সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা সে কি ক্ষণস্থায়ী বানের প্রতি ভালোবাসার মতো নয়! যে সাহিত্যকে আমরা চিরায়ত বলি, তাকে আমরা শ্রদ্ধা করি কিন্তু এমন করে তার টানে কি ভেসে যাই! আবার এমনও তো হয় কোনও একজন পাঠক হঠাৎই সে-সাহিত্যের মধ্যে খুঁজে পান বানের টান। সে কি রচয়িতার গুণে না কি পাঠকের গুণে। পাঠক তো লাবণ্য– সে বলে ‘তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান’– তখন আর কথা চলে না। তবে মনে রাখতে হবে অনেকদিন যা পড়েছিল তরঙ্গহীন অগোচরে তার মধ্যে তরঙ্গের খোঁজ পেয়েছিলেন পাঠকই। শেষ পর্ব।
৫২.
রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসে লাবণ্য অমিতকে জানিয়েছে তার শেষ চিঠিতে,
ওগো তুমি নিরুপম,
হে ঐশ্বর্যবান,
তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান–
গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়।
হে বন্ধু, বিদায়।
এই শেষ অংশে এসে থামতে হয়। লাবণ্য অমিতকে ছেড়ে যাবে। তাদের সম্পর্ক আর থাকবে না। লাবণ্য অমিতকে এক অর্থে মুক্তি দিয়েছে। সে বুঝেছে অমিতের কথা আর কাজে মিল হচ্ছে না। অমিত যা ভাবছে, যা বলছে তা পালন ও যাপন করতে পারছে না। পালন ও যাপন করতে পারছে না বলেই যে কথাগুলো মিথ্যে হয়ে গেল, তা নয়। অমিতর কথা ও কল্পনা তো একরকম করে লাবণ্যের সামনে খুলে দিয়েছিল আশ্চর্য এক অমরাবতী।
অমিত লাবণ্যকে বলেছিল, ‘আমার মধ্যে বকুনির মন্সুন নেমেছে। ওয়েদার-রিপোর্ট যদি রাখ তো দেখবে, এক-এক দিনে কত ইঞ্চি পাগলামি তার ঠিকানা নেই। কলকাতায় যদি থাকতুম তোমাকে নিয়ে টায়ার ফাটাতে ফাটাতে মোটরে করে একেবারে মোরাদাবাদে দিতুম দৌড়। যদি জিজ্ঞাসা করতে মোরাদাবাদে কেন তার কোনোই কারণ দেখাতে পারতুম না। বান যখন আসে তখন সে বকে, ছোটে, সময়টাকে হাসতে হাসতে ফেনার মতো ভাসিয়ে নিয়ে যায়।’
সত্যই তো, বান যখন আসে তখন সে বকে, ছোটে, সময়টাকে হাসতে হাসতে ফেনার মতো ভাসিয়ে নিয়ে যায়। সেই বানের ফেনা তো চিরস্থায়ী হতে পারে না। ফেনা একসময় কেটে যায়। যখন ফেনা কাটে তখন বানের জলও যায় নেমে। পলিটুকু পড়ে থাকে। সেই পলি ফসলের প্রাণ– তা কাজে লাগে, কিন্তু তা ভাসাতে পারে না।
…………………………………………………
লাবণ্যের এই যে কথাগুলি এ কি রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য পাঠকের কথাও নয়! রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য যেখানে হিত ভুলে, মঙ্গল ভুলে সাহিত্য সেখানে যে বানের টান। তা কথায় কথায় খুলে দেয় পাঠকের মন। পাঠক তাতে আশ্রয় পান। সে আশ্রয় কি চিরস্থায়ী? না কি একেক জন পাঠক রবীন্দ্র-রচনায় খুলে যেতে যেতে, রবীন্দ্রসাহিত্যে ভাসতে ভাসতে একসময় মুক্তি পেতে চাইবেন সেই বিপুল বন্যা থেকে!
…………………………………………………..
