারপরায়ণ মাস্টারকে বিদায় করা। অতঃপর পিতা-পুত্র সংলাপ।
অভিভাবক। কেমন রে মোধো, পুরোনো পড়া সব মনে আছে তো?
মধুসূদন। মাস্টারমশায় যা বলে দিয়েছেন তা সব মনে আছে।
অভিভাবক। আচ্ছা, উদ্ভিদ্ কাকে বলে বল্ দেখি।
মধুসূদন। যা মাটি ফুঁড়ে ওঠে।
অভিভাবক। একটা উদাহরণ দে।
মধুসূদন। কেঁচো!
সন্দেহ নেই মেধো অত্যন্ত বুদ্ধিমান। বুদ্ধি না থাকলে এমন উদ্ভাবনী সংজ্ঞা ও উদাহরণ দেওয়া তার পক্ষে কঠিন হত। কণ্ঠস্থ করেও ভুলে গিয়ে ভুল বলা এক, বানিয়ে ভুল বলা আর এক। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, বেত্রধারী শিক্ষকেরা এই উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন পড়ুয়াদের কণ্ঠস্থবিদ্যার পথে প্রহার সহযোগে প্রেরণ করেন। সবাই তো আর রবীন্দ্রনাথ নন যে, নিশিকান্তকে আশ্রমবিদ্যালয়ে প্রশ্রয় ও আশ্রয় দেবেন।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
দুর্নীতির মূল যেমন-তেমন করে পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ার বাসনা ও বেশি নম্বরের দাক্ষিণ্যে অর্থ উপার্জনের সুনিশ্চয় পন্থায় প্রবেশের এষণা। এই দুর্নীতির খবর ফাঁস হলেই রাগারাগির স্টিম প্রবল হয়ে উঠছে, সামাজিক মাধ্যমে বিষোদ্গারের বন্যা বইছে। সকলেই জানেন, গ্যাস ফুরোলেই বেলুন মাটিতে আছাড় খাবে। সামাজিক ক্রোধ থিতিয়ে যাবে। শিক্ষাব্যবস্থার নতুন বাস্তুবাড়ি নির্মাণের উৎসাহ ও ধৈর্য এই বেলুনবাদীদের নেই।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….
ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার নানাবিধ ত্রুটি ছিল সন্দেহ নেই। সেই শিক্ষাব্যবস্থার বিপরীতে দীর্ঘস্থায়ী যত্নশীল কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ না করে স্বদেশভক্তরা সহসা বয়কট-পরায়ণ হয়ে উঠতেন, জাতীয় শিক্ষা পরিষদ তৈরি করে মুহূর্তের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান করতে চাইতেন। এই সহসা-প্রতিবাদী উত্তেজনাও রবীন্দ্রনাথের কাছে অর্থহীন। লিখেছিলেন, ‘যে দেশ আপনার প্রাণগত অভাব অনুভব করিয়া কোনো ত্যাগসাধ্য ক্লেশসাধ্য মঙ্গল-অনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হইতে পারে নাই, পরের প্রতি রাগ করিয়া আজ সেই দেশ যে স্থায়ীভাবে কোনো দুষ্কর তপশ্চরণে নিযুক্ত হইবে, এরূপ শ্রদ্ধা রক্ষা করা বড়োই কঠিন। রাগারাগির স্টীম চিরদিন জ্বালাইয়া রাখিবে কে এবং রাখিলেই বা মঙ্গল কী। গ্যাস ফুরাইলেই যদি বেলুন মাটিতে আছাড় খাইয়া পড়ে, তবে সেই বেলুনে বাস্তুবাড়ি স্থাপনের আশা করা চলে না।’
মোক্ষম কথা। রাগারাগির স্টিমই আমাদের সম্বল। সেকালের মতো একালেও জনসমাজ রাগারাগির স্টিম দ্বারা চালিত। শিক্ষাব্যবস্থায় দুর্নীতি প্রবেশ করেছে। দুর্নীতির মূল যেমন-তেমন করে পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ার বাসনা ও বেশি নম্বরের দাক্ষিণ্যে অর্থ উপার্জনের সুনিশ্চয় পন্থায় প্রবেশের এষণা। এই দুর্নীতির খবর ফাঁস হলেই রাগারাগির স্টিম প্রবল হয়ে উঠছে, সামাজিক মাধ্যমে বিষোদ্গারের বন্যা বইছে। সকলেই জানেন, গ্যাস ফুরোলেই বেলুন মাটিতে আছাড় খাবে। সামাজিক ক্রোধ থিতিয়ে যাবে। শিক্ষাব্যবস্থার নতুন বাস্তুবাড়ি নির্মাণের উৎসাহ ও ধৈর্য এই বেলুনবাদীদের নেই।
যদি পরীক্ষাতান্ত্রিক উপাধিরত্ননির্ভর উপার্জনসর্বস্ব শিক্ষাব্যবস্থার দুর্নীতির শুদ্ধিকরণ করতে হয়, তাহলে সমাজমনের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। সেই পরিবর্তন ঘটানোর জন্য রবীন্দ্রনাথ কতগুলি নৈতিক ও নান্দনিক ভাবনার ওপরে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের প্রাথমিক জিজ্ঞাসা, যা দুর্মূল্য তাই কি শ্রীমণ্ডিত, নাকি যা দুর্মূল্য তা কদাকর হলেও মূল্য বেশি বলে তাকে আমরা সুন্দর বলে ভাবি! এই জিজ্ঞাসার মধ্যে অনেক কিছুর উত্তর নিহিত আছে।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর শান্তিনিকেতনে যে সামাজিকতা তৈরি করতে চেয়েছিলেন তা শ্রীকে শ্রীময় বলেই গুরুত্ব দিত, দামি বস্তুকে শ্রীময় বলে ভাবত না। যে শিক্ষানীতি প্রতিযোগিতামূলক সাফল্যকে বড় করে তোলে সেই শিক্ষানীতি মুষ্টিমেয় সফল মানুষের জীবনযাত্রায় নানা দুর্মূল্য বস্তুর সমাহার ঘটায়, ঘটাতে চায়। আহার-বিহার-সজ্জা-বসবাস সর্বক্ষেত্রেই প্রাচুর্য। সেই প্রাচুর্যের ব্যবস্থা গণতান্ত্রিকভাবে সকলের জন্য করা সম্ভব নয়। করতে গেলে পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদ নিঃশেষ ও ধ্বংস হয়ে যাবে। হয়ে তো যাচ্ছেও, বিজ্ঞানীরা সাবধান করছেন। এই প্রাচুর্যবিলাস মঙ্গল, শ্রী ও সৌন্দর্যের সমার্থক নয়। একথা যদি বোঝা যায়, তাহলে শিক্ষার উদ্দেশ্য প্রাচুর্য লাভ নয় ও প্রাচুর্য লাভের জন্য প্রতিযোগিতাকে শিক্ষা বলে না, এই সহজ সত্য মেনে নেওয়া সম্ভব। বস্তুতপক্ষে, প্রাচুর্যের বাইরেও সহজ শ্রীময় নান্দনিক জীবন-যাপন করা যায়।
বাজার যে বিদ্যাকে উপার্জনক্ষম বলে মনে করে তার বাইরেও নানা বিদ্যার মাধ্যমে সেই সহজ শ্রীময় জীবনযাপন সম্ভব। খেয়াল করলে দেখা যাবে, রবীন্দ্রনাথ তাঁর শান্তিনিকেতনে ঔপনিবেশিক বিদ্যাব্যবস্থার প্রচলিত পাঠ্যসূচির বাইরে অন্যরকম পাঠ্যসূচি নির্মাণ করেছিলেন। কোনও বিদ্যাই ফেলনা নয়। মানুষের রুচি যেমন বিবিধ, বিদ্যাও বিবিধ। এই ভিন্নরুচি ও ভিন্নবিদ্যার পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে হয়। একদিনে তা সম্ভব নয়। লেগে থাকতে হয়, সাহসে বুক বাঁধতে হয়– শ্রম ও উদ্যম থাকা চাই। একদিক থেকে দেখলে এসব ভাববাদী ভালো ভালো অকেজো কথা। আর এক দিয়ে দেখলে এ সবই বস্তুবাদী কেজো কথা।
………………………………………
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
………………………………………
রবীন্দ্রনাথের নিজের জীবন– উজান পথে সফল হওয়ার জীবন। রবীন্দ্রনাথ বড় উদাহরণ– অজস্র ছোট ছোট উদাহরণও আছে। আমরা দেখি না, দেখতে চাই না বলে দেখতে পাই না। লাখ লাখ টাকায় পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র কিনি। সেই লাখ লাখ টাকা অন্য বিদ্যা সহায়ে অন্য উদ্যমে উৎসাহ ভরে কাজে লাগাই না।
…ছাতিমতলা-র অন্যান্য পর্ব…
ছাতিমতলা পর্ব ৪৪: ‘গরম’ শব্দটিকে কতরকমভাবে ব্যবহার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৪৩: খেটে খাওয়া মানুষের সহজ পাঠ, রাজনৈতিক দল যদিও সেদিন বোঝেনি
ছাতিমতলা পর্ব ৪২: ‘রবি ঠাকুর’ ডাকটি রবীন্দ্রনাথ নিজেই তির্যকভাবেই ব্যবহার করতেন
ছাতিমতলা পর্ব ৪১: রবীন্দ্রনাথ ফেসবুকে থাকলে যে ভাষায় ট্রোলড হতেন
ছাতিমতলা পর্ব ৪০: রবীন্দ্র-দেবেন্দ্র সম্পর্ক বাংলা ছবির উত্তমকুমার-কমল মিত্র সম্পর্ক নয়
ছাতিমতলা পর্ব ৩৯: তেমন মাতৃসাহচর্য পাননি বলেই নৈর্ব্যক্তিকভাবে মা-সন্তানের সম্পর্ককে দেখতে পেরেছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ৩৮: রবি ঠাকুরের জন্মদিনের সাংস্কৃতিক ‘ফ্যাশন’ নিয়ে ফুট কাটা যাবে না কেন!
ছাতিমতলা পর্ব ৩৭: রবীন্দ্রনাথের মতে, ভোট সামাজিক মঙ্গলের নিঃশর্ত উপায় নয়
ছাতিমতলা পর্ব ৩৬: টক্সিক রিলেশনশিপ কি রবীন্দ্রনাথের লেখায় আসেনি?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৫: রবীন্দ্রনাথ কি আড্ডা মারতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৪: চিনের দৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথের সভ্যতা-ভাবনা ছিল কল্পনা বিলাস
ছাতিমতলা পর্ব ৩৩: পুরস্কার মূল্যকে হেলায় ফেরাতে জানে কবিই, জানতেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩২: তরুণ রবির তীক্ষ্ণ সমালোচক পরিণত রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩১: ভোটের মঞ্চে উড়ছে টাকা, এসব দেখে কী বলতে পারতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৩০: শিক্ষিত ভদ্রলোকের ‘নাগরিকত্ব’ বিষয়ক ভাবনার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের যোগ তৈরি হচ্ছে না, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ২৯: কলকাতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অপ্রেম রয়েছে যেমন, তেমনই রয়েছে আবছায়া ভালোবাসা
ছাতিমতলা পর্ব ২৮: মনের ভাঙাগড়া আর ফিরে-চাওয়া নিয়েই মধুসূদনের ভাষা-জগৎ– রবীন্দ্রনাথেরও
ছাতিমতলা পর্ব ২৭: বাংলা ভাষা কীভাবে শেখাতে চাইতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ২৬: ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ প্রৌঢ়ের কথায় রবীন্দ্রনাথের প্রেম চেনা যাবে না
ছাতিমতলা পর্ব ২৫: সুকুমার রায় যে অর্থে শিশু-কিশোরদের মনোরঞ্জন করতে পারতেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২৪: বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে বই প্রকাশের কারখানা শুধু নয়, রবীন্দ্রনাথ দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি