‘এবং ঋতুপর্ণ’-এ বাঙালি প্রথম সামনাসামনি দেখল ঋতুদাকে, স্পষ্ট অবয়বে, ভণিতাহীন ব্যবহারে। ঋতুপর্ণের কথা বলার মধ্যে যে ‘বিশেষ স্বর’, তা প্রকাশিত হল। অন্তরালকে অনুমোদন দিতে অসুবিধে হয়নি কারও, কিন্তু প্রকাশ্যকে মানতে ঝকমারি হল। এই এরমভাবেই কেন কথা বলে লোকটা? মানে আপত্তিটা আসলে ছিল এই জায়গায়, কিন্তু বলে ফেলাটা অশোভন হবে ভেবে তুইতোকারির প্রসঙ্গটা সামনে চলে এল। এবং ঋতুপর্ণ, ঋতুদাকে উত্তুঙ্গ খ্যাতি দিয়েছে, আবার মানুষ তাকে জাজ করতেও শিখেছে এ অনুষ্ঠান থেকেই। মেধা ও মননের থেকে তার কথা বলার ভঙ্গি, নারীস্বর প্রবল হয়ে উঠল সবার মনে। আমার মনে হয়েছে, ঋতুদা এটা ডেলিবারেটলি করেছিল।
৪৬.
প্রতি ‘রোববার’ সব বাঙালির ঘরে ঘরে ঋতুদা। একদিকে ছবি পরিচালনা, অন্যদিকে অ্যাঙ্কারিং– ‘এবং ঋতুপর্ণ’। ঋতুদার গল্প করার একটা সহজাত দক্ষতা ছিল। যে কোনও বিষয়ে কথা বলতে ভালো লাগত ঋতুদার সঙ্গে। এই আড্ডাখানারই একটা এক্সটেনশন– এবং ঋতুপর্ণ। ইটিভি-র পর্দায় চালু হয়েছিল এই টক শো, পরিচালনা করত ঋতুদারই সুহৃদ– শৌভিকদা। সেটের সজ্জা পুরোটাই তার ড্রইংরুম, অতিথিদের আপ্যায়ন করার জন্য চা-কফিরও ব্যবস্থা থাকত। বাঙালিয়ানায় মোড়া এই অনুষ্ঠানের একটা বড় ইস্যু ছিল ঋতুদার পাইকারি হারে তুইতোকারি নিয়ে। সুপ্রিয়া দেবী হোক বা প্রসেনজিৎ–‘বেণুদি তুই’, ‘বুম্বা তুই’– মধ্যবিত্ত সমাজে বেশ আলোড়ন ফেলেছিল। বন্ধুকে তুই বলে মানুষ, কিন্তু যে কোনও দিদি বা দাদাকে যে ইচ্ছে করলেই ‘তুই’ বলা যায়, ঋতুদা দেখিয়েছিল। যতদিন পর্যন্ত ঋতুপর্ণ পর্দার আড়ালে, মানে ক্যামেরার পিছনে বা লেখালেখি– এক নিরন্তর খ্যাতি ও হাততালি তাড়া করছিল।
‘এবং ঋতুপর্ণ’-এ বাঙালি প্রথম সামনাসামনি দেখল ঋতুদাকে, স্পষ্ট অবয়বে, ভণিতাহীন ব্যবহারে। ঋতুপর্ণের কথা বলার মধ্যে যে ‘বিশেষ স্বর’, তা প্রকাশিত হল। অন্তরালকে অনুমোদন দিতে অসুবিধে হয়নি কারও, কিন্তু প্রকাশ্যকে মানতে ঝকমারি হল। এই এরমভাবেই কেন কথা বলে লোকটা? মানে আপত্তিটা আসলে ছিল এই জায়গায়, কিন্তু বলে ফেলাটা অশোভন হবে ভেবে তুইতোকারির প্রসঙ্গটা সামনে চলে এল। এবং ঋতুপর্ণ, ঋতুদাকে উত্তুঙ্গ খ্যাতি দিয়েছে, আবার মানুষ তাকে জাজ করতেও শিখেছে এ অনুষ্ঠান থেকেই। মেধা ও মননের থেকে তার কথা বলার ভঙ্গি, নারীস্বর প্রবল হয়ে উঠল সবার মনে। আমার মনে হয়েছে, ঋতুদা এটা ডেলিবারেটলি করেছিল। হাবেভাবে সাজেগোজে আমি আমার মতো করেই চলব– তুমি গ্রহণ করতে হলে গ্রহণ করো।
ঝাড়েবংশে ‘তুই’ বলার মধ্যে একটা স্পর্ধা আছে, চ্যালেঞ্জ আছে– তুই বেড়াল না মুই বেড়াল– দেখিই না, কার দম বেশি। এই রেয়াতহীন যাপনের প্রথম জানলা খুলে দিয়েছিল এবং ঋতুপর্ণ প্রোগ্রামটা। যে অতিথিই আসুন না কেন, মূল নায়ক ছিল ঋতুপর্ণ ঘোষই।
ঋতুদা কথা বলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করত না, এর’ম কয়েকটা বিষয়ের একটা হল– খেলা। কোনও আগ্রহই ছিল না এ বিষয়ে। ইন্ডিয়া-পাকিস্তান ওয়ান ডে আছে বলে কোনও কাজ হবে না, ভাবতেই পারত না। যেমন জ্ঞান ছিল ক্রিকেটে, তেমনই ফুটবলে। ফলে এবং ঋতুপর্ণে সচরাচর কোনও খেলোয়াঢ় আসতেন না। চ্যানেলের পীড়াপীড়িতে একবার প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মানে পিকে আসেন। ঋতুদা পড়েছে মহা আতান্তরে। রিসার্চ টিম কিছু তথ্য দিয়েছে হয়তো, কিন্তু ঋতুদা থই পাচ্ছে না এপিসোডটার। প্রদীপদা সুপার স্মার্ট লোক, জেটস্পিডে যে কোনও বিষয় নিয়ে অনর্গল কথা বলতে পারেন। ফলে, পিকে এসেই ঋতুদাকে বলেছে, ঋতু তুমি কোনও চিন্তাই করো না, সব আমি বলে দেব। কার্যত গোটা এপিসোডে তাই ঘটল। ঋতুদা প্রশ্ন শেষ করার আগেই প্রদীপদা অননুকরণীয় ভঙ্গিতে ‘হ্যাঁ…’ বলে গড়গড় করে সব বলতে শুরু করে দিয়েছেন। অমন নীরব ঋতুপর্ণকে আর কোনও দিন দেখা যায়নি। বিষয় যেহেতু খেলা, একেবারেই খাপ খুলতে পারেনি ঋতুদা। এমনকী, অনুষ্ঠানের শেষে যে কথাটুকু বলতে হয় অ্যাঙ্করকে– আগামী সপ্তাহে আবার দেখা হবে ইত্যাদি– সেটুকুও না। ঋতুদা অবাক হয়ে বসে রইল। অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের ইঙ্গিত বুঝে নিয়ে প্রদীপদা প্রোগ্রাম শেষ করে দিলেন– দেখতে থাকুন ‘এবং ঋতুপর্ণ’ বলে।
কোনও টকশো’য় অতিথি অনুষ্ঠান শেষ করছে– এমন উদাহরণ হয়তো আর নেই। পিকে সবসময়ই উচ্চগ্রামে, তাঁর ধারাবিবরণীর মতোই, ফর্মের পিকে।
মুনমুন সেনের এপিসোডেও এমন দারুণ সব গল্প আছে। ঋতুদার থেকেই শোনা। অনুষ্ঠানের শেষে মুনদিকে ঋতুদা রিকোয়েস্ট করে, দর্শকদের উদ্দেশে কিছু একটা বলার জন্য। মুনমুন সেন নিজস্ব স্টাইলে বলে ওঠেন– বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েদের বলছি, দুষ্টুমি করা খুব ভালো, সবসময় দুষ্টুমি করবে, কিন্তু প্লিজ সকলে কন্ডোম ব্যবহার করবে। ফ্লোরে পুরো বজ্রাঘাত– এমন কথামৃত কীভাবে টেলিকাস্ট করা হবে– সেই নিয়ে সকলে চূড়ান্ত ঝামেলায়। মুনমুন সেনের পরের এপিসোড ছিল পীযূষকান্তি সরকারের। মুনমুন সেনের বলা নিয়ে তখন টালবাহানা চলছে, পীযুষকান্তি সেটে এসে মুনদিকে বলেন, খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন কথাটা। মুনমুন সেন আবার পীযূষকান্তিকে তেমন চিনতেন না। হয়তো নামে চিনতেন, কিন্তু চেহারায় নয়। ঋতুদাকে মুনমুন বারবার বলছিলেন, তোরা আমার অ্যানাউন্সমেন্ট নিয়ে এর’ম করছিল কেন, এই তো, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার বলছেন, কথাটা ঠিকভাবে বলেছি। ঋতুদা অবাক হয়ে বলে, কে আবার সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার? মুনদি তখন পীযূষকান্তিকে দেখান। ঋতুদা যত বোঝানোর চেষ্টা করে, উনি পীযূষদা, এই সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী একজন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, মুনমুন খুব অবাক হয়ে পীযূষকান্তিকে বলেন, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষ হাতে সামলে আপনি কী করে গানের অনুষ্ঠান করেন? সব মিলিয়ে একটা চূড়ান্ত ভুল বোঝাবুঝি, কেওস, ঋতুদার মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়। পর্দায় আমরা যে অনুষ্ঠান দেখি, তার পিছনের পর্দায় একটা অন্য অনুষ্ঠান চলে। ঋতুদার আড্ডায় এই গল্পগুলো বারবার শোনা হত– বলা হত, এবং ঋতুপর্ণ এবং…।
ইটিভির প্রোগ্রাম থেকেই বাঙালি প্রথম দেখতে পায় ঋতুদার গয়নাপ্রীতি। হাতে বিশালাকায় আংটি, গলায় হার– একটু একটু করে তখন ঋতুদার অবয়বে যোগ হচ্ছে। কোনও একটা এপিসোডে এসেছিলেন বাপী লাহিড়ি। গয়না পরার ক্ষেত্রে তিনি ঋতুদাকেও টেক্কা দিতে পারতেন। ঝলমলে অলঙ্কারময় সেই স্পেশাল এপিসোড। ঋতুদা সহাস্যে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেছিল, বাপীদা তোমার আমার দু’জনেরই এক শখ, দ্যাখো আমরা দু’জনেই কেমন গয়না পরে বসেছি। বাপীদার উত্তর ছিল, ঋতু তোমার গয়নাগুলোর অনেকটাই ঝুট্টা, আমারগুলো সব আসল সোনা।
এখন যের’ম পটকাস্টের যুগ, যেখানে এই গল্পগুলো বললে হয়তো লাখ লাখ ভিউয়ার জুটে যেত ঋতুদার পেজের। ‘এবং ঋতুপর্ণ’ চলচ্চিত্র ইমেজের বাইরে ঋতুদার একটা স্টাইল স্টেটমেন্ট সেট করেছিল। সাজের শৌখিনতা, অভিজাত এক ভঙ্গি, অ্যাঙ্কারের মন ও মেজাজ– এই নতুন ধারার অনুষ্ঠান শুধু এপারে নয়, ওপারেও সাড়া ফেলেছিল বিস্তর। বাংলাদেশের বহু সাধারণ মানুষ ঋতুদাকে ‘উনিশে এপ্রিল’ দিয়ে না চিনলেও, ‘এবং ঋতুপর্ণ’ দিয়ে চিনত।
একটা ঘটনা বাঁধিয়ে রাখার মতো। ঢাকার কোনও এক চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছে ঋতুপর্ণ ঘোষ। ভিড় করে থাকে অনুরাগীর দল অটোগ্রাফ নিচ্ছে পরপর। ঋতুদার সই করার ধরন গোটা গোটা বড় অক্ষরে ‘ঋতুপর্ণ’ লিখে দেওয়া। এক তরুণী সই নিয়ে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে আবার ফিরে আসে। ঋতুদা অবাক হয় একটু। কী হল? ‘এবং’-টা লিখতে ভুলে গেছেন স্যর। মেয়েটি সলজ্জ ভঙ্গিতে জানায়।
…ঋইউনিয়ন-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৪৫: চিত্রনাট্যের বাইরের এক সংলাপ আমাদের নগ্ন করে দিয়ে গেল
পর্ব ৪৪: একবারও মনে হয়নি, ‘চোখের বালি’তে অ্যাসিস্ট না করে কিছু মিস করছি
পর্ব ৪৩: শুভ মহরৎ-এ আমার ভদ্রতা আর প্রেমে দাগা, বন্ধুরা মেনে নিতে পারেনি
পর্ব ৪২: ‘অসুখ’-এ গৌরী ঘোষের চরিত্রে গলা দিয়েছিল ঋতুদা নিজে
পর্ব ৪১: ঋতুদার ভেলকিতে খুনের থেকেও প্রেমের জখম বড় হয়ে দাঁড়াল
পর্ব ৪০: আমার ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিল সইফ আলি খান
পর্ব ৩৯: নন্দিতার জন্য নার্ভাস ছিলাম না, রবীন্দ্রনাথের জন্য ছিলাম
পর্ব ৩৮: টোটার দেওয়া ডায়েট চার্ট পেয়ে নিজেকে হঠাৎ খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছিল
পর্ব ৩৭: ফিরে এল কলেজবেলার কমপ্লেক্স– নন্দিতা দাস আমার চেয়ে লম্বা নয়তো?
পর্ব ৩৬: আমার ডিটেকটিভ একজন মহিলা, বলেছিল ঋতুদা
পর্ব ৩৫: চন্দ্রবিন্দুর কোনও কাজ কি নির্বিঘ্নে হবে না!
পর্ব ৩৪: বিলক্ষণ বুঝতে পারছি, চ অ্যালবামটা মাথা খাচ্ছে ঋতুদার
পর্ব ৩৩: হাতে মাইক আর হাতে বন্দুক– দুটোই সমান বিপজ্জনক!
পর্ব ৩২: ‘চ’ রিলিজের সময় শঙ্খবাবু আমাকে দু’টি কড়া শর্ত দিয়েছিলেন
পর্ব ৩১: ত্বকের যত্ন নিন সেক্সিস্ট গান, বলেছিল ঋতুদা
ঋইউনিয়ন পর্ব ৩০: বাতিল হওয়া গান শোনাতে কার ভালো লাগে?
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৯: সামান্য দরকার থাকলেই মাথাখারাপ করে দিত ঋতুদা
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৮: পত্রিকার ক্যাচলাইনের মতোই এডিটরের মুডও ক্ষণে ক্ষণে পাল্টায়
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৭: জয়দেব বসু ছাড়া আর কেই বা ছিল কলকাতার সঙ্গে মানানসই?
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৬: পাহাড় থেকে নেমে আসার আগে মিঠুনদা একদিন রান্না করে খাওয়াবেন– খবরটা চাউর হয়ে গেল
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৫: মেঘে ডুবে গেল শুটিং ইউনিট, শুরু হল গোধূলি সন্ধির গীতিনাট্য
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৪: মিঠুনদার উত্তাল সত্তরের গল্পে আমাদের অলিগলি মুখস্ত হয়ে যেত
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৩: প্রথম টেকে মিঠুনদা ফলস খেলেন!
ঋইউনিয়ন পর্ব ২২: মানুষ কালীভক্ত হয়, ঋতুদা শুধু লি ভক্ত
ঋইউনিয়ন পর্ব ২১: শুনলাম কঙ্কনা না কি খুবই নার্ভাস, ‘ঋতুমামা’র ছবি করবে বলে
ঋইউনিয়ন পর্ব ২০: ইউনিটে একটা চাপা উত্তেজনা, কারণ মিঠুন চক্রবর্তীর আসার সময় হয়ে গিয়েছে
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৯: যে সময় ‘তিতলি’র শুটিংকাল, তখন পাহাড়ে ঘোর বর্ষা
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৮: চিত্রনাট্য পড়ে শোনাল ঋতুদা, কিন্তু ‘চোখের বালি’র নয়
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৭: তুই কি অ্যাসিস্ট করতে পারবি আমায় ‘চোখের বালি‘তে?
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৬: লিরিক নিয়ে ভয়ংকর বাতিক ছিল ঋতুদার
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৫: জীবনের প্রথম চাকরি খোয়ানোর দিনটি দগদগে হয়ে রয়েছে
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৪: উত্তমের অন্ধকার দিকগুলো প্রকট হচ্ছিল আমাদের কাটাছেঁড়ায়
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৩: সুপ্রিয়া-উত্তমের কন্যাসন্তান হলে নাম ভাবা হয়েছিল: ভ্রমর
ঋইউনিয়ন পর্ব ১২: ধর্মতলায় ঢিল ছুড়লে যে মানুষটার গায়ে লাগবে, সে-ই উত্তম ফ্যান
ঋইউনিয়ন পর্ব ১১: পার্ক স্ট্রিট ছিল আমার বিকেলের সান্ত্বনা, একলা হাঁটার রাজপথ
ঋইউনিয়ন পর্ব ১০: পরিচালক হলে খিস্তি দিতে হয় নাকি!
ঋইউনিয়ন পর্ব ৯: সেই প্রথম কেউ আমায় ‘ডিরেক্টর’ বলল
ঋইউনিয়ন পর্ব ৮: শুটিং চলাকালীনই বিগড়ে বসলেন ঋতুদা!
ঋইউনিয়ন পর্ব ৭: ঋতুদা আর মুনদির উত্তেজিত কথোপকথনে আমরা নিশ্চুপ গ্যালারি
ঋইউনিয়ন পর্ব ৬: মুনমুন সেনের নামটা শুনলেই ছ্যাঁকা খেতাম
ঋইউনিয়ন পর্ব ৫: আমার পেশার জায়গায় লেখা হল: পেশা পরিবর্তন
ঋইউনিয়ন পর্ব ৪: লাইট, ক্যামেরা, ফিকশন, সব জ্যান্ত হয়ে ওঠার মুহূর্তে ঋতুদার চিৎকার!
ঋইউনিয়ন পর্ব ৩: রবীন্দ্রনাথকে পার করলে দেখা মিলত ঋতুদার
ঋইউনিয়ন পর্ব ২: ‘চন্দ্রবিন্দু’র অ্যালবামের এরকম সব নাম কেন, জানতে চেয়েছিলেন ঋতুদা
ঋইউনিয়ন পর্ব ১: নজরুল মঞ্চের ভিড়ে কোথায় লুকিয়ে ছিলেন ঋতুপর্ণ?