অমিতের কথা আর কল্পনা সেই বানের ফেনা। সেই ফেনা বাদ দিয়ে যখন লাবণ্য অমিতকে দেখে, তখন যে মানুষটি পড়ে থাকে সেই মানুষটি বানকে চিরস্থায়ী কেন করতে পারল না, সে অভিযোগ লাবণ্য করে না। বুঝেছে সে বানটুকুই তার, ক্ষণস্থায়ী কিন্তু মিথ্যা নয়। সেই বানকে লাবণ্য উদ্বেল করে রেখেছিল। ততদিনই রাখতে পেরেছিল, যতদিন সে বানের জলের সঙ্গে ভেসেছিল– সেই ভাসমানতাকে নিয়ে যখনই সে প্রশ্ন করল, স্থায়ী বলে মাপতে চাইল, জল তখন আর মিলল না। বানের সঙ্গে ভাসতে পারছে না বলে বানও তার গতি হারাল। গতিহীন অমিত তো নিরুপম নয়। লাবণ্য তার শেষ কবিতায় স্মরণ করেছিল সেই প্রাণময়, বানময় ক্ষণস্থায়ী নিরুপমকে। সেই বানের জলে খুলে গিয়েছিল লাবণ্য– সে যে এমন করে খুলতে পারে তা তো অমিত না এলে বুঝতেই পারত না। অমিত খুলে দিল তাকে, তবে যে খুলে দিল, উন্মোচন করল তার কাছে লাবণ্য স্থিতি পায়নি। উন্মোচনের স্মৃতি নিয়ে তাই সে বিদায় নিল। যাওয়ার আগে বলে গেল বান যেমন তার আগল দিয়েছিল খুলে, তেমনই সে যে বানকে ভাসমানতার উদ্বেল সাহচর্য দিল সে তো তারই দান। আর সেই সম্পর্কের সূত্রে যে পলিটুকু রইল তা নিয়েই সে ফিরল তার জীবনের স্থিতিতে– অন্যখানে।
লাবণ্যের এই যে কথাগুলি এ কি রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য পাঠকের কথাও নয়! রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য যেখানে হিত ভুলে, মঙ্গল ভুলে সাহিত্য সেখানে যে বানের টান। তা কথায় কথায় খুলে দেয় পাঠকের মন। পাঠক তাতে আশ্রয় পান। সে আশ্রয় কি চিরস্থায়ী? না কি একেক জন পাঠক রবীন্দ্র-রচনায় খুলে যেতে যেতে, রবীন্দ্রসাহিত্যে ভাসতে ভাসতে একসময় মুক্তি পেতে চাইবেন সেই বিপুল বন্যা থেকে! সেই ভাসমানতা থেকে বাইরে এসে যে পলিটুকু পড়ে থাকবে তা কাজে লাগবে কিন্তু ভাসাবে না! তখন সেই পলি নিয়ে তিনি ফিরবেন অন্য আরেক খানে।
রবীন্দ্রনাথের ইংরেজি ভাষায় লেখা রচনার বানে একদিন পাশ্চাত্য পাঠকের হৃদয় গিয়েছিল খুলে। বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলির কবিতাগুলি পড়ে ইয়েটস বিস্মিত, বিমুগ্ধ। ভূমিকায় লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথের রচনা তাঁর শোনিতে তুলেছিল ঢেউ (stirred my blood), প্রতিদিন অন্তত একটি রাবীন্দ্রিক তাঁকে ভুলিয়ে দিত জাগতিক বিপর্যয়ের কথা। রবীন্দ্র-রচনার পাণ্ডুলিপি নিয়ে তিনি ঘুরছেন। রেলগাড়িতে, বাসে, রেস্তঁরায় সর্বত্র লন্ডন নগরীতে তাঁর সঙ্গে থাকছে রবীন্দ্রনাথের সাংগীতিক পঙ্ক্তিমালা।
এই যে বান সেই বান থেকে একদিন নিজেকে মুক্ত করবেন পাশ্চাত্য-পাঠক। রবীন্দ্র-রচনার যে পলি পড়ে থাকবে তা কাজে লাগবে কিন্তু তেমন করে ভাসাতে পারবে না। তখন লাবণ্যর মতো রবি ঠাকুরকেও ‘হে বন্ধু’ বিদায় বলতে হবে তাঁদের।
সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা সে কি ক্ষণস্থায়ী বানের প্রতি ভালোবাসার মতো নয়! যে সাহিত্যকে আমরা চিরায়ত বলি, তাকে আমরা শ্রদ্ধা করি কিন্তু এমন করে তার টানে কি ভেসে যাই! আবার এমনও তো হয় কোনও একজন পাঠক হঠাৎই সে-সাহিত্যের মধ্যে খুঁজে পান বানের টান। সে কি রচয়িতার গুণে না কি পাঠকের গুণে। পাঠক তো লাবণ্য– সে বলে ‘তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান’– তখন আর কথা চলে না। তবে মনে রাখতে হবে অনেকদিন যা পড়েছিল তরঙ্গহীন অগোচরে তার মধ্যে তরঙ্গের খোঁজ পেয়েছিলেন পাঠকই।
রবীন্দ্রনাথ আর রবীন্দ্র-সাহিত্যের প্রতি পাঠকের মন লাবণ্যের মতো। তার কাছে আসে, ভালোবাসে আবার বিদায়ও নেয়। এই বিদায় নেয় বলেই থাকার মুহূর্তটুকু বন্ধনহীন গ্রন্থি হয়ে ওঠে। এই বন্ধনহীন পাঠই তো একরকম মুক্ত সাহিত্য পাঠ।
তাই তো পাঠকের ‘শেষের কবিতা’। হে বন্ধু বিদায়।
…ছাতিমতলা-র অন্যান্য পর্ব…
ছাতিমতলা পর্ব ৫১: প্রচলিত ‘রাবীন্দ্রিক’ ছাঁচের ভেতরই সুতীক্ষ্ণ ‘অরাবীন্দ্রিক’ মাঝেসাঝে উঁকি মেরে যায়
ছাতিমতলা পর্ব ৫০: প্রচলিত ‘রাবীন্দ্রিক’ ছাঁচের ভেতরই সুতীক্ষ্ণ ‘অরাবীন্দ্রিক’ মাঝেসাঝে উঁকি মেরে যায়
ছাতিমতলা পর্ব ৪৯: অন্য কবিদের কবিতা কীভাবে পড়তেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৪৮: ছাত্রদের আন্দোলন হবে গঠনমূলক, মনে করতেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৪৭: যে কলকাতায় নব মেঘদূত রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৪৬: রবীন্দ্রনাথ পরোপকারের জন্য ‘ব্যবসাদার’ হয়ে ওঠেননি
ছাতিমতলা পর্ব ৪৫: ‘লেখা পড়া করে যে গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে’ প্রবাদের উদাহরণ হয়ে উঠতে চাননি রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৪৪: ‘গরম’ শব্দটিকে কতরকমভাবে ব্যবহার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৪৩: খেটে খাওয়া মানুষের সহজ পাঠ, রাজনৈতিক দল যদিও সেদিন বোঝেনি
ছাতিমতলা পর্ব ৪২: ‘রবি ঠাকুর’ ডাকটি রবীন্দ্রনাথ নিজেই তির্যকভাবেই ব্যবহার করতেন
ছাতিমতলা পর্ব ৪১: রবীন্দ্রনাথ ফেসবুকে থাকলে যে ভাষায় ট্রোলড হতেন
ছাতিমতলা পর্ব ৪০: রবীন্দ্র-দেবেন্দ্র সম্পর্ক বাংলা ছবির উত্তমকুমার-কমল মিত্র সম্পর্ক নয়
ছাতিমতলা পর্ব ৩৯: তেমন মাতৃসাহচর্য পাননি বলেই নৈর্ব্যক্তিকভাবে মা-সন্তানের সম্পর্ককে দেখতে পেরেছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ৩৮: রবি ঠাকুরের জন্মদিনের সাংস্কৃতিক ‘ফ্যাশন’ নিয়ে ফুট কাটা যাবে না কেন!
ছাতিমতলা পর্ব ৩৭: রবীন্দ্রনাথের মতে, ভোট সামাজিক মঙ্গলের নিঃশর্ত উপায় নয়
ছাতিমতলা পর্ব ৩৬: টক্সিক রিলেশনশিপ কি রবীন্দ্রনাথের লেখায় আসেনি?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৫: রবীন্দ্রনাথ কি আড্ডা মারতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৪: চিনের দৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথের সভ্যতা-ভাবনা ছিল কল্পনা বিলাস
ছাতিমতলা পর্ব ৩৩: পুরস্কার মূল্যকে হেলায় ফেরাতে জানে কবিই, জানতেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩২: তরুণ রবির তীক্ষ্ণ সমালোচক পরিণত রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩১: ভোটের মঞ্চে উড়ছে টাকা, এসব দেখে কী বলতে পারতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৩০: শিক্ষিত ভদ্রলোকের ‘নাগরিকত্ব’ বিষয়ক ভাবনার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের যোগ তৈরি হচ্ছে না, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ২৯: কলকাতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অপ্রেম রয়েছে যেমন, তেমনই রয়েছে আবছায়া ভালোবাসা
ছাতিমতলা পর্ব ২৮: মনের ভাঙাগড়া আর ফিরে-চাওয়া নিয়েই মধুসূদনের ভাষা-জগৎ– রবীন্দ্রনাথেরও
ছাতিমতলা পর্ব ২৭: বাংলা ভাষা কীভাবে শেখাতে চাইতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ২৬: ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ প্রৌঢ়ের কথায় রবীন্দ্রনাথের প্রেম চেনা যাবে না
ছাতিমতলা পর্ব ২৫: সুকুমার রায় যে অর্থে শিশু-কিশোরদের মনোরঞ্জন করতে পারতেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২৪: বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে বই প্রকাশের কারখানা শুধু নয়, রবীন্দ্রনাথ দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি